Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। গল্পের নীতিকথা কী? মিথ্যা বলে বারবার বোকা বানালে দরকারের সময় পাশে থাকে না কেউই। তাতে বিপদে পড়ে তারাই যারা অন্যের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।
দিল্লি বিজেপির নেতারা যেভাবে বারবার বাংলার দলীয় কর্মীদের সামনে মিথ্যার ফানুস ওড়াচ্ছেন তাতে বিপদ বাড়ছে তাঁদেরই। আগামী দিনে তাঁরা কর্মীদের পাশে পাবেন না। নির্বাচন এলেই নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা বাংলায় ডেলিপ্যাসেঞ্জারি শুরু করে দেন। তাঁরা বাংলায় এসেই বিজেপি প্রচুর আসন পাবে বলে দাবি করেন। পাশাপাশি পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত সরকার আগেই ভেঙে যাবে বলে হুঙ্কারও ছাড়েন। তাতে উৎসাহিত হয়ে বিজেপির অনেক চুনোপুঁটি নেতাও ভোটের পর দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বসেন। কিন্তু ফল উল্টো হতেই কোথাও কোথাও ‘পাল্টা’ও হয়ে যায়। 
একুশের পর ফের চব্বিশেও চুপসে গেল বিজেপির মিথ্যার ফানুস। দিল্লি বিজেপির ওড়ানো ফানুস আকাশে না উড়ে বারবার গোঁত্তা খাচ্ছে বাংলার মাটিতে। তাতে গেরুয়া শিবিরকে গ্রাস করছে হতাশা। বঙ্গের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা এবার এতটাই মুষড়ে পড়েছেন যে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের হ্যাটট্রিকের মুহূর্তটাও উপভোগ করতে পারলেন না। জওহরলাল নেহরুর রেকর্ড ছোঁয়ার যে স্বপ্ন মোদিজি দেখতেন তা পূরণ হল, কিন্তু অলীক স্বপ্ন চুরমার হওয়ায় হতাশার সাগরে নিমজ্জিত হল বঙ্গ বিজেপি। এখন যা পরিস্থিতি তাতে ছাব্বিশের নির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের মাঠে নামাতেই নেতৃত্বের কালঘাম ছুটে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা, এরপর নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা যাই বলুন না কেন, বিজেপি কর্মীরা তা বিশ্বাস করবেন না। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা। 
একুশের নির্বাচনে বাংলায় দু’শো আসন জেতার হুঙ্কার ছেড়েছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কৃত্রিম ‘গেরুয়া ঝড়ে’ সাময়িক বিভ্রান্ত হয়েছিল বাংলা। তাতেও আশি টপকাতে পারেনি। সাফল্য লক্ষ্যমাত্রার ৪০ ভাগেরও কম। এবার টার্গেট ছিল ৩০টি। পেয়েছে ১২। লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ। তাহলে বাস্তবটা কী? দলের দিল্লি নেতৃত্বের প্রত্যাশার অর্ধেক আসন দেওয়ারও মুরোদ নেই বঙ্গ বিজেপির। 
এবার বাংলায় বিজেপির আসন প্রাপ্তির প্রত্যাশাকে মোদি-অমিত শাহ জুটি মগডালে তুলে দিয়েছিল। শেষদফার প্রচারে এসে মোদিজি বলেছিলেন, ‘এবার দেশের মধ্যে বিজেপি সবচেয়ে ভালো ফল করবে বাংলায়।’ কেন তিনি একথা বলেছিলেন? তিনি ভেবেছিলেন, ‘ইসবার চারশো পার’ এর ধাপ্পাটা বাংলাকে খাওয়াতে পারলে সংখ্যাগুরু ভোট আরও এককাট্টা হবে। সেই আশাতেই বাংলায় গেরুয়া ঝড় বইছে, এই বিশ্বাসটা তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সেটা হলেই ‘ফ্লোটিং ভোট’ ঝুঁকত বিজেপির দিকে। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে এই কৌশল সফল হয়েছিল। যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় নিশ্চিত ফিরছেন ধরে নিয়েই বহু ফ্লোটিং ভোটার পদ্মপ্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন। এমনকী সংখ্যালঘুরাও। তবে এই টোটকা উত্তরপ্রদেশে কাজে লাগলেও বাংলায় লাগেনি। 
