Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই। মাঠের কাজ সেরেই ছুটবে সে পড়তে। মাকে বলত, একদিন আমার অনেক পয়সা হবে। অস্বাভাবিক ছিল না। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবচেয়ে মেধাবী, বুদ্ধিমান, আর পরিশ্রমী। বাড়ির লোকজনও জানত, এ ছেলে বড় হয়ে কিছু একটা হবে। কিন্তু কী হবে? ডাক্তার। ওটাই ছিল স্বপ্ন। কষ্ট করে হলেও বাবা তাকে পাঠিয়েছিল কোটায়। পড়তে। ডাক্তারি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে। আর কোটায় যাওয়ার এক বছরের মধ্যেই সেই মেধাবী ছেলেটি স্বাদ পেয়ে গিয়েছিল টাকার। প্রক্সি পরীক্ষার্থী। নাম অন্য কারও। কিন্তু কলম তার। একলপ্তে অনেকগুলো টাকা। আর তারপর? প্রশ্নপত্র ফাঁস। স্টেট ব্যাঙ্কের পরীক্ষা, জয়েন্ট এন্ট্রান্সে হাত পাকানোর পর নিট-ইউজি। তাকে গ্রেপ্তার করার পর উত্তরপ্রদেশের পুলিস বলেছে, এই ছেলেই নিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাস্টারমাইন্ড। নাম? রবি অত্রি।
২৪ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন গুঁড়িয়ে গিয়েছে এক লহমায়। বছরের পর বছরের রাতজাগা পরিশ্রম, নাওয়া খাওয়া ভুলে মক টেস্ট দিতে ছোটা, প্রত্যেকটা বিষয়ের খুঁটিনাটি বারবার ঝালিয়ে যাওয়া... লক্ষ্য ছিল তাঁদের একটাই—নিটে ভালো র‌্যাঙ্ক করতে হবে। তাহলে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। তা না হলে ডেন্টাল। যদি পৈতৃক সূত্রে অনেক সম্পদ ও সম্পত্তির সংস্থান থাকে, তাহলে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ। কারণ, প্রতি সেমেস্টারে অন্তত ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ করার ক্ষমতা সব বাবামায়ের থাকে না। তাই পরিশ্রম... অন্তহীন। যে বাড়ির ছেলেটা বা মেয়েটা নিটে বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে, ক্লাস ইলেভেন থেকেই তার ছুট শুরু হয়ে যায়। আর সেটা হাড়ে হাড়ে বোঝেন তার বাবা-মা। নিত্য টেনশন, জলের মতো খরচ, আর অশান্তি—দৈনিক রুটিনে পরিণত হয় সেইসব মধ্যবিত্ত পরিবারে। তারপর এঁরা যদি দেখেন, স্রেফ টাকা খাইয়ে কেউ কেউ র‌্যাঙ্ক করে গেল এবং তাঁদের সন্তানরা ভালো প্রস্তুতি সত্ত্বেও আজ ট্র্যাকের বাইরে... মেনে নিতে পারবেন কি? না, পারেননি সেই অভিভাবকরা। পারেননি সেই পড়ুয়ারা। প্রার্থীরা। আর তাই কেন্দ্রীয় সরকার আজ স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে... হ্যাঁ, অনিয়ম হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস, টাকার বিনিময়ে নম্বর পাইয়ে দেওয়া, ভুয়ো পরীক্ষার্থী, গ্রেস নম্বর। এই সবের জন্য তাহলে ওই একজন দায়ী? রবি অত্রি? নাকি সে শুধুই একটা ঘুঁটি মাত্র? স্রেফ বলির পাঁঠা? একজনের পক্ষে সর্বভারতীয় এন্ট্রান্স পরীক্ষার পাত্রে লাগাতার ছিদ্র করে যাওয়া সম্ভব নয়। এর নেপথ্যে রয়েছে বড়সড় চক্র। সিবিআইয়ের ভাষায় ‘বৃহত্তর ষড়যন্ত্র’। এত সহজে ধরা হয়তো পড়ত না। কিন্তু প্রশ্নটা তুলে দিয়েছেন ওই ৬৭ জন। তাঁরা ৭২০ পূর্ণমানের মধ্যে ৭২০ পেয়েছেন। ৬৭ সংখ্যাটা কি সত্যিই মেনে নেওয়ার মতো? আর এতজন ৭১৮ বা ৭১৯ পায় কীভাবে? আর ওই নম্বর পাওয়াটাও কীভাবে সম্ভব? কারণ, প্রত্যেক