Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ব্রেকিং নিউজ
পি চিদম্বরম

এটা ব্রেকিং নিউজ, তবে অন্য রকমের। এটা কোনও আইন ভাঙার খবর নয়। খবরটা না মাথা ভাঙার কিংবা ঘরবাড়ি ভাঙারও। অতীতে অনেকবার ফাঁস হওয়া চাঞ্চল্যকর কোনও খবরের মতো নয় এটা। 
যখন ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) নৃশংস অপরাধ বেড়ে চলার ছবিটা সামনে আনে তখন সেটি নিঃসন্দেহে আইশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার দিকটিকেই নির্দেশ করে। যখন স্বঘোষিত মাতব্বরের দল কোনও অল্প বয়সি দম্পতিকে নিগ্রহ করে কিংবা কাউকে পিটিয়ে হত্যা করে, তখন সেটা মাথা এবং হাড় ভেঙে যাওয়ার খবর। সরকারি কর্তৃপক্ষের তরফে জবরদখল উচ্ছেদে বুলডোজারের ব্যবহারকে বাড়ি ভাঙার খবর বলা যেতে পারে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন বিরোধী দলকে, বিশেষ করে কংগ্রেসকে—‘টুকরে টুকরে গ্যাং’ কিংবা ‘শহুরে নকশাল’ দেগে দেন, তখন সেই ব্রেকিং নিউজ উদ্বেগের কারণ হয়। 
 আশা, হৃদয় ভঙ্গ হচ্ছে
আজ যে-সব গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকিং নিউজ শেয়ার করব তাতে আপনাদের আশা এবং হৃদয় দুটিই ভঙ্গ 
হতে পারে। কে ভি কামাথ একজন বিশিষ্ট ব্যাঙ্কার। আইসিআইসিআই নামক প্রতিষ্ঠানকে তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাঙ্ক হিসেবে গড়ে তুলেছেন। নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের (ব্রিকস ব্যাঙ্ক) 
প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। কামাথ বর্তমানে ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক ফর ফাইনান্সিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার 
অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এনএ-বিএফআইডি) শীর্ষকর্তা।  দেশ ঠিক কোন পথে এগলে ২০৪৭ সালে বিকশিত ভারতে (ডেভেলপড ইন্ডিয়া) গিয়ে পৌঁছতে পারবে সম্প্রতি একটি বুক রিভিউতে তারই সন্ধান তিনি দিয়েছেন। 
একটি প্রথম সারির সংবাদপত্রে কামাথের একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি ওই লেখায় সংশ্লিষ্ট গ্রন্থ প্রণেতা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রামনিয়নকে আন্তরিকভাবেই প্রশংসা করেছেন। তাঁকে সাধুবাদ—‘প্রত্যাশিতভাবে তাঁর অন্তর্নিহিত থিমটি তুলে ধরার জন্য’ এবং এটা বলার জন্য যে ‘অতীতের হতাশাগ্রস্ত শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হতে হবে এবং ভালো চিন্তাভাবনার মধ্য দিয়ে নির্ধারণ করতে হবে সাহসী লক্ষ্য।’  কামাথ লেখকের সঙ্গে একমত যে, নমিনাল জিডিপির বার্ষিক ১২.৫ শতাংশ  বৃদ্ধি (মার্কিন ডলারে) ঘটলে ‘প্রতি ছ’বছরে তা দ্বিগুণ হবে। ২০২৩ সালের ৩.২৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার পরিমাণ জিডিপি বেড়ে ২০৪৭ সালে ৫৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বা প্রায় ১৬ গুণ বৃদ্ধি পাবেো এটি বাস্তবিকই সম্ভব।’ আমিও অন্তর থেকে এই মতের পক্ষে এবং এমত সুস্থায়ী বৃদ্ধির লক্ষ্যে সওয়ালও করেছি। 
দংশনটা শেষ দিকে