বিজেপি যে লোকসভা ভোটেও বাংলায় জোর ধাক্কা খেয়েছে, একথা নতুন করে বলার দরকার হয় না। কিন্তু এই ‘রামধাক্কা’কেও বিজেপির একাংশ তাদের সাফল্য হিসেবে দেখাতে চাইছে। তারা বলছে, চব্বিশের ভোটে বাংলায় বিজেপির আসন কমলেও একুশের তুলনায় তারা এগিয়েছে। তার পিছনে যুক্তি কী? একুশের নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৭৭টি আসন। লোকসভা ভোটের নিরিখে তারা এগিয়ে প্রায় ৯০টি আসনে। এটা অঙ্ক। অস্বীকার করার জায়গা নেই। কিন্তু উনিশের লোকসভা ভোটের ফলের সঙ্গে তুলনা করলেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়বে বেড়াল। উনিশে বাংলায় বিজেপি এগিয়েছিল ১২১টি আসনে। তার জোরেই বিজেপির ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট টিম একুশে রাজ্যে পালা বদলের হাওয়া তুলেছিল। তারপরেও বিজেপি উনিশে এগিয়ে থাকা ১২১টি আসন ধরে রাখতে পারেনি। তবে, এটাই স্বাভাবিক।
লোকসভা, বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তাই একটার সঙ্গে অন্য ভোটের ফলের মধ্যে কোনও মিল থাকে না। তবে, বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের ফলাফলে রাজ্য রাজনীতির অভিমুখ কিছুটা বোঝা যায়। কোনও আঞ্চলিক দল রাজ্যের ক্ষমতায় থাকলে লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় বিধানসভা ভোটে ভালো ফল করে। আবার সর্বভারতীয় দলের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা থাকলে ফ্লোটিং ভোটের বেশিরভাগটাই সেদিকে যায়। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন হবে দু’বছর পর। তাই এখনই ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করাটা হয়তো হবে অর্বাচীনের কাজ। তবুও এই মুহূর্তে বঙ্গ বিজেপির যা অবস্থা তাতে ছাব্বিশের ভোটে একুশের চেয়ে তারা একটি আসন বেশি পেলে, সেটাই হবে অঘটন। 
লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খেতেই বঙ্গ বিজেপির নেতা কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। তাতে একটা বিষয় আরও প্রকট হচ্ছে, বিজেপির বেশিরভাগটাই সাজানো। সে সন্দেশখালিই হোক বা পোস্টপোল ভায়োলেন্স। নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের জেরে কর্মীরা ঘরছাড়া বলে যে অভিযোগ তুলে বিজেপি বাজার গরম করতে চাইছে, তার অনেকটাই নাকি সাজানো! বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম নাকি ‘প্রকৃত ঘরছাড়া’দের বদলে ‘সাজানো ঘরছাড়া’দের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছে। একথাটা বিরোধীদের নয়, ডায়মণ্ডহারবারের পরাজিত বিজেপি প্রার্থীর অনুগামীদের। ঘরের কথা বাইরে ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে। তাই ‘গর্দান’ গিয়েছে খোদ বিজেপি প্রার্থীর। হয়েছেন সাসপেন্ড। এটুকু করতেই হতো। না হলে বিজেপির মুখ আরও পুড়ত। 
