Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। গল্পের নীতিকথা কী? মিথ্যা বলে বারবার বোকা বানালে দরকারের সময় পাশে থাকে না কেউই। তাতে বিপদে পড়ে তারাই যারা অন্যের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলে।
দিল্লি বিজেপির নেতারা যেভাবে বারবার বাংলার দলীয় কর্মীদের সামনে মিথ্যার ফানুস ওড়াচ্ছেন তাতে বিপদ বাড়ছে তাঁদেরই। আগামী দিনে তাঁরা কর্মীদের পাশে পাবেন না। নির্বাচন এলেই নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা বাংলায় ডেলিপ্যাসেঞ্জারি শুরু করে দেন। তাঁরা বাংলায় এসেই বিজেপি প্রচুর আসন পাবে বলে দাবি করেন। পাশাপাশি পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত সরকার আগেই ভেঙে যাবে বলে হুঙ্কারও ছাড়েন। তাতে উৎসাহিত হয়ে বিজেপির অনেক চুনোপুঁটি নেতাও ভোটের পর দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে বসেন। কিন্তু ফল উল্টো হতেই কোথাও কোথাও ‘পাল্টা’ও হয়ে যায়। 
একুশের পর ফের চব্বিশেও চুপসে গেল বিজেপির মিথ্যার ফানুস। দিল্লি বিজেপির ওড়ানো ফানুস আকাশে না উড়ে বারবার গোঁত্তা খাচ্ছে বাংলার মাটিতে। তাতে গেরুয়া শিবিরকে গ্রাস করছে হতাশা। বঙ্গের বিজেপি কর্মী সমর্থকরা এবার এতটাই মুষড়ে পড়েছেন যে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের হ্যাটট্রিকের মুহূর্তটাও উপভোগ করতে পারলেন না। জওহরলাল নেহরুর রেকর্ড ছোঁয়ার যে স্বপ্ন মোদিজি দেখতেন তা পূরণ হল, কিন্তু অলীক স্বপ্ন চুরমার হওয়ায় হতাশার সাগরে নিমজ্জিত হল বঙ্গ বিজেপি। এখন যা পরিস্থিতি তাতে ছাব্বিশের নির্বাচনে বিজেপি কর্মীদের মাঠে নামাতেই নেতৃত্বের কালঘাম ছুটে যাবে। সবচেয়ে বড় কথা, এরপর নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহরা যাই বলুন না কেন, বিজেপি কর্মীরা তা বিশ্বাস করবেন না। সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা। 
একুশের নির্বাচনে বাংলায় দু’শো আসন জেতার হুঙ্কার ছেড়েছিল বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কৃত্রিম ‘গেরুয়া ঝড়ে’ সাময়িক বিভ্রান্ত হয়েছিল বাংলা। তাতেও আশি টপকাতে পারেনি। সাফল্য লক্ষ্যমাত্রার ৪০ ভাগেরও কম। এবার টার্গেট ছিল ৩০টি। পেয়েছে ১২। লক্ষ্যমাত্রার ৪০ শতাংশ। তাহলে বাস্তবটা কী? দলের দিল্লি নেতৃত্বের প্রত্যাশার অর্ধেক আসন দেওয়ারও মুরোদ নেই বঙ্গ বিজেপির। 
এবার বাংলায় বিজেপির আসন প্রাপ্তির প্রত্যাশাকে মোদি-অমিত শাহ জুটি মগডালে তুলে দিয়েছিল। শেষদফার প্রচারে এসে মোদিজি বলেছিলেন, ‘এবার দেশের মধ্যে বিজেপি সবচেয়ে ভালো ফল করবে বাংলায়।’ কেন তিনি একথা বলেছিলেন? তিনি ভেবেছিলেন, ‘ইসবার চারশো পার’ এর ধাপ্পাটা বাংলাকে খাওয়াতে পারলে সংখ্যাগুরু ভোট আরও এককাট্টা হবে। সেই আশাতেই বাংলায় গেরুয়া ঝড় বইছে, এই বিশ্বাসটা তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সেটা হলেই ‘ফ্লোটিং ভোট’ ঝুঁকত বিজেপির দিকে। উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে এই কৌশল সফল হয়েছিল। যোগী আদিত্যনাথ ক্ষমতায় নিশ্চিত ফিরছেন ধরে নিয়েই বহু ফ্লোটিং ভোটার পদ্মপ্রার্থীকে ভোট দিয়েছিলেন। এমনকী সংখ্যালঘুরাও। তবে এই টোটকা উত্তরপ্রদেশে কাজে লাগলেও বাংলায় লাগেনি। 
বিজেপি যে লোকসভা ভোটেও বাংলায় জোর ধাক্কা খেয়েছে, একথা নতুন করে বলার দরকার হয় না। কিন্তু এই ‘রামধাক্কা’কেও বিজেপির একাংশ তাদের সাফল্য হিসেবে দেখাতে চাইছে। তারা বলছে, চব্বিশের ভোটে বাংলায় বিজেপির আসন কমলেও একুশের তুলনায় তারা এগিয়েছে। তার পিছনে যুক্তি কী? একুশের নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৭৭টি আসন। লোকসভা ভোটের নিরিখে তারা এগিয়ে প্রায় ৯০টি আসনে। এটা অঙ্ক। অস্বীকার করার জায়গা নেই। কিন্তু উনিশের লোকসভা ভোটের ফলের সঙ্গে তুলনা করলেই ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়বে বেড়াল। উনিশে বাংলায় বিজেপি এগিয়েছিল ১২১টি আসনে। তার জোরেই বিজেপির ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট টিম একুশে রাজ্যে পালা বদলের হাওয়া তুলেছিল। তারপরেও বিজেপি উনিশে এগিয়ে থাকা ১২১টি আসন ধরে রাখতে পারেনি। তবে, এটাই স্বাভাবিক।