প্রশ্নে ৪ নম্বর করে রয়েছে। কেউ যদি একটি প্রশ্ন ছেড়ে আসেন, তাহলে বাকি সব ঠিক হলেও তাঁর প্রাপ্ত নম্বর হবে ৭১৬। যদি একটি প্রশ্ন ভুল করেন, তাহলে এক নম্বর নেগেটিভ। সেক্ষেত্রে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর হবে ৭১৫। অর্থাৎ, ৭১৬ এবং ৭২০’র মাঝে কোনও নম্বর পাওয়া সম্ভব নয়। তাহলে কি গ্রেস? কত নম্বর গ্রেস দেওয়া হয়েছে? কী ভিত্তিতে ১৫৬৩ জনকেই গ্রেস নম্বর দিয়ে র‌্যাঙ্কিংয়ের মইতে তুলে দেওয়া হয়েছে? প্রশ্ন অনেক। আর তার উত্তর খুঁজতেই শুরু হয়েছিল দেশজুড়ে আন্দোলন। কয়েকমাস আগে হলেও মোদি সরকার হয়তো এসবে গা করত না। নম্বর যে তখন তাদের কাছেও ছিল। আর নেই। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষামন্ত্রককে এই ইস্যুতে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করতে হয়েছে। তারা জানে, যুব সম্প্রদায় এবং মধ্যবিত্ত খেপলে সরকার বাঁচিয়ে রাখা মুশকিল হবে। আর তাদের সঙ্গে যদি শক্তিশালী বিরোধী পক্ষ থাকে। 
মৌচাক যে একটা আছে, সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। আর সেটা রয়েছে নিটের জন্মলগ্ন থেকেই। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিম্নবিত্ত থেকে বিলিওনেয়ার, সবার সন্তানেরই থাকে। কিন্তু প্রশ্ন হল, সেই স্বপ্নের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার মতো মেধা থাকে ক’জনের? এখানে যদি একটা পলিসি হয় যে, উচ্চ মাধ্যমিক বা সম পর্যায়ের দ্বাদশ উত্তীর্ণ যে কোনও বোর্ডের পরীক্ষায় মোটামুটি একটা নম্বর পেলেই ডাক্তারির এন্ট্রান্সে বসা যাবে? বাকিটা করে দেবে মাল্টিপল চয়েজ কোয়েশ্চেন এবং ‘বাইরে থেকে সমর্থন’। তাহলেই বহু পয়সাওলা ঘরের ছেলেমেয়ে মেধা না থাকলেও গলায় স্টেথো ঝুলিয়ে ঘুরতে পারবে। তাই যোগ্যতামান কত ধার্য হল? ৫০ শতাংশ। অর্থাৎ উচ্চ মাধ্যমিক বা আইএসসির মতো বোর্ড পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ নম্বর পেলেই বসা যাবে নিট-ইউজি’তে। কিন্তু জয়েন্ট এন্ট্রান্স-মেইন পরীক্ষায় বসার জন্য যোগ্যতামান কত? ৭৫ শতাংশ। আইআইটি পড়তে গেলেও ৭৫ শতাংশের নীচে নম্বর থাকলে চলে না। তাহলে ডাক্তারির ক্ষেত্রে এই শিথিলতা কেন? সাধারণ জ্ঞান বলে, ডাক্তারি পড়তে হলে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের থেকে মেধা কম কিছু লাগে না। বরং বেশি। তাহলে যোগ্যতামান এত কম কেন? যে ছাত্র উচ্চ মাধ্যমিকে ৫০ শতাংশ টপকাতে হিমশিম খেয়েছে, সে ভবিষ্যতে ভালো ডাক্তার হয়ে উঠতে পারবে কি? এই প্রশ্ন কেন নীতি নির্ধারকদের মনে আসবে না? 
কোথাও একটা শিল্প গড়ে উঠলে তার আশপাশে এবং তার সঙ্গে তালমেল রাখার জন্য গড়ে ওঠে বহু অনুসারী শিল্প। এরা মূল শিল্প বা কারখানাটির সহায়ক। কিন্তু অনুসারীরা কি মূল শিল্পকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে? শিক্ষার ক্ষেত্রে আজ সেটাই হয়তো হচ্ছে। কার্যত ব্যবসায় পরিণত হয়ে যাওয়া এই মৌলিক অধিকারকে এবং তার নীতি প্রণয়নকে নিয়ন্ত্রণ করছে, শিক্ষাক্ষেত্রে জড়িত এবং তার বাইরে থাকা কর্পোরেটদের একাংশ। মহামান্য ভারত সরকারও শুনে চলছে তাদের কথা। সেইমতো ভাঙাগড়া চলছে