Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
যখন ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) নৃশংস অপরাধ বেড়ে চলার ছবিটা সামনে আনে তখন সেটি নিঃসন্দেহে আইশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার দিকটিকেই নির্দেশ করে। যখন স্বঘোষিত মাতব্বরের দল কোনও অল্প বয়সি দম্পতিকে নিগ্রহ করে কিংবা কাউকে পিটিয়ে হত্যা করে, তখন সেটা মাথা এবং হাড় ভেঙে যাওয়ার খবর। সরকারি কর্তৃপক্ষের তরফে জবরদখল উচ্ছেদে বুলডোজারের ব্যবহারকে বাড়ি ভাঙার খবর বলা যেতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন বিরোধী দলকে, বিশেষ করে কংগ্রেসকে—‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ কিংবা ‘শহুরে নকশাল’ দেগে দেন, তখন সেই ব্রেকিং নিউজ উদ্বেগের কারণ হয়। 
 আশা, হৃদয় ভঙ্গ হচ্ছে
আজ যে-সব গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকিং নিউজ শেয়ার করব তাতে আপনাদের আশা এবং হৃদয় দুটিই ভঙ্গ 
হতে পারে। কে ভি কামাথ একজন বিশিষ্ট ব্যাঙ্কার। আইসিআইসিআই নামক প্রতিষ্ঠানকে তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাঙ্ক হিসেবে গড়ে তুলেছেন। নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের (ব্রিকস ব্যাঙ্ক) 
প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। কামাথ বর্তমানে ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর ফাইনান্সিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার 
অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এনএ-বিএফআইডি) শীর্ষকর্তা।  দেশ ঠিক কোন পথে এগলে ২০৪৭ সালে বিকশিত ভারতে (ডেভেলপড ইন্ডিয়া) গিয়ে পৌঁছতে পারবে সম্প্রতি একটি বুক রিভিউতে তারই সন্ধান তিনি দিয়েছেন। 
একটি প্রথম সারির সংবাদপত্রে কামাথের একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ওই লেখায় সংশ্লিষ্ট গ্রন্থ প্রণেতা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রামনিয়নকে আন্তরিকভাবেই প্রশংসা করেছেন। তাঁকে সাধুবাদ—‘প্রত্যাশিতভাবে তাঁর অন্তর্নিহিত থিমটি তুলে ধরার জন্য’ এবং এটা বলার জন্য যে ‘অতীতের হতাশাগ্রস্ত শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে হবে এবং ভালো চিন্তাভাবনার মধ্য দিয়ে নির্ধারণ করতে হবে সাহসী লক্ষ্য।’  কামাথ লেখকের সঙ্গে একমত যে, নমিনাল জিডিপির বার্ষিক ১২.৫ শতাংশ  বৃদ্ধি (মার্কিন ডলারে) ঘটলে ‘প্রতি ছ’বছরে তা দ্বিগুণ হবে। ২০২৩ সালের ৩.২৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ জিডিপি বেড়ে ২০৪৭ সালে ৫৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বা প্রায় ১৬ গুণ বৃদ্ধি পাবেো এটি বাস্তবিকই সম্ভব।’ আমিও অন্তর থেকে এই মতের পক্ষে এবং এমত সুস্থায়ী বৃদ্ধির লক্ষ্যে সওয়ালও করেছি। 
দংশনটা শেষ দিকে
কে ভি কামাথের সমালোচনায় দংশনটা রয়েছে শেষের ছয়টি অনুচ্ছেদে। তিনি লেখা শুরু করেছেন ‘চারটি স্তম্ভ’-এর কথা তুলে ধরে, সেগুলিই ভারতকে পরিপূর্ণতা এনে দেবে। অভীষ্ট সেই বিষয়গুলি কী কী? সমষ্টির অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, সামাজিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা, বেসরকারি ক্ষেত্রে সম্পদ সৃষ্টিতে নীতি-নৈতিকতা অবলম্বন এবং ধারাবাহিক ব্যক্তিগত বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি কল্যাণময় পরিবেশ সৃষ্টি। মোদি জমানায় উপর্যুক্ত ‘স্তম্ভগুলি’ কী অবস্থায় রয়েছে যাচাই করে নেওয়া যাক। 
বৃদ্ধির উপর সামষ্টিক-অর্থনৈতিক গুরুত্ব: সামষ্টিক-অর্থনৈতিক বৃদ্ধির (ম্যাক্রো-ইকনমিক গ্রোথ) উপর গুরুত্ব অটুট রাখার সূচকগুলি হল—ফিসকাল ডেফিসিট বা রাজকোষ ঘাটতি, মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হার, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট এবং ঋণ/জিডিপি অনুপাতের তথ্যাদি। জিডিপির ৩ শতাংশ পরিমাণ ফিসকাল ডেফিসিটের লক্ষ্যে পৌঁছতে সরকারকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। এই ঘাটতির হার এখন ৫.৬ শতাংশ! মুদ্রাস্ফীতির হার এখনও ৪ শতাংশের অধিক। ২০২২ সালের মে মাস থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট ৬.৫ শতাংশে স্থির রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের শেষেও কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিটের চেহারাটা বেশ বড়সড়ই ছিল—২৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাঁচিয়ে দিয়েছে কেবল ফরেন রেমিটেন্স বা প্রবাসীদের পাঠানো বিপুল অর্থ। ১৮.৭ শতাংশের ঋণ/জিডিপি অনুপাত নিয়ে ম্যানেজ করা সম্ভব। অর্থাৎ পরিস্থিতিটা ভালো-মন্দ মিশিয়েই। 