লোকসভা, বিধানসভা এবং পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। তাই একটার সঙ্গে অন্য ভোটের ফলের মধ্যে কোনও মিল থাকে না। তবে, বিধানসভা ও লোকসভা ভোটের ফলাফলে রাজ্য রাজনীতির অভিমুখ কিছুটা বোঝা যায়। কোনও আঞ্চলিক দল রাজ্যের ক্ষমতায় থাকলে লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় বিধানসভা ভোটে ভালো ফল করে। আবার সর্বভারতীয় দলের ক্ষমতায় ফেরার সম্ভাবনা থাকলে ফ্লোটিং ভোটের বেশিরভাগটাই সেদিকে যায়। বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন হবে দু’বছর পর। তাই এখনই ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করাটা হয়তো হবে অর্বাচীনের কাজ। তবুও এই মুহূর্তে বঙ্গ বিজেপির যা অবস্থা তাতে ছাব্বিশের ভোটে একুশের চেয়ে তারা একটি আসন বেশি পেলে, সেটাই হবে অঘটন। 
লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খেতেই বঙ্গ বিজেপির নেতা কর্মীরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। তাতে একটা বিষয় আরও প্রকট হচ্ছে, বিজেপির বেশিরভাগটাই সাজানো। সে সন্দেশখালিই হোক বা পোস্টপোল ভায়োলেন্স। নির্বাচনোত্তর সন্ত্রাসের জেরে কর্মীরা ঘরছাড়া বলে যে অভিযোগ তুলে বিজেপি বাজার গরম করতে চাইছে, তার অনেকটাই নাকি সাজানো! বিজেপির কেন্দ্রীয় টিম নাকি ‘প্রকৃত ঘরছাড়া’দের বদলে ‘সাজানো ঘরছাড়া’দের সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছে। একথাটা বিরোধীদের নয়, ডায়মণ্ডহারবারের পরাজিত বিজেপি প্রার্থীর অনুগামীদের। ঘরের কথা বাইরে ফাঁস করে দেওয়া হয়েছে। তাই ‘গর্দান’ গিয়েছে খোদ বিজেপি প্রার্থীর। হয়েছেন সাসপেন্ড। এটুকু করতেই হতো। না হলে বিজেপির মুখ আরও পুড়ত। 
একথা ঠিক, নির্বাচনে ফল বের হওয়ার পর কিছু এলাকায় বিরোধী দলের কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন। ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে। এটা মোটেই কাম্য নয়। কিন্তু সন্ত্রাস কি কেবলই একতরফা? বিজেপি যেখানে জিতেছে সেখানেও কিন্তু তৃণমূলের কর্মীদের ঘরছাড়া করা হচ্ছে, পেটানো হচ্ছে। তবে, এবারের পোস্টপোল ভায়োলেন্স একুশ সালের ধারেকাছেও যায়নি। কারণও আছে। বিজেপির জুমলা বাংলা প্রথম দেখেছিল একুশে। তাই বিজেপি ক্ষমতায় আসছে ধরে নিয়ে দলের নেতা কর্মীরা একটু বেশিই হম্বিতম্বি করে ফেলেছিলেন। ফলে কিছু কিছু এলাকায় তার ‘পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া’ হয়েছিল। কিন্তু এবার গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীদের মধ্যে সেই লাফালাফি ব্যাপারটা ছিল না। একেই বলে, অভিজ্ঞতা।
ইংরাজিতে একটা প্রবাদ আছে, ‘কাট ইওর কোট অ্যাকর্ডিং টু ইওর ক্লথ’। ক্ষমতা অনুযায়ী পরিকল্পনা করা উচিত। লক্ষ্যপূরণ যদি নাও হয় কাছাকাছি পৌঁছনো যায়। তাতে আত্মবিশ্বাস বাড়ে। কিন্তু বেড়ে খেললে লক্ষ্যের ধারেকাছেও পৌঁছনো যায় না। তার অনিবার্য পরিণতি, হতাশা। বঙ্গ বিজেপিতে সেটাই হচ্ছে। দিল্লির নেতারা বারবার বাংলায় এসে ২৫/৩০ আসনের গল্প শুনিয়েছেন। তাও যে সে নেতা নয়, নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের মতো ‘দেবতার দূত’রা। তাঁদের কথায় অনেকে বিশ্বাসও করেছিলেন। কিন্তু বারবার বিজেপির টার্গেট হিট করছে তৃণমূলই। এবার একটা কম, ২৯। 
নির্বাচনের সময় দিল্লি থেকে নেতা, মন্ত্রীরা এসে মিটিং, মিছিল করেন। এবার ছিল ‘স্পেশাল অফার’। প্রধানমন্ত্রীর রোড শো। রাজনৈতিক নেতারা অনেক গালভরা কথা বলেন। অনেক স্বপ্ন দেখান। বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে সেই স্বপ্নের নাগাল পাওয়া যায় না। নেতাদের কথা সাধারণ মানুষ বিশ্বাস না করলেও দলীয় কর্মী, সমর্থকদের কাছে তাঁরাই হিরো। তাঁদের কথায় জীবন বাজি রেখে রাজনীতি করেন। আজকাল অধিকাংশ নেতার কাছে রাজনীতি হল ‘কেরিয়ার’। তাই টিকিট বা মন্ত্রিত্ব না পেলে অনায়াসেই ভিড়ে যান অন্য দলে। কিন্তু সাধারণ কর্মী সমর্থকদের কাছে দল হল আবেগ, ভালোবাসা, স্বপ্ন। তারজন্য অনেকে জলাঞ্জলি দেন উজ্জ্বল কেরিয়ার। এমনকী জীবনও।
এবার লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রের বীড় কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন পঙ্কজা পান্ডে। তিনি এনসিপি প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছেন। দলীয় প্রার্থীর পরাজয়ের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে এখনও পর্যন্ত চারজন বিজেপি কর্মী আত্মহত্যা করেছেন। এতেই বোঝা যায়, সাচ্চা কর্মীরা দল করেন কোন আবেগ থেকে। তাই মান্যবরদের কাছে একটাই অনুরোধ, রাজা উজির হোন ভালো কথা। কিন্তু দোহাই আপনাদের, দয়া করে সেই নেশায় কর্মীদের আবেগ নিয়ে ছেলেখেলা করবেন না।
22nd  June, 2024
সোনাপাচার ঘিরে হত্যাকাণ্ড! উঠছে বহু প্রশ্ন
মৃণালকান্তি দাস