যোগ্যতামানে, প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে, যথেষ্ট মেধা না থাকা সত্ত্বেও পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে ফার্স্ট বেঞ্চে বসে পড়ছে কেউ কেউ। তার জন্য বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে যোগ্য প্রার্থীদের। তা সে ভিন রাজ্যেরই হোক না কেন! বাংলা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। প্রতি বছর এই রাজ্য থেকে চার হাজার ডাক্তার এমবিবিএস ডিগ্রি নিয়ে মেডিক্যাল কলেজ থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁদের অনেকেই কিন্তু অন্য রাজ্যের। নিটের নিয়ম অনুযায়ী, মোট আসনের মধ্যে রাজ্যের ৮৫ শতাংশ ছাত্রছাত্রী সুযোগ পাবেন। বাকি ১৫ শতাংশ সর্বভারতীয় কোটা। কিন্তু যে কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ক্লাসে গিয়ে দেখতে পারেন, ভিন রাজ্যের পড়ুয়ার হার ওই ১৫ শতাংশের অনেক বেশি। কীভাবে? বাইরে থেকে প্রার্থীরা আসছেন, ডোমিসাইল সার্টিফিকেট জোগাড় করছেন, আর বসে পড়ছেন পরীক্ষায়। যোগ্যতামান ৫০ শতাংশ থাকলেই তো হল! রাজ্য সরকার তাঁর পিছনে ২৫-৩০ লক্ষ টাকা খরচ করছে। আর পাশ করার পর তাঁরা চলে যাচ্ছেন নিজের রাজ্যে। এতে একদিকে যেমন রাজ্যের মানুষ সেই ডাক্তারের পরিষেবা পাচ্ছে না, অন্যদিকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাংলার যোগ্য পড়ুয়ারা। এই নিয়মে বদল আনা কি একেবারেই অসম্ভব? অন্তত বোর্ডের দ্বাদশের পরীক্ষা ওই রাজ্য থেকে না দিলে নিটের জন্য ডোমিসাইল সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে না—এই নিয়ম কার্যকর করাটা একান্তই প্রয়োজন। তাহলে একমাত্র আইনের ফাঁক গলে চলতে থাকা বৈষম্য ঘুচবে। 
উচ্চ মেধার ছেলেমেয়েরা ডাক্তারি পড়বে—এটাই স্বাভাবিক। কারণ, তাদের হাতে একজনের বাঁচা মরা নির্ভর করে। একজন রোগীর ভুল চিকিৎসা হলে ফল যে কত মারাত্মক হতে পারে, সেই উদাহরণ আমরা আকছার দেখে থাকি। এরপর কোন ভরসায় আমরা ডাক্তারের কাছে যাব? কী দেখব মরণাপন্ন কাছের মানুষটাকে একজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার আগে? ডিগ্রি? কোটা? তারপরও কি ভরসা পাওয়া যাবে? চিকিৎসায় গাফিলতি কিংবা রেফার বাড়তে থাকলে তার দায় তখন কে নেবে? ভারত সরকার নেবে তো? তখন স্বীকার করবে তো... আমাদের ভুল নীতি এবং গা ছাড়া মনোভাবই সমাজকে এমন ক্ষতির মুখে ঠেলে দিয়েছে? বছর বছর শুনে আসছি, আমাদের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স। তাহলে এত বড় দুর্নীতিটা তাঁর নজরে আসছে না? দেশজুড়ে বিক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটছে, মানুষ অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তদন্তে নেমেছে... তারপরও প্রধানমন্ত্রী একটিও বিবৃতি দেননি। তিনি হয়তো এখনও বুঝতে পারছেন না, তৃতীয় ইনিংসটা তাঁর আগের দুটোর মতো মসৃণ নয়। তার শুরুটা হয়ে গিয়েছে। ওই ৪ জুন। সেদিন ভোটের ফল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার অহঙ্কারকে মাটিতে নামিয়ে এনেছিল। ওইদিনই কিন্তু ফলপ্রকাশ হয়েছিল নিট-ইউজি’র। সমাপতন? নাকি পতনের সূচনা?
25th  June, 2024
আর জি কর: বিজেপির প্রাপ্তি শূন্য
তন্ময় মল্লিক

