চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
চারদিনের জন্য ভারত সফরে রবিবার নয়াদিল্লিতে পা রাখেন মুইজ্জু। রবিবারই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। আর সোমবার রাজধানীর হায়দরাবাদ হাউসে সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী মোদি তাঁকে জানান, ভারত বরাবরই প্রতিবেশীদের গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ভারতের সেই ‘নেবারহুড ফার্স্ট’ নীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ মালদ্বীপ।
‘ভারত হঠাও’ ডাক দিয়ে মালদ্বীপের ক্ষমতায় আসেন মুইজ্জু। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেও তীব্র ভারত বিরোধিতা বজায় রাখেন। সে দেশের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ভারতীয় সেনাকে মালদ্বীপ ছাড়তে বাধ্য করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফর নিয়েও বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন মুইজ্জু সরকারের একাধিক মন্ত্রী। পরিণামে ভারতেও ‘বয়কট মালদ্বীপ’-এর ডাক ওঠে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয় প্রতিবেশী দেশের পর্যটন শিল্প।
নভেম্বরে ক্ষমতায় আসার পরেই মুইজ্জু চীন সফর করেছিলেন। আর প্রথম ভারতে এলেন এক বছর পর। এমনই এক আবহে সোমবার মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের বৈঠকে বসেন মোদি। তিনি বলেন, ‘ভারত এবং মালদ্বীপের সম্পর্ক কয়েক শতাব্দী পুরনো। মালদ্বীপের নিকটতম প্রতিবেশী এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু ভারত। মালদ্বীপের কোনও প্রয়োজনে সবচেয়ে দ্রুত সাড়া দিয়েছে দিল্লিই।’
এরপরেই মালদ্বীপের অর্থনৈতিক সহায়তার কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘চলতি বছরে মালদ্বীপকে ১০ কোটি ডলার দিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। পাশাপাশি মালদ্বীপের সঙ্গে ৪০ কোটি ডলার এবং ৩০০০ কোটি টাকার কারেন্সি সোয়াপ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দিল্লি।’ ভারতকে ধন্যবাদ জানিয়ে মুইজ্জু বলেন, ‘মালদ্বীপে সবচেয়ে বেশি পর্যটক যান ভারত থেকেই। আশা করি আরও পর্যটক এদেশ থেকে যাবেন।’ এদিন দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। হানিমাধু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণে কাজ করবে ভারত। মালদ্বীপে রুপে কার্ড চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।