বছর পাঁচের আগে বাংলাদেশের কোটচাঁদপুরে বাগানবাড়ি বানিয়েছিল আক্তারুজ্জামান ওরফে শাহিন। ৩০ বিঘা জমির উপর সেই বাগানবাড়ি উঁচু পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। ওই বাগানবাড়ির ভিতরে কী হতো, তা আশপাশের কেউ জানতেই পারত না।
বিশদ

‘সপাং সপাং’ শব্দে চলছে সঙ্ঘের চাবুক
সন্দীপন বিশ্বাস

 

লোকসভা নির্বাচনে মোক্ষম জবাব পেয়ে বিজেপি নেতারা যখন রাজ্যে নির্বাচন পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে হইচই বাধানোর চেষ্টা করছেন, তখন তাঁদের আচ্ছা করে ধুনে দিয়েছে আরএসএস।
বিশদ

26th  June, 2024
দুর্নীতি? মেধার স্বার্থে নীতিটাই বা কোথায়?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বৃহত্তর নয়ডার নিমকা গ্রামের কৃষক পরিবার। আয় খুব বেশি নয়। চলে যাওয়ার মতো বললেই হয়। তাই পড়াশোনা করলেও চাষের কাজে হাত লাগাতেই হতো ছেলেদের। মেজো ছেলেটি মায়ের সঙ্গে যখন খেতে নামত, তখনও তার বুকে আগলে রাখা খানকতক বই।
বিশদ

25th  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

24th  June, 2024
পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।
বিশদ

21st  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
একনজরে
বিদ্রোহের পরদিনই ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা শিরোমণি অকালি দলে। মঙ্গলবার সুপ্রিমো সুখবীর সিং বাদলের অপসারণ চেয়ে সরব হন একাংশ। ...