‘এতদিন ধরে কেন মানুষকে নাকাল করা হল? মানুষকে খেপিয়ে কী লাভ হল? তাঁরা সমস্যায় পড়লেন। এর জবাব জুনিয়র ডাক্তারদের দিতেই হবে।’ এই বক্তব্যটা রাজ্যের শাসক দলের কোনও নেতার নয়, প্রবীণ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের। বিশদ

কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির কাঠামো বদল দরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

 

অপরাধীদের কাছে একসময় আতঙ্কের নাম ছিল সিবিআই। শুনলেই ভয় ভয় লাগত তাদের। আর এখন সারাক্ষণ সিবিআই ভয়ে ভয়ে থাকে কোনও রাজ্যে অপরাধ ঘটেছে শুনলেই। ভয়ে ভয়ে থাকার কারণ হল, এখনই সিবিআই তদন্তের দাবি উঠবে। বিশদ

27th  September, 2024
সেভেন সিস্টার্স নয়, চট্টগ্রাম নিয়ে ভাবুন!
মৃণালকান্তি দাস

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের বক্তব্যকে বিকৃত করেছিল বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম। যাদের মূল এজেন্ডাই এখন ভারতের বিরুদ্ধে প্রচার চালানো! বিশদ

26th  September, 2024
মোদিতন্ত্রের শিকার স্কুলশিক্ষা
হারাধন চৌধুরী

মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা। পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে ২০০৫ সাল থেকে পাঁশকুড়ায় আছেন। একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের‌ ইংরেজির শিক্ষক। আরও দুই যুবকের সঙ্গে হাঁটুজলে দাঁড়িয়ে একটি সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। তাঁদের পরনে ট্রাউজারের বদলে গামছা ও জামা, হাতে জুতো এবং পিঠে একটি করে ব্যাগ। বিশদ

25th  September, 2024
ইতিহাসে থেকে যাবে বাংলার অসম্মানটুকুই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

প্রচার আর অপপ্রচারের মধ্যে ফারাকটা একচুলের। দুটোই চিরন্তন। আর দুটোই রাষ্ট্রের হাতিয়ার। তফাৎ? প্রথমটা গণতন্ত্রের অস্ত্র এবং দ্বিতীয়টি হিংসার। স্বৈরতন্ত্রের। সম্প্রতি সিবিআই নামক কেন্দ্রীয় সরকারি ‘যন্ত্র’টি সুপ্রিম কোর্টে বেধড়ক ঝাড় খেয়েছে। বিশদ

24th  September, 2024
কোবিন্দ কমিটির রিপোর্ট প্রত্যাখ্যাত হবে
পি চিদম্বরম

একযোগে নির্বাচনের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনে সরকারের প্রকৃত উদ্দেশ্য তার টার্মস অব রেফারেন্স (টিওআর) থেকেই খোলসা হয়ে গিয়েছে। কমিটিকে প্রথম টিওআর ‘বলেছিল, একযোগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পরীক্ষার পর সুপারিশ করতে ...।’
বিশদ