কে ভি কামাথের সমালোচনায় দংশনটা রয়েছে শেষের ছয়টি অনুচ্ছেদে। তিনি লেখা শুরু করেছেন ‘চারটি স্তম্ভ’-এর কথা তুলে ধরে, সেগুলিই ভারতকে পরিপূর্ণতা এনে দেবে। অভীষ্ট সেই বিষয়গুলি কী কী? সমষ্টির অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, সামাজিক ও আর্থিক ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তির ব্যবস্থা, বেসরকারি ক্ষেত্রে সম্পদ সৃষ্টিতে নীতি-নৈতিকতা অবলম্বন এবং ধারাবাহিক ব্যক্তিগত বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি কল্যাণময় পরিবেশ সৃষ্টি। মোদি জমানায় উপর্যুক্ত ‘স্তম্ভগুলি’ কী অবস্থায় রয়েছে যাচাই করে নেওয়া যাক। 
বৃদ্ধির উপর সামষ্টিক-অর্থনৈতিক গুরুত্ব: সামষ্টিক-অর্থনৈতিক বৃদ্ধির (ম্যাক্রো-ইকনমিক গ্রোথ) উপর গুরুত্ব অটুট রাখার সূচকগুলি হল—ফিসকাল ডেফিসিট বা রাজকোষ ঘাটতি, মুদ্রাস্ফীতি এবং সুদের হার, কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিট এবং ঋণ/জিডিপি অনুপাতের তথ্যাদি। জিডিপির ৩ শতাংশ পরিমাণ ফিসকাল ডেফিসিটের লক্ষ্যে পৌঁছতে সরকারকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। এই ঘাটতির হার এখন ৫.৬ শতাংশ! মুদ্রাস্ফীতির হার এখনও ৪ শতাংশের অধিক। ২০২২ সালের মে মাস থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রেপো রেট ৬.৫ শতাংশে স্থির রয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের শেষেও কারেন্ট অ্যাকাউন্ট ডেফিসিটের চেহারাটা বেশ বড়সড়ই ছিল—২৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাঁচিয়ে দিয়েছে কেবল ফরেন রেমিটেন্স বা প্রবাসীদের পাঠানো বিপুল অর্থ। ১৮.৭ শতাংশের ঋণ/জিডিপি অনুপাত নিয়ে ম্যানেজ করা সম্ভব। অর্থাৎ পরিস্থিতিটা ভালো-মন্দ মিশিয়েই। 
সামাজিক ও অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি: মোদি জমানায় সবচেয়ে বড় ক্ষতি করেছে বৈষম্য হ্রাসে সরকারের ব্যর্থতা। মাথাচাড়া দিয়েছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম বা স্বজনতোষী পুঁজিবাদ। সরকারি বিনিয়োগ হচ্ছে পুঁজি-নিবিড় শিল্পে। কমানো হয়েছে কর্পোরেট ট্যাক্স। কর চেপে রয়েছে জনগণের বহুল ব্যবহার্য পণ্যগুলির উপর। জ্বালানি এককথায় অগ্নিমূল্য। ন্যূনতম মজুরি শ্রমিক পরিববারগুলির প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম। যাঁরা পরের জমি চষে পেট চালান সেই কৃষকরা অবহেলার শিকার। গরিব মানুষ যেসব পরিষেবার উপর নির্ভর করেন সেগুলির প্রতি সরকার বিমুখ। এমন পক্ষপাতের দৃষ্টান্ত হিসেবে ‘বন্দে ভারত’ ট্রেনের পাশে রেলে সেকেন্ড ক্লাস এবং অসংরক্ষিত কোচে ভ্রমণের বিষয়টি সামনে রাখা যায়। এছাড়া রয়েছে আরও একাধিক জনবিরোধী কেন্দ্রীয় নীতি। আর এজন্যই জনসংখ্যার উপরের দিকের ১ শতাংশ এবং নীচের দিকের ২০ শতাংশের মধ্যে অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়ে গিয়েছে। 
ঘৃণা প্রচার এবং সাম্প্রদায়িক সংঘাতের কারণে সামাজিক অন্তর্ভুক্তির প্রক্রিয়া বড় ধাক্কা খেয়েছে। কে ভি কামাথ যেটিকে দ্বিতীয় স্তম্ভ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন সেটি দুর্বল তো বটেই, নড়বড়ও করছে!
বেসরকারি ক্ষেত্রে নৈতিক সম্পদ সৃষ্টি: ব্যাঙ্ক 
