Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদি কার ‘অবতার’, হিরণ্যকশিপু না হিটলার?
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন এখন একেবারে শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে। পুরো নির্বাচনী প্রচারে বারবার প্রধানমন্ত্রীর তাল কেটেছে। এক এক পর্যায়ের নির্বাচনের পর তিনি মুখ খুললেই নানা বিতর্কিত কথা বেরিয়ে এসেছে। তাই নিয়ে মানুষের মনে এক তিক্ত অনুভূতির জন্ম হয়েছে। সর্বত্র মানুষ বলছেন, প্রধানমন্ত্রী একটি মর্যাদাসম্পন্ন পদে অধিষ্ঠান করে কীভাবে এমন সব কুকথা বলতে পারেন! আসলে নির্বাচনে বিজেপি যতই পিছিয়ে পড়ছে, মোদিজির হাত থেকে খেলা বেরিয়ে যাচ্ছে, ততই তিনি অস্থির হয়ে বেফাঁস কথা বলে ফেলছেন। মুসলমান, মঙ্গল সূত্র নিয়ে যা বলেছিলেন, তার মধ্যে ছিল হিংসা ছড়ানোর কথা, বিচ্ছিন্নতার ঘোলাজলে মাছ ধরার কথা। কিন্তু দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদির পাতা ফাঁদে পা দেননি। নিজের দশ বছরের ব্যর্থতা ঢাকতে ভোটের ইস্যু হিসাবে তিনি হিন্দুত্বের পাশা খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সবক্ষেত্রে এমন প্রয়াস সফল হয় না। মানুষ এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জবাব চাইছেন মোদির কাছে। আপনি কী করেছেন দেশের জন্য? সত্যি কথা বলতে কী, তার জবাব মোদির কাছে কিংবা তাঁর অন্ধ ভক্তদের কাছে নেই। তাই আবার পাশার চালে উল্টো দান দিলেন। তিনি নিজেকে বললেন, তিনি এই পৃথিবীতে জন্মেছেন, কিন্তু কোনও জৈবিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভ্রূণ সৃষ্টি হয়নি। তিনি যেন দৈব প্রেরিত! ‘আমি ঈশ্বরের অংশ।’ এই কথায় মনে পড়ে যাচ্ছে, হিটলারও এমন কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমায় ঈশ্বর যেমন নির্দেশ দেন, আমি সেই নির্দেশ মতোই কাজ করি।’ কী আশ্চর্য মিল!   
ওদিকে ওড়িশার বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র বলে বসলেন, প্রভু জগন্নাথ হলেন মোদিজির ভক্ত। ভেবে দেখুন, কতটা ঔদ্ধত্য মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হলে তিনি ভাবতে পারেন, ভগবান কোনও মানুষের ভক্ত! পরে সম্বিত ক্ষমা চাইলেও যা সর্বনাশ হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ওড়িশার মানুষ এর যোগ্য জবাব দিচ্ছেন ভোটবাক্সে। তাঁদের কাছে ভগবান জগন্নাথদেব কতটা প্রাণের ঠাকুর, সেই বোধটুকুও নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কায় গেরুয়াবাবুরা হারিয়ে ফেলেছেন। 
এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজা হিরণ্যকশিপুর গল্প মনে পড়ে গেল। অসুররাজ হিরণ্যকশিপু ছিলেন একজন অতি বলদর্পী রাজা। তিনি নিজেকে ঈশ্বরের থেকেও শক্তিশালী ভাবতে শুরু করেন। ভাই হিরণ্যাক্ষের মৃত্যুর কারণে তিনি বিষ্ণুকে পরম শত্রু বলে মনে করতেন। তাঁর রাজ্যে বিষ্ণুপুজো নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু তাঁর শিশুপুত্র প্রহ্লাদ ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। এজন্য রাজা পুত্রকে হত্যার আদেশ দেন। বারবার চেষ্টা করেও প্রহ্লাদকে মারতে অক্ষম হন রাজা। রাজা এর কারণ জানতে চান। প্রহ্লাদ বলেন, তাঁকে ভগবান বিষ্ণু বারবার বাঁচিয়েছেন। রাজা ক্রুদ্ধ হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমার বিষ্ণুর অবস্থান কোথায়?’ প্রহ্লাদ বলেন, ‘সর্বত্র।’ রাজা জিজ্ঞাসা করেন, ‘এই বড় স্ফটিকস্তম্ভের মধ্যে তোমার বিষ্ণু আছে?’ প্রহ্লাদ বলেন, ‘হ্যাঁ।’ রাজা লাথি মেরে সেই স্ফটিক স্তম্ভ ভাঙতেই তার মধ্য থেকে বেরিয়ে আসে বিষ্ণুর নৃসিংহ অবতার। রাজা হিরণ্যকশিপুকে নিজের উরুর উপর ফেলে তাঁকে বধ করেন সেই অবতার। আসলে পুরাণের এই সব কাহিনির মধ্য দিয়ে নিজেদের ঔদ্ধত্যকে প্রশমিত করার শিক্ষাই দেওয়া হয়।  
সবাই যে সেই শিক্ষা গ্রহণ করেন তা নয়। ক্ষমতার দম্ভে অনেকের মধ্যেই প্রকাশিত হয় এই ঔদ্ধত্য। নরেন্দ্র মোদি যেভাবে নিজেকে ভাবতে শুরু করেছেন, একইভাবে নিজেদের মহাশক্তিমান মনে করতেন বহু শাসকই। পুরাণে দেখি অসুররা নিজেদের ভগবানের থেকেও বড় বলে মনে করতেন। মধ্যযুগের ইতিহাসে এমন অনেক রাজার নাম পাওয়া যায়। আধুনিক যুগে যে শাসকের মধ্যে এই প্রবণতা সবথেকে বেশি ছিল, তিনি হলেন হিটলার। 