একথা ঠিক, নির্বাচনে ফল বের হওয়ার পর কিছু এলাকায় বিরোধী দলের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এটা মোটেই কাম্য নয়। কিন্তু সন্ত্রাস কি কেবলই একতরফা? বিজেপি যেখানে জিতেছে সেখানেও কিন্তু তৃণমূলের কর্মীদের ঘরছাড়া করা হচ্ছে, পেটানো হচ্ছে। তবে, এবারের পোস্টপোল ভায়োলেন্স একুশ সালের ধারেকাছেও যায়নি। কারণও আছে। বিজেপির জুমলা বাংলা প্রথম দেখেছিল একুশে। তাই বিজেপি ক্ষমতায় আসছে ধরে নিয়ে দলের নেতা কর্মীরা একটু বেশিই হম্বিতম্বি করে ফেলেছিলেন। ফলে কিছু কিছু এলাকায় তার ‘পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া’ হয়েছিল। কিন্তু এবার গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীদের মধ্যে সেই লাফালাফি ব্যাপারটা ছিল না। একেই বলে, অভিজ্ঞতা।
ইংরাজিতে একটা প্রবাদ আছে, ‘কাট ইওর কোট অ্যাকর্ডিং টু ইওর ক্লথ’। ক্ষমতা অনুযায়ী পরিকল্পনা করা উচিত। লক্ষ্যপূরণ যদি নাও হয় কাছাকাছি পৌঁছনো যায়। তাতে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। কিন্তু বেড়ে খেললে লক্ষ্যের ধারেকাছেও পৌঁছনো যায় না। তার অনিবার্য পরিণতি, হতাশা। বঙ্গ বিজেপিতে সেটাই হচ্ছে। দিল্লির নেতারা বারবার বাংলায় এসে ২৫/৩০ আসনের গল্প শুনিয়েছেন। তাও যে সে নেতা নয়, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের মতো ‘দেবতার দূত’রা। তাঁদের কথায় অনেকে বিশ্বাসও করেছিলেন। কিন্তু বারবার বিজেপির টার্গেট হিট করছে তৃণমূলই। এবার একটা কম, ২৯। 
নির্বাচনের সময় দিল্লি থেকে নেতা, মন্ত্রীরা এসে মিটিং, মিছিল করেন। এবার ছিল ‘স্পেশাল অফার’। প্রধানমন্ত্রীর রোড শো। রাজনৈতিক নেতারা অনেক গালভরা কথা বলেন। অনেক স্বপ্ন দেখান। বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে সেই স্বপ্নের নাগাল পাওয়া যায় না। নেতাদের কথা সাধারণ মানুষ বিশ্বাস না করলেও দলীয় কর্মী, সমর্থকদের কাছে তাঁরাই হিরো। তাঁদের কথায় জীবন বাজি রেখে রাজনীতি করেন। আজকাল অধিকাংশ নেতার কাছে রাজনীতি হল ‘কেরিয়ার’। তাই টিকিট বা মন্ত্রিত্ব না পেলে অনায়াসেই ভিড়ে যান অন্য দলে। কিন্তু সাধারণ কর্মী সমর্থকদের কাছে দল হল আবেগ, ভালোবাসা, স্বপ্ন। তারজন্য অনেকে জলাঞ্জলি দেন উজ্জ্বল কেরিয়ার। এমনকী জীবনও।
এবার লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রের বীড় কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন পঙ্কজা পান্ডে। তিনি এনসিপি প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছেন। দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে এখনও পর্যন্ত চারজন বিজেপি কর্মী আত্মহত্যা করেছেন। এতেই বোঝা যায়, সাচ্চা কর্মীরা দল করেন কোন আবেগ থেকে। তাই মান্যবরদের কাছে একটাই অনুরোধ, রাজা উজির হোন ভালো কথা। কিন্তু দোহাই আপনাদের, দয়া করে সেই নেশায় কর্মীদের আবেগ নিয়ে ছেলেখেলা করবেন না।
22nd  June, 2024
রাষ্ট্রসঙ্ঘ এখন ‘লাইফ সাপোর্টে’
মৃণালকান্তি দাস