জালিয়াতি এবং কর্পোরেট সেক্টরে পতন গত দশ বছরে বেড়েছে। ব্যাঙ্কের দেনা মকুবকে (রাইট-অফ) বৈধ করতে এবং তথাকথিত ব্যর্থ কোম্পানিগুলিকে বাঁচাতে হাতিয়ার হয়েছে দি ইনসলভেন্সি অ্যান্ড ব্যাঙ্করাপসি কোড (আইবিসি)। অন্যদিকে, আইবিসির মাধ্যমে ঋণের অর্থ ফেরতের হার (রিকভারি রেট) মাত্র ৩২ শতাংশ। যাঁরা সাকসেসফুল রেজোলিউশন অ্যাপ্লিক্যান্ট (এসআরএ) তাঁরা দাঁও মেরেছেন। আইনকে সামনে রেখে অন্যায় হস্তক্ষেপ, চোরাগোপ্তা ও ধীর নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং দমনপীড়নমূলক কর ব্যবস্থা সৎ ব্যবসায়ীদের মনোবল ভেঙে দিচ্ছে। এই কারণে তরুণ উদ্যোগীরা বিদেশে ব্যবসা বা মাইগ্রেট করতে চান। 
৪,৩০০ ভারতীয় ধানঢ্য (মিলিয়নেয়ার) ব্যক্তি ভারত ছেড়ে চলে গিয়েছেন (সূত্র: মিস্টার রুচির 
শর্মা, টাইমস অফ ইন্ডিয়া)। বস্তুত কম্পিটিশন কমিশনই মনোপলি (একচেটিয়া) ও অলিগোপলিকে উৎসাহ জুগিয়েছে। বিমান পরিবহণ (এয়ারলাইন্স), বন্দর (পোর্ট), বিমানবন্দর (এয়ারপোর্ট), টেলিযোগাযোগ, তেল শোধনাগার (অয়েল রিফাইনারি) এবং সৌরশক্তির (সোলার এনার্জি) মতো শিল্পে প্রতিযোগিতা খুবই কম। সিমেন্ট, 
ইস্পাত, বিদ্যুৎ এবং খুচরো ব্যবসা ক্ষেত্রে দ্রুত কনসোলিডেশন বা একত্রীকরণ চলছে, এবং এসব ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা বাড়বে না কমবে, তা নিয়ে বিতর্কের অবকাশ রয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক 
বাজার অর্থনীতির জন্য এই প্রবণতাগুলি ভালো নয়, যদিও নীতিনিষ্ঠা মেনে বেসরকারি ক্ষেত্রের সম্পদ সৃষ্টি (এথিক্যাল ওয়েলথ ক্রিয়েশন) নিশ্চিত করণের সময়-পরীক্ষিত উপায় এটাই।
ধারাবাহিক ব্যক্তিগত বিনিয়োগের মাধ্যমে একটি কল্যাণময় পরিবেশ সৃষ্টি: সরকারের আর্জি, তদ্বির এবং হুমকি সত্ত্বেও বেসরকারি বিনিয়োগ সরকারি বিনিয়োগের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে। ব্যবসা যেহেতু সরকারের আস্থাশীল নয়, তাই সরকারের প্রতিও ব্যবসার আস্থা নেই। হুমকি বিবাহ (শটগান ওয়েডিং)—বিতর্কিত উপায়ে ব্যবসা দখল—পরিবেশকে উত্তপ্ত করেছে। ২০০০ সাল থেকে এই পর্যন্ত আট হাজারের বেশি ভারতীয় কোম্পানি সিঙ্গাপুরে রেজিস্ট্রেশন নিয়েছে বা ব্যবসা প্রক্রিয়া শুরু করেছে (সূত্র: এইচসিআই, সিঙ্গাপুর)। তদন্তকারী সংস্থার বাড়াবাড়ি ব্যবসায়ী শ্রেণির মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে অর্থমন্ত্রী ভারতীয় ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ভারতীয় অর্থনীতিতে বিনিয়োগ করার ক্ষেত্রে কী তাঁদের বাধা হচ্ছে? এই বিষয়ে আমাদের নির্দেশ দেওয়ার জন্য কে ভি কামাথ বিশেষভাবে যোগ্য ব্যক্তি।
• লেখক সাংসদ ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
07th  October, 2024
অশুভের দমন
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সুপ্রিম কোর্ট ‘বিশাখা গাইডলাইন’ ইস্যু করেছিল ১৯৯৭ সালে। লক্ষ্য ছিল, কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের যেন যৌন হয়রানির শিকার হতে না হয়। এই গাইডলাইনের ভিত্তিতে আইন প্রণয়ন হতে সময় লেগে গিয়েছিল আরও ১৫ বছর। মাঠেঘাটে হোক কিংবা অফিস, কাজে যাওয়া নারী সমাজের প্রত্যেক প্রতিনিধি আশ্বস্ত হয়েছিলেন। বিশদ

