Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। গল্পের নীতিকথা কী? মিথ্যা বলে বারবার বোকা বানালে দরকারের সময় পাশে থাকে না কেউই। তাতে বিপদে পড়ে তারাই যারা অন্যের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।
দিল্লি বিজেপির নেতারা যেভাবে বারবার বাংলার দলীয় কর্মীদের সামনে মিথ্যার ফানুস ওড়াচ্ছেন তাতে বিপদ বাড়ছে তাঁদেরই। আগামী দিনে তাঁরা কর্মীদের পাশে পাবেন না। নির্বাচন এলেই নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা বাংলায় ডেলিপ্যাসেঞ্জারি শুরু করে দেন। তাঁরা বাংলায় এসেই বিজেপি প্রচুর আসন পাবে বলে দাবি করেন। পাশাপাশি পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত সরকার আগেই ভেঙে যাবে বলে হুঙ্কারও ছাড়েন। তাতে উৎসাহিত হয়ে বিজেপির অনেক চুনোপুঁটি নেতাও ভোটের পর দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বসেন। কিন্তু ফল উল্টো হতেই কোথাও কোথাও ‘পাল্টা’ও হয়ে যায়। 
একুশের পর ফের চব্বিশেও চুপসে গেল বিজেপির মিথ্যার ফানুস। দিল্লি বিজেপির ওড়ানো ফানুস আকাশে না উড়ে বারবার গোঁত্তা খাচ্ছে বাংলার মাটিতে। তাতে গেরুয়া শিবিরকে গ্রাস করছে হতাশা। বঙ্গের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা এবার এতটাই মুষড়ে পড়েছেন যে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের হ্যাটট্রিকের মুহূর্তটাও উপভোগ করতে পারলেন না। জওহরলাল নেহরুর রেকর্ড ছোঁয়ার যে স্বপ্ন মোদিজি দেখতেন তা পূরণ হল, কিন্তু অলীক স্বপ্ন চুরমার হওয়ায় হতাশার সাগরে নিমজ্জিত হল বঙ্গ বিজেপি। এখন যা পরিস্থিতি তাতে ছাব্বিশের নির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের মাঠে নামাতেই নেতৃত্বের কালঘাম ছুটে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা, এরপর নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা যাই বলুন না কেন, বিজেপি কর্মীরা তা বিশ্বাস করবেন না। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা। 
একুশের নির্বাচনে বাংলায় দু’শো আসন জেতার হুঙ্কার ছেড়েছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কৃত্রিম ‘গেরুয়া ঝড়ে’ সাময়িক বিভ্রান্ত হয়েছিল বাংলা। তাতেও আশি টপকাতে পারেনি। সাফল্য লক্ষ্যমাত্রার ৪০ ভাগেরও কম। এবার টার্গেট ছিল ৩০টি। পেয়েছে ১২। লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ। তাহলে বাস্তবটা কী? দলের দিল্লি নেতৃত্বের প্রত্যাশার অর্ধেক আসন দেওয়ারও মুরোদ নেই বঙ্গ বিজেপির। 
এবার বাংলায় বিজেপির আসন প্রাপ্তির প্রত্যাশাকে মোদি-অমিত শাহ জুটি মগডালে তুলে দিয়েছিল। শেষদফার প্রচারে এসে মোদিজি বলেছিলেন, ‘এবার দেশের মধ্যে বিজেপি সবচেয়ে ভালো ফল করবে বাংলায়।’ কেন তিনি একথা বলেছিলেন? তিনি ভেবেছিলেন, ‘ইসবার চারশো পার’ এর ধাপ্পাটা বাংলাকে খাওয়াতে পারলে সংখ্যাগুরু ভোট আরও এককাট্টা হবে। সেই আশাতেই বাংলায় গেরুয়া ঝড় বইছে, এই বিশ্বাসটা তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সেটা হলেই ‘ফ্লোটিং ভোট’ ঝুঁকত বিজেপির দিকে। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে এই কৌশল সফল হয়েছিল। যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় নিশ্চিত ফিরছেন ধরে নিয়েই বহু ফ্লোটিং ভোটার পদ্মপ্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন। এমনকী সংখ্যালঘুরাও। তবে এই টোটকা উত্তরপ্রদেশে কাজে লাগলেও বাংলায় লাগেনি। 
বিজেপি যে লোকসভা ভোটেও বাংলায় জোর ধাক্কা খেয়েছে, একথা নতুন করে বলার দরকার হয় না। কিন্তু এই ‘রামধাক্কা’কেও বিজেপির একাংশ তাদের সাফল্য হিসেবে দেখাতে চাইছে। তারা বলছে, চব্বিশের ভোটে বাংলায় বিজেপির আসন কমলেও একুশের তুলনায় তারা এগিয়েছে। তার পিছনে যুক্তি কী? একুশের নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৭৭টি আসন। লোকসভা ভোটের নিরিখে তারা এগিয়ে প্রায় ৯০টি আসনে। এটা অঙ্ক। অস্বীকার করার জায়গা নেই। কিন্তু উনিশের লোকসভা ভোটের ফলের সঙ্গে তুলনা করলেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়বে বেড়াল। উনিশে বাংলায় বিজেপি এগিয়েছিল ১২১টি আসনে। তার জোরেই বিজেপির ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট টিম একুশে রাজ্যে পালা বদলের হাওয়া তুলেছিল। তারপরেও বিজেপি উনিশে এগিয়ে থাকা ১২১টি আসন ধরে রাখতে পারেনি। তবে, এটাই স্বাভাবিক।