পারসনা নন গ্রাটা! ঘোষণা করেছেন ইজরায়েলের বিদেশমন্ত্রী ইসরায়েল কাটৎসের। বলেছেন, ‘রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেইরেসের ইজরায়েলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। যে ব্যক্তি ইজরায়েলে ইরানের ঘৃণ্য হামলার দ্ব্যর্থহীন সমালোচনা করতে পারবেন না, তিনি ইজরায়েলের মাটিতে পা রাখতে পারবেন না।’  বিশদ

‘পণবন্দি’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আজকের জমানা সামনে থেকে দেখলে কি রবি ঠাকুর এই শব্দগুলো একটু অদল বদল করে নিতেন? যেমন, প্রার্থনার বদলে ডিমান্ড? কিংবা মন্থনের জায়গায় ব্ল্যাকমেল? উত্তর পাওয়া যাবে না। কারণ, তিনি নিজে ছাড়া তাঁর সৃষ্টি রিক্রিয়েট করার ক্ষমতা কারও নেই। বিশদ

22nd  October, 2024
২১ অক্টোবর, নেতাজির আজাদ হিন্দ আজও সমান প্রাসঙ্গিক
জয়ন্ত চৌধুরী

 

২১ অক্টোবর। ভারতীয় উপমহাদেশে মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল তারিখ। ১৯৪৩ সালে ওইদিনে নেতাজি পরাধীন অখণ্ড ভারতকে স্বাধীন করতে সিঙ্গাপুরের মাটিতে অস্থায়ী আজাদ হিন্দ সরকার গঠন করলেন।
বিশদ

21st  October, 2024
বলেন ভাগবত, শোনেন ভক্তজন
পি চিদম্বরম

মোহন ভাগবতের সময়জ্ঞানটি অদ্ভুত রকমের ভালো। তিনি খুব কমই কথা বলেন, কিন্তু তিনি কথা বলার জন্য যে দিন এবং উপলক্ষ বেছে নেন তা এককথায় অনবদ্য! তাঁর শব্দচয়নও দুর্দান্ত, যদিও আমি সেগুলি কেবল ইংরেজি অনুবাদেই পড়েছি।
বিশদ

21st  October, 2024
চক্রান্তকে হারিয়ে ভোটে ‘বিচার’ চায় বাংলা
হিমাংশু সিংহ

মেঘের আড়ালে নয়, এবার মুখোমুখি। আর জি কর কাণ্ড ছাপিয়ে আগামী এক মাস বঙ্গ রাজনীতি আন্দোলিত হতে চলেছে ৬ বিধানসভা আসনের উপ নির্বাচন ঘিরে। প্রশ্ন করি, এত কুৎসা, অপপ্রচার, সরকারের বদনামের পরও বিরোধীরা ভোট বাড়াতে পারবেন তো? বিশদ

20th  October, 2024
‘থ্রেট সিন্ডিকেট’ কী, টের পেলেন কিঞ্জল
তন্ময় মল্লিক

অভয়ার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় যুক্তের সংখ্যা এক না একাধিক, এই প্রশ্নের উত্তর ইতিমধ্যেই মিলেছে। সিবিআইয়ের প্রাথমিক চার্জশিটে একটা বিষয় পরিষ্কার, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। বিশদ

19th  October, 2024
ক্ষুধা, বৈষম্য এবং সরকার
সমৃদ্ধ দত্ত 

যাদের সকালের জলখাবার, দুপুর আর রাতের খাবার নিশ্চিত, সারাদিনে একবারও ‘ওই খাবারগুলো আজ পাব তো?’—এরকম মনেই হয় না, তারা ঠিক বুঝতে পারবে না কেন এভাবে আসি আমরা! 
বিশদ

18th  October, 2024
এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে
মৃণালকান্তি দাস

বৈদিক যুগে তাঁর নাম ছিল শ্রী। তখনও তিনি ঐশ্বর্যের দেবীই ছিলেন। তবে সেখানে তিনি চিন্ময়ী দেবী হিসেবেই পুজো পেতেন, মৃন্ময়ী ছিলেন না। পুরাণের যুগে এসে অন্যান্য দেব-দেবীর মতো তিনিও মৃন্ময়ী হলেন। আমরা বিশ্বাস করি তাঁর কৃপাতেই আমাদের সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। বিশদ

17th  October, 2024
কোজাগরীর প্রার্থনা, বাঙালির লক্ষ্মীলাভ হোক
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সাধারণ মধ্যবিত্তদের লড়াই সঙ্কুল জীবনে লক্ষ্মীর আশীর্বাদ সেভাবে মেলে না। তবুও আমরা প্রতিদিনের খুদকুঁড়োর মধ্যে বেঁচে থাকার আনন্দটুকু অনুভব করি। মনে হয়, এটাই যেন মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ, নাহলে হয়তো এটুকুও পেতাম না। বিশদ