সামাজিক ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি: মোদি জমানায় সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে বৈষম্য হ্রাসে সরকারের ব্যর্থতা। মাথাচাড়া দিয়েছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম বা স্বজনতোষী পুঁজিবাদ। সরকারি বিনিয়োগ হচ্ছে পুঁজি-নিবিড় শিল্পে। কমানো হয়েছে কর্পোরেট ট্যাক্স। কর চেপে রয়েছে জনগণের বহুল ব্যবহার্য পণ্যগুলির উপর। জ্বালানি এককথায় অগ্নিমূল্য। ন্যূনতম মজুরি শ্রমিক পরিববারগুলির প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। যাঁরা পরের জমি চষে পেট চালান সেই কৃষকরা অবহেলার শিকার। গরিব মানুষ যেসব পরিষেবার উপর নির্ভর করেন সেগুলির প্রতি সরকার বিমুখ। এমন পক্ষপাতের দৃষ্টান্ত হিসেবে ‘বন্দে ভারত’ ট্রেনের পাশে রেলে সেকেন্ড ক্লাস এবং অসংরক্ষিত কোচে ভ্রমণের বিষয়টি সামনে রাখা যায়। এছাড়া রয়েছে আরও একাধিক জনবিরোধী কেন্দ্রীয় নীতি। আর এজন্যই জনসংখ্যার উপরের দিকের ১ শতাংশ এবং নীচের দিকের ২০ শতাংশের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়ে গিয়েছে। 
ঘৃণা প্রচার এবং সাম্প্রদায়িক সংঘাতের কারণে সামাজিক অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া বড় ধাক্কা খেয়েছে। কে ভি কামাথ যেটিকে দ্বিতীয় স্তম্ভ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন সেটি দুর্বল তো বটেই, নড়বড়ও করছে!
বেসরকারি ক্ষেত্রে নৈতিক সম্পদ সৃষ্টি: ব্যাঙ্ক 
জালিয়াতি এবং কর্পোরেট সেক্টরে পতন গত দশ বছরে বেড়েছে। ব্যাঙ্কের দেনা মকুবকে (রাইট-অফ) বৈধ করতে এবং তথাকথিত ব্যর্থ কোম্পানিগুলিকে বাঁচাতে হাতিয়ার হয়েছে দি ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপসি কোড (আইবিসি)। অন্যদিকে, আইবিসির মাধ্যমে ঋণের অর্থ ফেরতের হার (রিকভারি রেট) মাত্র ৩২ শতাংশ। যাঁরা সাকসেসফুল রেজোলিউশন অ্যাপ্লিক্যান্ট (এসআরএ) তাঁরা দাঁও মেরেছেন। আইনকে সামনে রেখে অন্যায় হস্তক্ষেপ, চোরাগোপ্তা ও ধীর নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং দমনপীড়নমূলক কর ব্যবস্থা সৎ ব্যবসায়ীদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে। এই কারণে তরুণ উদ্যোগীরা বিদেশে ব্যবসা বা মাইগ্রেট করতে চান। 
৪,৩০০ ভারতীয় ধানঢ্য (মিলিয়নেয়ার) ব্যক্তি ভারত ছেড়ে চলে গিয়েছেন (সূত্র: মিস্টার রুচির 
শর্মা, টাইমস অফ ইন্ডিয়া)। বস্তুত কম্পিটিশন কমিশনই মনোপলি (একচেটিয়া) ও অলিগোপলিকে উৎসাহ জুগিয়েছে। বিমান পরিবহণ (এয়ারলাইন্স), বন্দর (পোর্ট), বিমানবন্দর (এয়ারপোর্ট), টেলিযোগাযোগ, তেল শোধনাগার (অয়েল রিফাইনারি) এবং সৌরশক্তির (সোলার এনার্জি) মতো শিল্পে প্রতিযোগিতা খুবই কম। সিমেন্ট, 
ইস্পাত, বিদ্যুৎ এবং খুচরো ব্যবসা ক্ষেত্রে দ্রুত কনসোলিডেশন বা একত্রীকরণ চলছে, এবং এসব ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বাড়বে না কমবে, তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক 
বাজার অর্থনীতির জন্য এই প্রবণতাগুলি ভালো নয়, যদিও নীতিনিষ্ঠা মেনে বেসরকারি ক্ষেত্রের সম্পদ সৃষ্টি (এথিক্যাল ওয়েলথ ক্রিয়েশন) নিশ্চিত করণের সময়-পরীক্ষিত উপায় এটাই।
ধারাবাহিক ব্যক্তিগত বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি কল্যাণময় পরিবেশ সৃষ্টি: সরকারের আর্জি, তদ্বির এবং হুমকি সত্ত্বেও বেসরকারি বিনিয়োগ সরকারি বিনিয়োগের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। ব্যবসা যেহেতু সরকারের আস্থাশীল নয়, তাই সরকারের প্রতিও ব্যবসার আস্থা নেই। হুমকি বিবাহ (শটগান ওয়েডিং)—বিতর্কিত উপায়ে ব্যবসা দখল—পরিবেশকে উত্তপ্ত করেছে। ২০০০ সাল থেকে এই পর্যন্ত আট হাজারের বেশি ভারতীয় কোম্পানি সিঙ্গাপুরে রেজিস্ট্রেশন নিয়েছে বা ব্যবসা প্রক্রিয়া শুরু করেছে (সূত্র: এইচসিআই, সিঙ্গাপুর)। তদন্তকারী সংস্থার বাড়াবাড়ি ব্যবসায়ী শ্রেণির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে অর্থমন্ত্রী ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ভারতীয় অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে কী তাঁদের বাধা হচ্ছে? এই বিষয়ে আমাদের নির্দেশ দেওয়ার জন্য কে ভি কামাথ বিশেষভাবে যোগ্য ব্যক্তি।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
07th  October, 2024
এরপরেও বিজেপি গরিবের ভোট চাইবে?
তন্ময় মল্লিক

বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা দেওয়ামাত্র বিরোধীরা একযোগে সমালোচনা শুরু করে দিয়েছেন। তাঁদের দাবি, ‘ছাব্বিশের ভোটের জন্য এসব করা হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মাছের তেলে মাছ ভাজছেন। কারণ এটা সাধারণ মানুষের করের টাকা।’ বিরোধীরা একেবারে হক কথা বলছেন। বিশদ

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমছে অথচ অপুষ্টি কমছে না
সমৃদ্ধ দত্ত

সরকার জনসংখ্যা নীতি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি যাতে কমে যায় সেই কঠোর নীতি কি নেওয়া দরকার? নাকি জনসংখ্যা নীতির প্রয়োজন নেই? এই জল্পনা এখন সরকারের অন্দরে অন্যতম প্রধান একটি বিতর্ক। সিদ্ধান্ত নেওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু যে রাষ্ট্র আর কিছু বছরের মধ্যে নাকি তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হবে সেখানে এত শিশুমৃত্যু কেন? এত অপুষ্টি কেন?
বিশদ

20th  December, 2024
আল-কায়েদা জঙ্গি জোলানি এখন হিরো
মৃণালকান্তি দাস

প্রচণ্ড গরমের এক দুপুর। ইরাক আর সিরিয়ার সীমান্তের কাছাকাছি একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে দু’টি পিকআপ ভ্যান। স্থানীয়রা জানত, এসব গাড়ি কাদের এবং কী উদ্দেশ্যে এখানে চলাচল করে। সিরিয়ার বাজার থেকে অস্ত্র কিনে এই রুট দিয়ে সেগুলি ইরাকে নিয়ে যায় আল-কায়েদা। বিশদ

19th  December, 2024
পাকিস্তান নয়, ভারতই পাশে থাকবে
হারাধন চৌধুরী

অনেক সংশয় কাটিয়ে সোমবার ঢাকাতেও পালিত হল ‘বিজয় দিবস’। এমনকী, কলকাতায় ফোর্ট উইলিয়ামের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানেও যোগ দিল বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল। ‌গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতন হয় এবং ৮ আগস্ট বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয় মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার।
বিশদ