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে মোদির বক্তৃতা একবার দেখুন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি দেশের মানুষের সেবক হতে চাই। আমাকে আপনারা একবার সেবা করার সুযোগ দিন।’ ২০১৯ সালে নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, ‘আমি দেশের চৌকিদার। সবাইকে রক্ষা করা আমার কাজ।’ ২০২৪ সালে এসে বিপাকে পড়ে এখন নিজেকে একজন ‘অবতার’ বলে মানুষের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে চাইছেন। সাবিত্রী দেবী মুখোপাধ্যায় নামে এক মহিলা ছিলেন নিও নাৎসিজিমের প্রবক্তা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ‘হিটলার হলেন বিষ্ণুর অবতার। তিনি এসেছেন কলিযুগে মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে। আসলে নাৎসিজিমের সঙ্গে হিন্দুইজমের ধর্মগত বা দর্শনগত কোনও পার্থক্য নেই।’ সত্যিই কি তাই? আসলে প্রকৃত হিন্দুধর্ম কখনওই বিজেপির হিন্দুত্বের সঙ্গে মেলে না। সেই নিও নাৎসিজমই কি তবে আজ নিও হিন্দুইজমের ভেক ধরে এসেছে? 
প্রকৃতপক্ষে হিটলারের মতো এই ধরনের মানসিকতাসম্পন্ন মানুষকে বলা হয় মেগালোম্যানিয়াক। বেশ কিছুক্ষেত্রে ডাক্তারি পরিভাষায় এই ধরনের মানসিকতাকে বলা হয় বলা হয় ডিলিউশন অব গ্র্যাঞ্জার। মূলত যেসব রোগী নিজেদের ভগবানের থেকেও ক্ষমতাসম্পন্ন বলে ভাবতে থাকেন, যাঁদের বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মানসিক ভারসাম্যের অভাব দেখা দেয়, তাঁদের এই ধরনের রোগী হিসাবে চিহ্নিত করেন চিকিৎসকরা। মানসিক ভারসাম্যের অভাব থেকে এই ধরনের বিভ্রম ঘটে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। চিকিৎসকরা বলেন, এই ধরনের রোগীদের অ্যাসাইলামে রেখে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। 
এই অবতার তত্ত্বের উপসংহার লিখতে সাধুরা দল বেঁধে পথে নামলেন। তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য, ভেঙে পড়া মোদির ভোট বাক্সকে চাঙ্গা করা। কিন্তু তা হওয়ার উপায় নেই। বেশ কয়েকটি ঘটনার পর কারও কারও সাধুত্ব নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে মানুষের মনে। আমাদের দেশে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু বিখ্যাত, ধনী গেরুয়া বসনধারী সাধুকে অসামাজিক কাজকর্ম করতে। অবশ্য প্রণম্য সাধু অসংখ্য রয়েছেন। তাহলে আমরা বিচার করব কীভাবে? গেরুয়া বসনের ভেক দেখলেই কি গদগদ হয়ে মাথা নত করব? না, আগে দেখতে হবে, সাধুর মনটা গেরুয়ায় রাঙানো কি না! তিনি ভক্তের জাত, ধর্ম, সম্প্রদায়, অর্থকৌলিন্য দেখেন কি না! আমি বহু গৃহী মানুষের মধ্যে সর্বত্যাগী ভাববৈরাগ্যের সাধুমনস্কতা যেমন দেখেছি, তেমনি বহু সাধুর গেরুয়ার আড়ালে কামিনী কাঞ্চনলোভী ভোগী পুরুষও দেখেছি। আসলে গেরুয়া পোশাকধারী ব্যক্তি মাত্রই যে একজন সৎ এবং দিব্যভাবসম্পন্ন মানুষ হবেন, এটা আদতে একটি মৌলবাদী ভাবনা। তাই কোনও অনৈতিক কারণে কোনও সাধু যখন গ্রেপ্তার হন, তখন তাঁর জন্য জন্য নিশ্চয়ই সমগ্র সাধুকূলের অসম্মান হয় না। কিংবা যখন কোনও সাধুর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে, তখনও সমগ্র সাধু সমাজ অবশ্যই অভিযুক্ত হয়ে যান না। সাধুরা তখন ঐক্যবদ্ধভাবে ‘গেল গেল’ রব করে পথেও 
নামেন না। এখন নেমেছেন, তার কারণ পিছনে বিজেপির খোঁচা আছে। এটাকে খড়কুটোর মতো ধরে শেষ ইস্যু করতে চাইছে বিজেপি। সন্দেশখালিকে ইস্যু করা যায়নি, অবতার ধাপ্পা ইস্যু হয়নি, মঙ্গলসূত্র ইস্যু হয়নি, হিন্দুত্ব ইস্যু হয়নি, মুজরোর কুৎসিত ইঙ্গিত ইস্যু হয়নি। কেননা এবারে ভোটের মধ্য দিয়ে মোদিজির কাছে মানুষ তর্জনী তুলে প্রশ্ন 
করছেন, চাকরির কী হল, মূল্যবৃদ্ধি দ্বিগুণেরও বেশি কেন হল? বিজেপির মধ্যে দুর্নীতির এত বাড়বাড়ন্ত কেন, অন্যের ঘরে কালো টাকা খুঁজছেন, তাহলে আপনার পার্টির ঘরে এত কালো টাকা কেন? সেসবের উত্তর খুঁজতে মোদিকে দৈব বৈরাগী সাজতে হচ্ছে। হতে পারেন, তিনি মানসিকভাবে সত্যিই একজন বৈরাগী। সেক্ষেত্রে তাঁর যোগ্য স্থান হল রামলালার মন্দির। সেখানে সারাদিন ভজন পূজন নিয়ে থাকুন। এমন মানসিকভাব সম্পন্ন মানুষ দেশের কাণ্ডারী হতে পারেন না। 
এবারের নির্বাচনে মোদি কতটা সফল হতে পারবেন, বোঝা যাবে ৪ জুন। তবে অনেকেই বলছেন, ওটাই বিজেপি সরকারের এক্সপায়ারি ডেট। এই পৃথিবীতে এখন মোদিকে রামচন্দ্র, হনুমান, শিবজি, গোমাতা বাঁচাবেন কি? একমাত্র বাঁচাতে পারে ইভিএমের কারসাজি। এছাড়া নেই কোনও পরিত্রাণ!
একটি স্বকপোল কল্পিত নকশা দিয়ে লেখাটা শেষ করি। একদিন স্বর্গলোকে বসে গল্প করছেন জগন্নাথ,  বলরাম ও সুভদ্রা। সুভদ্রা বললেন, ‘দাদা, আজ একটা নতুন কথা জানলাম। তুমি নাকি মোদির ভক্ত?’ জগন্নাথ হেসে বললেন, ‘হ্যাঁ মর্তলোকে সবাই আমার ফ্যান, আর আমি মোদির ফ্যান।’ সুভদ্রা বললেন, ‘দাদা, তুমি এই ঔদ্ধত্য সহ্য করলে?’ বলরাম বললেন, ‘সেই কথাটা জানিস তো? তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে!’ জগন্নাথ হেসে বললেন, ‘ওটা ছিল পুরাণতন্ত্রের কথা। এখন গণতন্ত্রে বলে, তোমারে বধিবে যে ইভিএমে বাড়িছে সে!’ 
29th  May, 2024
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
 নিয়োগ মামলা: সিপিএমের দু’মুখো নীতি
তন্ময় মল্লিক
 