16th  October, 2024
অবিশ্বাসের শেষ কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ছেলে হওয়ার খবরটা কুবের মাঝিকে প্রথম দিয়েছিল নকুল দাস। স্তিমিত চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে উঠেও হানা দিয়েছিল আশঙ্কা। পরক্ষণেই। বিরক্ত হয়ে কুবের মাঝি ঘরে ফেরার সঙ্গী গণেশকে বলেছিল, ‘পোলা দিয়া করুম কী? নিজেগোর খাওন জোটে না, পোলা!’ বিশদ

15th  October, 2024
উৎসবের মধ্যেই আনন্দলোকের খোঁজ
মৃণালকান্তি দাস

দুর্গাপূজার সমারোহ নিয়ে ঊনবিংশ শতাব্দীতেই নানা কথা উঠেছিল। কথা উঠেছিল শহর কলকাতার হুজুগেপনা নিয়েও।  বিশদ

10th  October, 2024
বাধার মধ্যেই পুজো, হাতে জোড়া উপহার
হারাধন চৌধুরী

একদিকে যুদ্ধের দামামা, অন্যদিকে বানবন্যা। সঙ্গে দোসর কতিপয় মানুষের বিকৃতি—নারীর সুন্দর কোমল পবিত্র জীবনকে কলুষিত করার অপপ্রয়াস। ফলে চলছে লাগাতার প্রতিবাদ। দুষ্টের দমনে প্রশাসনও যেন নাজেহাল। সব মিলিয়ে মানুষ মোটে ভালো নেই। বিশদ

09th  October, 2024
একনজরে
প্রথম টেস্টে লোকেশ রাহুলের ব্যর্থতা নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীরা যতই সরব হোক না কেন, টিম ম্যানেজমেন্টের আস্থা তাঁর উপরই থাকছে। ভারতীয় দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর তা ...

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় এবার খালি করে দেওয়া হল বকখালি এবং সুন্দরবনের বিভিন্ন হোটেল। বুধবার বিকেল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত কোনও বুকিং নেওয়া যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে ...

মাসে মোট রোজগার দেখিয়েছিলেন, সাত হাজার টাকা। আবেদনপত্রে তা উল্লেখও করেছিলেন। তারপর তরুণীর বাড়িতে সরেজমিনে তদন্তে গিয়েছিলেন রূপশ্রীর কর্মীরা। ঘটনাস্থলে গিয়ে চোখ কপালে প্রশাসনের কর্মীদের। ...

প্রকৃতির সঙ্গে অসম লড়াইয়ে বারবার হার মেনেছে মানুষ! গঙ্গার ভাঙন মালদহের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে যাযাবর করছে বছরের পর বছর। মাথার ছাদ খুইয়ে কার্যত নিঃস্ব হয়ে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার/ ফাটকা প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থকড়ি উপার্জন বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসায় দিনটি মোটামুটি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক পোলিও দিবস
১২৬০ - ফ্রান্সের রাজা নবম লুইসের উপস্থিতিতে চারট্রেসের গির্জা উৎসর্গ করা হয়। যেটি বর্তমানে ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্ব ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত
১৬০১: জ্যোতির্বিদ টাইকো ব্রাহের মৃত্যু হল প্রাগ শহরে
১৬০৫: মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গির আগ্রার সিংহাসনে বসেন
১৭৭৫: মুঘল সাম্রাজ্যের শেষ সম্রাট বাহাদুর শাহ জাফরের জন্ম
১৮৫১:  কলকাতা ও ডায়মন্ড হারবারের মধ্যে সংযোগের মাধ্যমে ভারতে প্রথম বৈদ্যুতিক টেলিগ্রাফ লাইন চালু
১৮৯৪: লেখক বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯০৩:  অভিনেতা, পরিচালক তথা নাট্যকার প্রমথেশ বড়ুয়ার জন্ম
১৯১৪: ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও আজাদ হিন্দ ফৌজের নারী সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী লক্ষ্মী সেহগলের জন্ম
১৯২৯: নিউ ইয়র্ক শেয়ার বাজারে শুরু হল মহামন্দা। দিনটি ‘ব্ল্যাক থার্সডে’ নামে বিখ্যাত
১৯৩৬: সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯৩৮: কারখানায় শিশুশ্রমিক নিষিদ্ধ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
১৯৫৪: স্বাধীনতা সংগ্রামী রফি আহমেদ কিদোয়াইয়ের মৃত্যু
১৯৮০: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  কৌশিকী চক্রবর্তীর জন্ম
১৯৮১: ভারতীয় অভিনেত্রী মল্লিকা শেরাওয়াতের জন্ম
১৯৮৪: ভারতে চালু হল মেট্রোরেল, কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে ভবানীপুর (নেতাজী ভবন)
১৯৮৫: ইংরেজ ফুটবলার ওয়েন রুনির জন্ম
২০০৮: "ব্লাডি ফ্রাইডে", এদিন বিশ্ব অর্থনীতিতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধ্স নামে, শেয়ারবাজারের সূচক প্রায় ১০% পর্যন্ত নেমে যায়
২০১৩: সংগীত শিল্পী মান্না দে-র মৃত্যু
২০১৭: ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী  গিরিজা দেবীর মৃত্যু
২০২২: ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক ব্রিটেনের সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত হন