23rd  September, 2024
বিচারের সামনে দাঁড়াতে হবে সবাইকে!
হিমাংশু সিংহ

গত সপ্তাহে একদিন দুপুরে হাতিবাগানে ঘুরছিলাম। ঝিরঝিরে বৃষ্টিতেও পুজোর মাত্র একমাস আগে এমন বিবর্ণ বিধান সরণি দেখিনি। কয়েকদিন আগে গড়িয়াহাটেও একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল। বড় বড় ঝাঁ-চকচকে দোকানে সেলসম্যানের চেয়ে ক্রেতা কম। বিশদ

22nd  September, 2024
বাংলাকে ‘বাংলাদেশ’ করার ছক বানচাল
তন্ময় মল্লিক

জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কি ভুল করলেন? গত কয়েকদিন ধরে এটাই ছিল মূল চর্চিত বিষয়। কলকাতা পুলিসের কমিশনার সহ স্বাস্থ্যকর্তাদের সরিয়ে দেওয়ার পরেও চিকিৎসকরা কর্মবিরতি তুলতে গড়িমসি করছেন। বিশদ

21st  September, 2024
আবেগ, আন্দোলন এবং আইন
সমৃদ্ধ দত্ত

প্রথমে হয়ে উঠেছিল নাগরিক আন্দোলন। কথা ছিল পর্যবসিত হবে গণআন্দোলনে। অথচ মাত্র এক মাসের মধ্যে সেই আন্দোলন আবদ্ধ হয়ে গেল নিছক জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি এবং অবস্থানের আবর্তে। কেন? এর উত্তর সন্ধান করতে হবে নাগরিকদের। বিশদ

20th  September, 2024
বিচার না রাজনীতি, সিবিআই কী চায়?
মৃণালকান্তি দাস

সিবিআই, ইডি, ভিজিলেন্স এজেন্সিকে রাজনৈতিক দাসত্ব ছাড়তে হবে। বলেছিলেন দেশের সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এন ভি রামান্না। বিশদ

19th  September, 2024
চিকিৎসা ব্যবসাতেও স্বচ্ছতার দাবি মানুষের
সন্দীপন বিশ্বাস

বর্ধমান, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ বা বীরভূমের ঢাকিপাড়ায় ইতিমধ্যে বোধন হয়ে গিয়েছে। বসন্ত, রসিক কিংবা শ্যামাপদর ঢাকের আওয়াজ ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামের বুকে। আর দিনকয়েক পরেই কাঁধে ঢাক নিয়ে ওঁরা বেরিয়ে পড়বেন বিভিন্ন মণ্ডপে।
বিশদ

18th  September, 2024
অচলাবস্থায় ক্ষতি সরকারের নয়, মানুষের
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বিশ্বাসবাবু কাল মিছিলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টি মাথায় নিয়েই। বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন তিনি। না গেলে আর হচ্ছিলও না। কলেজের ছেলেমেয়েগুলো বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল। ওরা রোজই প্রায় হাজিরা দিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবনের অবস্থানে। বিশদ

17th  September, 2024
একনজরে
পূর্ব বর্ধমানের নতুন জেলাশাসকের দায়িত্ব নিলেন আয়েশা রানি এ। তিনি মেদিনীপুর ডিভিশনের ডিভিশনাল কমিশনার। তাঁকে পূর্ব বর্ধমানে জেলাশাসকের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ...

মহারাষ্ট্রের উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের অফিস ভাঙচুর করলেন এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোনও পাস ছাড়াই মন্ত্রণালয় বিল্ডিংয়ের কড়া নিরাপত্তা পেরিয়ে ঢুকে যান তিনি। ...

ডোনাল্ড ট্রাম্পের তুলনায় বেশ কিছুদিন পরে প্রচারে নামেন কমলা হ্যারিস। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই সেই ব্যবধান কমিয়ে এনে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে জোর টক্কর দিচ্ছেন তিনি। ...