ভারতীয় বিমানবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস: আত্মনির্ভরতায় অভিযান
ড.বিদ্যুৎ পাতর

৮ অক্টোবর, ভারতীয় বিমানবাহিনীর প্রতিষ্ঠা দিবস—এক ঐতিহাসিক অধ্যায়ের সূচনা। ১৯৩২ সালে যখন মাত্র চারটি পুরনো বিমানের মাধ্যমে এই বাহিনীর যাত্রা শুরু হয়, তখন কেউ কল্পনাও করেনি এটি একদিন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম বিমানবাহিনী হিসেবে আকাশপথে আধিপত্য বিস্তার করবে। বিশদ

বিচার নয়, বাংলার বদনাম করাই লক্ষ্য
হিমাংশু সিংহ

ভাবছিলাম, তেরো পার্বণের দেশে কবে থেকে ‘উৎসব’ নিষিদ্ধ হল? উৎসবে ফেরা আর পাঁকে পড়া যেন সমার্থক হতাশ অতি বামদের প্রতিহিংসার অভিধানে! বাস্তবে কি তা হতে পারে কোনওদিন এই সবুজ ঘেরা বাংলায়? তার জন্য তিন তিনবারের মুখ্যমন্ত্রীর দিকে অবিরাম ঘৃণাবর্ষণ। বিশদ

06th  October, 2024
হঠকারিতার মাশুল দিচ্ছে গণআন্দোলন
তন্ময় মল্লিক

অবশেষে কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের অনভিপ্রেত ঘটনাকে সামনে রেখে জুনিয়র ডাক্তাররা আংশিক থেকে পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে গিয়েছিলেন। অভয়ার জাস্টিস গোটা বাংলা চায়। কিন্তু এই কর্মবিরতির সঙ্গে অভয়ার জাস্টিসের সম্পর্ক ছিল না। বিশদ

05th  October, 2024
সাফল্যে গ্রামবাংলার কাছে পিছিয়ে এলিট সমাজ?
সমৃদ্ধ দত্ত 

পশ্চিমবঙ্গের বাবু সমাজ ক্রমেই জাতিগত সাফল্যের বিচারে গ্রামীণ সমাজের কাছে পিছিয়ে পড়ছে কেন? বঙ্গীয় বাবু সমাজের একটি বিশেষ দম্ভ রয়েছে যে, তারাই এই রাজ্যের ওপিনিয়ন মেকার। অর্থাৎ কখন কী নিয়ে আলোচনা হবে, বিশদ

04th  October, 2024
ইলিশের গল্প, ইলিশের রাজনীতি
মৃণালকান্তি দাস

দেশ ভাগ হয়েছে কবেই। সীমান্তে এখন কাঁটাতারের বেড়া। তবু আজও দশমীর সকালে বাংলাদেশের পাবনা থেকে জোড়া ইলিশ নিয়ে সান্যাল বাড়িতে হাজির হন মহম্মদ আব্দুল।
বিশদ

03rd  October, 2024
বাজল তোমার আলোর বেণু, মাতল রে ভুবন
সন্দীপন বিশ্বাস

আকাশজুড়ে যখন ফুটে ওঠে উৎসবের অলৌকিক আলো, ব্রাহ্মমুহূর্তের সেই নৈঃশব্দের মধ্যেই সূচনা হয়ে যায় দেবীপক্ষের। আর তখনই আগমনির সুরে বেতারে বেজে ওঠে আমাদের হৃদয় উৎসারিত শাশ্বত মন্ত্র। বিশদ