18th  December, 2024
সিবিআইকে নিয়ে গদগদ হওয়ার কিছু আছে কি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

১) ময়নাতদন্ত নিয়ে প্রশ্ন। কল্যাণী এইমস এবং দিল্লির গঙ্গারামপুর হাসপাতালে পাঠানোর পরও কিন্তু খুঁত মিলল না। বিশদ

17th  December, 2024
প্রত্যাশিত ভারত মোদির ‘বিকশিত’ ভারত নয়
পি চিদম্বরম

বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এবং ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব—দু’জনেই শহুরে, সুশিক্ষিত ও মৃদুভাষী মানুষ। এস জয়শঙ্কর ফরেন সার্ভিসে একটি উল্লেখযোগ্য কর্মজীবন কাটিয়েছেন। সেখানে তাঁকে একজন উদারপন্থী ব্যক্তি হিসেবেই বিবেচনা করা হতো।
বিশদ

16th  December, 2024
এক দেশ এক নির্বাচন ও মমতার চ্যালেঞ্জ
হিমাংশু সিংহ

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছাব্বিশে, না তারও আড়াই বছর বাদে উনত্রিশের সম্মিলিত নির্বাচনে, তা ভবিষ্যৎ বলবে। কিন্তু ইতিমধ্যেই রাজ্যের সীমানা ছাড়িয়ে জাতীয় ক্ষেত্রেও তাঁকে প্রধান মুখ করে লড়ার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে পাটনা থেকে মুম্বই, লখনউ থেকে দিল্লির প্রধান বিরোধী দলগুলির মধ্যে। বিশদ

15th  December, 2024
মৌলবাদ: চক্রান্ত রুখছেন রাজ্যের মুসলিমরাই
তন্ময় মল্লিক

‘কোটা’র বিরুদ্ধে আন্দোলনকে সামনে রেখেই বাংলাদেশে ঘটেছিল তথাকথিত ‘গণঅভ্যুত্থান’। কোটাপ্রথার বিলোপই যদি লক্ষ্য হতো, তাহলে ৫আগস্ট  আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটত। শেখ হাসিনা দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু দেশে শান্তি ফেরেনি। বিশদ

14th  December, 2024
বিজেপি-সখ্যে আঞ্চলিক দলের ক্ষতি হচ্ছে
সমৃদ্ধ দত্ত

বিগত ১০ বছর ধরে দেখা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের শাসক দল বিজেপির সঙ্গে যে আঞ্চলিক দলই সখ্য স্থাপন করেছে, তাদেরই চরম রাজনৈতিক ক্ষতি হয়েছে। হয় তারা নিজেদের ভোটব্যাঙ্ক হারিয়েছে অথবা সরকার থেকে পদচ্যুত হয়েছে। কিংবা নিজেদের রাজ্যে গুরুত্বহীন হয়ে গিয়েছে। বিশদ

13th  December, 2024
দেশে এবার ‘কৃষ্ণ বিপ্লব’ আসন্ন!
মৃণালকান্তি দাস

দেশের এক আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি) অধিকর্তা দাবি করেছিলেন, তিনি নাকি মন্ত্রবলে ‘ভূত ছাড়াতে’ পারেন। বেশ কয়েক বছর আগে একটি পরিবারকে তিনি ‘অশুভ আত্মার কবল থেকে মুক্ত’ করেছিলেন বলে দাবি করেন প্রযুক্তিবিদ্যার ওই বিশেষজ্ঞ। বিশদ

12th  December, 2024
কাজ ও প্রচারের নিরিখে মোদি বনাম মনমোহন
সন্দীপন বিশ্বাস

আপনারে বড় বলে, বড় সেই নয়, / লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। কোন বালক বয়সে পড়া ‘বড় কে’ নামের এই কবিতার লাইনটি আজও মানুষ ভুলে যাননি। অনেকে সেই কবির নামই জানেন না বা ভুলে গিয়েছেন, কিন্তু লাইন দু’টির মধ্যে যে ঘোর বাস্তবতা রয়েছে, সেটা আমরা মাঝে মাঝেই টের পাই। বিশদ

11th  December, 2024
হাতে টাকা নেই, সোনা বন্ধকই ভরসা ভারতের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের বাজারে সোনার দাম কত? প্রতি ১০ গ্রামে ৭৮ হাজার ৪০০ টাকার আশপাশে। চলতি মাসের হিসেব ধরলে একবারই এই দর নেমেছিল ৭১ হাজারে। আর গোটা বছরের গড়ও সেটাই। অথচ বছর দুয়েক আগেও অঙ্কটা এমন ছিল না। বিশদ

10th  December, 2024
একনজরে
শুক্রবার সকালে স্কুটারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃতের নাম মুজাফফর বিশ্বাস (৪২)। ঘটনাটি ঘটে দেগঙ্গার কামদেবকাটিতে। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুটার চালককে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এলেও শেষরক্ষা হয়নি। ...

