ধর্মকর্মে সঞ্চীয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়। ... বিশদ
যাত্রী পরিষেবার কথা মাথায় রেখে নবদ্বীপ, স্বরূপগঞ্জ এবং মায়াপুর ফেরিঘাটের মধ্যে অতিরিক্ত পাঁচটি যন্ত্রচালিত নৌকা ও একটি লঞ্চ পরিষেবা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবদ্বীপ ফেরিঘাট কর্তৃপক্ষ। ষষ্ঠীর দিন থেকে দশমী পর্যন্ত ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত এই পরিষেবা চলবে।
ফেরিঘাট সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনটি ঘাট দিয়ে প্রতিদিন নবদ্বীপ থেকে স্বরূগঞ্জের মধ্যে তিনটি, নবদ্বীপ থেকে মায়াপুর মধ্যে চারটি এবং হুলোরঘাট থেকে স্বরূপগঞ্জের মধ্যে দু’টি নৌকা যাতায়াত করে। এছাড়া নবদ্বীপ মায়াপুরের মধ্যে তিনটি লঞ্চ যাতায়াত করে। নবদ্বীপ থেকে স্বরূপগঞ্জ ৩ টাকা, নবদ্বীপ থেকে মায়াপুর ৫ টাকা, এবং নবদ্বীপ মায়াপুরের মধ্যে লঞ্চ ১০ টাকা ভাড়া ধার্য করা আছে। পুজো উপলক্ষ্যে অতিরিক্ত আরও পাঁচটি নৌকা ও একটি লঞ্চ চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নবদ্বীপ থানা ফেরিঘাট কর্মচারী ইউনিয়নের সম্পাদক আশিস ঘোষ বলেন, তিনটি ফেরিঘাট দিয়ে প্রতিদিন নবদ্বীপ-স্বরূপগঞ্জ, নবদ্বীপ-মায়াপুর এবং হুলোরঘাট থেকে স্বরূপগঞ্জ মোট ৯টি যন্ত্রচালিত নৌকা চলাচল করে। এছাড়া নবদ্বীপ ও মায়াপুরের মধ্যে তিনটি লঞ্চও চলাচল করে। এই পুজোর সময় চারটে লঞ্চ এবং তেরোটি নৌকো চলাচল করবে। তিনটি ঘাটে ফেরিঘাটের নিজস্ব ২৩ জন কর্মী যাত্রী নিরাপত্তার দিকে খেয়াল রাখবেন। ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত্র এগারোটা পর্যন্ত ফেরি ও লঞ্চ চলাচল করবে। এরপর পরেও যদি পারাপারের কোন প্রয়োজন হয়, তখন অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে নৌকো পারাপার করা যাবে। সেক্ষেত্রে রাত ১১টার পর নবদ্বীপ থেকে এক থেকে পনেরো জন যাত্রী নিয়ে স্বরূপগঞ্জ রিজার্ভ ভাড়া ৬০ টাকা লাগবে, মায়াপুরের ক্ষেত্রে দেড়শো টাকা। ফেরিঘাটগুলিতে নিরাপত্তার জন্য সব মিলিয়ে প্রায় ১৬টি সিসিটিভি লাগানো আছে। সেগুলি ফেরিঘাট থেকে ঘাট কর্তৃপক্ষ মনিটরিং করেন। তবে এখন ফেরিঘাটে কোনও লাইফ জ্যাকেট নেই। কেবলমাত্র প্রতিটি নৌকায় রাখা হয়েছে বয়া। যদি অসাবধানতা বসত কেউ জলে পড়ে যান, সেক্ষেত্রে নৌকার মাঝিরা সেই বয়া জলে ছুঁড়ে দিয়ে ডুবন্ত যাত্রীকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। নবদ্বীপ ফেরিঘাটে ১৬০ জন কর্মী আছেন। এর মধ্যে কাউন্টার, গেট ম্যান ও অফিসে নিযুক্ত কর্মী বাদে অধিকাংশই হলেন দক্ষ মাঝি।
নবদ্বীপ জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির অন্যতম কর্মকর্তা প্রাক্তন সম্পাদক নারায়ণ অধিকারী বলেন, এই ফেরিঘাটের সঙ্গে আমি ৪৪ বছর ধরে যুক্ত। পুজোর সময় সারারাত ফেরি পরিষেবা আমরা চালু রাখি। তবে রাত এগারোটার পর যাত্রীদের নদী পারাপারের জন্য অতিরিক্ত ভাড়া বহন করতে হয়। নিরাপত্তার বিষয়ে আমাদের কর্মীরা ঘাটগুলোতে নজরদারি চালান।
তবে লাইভ জ্যাকেট দিলেও সেগুলো পরতে চান না যাত্রীরা। বর্তমানে কোনও লাইফ জ্যাকেট নেই। তবে আমাদের এখানকার মতো এত বড় মজবুত নৌকা কোথাও নেই। আমাদের সব নৌকাই মিস্ত্রি দিয়ে নিজেদের নজরদারিতে বানানো।
এক একটা নৌকায় খরচ লাগে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা। তৈরি করতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ মাস। শিলিগুড়ির থেকে আনা শাল কাঠ দিয়ে তৈরি হয় এই নৌকা।