02nd  October, 2024
করুণা নয়, অধিকার
শান্তনু দত্তগুপ্ত

খুব দুঃখ হয়েছে মিনতির। ছোট্ট বছর সাতেকের মেয়ে। পুজো এলেই ওর মনে কেমন যেন রেলগাড়ি ছুটতে শুরু করে। পঞ্চমী এলেই ঢাকটাকে কাঁধে ফেলে বেরিয়ে পড়ে বাবা। মুখে একরাশ ভরসার হাসি। ফিরব যখন, নতুন জামা নিয়ে আসব। বিশদ

01st  October, 2024
মুছে যাওয়া ট্রামলাইন
সোমনাথ বসু

‘ও   বাবা, বাড়ি থেকে আসার সময় জাহাজ দেখাবে বললে যে। কিন্তু এটা কী? ছোট ট্রেন?’ বিশদ

01st  October, 2024
অগ্রাধিকারের তালিকা থেকে পড়শিরা বাদ
পি চিদম্বরম

আমাদের প্রতিবেশী অঞ্চলে, ভারতের সঙ্গে চীনের সীমান্ত দৈর্ঘ্য ৩,৪৮৮ কিমি। তবু কেউ চীনকে আমাদের প্রতিবেশী বলে মনে করে না।
বিশদ

30th  September, 2024
পুজো বিরোধী ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করুন
হিমাংশু সিংহ

ছোটবেলা থেকে জেনে এসেছি, যাই ঘটে যাক মাধ্যমিক পরীক্ষা, দুর্গাপুজোয় মিটিং মিছিল অবরোধ অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ। এই সময়টা সাধারণ মানুষের সঙ্গে রাজনীতিকদেরও দু’দণ্ড অবকাশের সময়। আন্দোলনের নামে রাজনৈতিক কূটকচালিরও ছুটি। বিশদ

29th  September, 2024
আর জি কর: বিজেপির প্রাপ্তি শূন্য
তন্ময় মল্লিক

‘এতদিন ধরে কেন মানুষকে নাকাল করা হল? মানুষকে খেপিয়ে কী লাভ হল? তাঁরা সমস্যায় পড়লেন। এর জবাব জুনিয়র ডাক্তারদের দিতেই হবে।’ এই বক্তব্যটা রাজ্যের শাসক দলের কোনও নেতার নয়, প্রবীণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। বিশদ

28th  September, 2024
একনজরে
মহালয়ার দিন থেকে জনজোয়ারের ছবিটা ধরা পড়েছে শহর ও শহরতলির বুকে। আট থেকে আশি—সকলেই উৎসব মুখর। দুপুরের পর থেকে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঢুঁ মারছেন স্কুলপড়ুয়া থেকে ...

এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-টু’এ আর নেই মোহন বাগান। ইরানের ক্লাব ট্রাক্টর এফসি’র বিরুদ্ধে দল মাঠে না নামানোর জন্য এই সিদ্ধান্ত নিল এএফসি। সোমবার এক প্রেস বিবৃতিতে এশিয়ান ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স লিগ-টু প্রতিযোগিতার নিয়মবিধির ৫.২ ...

মাওবাদী দমন অভিযানে ছত্তিশগড় সরকারের ভূমিকার প্রশংসায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবার তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত নিরাপত্তাবাহিনীর সংঘর্ষে ১৯৪ জন মাওবাদীর ...

ভয়াবহ বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল ছ’জন খাদানা শ্রমিক। অসমর্থিত সূত্রে অবশ্য মৃতের সংখ্যা আট। গুরুতর জখম হয়ে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি তিনজন। তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