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৩.২৫ টাকা ৮৪.৯৯ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৩৩ টাকা ১১১.১১ টাকা
ইউরো ৮৯.১৫ টাকা ৯২.৫৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৮,৯৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৪০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৯,৭০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৯,৮০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১/৫৯। পুনর্বসু নক্ষত্র ১/২৮ দিবা ৬/১৬। সূর্যোদয় ৫/৪০/৪৬, সূর্যাস্ত ৫/১/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/১১ মধ্যে পুনঃ ১/১৫ গতে ২/৪৬ মধ্যে। রাত্রি ৫/৫৪ গতে ৯/১৫ মধ্যে পুনঃ ১১/৪৭ গতে ৩/৯ মধ্যে পুনঃ ৪/০ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ২/১১ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/২১ গতে ১২/৫৬ মধ্যে।  
৭ কার্তিক, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৪। সপ্তমী প্রাতঃ ৬/৬। পুনর্বসু নক্ষত্র দিবা ১১/৪০। সূর্যোদয় ৫/৪২, সূর্যাস্ত ৫/২। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৮ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৩৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৯/১১ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ৩/১৪ মধ্যে ও ৪/৬ গতে ৫/৪২ মধ্যে। কালবেলা ২/১২ গতে ৫/২ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/২২ গতে ১২/৫৭ মধ্যে। 
২০ রবিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পুলিস গাড়ি ও অটোর সংঘর্ষ, জখম ২
গৌরান্ডি থেকে আসানসোল আসার পথে লালগঞ্জ মোড়ে পথ দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র ...বিশদ

10:45:00 PM

জম্মু ও কাশ্মীরের বারামুলায় জঙ্গি হামলায় জখম কমপক্ষে ৫ জওয়ান

10:16:21 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: পরিদর্শন সারছেন পুর প্রশাসক ও এসডিপিও
  হলদিয়া পুর এলাকায় নদী তীরবর্তী ওয়ার্ডে সন্ধে থেকে রাত পর্যন্ত ...বিশদ

09:52:00 PM

ঘূর্ণিঝড় ডানা: ত্রাণ শিবিরে শিশুদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মহিলারা
ঘূর্ণিঝড় ডানা আছড়ে পড়ার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে হলদিয়ার বিভিন্ন ওয়ার্ড ...বিশদ

09:35:00 PM

নবান্নর কন্ট্রোল রুমে বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান
নবান্নর কন্ট্রোল রুমে রয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা মন্ত্রী জাভেদ খান। কন্ট্রোল ...বিশদ

08:55:00 PM

প্রথম ওডিআই (মহিলা): নিউজিল্যান্ডকে ৫৯ রানে হারাল ভারত

08:54:00 PM