ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
হাজার টাকা বলে কথা! পুজোর মুখে এই প্রলোভনের ফাঁদে অনেকেই পা দিয়ে ফেলতে পারেন। কিন্তু ফোন নম্বর দিলেই বিপদ। কারণ, নম্বরগুলি চলে যাচ্ছে সরাসরি প্রতারকদের হাতে। তারপর অসাধু চক্রের কারসাজিতে বিভিন্ন ধরনের ফোন আসা শুরু হয়ে যাচ্ছে। কোথাও বলা হচ্ছে, গিফট কার্ড ‘রিডিম’ করতে হলে ২০১ টাকা অনলাইন পেমেন্ট করতে হবে। কখনও আবার টেলিগ্রাম অ্যাপে যোগ করে দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকের ফোন নম্বর। তারপর আসতে থাকছে নানা প্রলোভন। কলকাতা পুলিসের দাবি, শুধু গড়িয়াহাটের ওই শপিং মলের সামনে নয়, একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে রয়েছে এই চক্র। উত্তর কলকাতার হাতিবাগান ও ধর্মতলা চত্বরেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। এই ধরনের প্রতারণা থেকে মানুষকে সতর্ক করতে সচেতনতা প্রচার শুরু করছে লালবাজার। কোনও অপরিচিত ব্যক্তিকে ফোন নম্বর শেয়ার না করার পরামর্শ দিচ্ছে তারা।
ফি-বছর পুজোর বাজারে নানা অপরাধমূলক কাজকর্ম নিয়ে বাড়তি চিন্তা থাকে কলকাতা পুলিসের। কেনাকাটার জন্য হাতিবাগান, নিউ মার্কেট, গড়িয়াহাট ও বেহালা বাজারে পুজোর মাসখানেক আগে থেকেই ব্যাপক ভিড় শুরু হয়ে যায়। এই সময় গুজরাতি গ্যাং, গুলাবি গ্যাংয়ের আনাগোনা দেখা যায় শহরে। এসব গ্যাংয়ের পুরুষ ও মহিলা সদস্যরা ছিনতাই, কেপমারি, পকেটমারিতে সিদ্ধহস্ত। তাই এই সময় প্রতিটি বাজারে বিশেষ পিকেটিংয়ের ব্যবস্থা করে স্থানীয় থানাগুলি। তবে পুলিসের একাংশের মতে, এবার পুজোর বাজারে ‘কনভেনশনাল ক্রাইম’ কম। বরং মোবাইল নম্বর হাতানোর গ্যাংয়ের সক্রিয়তা বেশি। গিফট কার্ড গছানোর বাহানায় মোবাইল নম্বর ‘লুট’ করাই এদের লক্ষ্য। কলকাতা পুলিসের এক কর্তার কথায়, ‘বিষয়টি ইতিমধ্যে আমাদের কানে এসেছে। নজর রাখছি। মানুষকেও সতর্ক থাকতে বলব।’