ভারতীয় বায়ুসেনা দিবস
বিশ্ব দৃষ্টি দিবস 
প্রাকৃতিক বিপর্যয় হ্রাস দিবস

১২৫৬: প্যারিসে বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন সারবন বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্বোধন
১৭৩৫: ফরাসী গণিত ও ভুগোলবিদরা পৃথিবীর সঠিক কাঠামো চিহ্নিত করার জন্য প্রথম গবেষণা কাজ শুরু করেন। এ লক্ষ্যে ফরাসী সরকার বিজ্ঞান একাডেমির ঐ গবেষণা কাজের জন্য বিপুল অর্থ বরাদ্দ করে। বিজ্ঞানীরা ব্যাপক গবেষণা চালিয়ে পৃথিবীর বিষুব রেখা ও দুই মেরুর ভেতরের দিকে চেপে থাকার বিষয়টি আবিষ্কার করেন।
১৮৬২:  বিশিষ্ট সরোদ শিল্পী উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ (বাবা আলাউদ্দিন খান)-এর জন্ম
১৯২৬: অভিনেতা রাজ কুমারের জন্ম
১৯৩২: দেশের বায়ুসেনার (রয়্যাল ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স) জন্ম
১৯৩৬: সাহিত্যিক মুন্সি প্রেমচাঁদের মৃত্যু
১৯৬৭: গেরিলা নেতা চে গুয়েভেরা ও তাঁর দলকে বলিভিয়ায় বন্দি করা হল
১৯৭০: ফ্যাশন ডিজাইনার ও চিত্র প্রযোজক শাহরুখ পত্নী গৌরী খানের জন্ম
১৯৭৯: সমাজকর্মী জয়প্রকাশ নারায়ণের মৃত্যু
২০০৫: কাশ্মীরে ভূমিকম্পে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু 
২০১১:  সি প্রোগ্রামিং ভাষার জনক ডেনিস রিচির মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.১৩ টাকা ৮৪.৮৭ টাকা
পাউন্ড ১০৮.৫০ টাকা ১১২.০৬ টাকা
ইউরো ৯১.০৪ টাকা ৯৪.২২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
05th  October, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৬,২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৮০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯২,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯২,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
05th  October, 2024

দিন পঞ্জিকা

২২ আশ্বিন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪। পঞ্চমী ১৪/২৩, দিবা ১১/১৯। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র ৫৬/২৫, রাত্রি ৪/৮। সূর্যোদয় ৫/৩৪/৩, সূর্যাস্ত ৫/১৪/২৫। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/২১ মধ্যে পুনঃ ৭/৮ গতে ১১/১ মধ্যে। রাত্রি ৭/৪২ গতে ৮/৩২ মধ্যে পুনঃ ৯/২১ গতে ১১/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১/২৮ গতে ৩/৬ মধ্যে পুনঃ ৪/৪৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৭/২ গতে ৮/২৯ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/১৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৬ গতে ৮/১৮ মধ্যে। 
২১ আশ্বিন, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪। পঞ্চমী দিবা ৭/৯। জ্যেষ্ঠা নক্ষত্র রাত্রি ১/৪। সূর্যোদয় ৫/৩৪, সূর্যাস্ত ৫/১৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/৩০ মধ্যে ও ৭/১৪ গতে ১০/৫৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩০ গতে ৮/২১ মধ্যে ও ৯/১২ গতে ১১/৪৬ মধ্যে ও ১/২৮ গতে ৩/১১ মধ্যে ও ৪/৫৪ গতে ৫/৩৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৭/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৭/২ গতে ৮/৩০ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে ২/২১ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৪৮ গতে ৮/২১ মধ্যে। 
৪ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচন: ইভিএম-এ কারচুপির অভিযোগ তুলে সরব কংগ্রেস

07:48:00 PM

দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে পৌঁছলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং

07:41:00 PM

ব্রহ্মাস্ত্র পার্ট-১ সিনেমার জন্য ‘বেস্ট ফিল্ম ইন এভিজিসি’ পুরস্কার পেলেন করণ জোহার

07:38:00 PM

মহিলা টি২০ বিশ্বকাপ: টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামল অস্ট্রেলিয়া, বিপক্ষ নিউজিল্যান্ড

07:32:00 PM

দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তরে পৌঁছলেন অমিত শাহ

07:25:00 PM

ছাতা মাথাতেও চলছে ঠাকুর দেখা
পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদাতে পঞ্চমীর সন্ধ্যেয় বৃষ্টি। তবু ছাতা মাথায় মণ্ডপে ...বিশদ

07:11:00 PM