লোকসভা, বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তাই একটার সঙ্গে অন্য ভোটের ফলের মধ্যে কোনও মিল থাকে না। তবে, বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের ফলাফলে রাজ্য রাজনীতির অভিমুখ কিছুটা বোঝা যায়। কোনও আঞ্চলিক দল রাজ্যের ক্ষমতায় থাকলে লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় বিধানসভা ভোটে ভালো ফল করে। আবার সর্বভারতীয় দলের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা থাকলে ফ্লোটিং ভোটের বেশিরভাগটাই সেদিকে যায়। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন হবে দু’বছর পর। তাই এখনই ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করাটা হয়তো হবে অর্বাচীনের কাজ। তবুও এই মুহূর্তে বঙ্গ বিজেপির যা অবস্থা তাতে ছাব্বিশের ভোটে একুশের চেয়ে তারা একটি আসন বেশি পেলে, সেটাই হবে অঘটন। 
লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খেতেই বঙ্গ বিজেপির নেতা কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। তাতে একটা বিষয় আরও প্রকট হচ্ছে, বিজেপির বেশিরভাগটাই সাজানো। সে সন্দেশখালিই হোক বা পোস্টপোল ভায়োলেন্স। নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের জেরে কর্মীরা ঘরছাড়া বলে যে অভিযোগ তুলে বিজেপি বাজার গরম করতে চাইছে, তার অনেকটাই নাকি সাজানো! বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম নাকি ‘প্রকৃত ঘরছাড়া’দের বদলে ‘সাজানো ঘরছাড়া’দের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছে। একথাটা বিরোধীদের নয়, ডায়মণ্ডহারবারের পরাজিত বিজেপি প্রার্থীর অনুগামীদের। ঘরের কথা বাইরে ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে। তাই ‘গর্দান’ গিয়েছে খোদ বিজেপি প্রার্থীর। হয়েছেন সাসপেন্ড। এটুকু করতেই হতো। না হলে বিজেপির মুখ আরও পুড়ত। 
একথা ঠিক, নির্বাচনে ফল বের হওয়ার পর কিছু এলাকায় বিরোধী দলের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এটা মোটেই কাম্য নয়। কিন্তু সন্ত্রাস কি কেবলই একতরফা? বিজেপি যেখানে জিতেছে সেখানেও কিন্তু তৃণমূলের কর্মীদের ঘরছাড়া করা হচ্ছে, পেটানো হচ্ছে। তবে, এবারের পোস্টপোল ভায়োলেন্স একুশ সালের ধারেকাছেও যায়নি। কারণও আছে। বিজেপির জুমলা বাংলা প্রথম দেখেছিল একুশে। তাই বিজেপি ক্ষমতায় আসছে ধরে নিয়ে দলের নেতা কর্মীরা একটু বেশিই হম্বিতম্বি করে ফেলেছিলেন। ফলে কিছু কিছু এলাকায় তার ‘পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া’ হয়েছিল। কিন্তু এবার গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীদের মধ্যে সেই লাফালাফি ব্যাপারটা ছিল না। একেই বলে, অভিজ্ঞতা।
ইংরাজিতে একটা প্রবাদ আছে, ‘কাট ইওর কোট অ্যাকর্ডিং টু ইওর ক্লথ’। ক্ষমতা অনুযায়ী পরিকল্পনা করা উচিত। লক্ষ্যপূরণ যদি নাও হয় কাছাকাছি পৌঁছনো যায়। তাতে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। কিন্তু বেড়ে খেললে লক্ষ্যের ধারেকাছেও পৌঁছনো যায় না। তার অনিবার্য পরিণতি, হতাশা। বঙ্গ বিজেপিতে সেটাই হচ্ছে। দিল্লির নেতারা বারবার বাংলায় এসে ২৫/৩০ আসনের গল্প শুনিয়েছেন। তাও যে সে নেতা নয়, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের মতো ‘দেবতার দূত’রা। তাঁদের কথায় অনেকে বিশ্বাসও করেছিলেন। কিন্তু বারবার বিজেপির টার্গেট হিট করছে তৃণমূলই। এবার একটা কম, ২৯। 
নির্বাচনের সময় দিল্লি থেকে নেতা, মন্ত্রীরা এসে মিটিং, মিছিল করেন। এবার ছিল ‘স্পেশাল অফার’। প্রধানমন্ত্রীর রোড শো। রাজনৈতিক নেতারা অনেক গালভরা কথা বলেন। অনেক স্বপ্ন দেখান। বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে সেই স্বপ্নের নাগাল পাওয়া যায় না। নেতাদের কথা সাধারণ মানুষ বিশ্বাস না করলেও দলীয় কর্মী, সমর্থকদের কাছে তাঁরাই হিরো। তাঁদের কথায় জীবন বাজি রেখে রাজনীতি করেন। আজকাল অধিকাংশ নেতার কাছে রাজনীতি হল ‘কেরিয়ার’। তাই টিকিট বা মন্ত্রিত্ব না পেলে অনায়াসেই ভিড়ে যান অন্য দলে। কিন্তু সাধারণ কর্মী সমর্থকদের কাছে দল হল আবেগ, ভালোবাসা, স্বপ্ন। তারজন্য অনেকে জলাঞ্জলি দেন উজ্জ্বল কেরিয়ার। এমনকী জীবনও।
এবার লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রের বীড় কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন পঙ্কজা পান্ডে। তিনি এনসিপি প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছেন। দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে এখনও পর্যন্ত চারজন বিজেপি কর্মী আত্মহত্যা করেছেন। এতেই বোঝা যায়, সাচ্চা কর্মীরা দল করেন কোন আবেগ থেকে। তাই মান্যবরদের কাছে একটাই অনুরোধ, রাজা উজির হোন ভালো কথা। কিন্তু দোহাই আপনাদের, দয়া করে সেই নেশায় কর্মীদের আবেগ নিয়ে ছেলেখেলা করবেন না।
22nd  June, 2024
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
একনজরে
ঘরে বসে নয়, রাস্তায় নেমে কাজের হাল দেখতে হবে। এবার আলোক বিভাগের কর্মীদের রোস্টার ডিউটি চালু হল কলকাতা পুরসভায়। ...