ছিনতাই চক্রের চার পান্ডাকে গ্রেপ্তার করল ইসলামপুর থানার পুলিস। বৃহস্পতিবার রাতে ধানতালা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতরা সকলেই ইসলামপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আর্থিক উন্নতি ও গৃহসুখ বৃদ্ধি। বস্ত্রাদি ও বিবিধ অলঙ্কারাদি ব্যবসার গতি বৃদ্ধি ও মানসিক তৃপ্তি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব পর্যটন দিবস
১৭৬০ - মীর কাশিম মীর জাফরকে গদিচ্যুত করে বাংলার নবাব হন এবং বর্ধমান, মেদিনীপুর ও চট্টগ্রাম জেলা কোম্পানির হাতে তুলে দেন
 ১৮৩৩ -  বিশ্বপথিক রাজা রামমোহন রায়ের মৃত্যু
১৯৪৯  -  বেইজিংকে আনুষ্ঠানিকভাবে চীনের রাজধানী হিসাবে ঘোষণা করা হয়
১৯৫৮ - ভারতীয় হিসাবে প্রথম মিহির সেন ইংলিশ চ্যানেল অতিক্রম করেন
১৯০৭ - বিপ্লবী শহিদ ভগৎ সিংয়ের জন্ম
১৯৩২ -  ভারতীয় চিত্রপরিচালক যশ চোপড়ার জন্ম
১৯৮০  -  বিশ্ব পর্যটন দিবস পালিত হয়ে আসছে
১৯৯৮ - জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুগল (google)এর যাত্রা শুরু
২০০৮ -  বিশিষ্ট ভারতীয় সঙ্গীতশিল্পী মহেন্দ্র কাপুরের মৃত্যু
২০২৩ – বিশিষ্ট চিত্রগ্রাহক সৌম্যেন্দু রায়ের মৃত্যু

27th  September, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৮৩ টাকা ৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড ১১০.২৬ টাকা ১১৩.৮৫ টাকা
ইউরো ৯১.৭১ টাকা ৯৪.৯১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৬,১৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭২,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯১,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯১,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ আশ্বিন, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪। একাদশী ২৩/১৮ দিবা ২/৫০। অশ্লেষা নক্ষত্র ৫৫/১৮ রাত্রি ৩/৩৮। সূর্যোদয় ৫/৩০/৪৪, সূর্যাস্ত ৫/২৩/৫৬। অমৃতযোগ প্রাতঃ ৬/১৮ মধ্যে পুনঃ ৭/৬ গতে ৯/২৮ মধ্যে পুনঃ ১১/৫১ গতে ৩/১ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৬ মধ্যে। বারবেলা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৭ গতে ২/২৭ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৬ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ৬/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। 
১১ আশ্বিন, ১৪৩১, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪। একাদশী অপরাহ্ন ৪/৫৫। অশ্লেষা নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/৩০, সূর্যাস্ত ৫/২৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২৩ মধ্যে ও ৭/৯ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫০ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২৬ মধ্যে এবং রাত্রি ১২/৩৭ গতে ২/১৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ২/১৭ গতে ৩/৭ মধ্যে। কালবেলা ৭/০ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/২৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/২৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৬/৫৭ মধ্যে ও ৪/০ গতে ৫/৩১ মধ্যে। 
২৪ রবিয়ল আউয়ল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
সুনীতা উইলিয়ামসকে পৃথিবীতে ফেরাতে রওনা দিলি নাসার বিশেষ মহাকাশযান

12:14:58 AM

আইপিএলেও ম্যাচ ফি পাবেন ক্রিকেটাররা, ঘোষণা বিসিসিআইয়ের
দেশের হয়ে ম্যাচ খেললে যেমন ফি দেওয়া হয় সেই নিয়ম ...বিশদ

11:18:44 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়াতে জইশ জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত এক পুলিস, জখম ১

11:07:44 PM

তামিলনাড়ুর উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে উদয়নিধি
জল্পনাই সত্যি হল। পুত্র তথা ক্রীড়ামন্ত্রী উদয়নিধিকে উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে ...বিশদ

11:02:30 PM

দল ঘোষণা করল ভারত
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে তিনটি টি-২০ ম্যাচ খেলবে ভারত। আজ, শনিবার তারই ...বিশদ

10:56:07 PM

বাড়ি থেকে ৫০০ টাকা নেওয়ার অপরাধে ছেলেকে পিটিয়ে খুন বাবার!
আলমারিতে রাখা ৫০০ টাকা খুঁজে না পেয়ে নিজের ছেলেকে সন্দেহ ...বিশদ

09:52:56 PM