তাঁর আমলে তৈরি উদ্যান, মুক্তমঞ্চ পরিকল্পনামাফিক নষ্ট করছে ইংলিশবাজার পুরসভার বর্তমান বোর্ড। পুরসভার বিরুদ্ধে বুধবার এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তৃণমূলেরই বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ। চাঁচলের বিধায়ক নীহারবাবু দীর্ঘদিন ইংলিশবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান ও প্রশাসকের দায়িত্ব সামলেছেন। ...

দু’টি জায়গার মধ্যে দূরত্ব মেরেকেটে ৫০০ থেকে ৭০০ মিটার। কিন্তু জায়গা দু’টি একই বিধানসভার মধ্যে নয়। ফলে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হাসপাতাল স্থানান্তর হলে বদলে যাচ্ছে বিধানসভাভিত্তিক অবস্থান। আর তা নিয়েই বেনজির দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার ...

প্যারিস ওলিম্পিকসের জন্য ঘোষিত হল ভারতীয় হকি দল। ১৬ সদস্যের স্কোয়াডে অধিনায়ক নির্বাচিত হয়েছেন হরমনপ্রীত সিং। তাঁর ডেপুটির দায়িত্বে হার্দিক সিং। মোট পাঁচজন প্লেয়ার কেরিয়ারে প্রথমবার এই গেমসে অংশ নেবেন ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

জমি, গৃহাদি বা যানবাহনাদি ক্রয়-বিক্রয়ে লাভ ভালো হবে। কাজকর্মে সুনাম। আর্থিকভাব শুভ। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯০৮: হেলেন কেলারের জন্ম
১৯৩৯: সুরকার রাহুল দেব বর্মনের জন্ম
১৯৬৪: অ্যাথলিট পি টি ঊষার জন্ম
১৯৮১: চলচ্চিত্রের শিল্প নির্দেশক বংশীচন্দ্র গুপ্তর মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৬৩ টাকা ৮৪.৩৭ টাকা
পাউন্ড ১০৪.২২ টাকা ১০৭.৬৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৮৯ টাকা ৯১.০১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,০০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭২,৩৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৮,৭৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৮৭,২৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮৭,৩৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১২ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪। ষষ্ঠী ৩৪/১৫ সন্ধ্যা ৬/৪০। শতভিষা নক্ষত্র ১৬/৩৮ দিবা ১১/৩৭। সূর্যোদয় ৪/৫৮/১৯, সূর্যাস্ত ৬/২০/৫১। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪০ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/৩ গতে ৯/১১ মধ্যে পুনঃ ১২/১ গতে ২/৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৪ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ প্রাতঃ ৫/৫২ মধ্যে পুনঃ ৯/২৬ গতে ১১/১২ মধ্যে। বারবেলা ৩/০ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১২/৫৯ মধ্যে। 
১২ আষাঢ়, ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪। ষষ্ঠী রাত্রি ৬/৩১। শতভিষা নক্ষত্র দিবা ১/৫৭। সূর্যোদয় ৪/৫৭, সৃর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৩/৪২ গতে ৬/২৪ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৪ গতে ৯/১ মধ্যে ও ১২/৪ গতে ২/১২ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৪/৫৮ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৫/৫৬ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১১/১৬ মধ্যে। কালবেলা ৩/২ গতে ৬/২৪ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/০ মধ্যে।  
২০ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ইংল্যান্ডকে ১৭২ রানের টার্গেট দিল ভারত

12:07:02 AM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ১০ রানে আউট অক্ষর, ভারত ১৭০/৭ (১৯.৫ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

12:03:49 AM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ০ রানে আউট দুবে, ভারত ১৪৬/৬ (১৭.৫ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

11:52:40 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ২৩ রানে আউট হার্দিক, ভারত ১৪৬/৫ (১৭.৪ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

11:50:48 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: ভারত ১৩২/৪ (১৭ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

11:48:10 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ সেমি ফাইনাল: বৃষ্টির জেরে বন্ধ ম্যাচ, ভারত ৬৫/২ (৮ ওভার), বিপক্ষ ইংল্যান্ড

10:01:26 PM