সম্প্রতি শহরে তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিসের নতুন ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের এই সাফল্যকে সামনে এনে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র দাবি করলেন, বাংলায় পড়াশোনোর বহর বাড়ছে। সেই কারণেই মেধার বিস্তৃতি সম্ভব হচ্ছে। ...

শনিবার তেলেঙ্গানায় সন্তোষ ট্রফির মূল পর্বের গ্রুপ লিগে বাংলার প্রতিপক্ষ মণিপুর। সম্প্রতি ভারতীয় ফুটবলের সাপ্লাই লাইন এই রাজ্য। একাধিক ফুটবলার আইএসএলে বিভিন্ন দলের হয়ে মাঠ কাঁপাচ্ছেন। ...

মাদক কারবার থেকে চোরাচালান। মানব পাচার থেকে জঙ্গি কার্যকলাপ। সবমিলিয়ে ক্রমশ স্পর্শকাতর নেপাল ও ভুটান সীমান্ত। এজন্যই ড্রোন উড়িয়ে নজরদারি চলছে সংশ্লিষ্ট দুই সীমান্তে। একইসঙ্গে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কাজকর্মের ক্ষেত্রে দিনটি বিশেষ শুভ। নতুন যোগাযোগ ও উপার্জন বৃদ্ধির ক্ষেত্র প্রস্তুত হতে পারে। বিদ্যায় ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০১: শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক প্রসন্নকুমার ঠাকুরের জন্ম
১৯১১: প্রতিষ্ঠিত হল সেন্ট্রাল ব্যাংক অব ইন্ডিয়া
১৯৫৯: ক্রিকেটার কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্তের জন্ম
১৯৬৩: অভিনেতা গোবিন্দার জন্ম
১৯৯৮: নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকে ‘দেশিকোত্তম’ দিল বিশ্বভারতী
২০১২: পরিচালক যীশু দাশগুপ্তের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৪.১৩ টাকা ৮৫.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২৭ টাকা ১০৭.৯৮ টাকা
ইউরো ৮৬.৪২ টাকা ৮৯.৭৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৬ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী ১৫/১৫, দিবা ১২/২২। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র ৫৯/৫৫ শেষ রাত্রি ৬/১৪। সূর্যোদয় ৬/১৬/১৭, সূর্যাস্ত ৪/৫৩/১১। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৭/৪২ গতে ৯/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৪৭ মধ্যে পুনঃ ৩/২৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৫৬ গতে ২/৪৩ মধ্যে। বারবেলা ৭/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৩ গতে ২/১৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৬ গতে উদয়াবধি। 
৫ পৌষ, ১৪৩১, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪। ষষ্ঠী দিবা ১/৫৮। পূর্বফাল্গুনী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৬/১৯, সূর্যাস্ত ৪/৫২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৬ মধ্যে ও ৭/৪৯ গতে ৯/৫৭ মধ্যে ও ১২/৫ গতে ২/৫৬ মধ্যে ও ৩/৮ গতে ৪/৫২ মধ্যে এবং রাত্রি ১/৪ গতে ২/৫০ মধ্যে। কালবেলা ৭/৩৮ মধ্যে ও ১২/৫৫ গতে ২/১৪ মধ্যে ও ৩/৩৩ গতে ৪/৫২ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৩৩ মধ্যে ও ৪/৩৮ গতে ৬/২০ মধ্যে।
১৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইএসএল: মুম্বই সিটি ১-চেন্নাই ০ (৭০ মিনিট)

06:29:00 PM

আইএসএল: মুম্বই সিটি ১-চেন্নাই ০ (৫৭ মিনিট)

06:15:00 PM

রাজস্থানের জয়সলমীরে জিএসটি কাউন্সিলের মিটিং শেষে বের হলেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা

06:01:00 PM

কুয়েতের শেখ সাদ আল আবদুল্লাহ ইন্ডোর স্পোর্টস কমপ্লেক্সে এলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

05:58:00 PM

আইএসএল: মুম্বই সিটি ১-চেন্নাই ০ (হাফটাইম)

05:55:00 PM

আইএসএল: মুম্বই সিটি ১-চেন্নাই ০ (৩৭ মিনিট)

05:41:00 PM