ধর্মের জিগির তো ছিলই। এবার অস্ত্রের ঝনঝনানির ইঙ্গিত দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার! হিন্দুদের বাড়িতে ধারালো অস্ত্র রাখার নিদান দিলেন তিনি। ...

অবশেষে ঘুম ভাঙল মোদি সরকারের। শম্ভু ও খানাউরি সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। ...

ধান কেনায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বীরভূম জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে এখনও অবধি প্রায় ১লাখ ৬৫হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা।  সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৬৫:  ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়
১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৮৭০:  বেঙ্গল গেজেট প্রথম প্রকাশিত হয়
১৮৭১: শিল্পপতি রতনজি টাটার জন্ম
১৮৯২: আমেরিকার স্প্রিং ফিল্ডে প্রথম বাস্কেটবল খেলা হয়
১৯০৫: দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের প্রিমিয়ার খনিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরা পাওয়া যায়। যার ওজন ছিল ৩.১০৬ ক্যারেট
১৯৩৪: আলোকচিত্র এবং ইলেকট্রনিকস্ কোম্পানী হিসেবে ফুজিফিল্ম কোম্পানীর যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৮৪: বিশ্বের সেরা সাঁতারু ও টারজান চরিত্রাভিনেতা জনি ওয়েসমুলারের মৃত্যু
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু
১৯৯৫: তাজমহলকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষাকল্পে ৮৪ টি শিল্প কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়
২০০৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম এবং প্রথম আফ্রো-আমেরিকান রাষ্ট্রপতি হিসেবে বারাক ওবামার শপথ গ্রহণ
২০২১: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম উপ রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস এর শপথ গ্রহণ।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৮ টাকা ১০৭.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৬০ টাকা ৯০.৯৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
19th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৯/০, দিবা ৯/৫৯। হস্তা নক্ষত্র ৩৮/১৮ রাত্রি ৮/৩০। সূর্যোদয় ৬/২২/৫৭, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৩/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। 
৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী দিবা ৯/১৭। হস্তা নক্ষত্র ৮/১০। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/২৫ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৭ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ২/৩০ গতে ৩/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। 
১৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আহমেদাবাদে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেল

07:25:00 PM

আর্থিক তছরুপ মামলায় মুম্বই, পাঞ্জাব, হরিয়ানার একাধিক জায়গায় ইডির অভিযান, বাজেয়াপ্ত একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি

07:13:00 PM

দিল্লিতে সভায় বক্তব্য রাখছেন আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল

06:57:00 PM

প্যারাগ্লাইডিংয়ে বিপত্তি
প্যারাগ্লাইডিংয়ের সময় দুর্ঘটনা। মৃত্যু হল এক মহিলা পর্যটক ও তাঁর ...বিশদ

06:50:00 PM

গোয়ালপোখর কাণ্ড: সাজ্জাকের সঙ্গী আবদুল হোসেন গ্রেপ্তার

06:47:00 PM

পার্ক সার্কাসে স্টেশন লাগোয়া চত্বরে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ১৪টি ইঞ্জিন

06:46:14 PM