অনেকেই বলছেন, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও এসএফআইয়ের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ বিকাশবাবু গোড়া থেকেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ প্রমাণে মরিয়া।
বিশদ

01st  February, 2025
মধ্যবিত্ত কারা? বাজেট তাদের কী দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যবিত্ত  চেনার উপায় কী? এই শ্রেণি সর্বদাই সবথেকে বেশি পছন্দ করে অন্যকে দুটি জিনিস দিতে। পরামর্শ এবং ওপিনিয়ন বা মতামত। সবথেকে পছন্দ করে কেউ যদি তাঁর কাছে জানতে  চায়, আমার এরকম একটি সমস্যা হয়েছে, কী করি বলুন তো?
বিশদ

31st  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

30th  January, 2025
বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
একনজরে
গ্রামীণ সড়ক তৈরির টাকা দীর্ঘদিন আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যজুড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিল নবান্ন। ...

দীর্ঘদিন আগে গাজল থেকে হিলি পর্যন্ত ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়ককে ফোরলেন করার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকার এখনও জমি দেয়নি। যার জেরে দীর্ঘসময় সময় ধরে প্রকল্পের কাজ ঝুলে রয়েছে। ...

জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগে একের পর কোম্পানিকে নাস্তানাবুদ করেছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে ভারতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল এই মার্কিন শর্ট সেলার সংস্থা। সম্প্রতি এই সংস্থায় ঝাঁপ পড়েছে।  ...

মুর্শিদাবাদ জেলায় গতবারের থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ল। এ বছরও জেলায় ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবারের তুলনায় এবছর ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯২: টিপু সুলতান ব্রিটিশ ও হায়দারাবাদের নিজামের কাছে পরাজিত হয়ে মহীশূরের অর্ধেক এলাকা ব্রিটিশদের হাতে ছেড়ে দেন।
১৮৪০: টায়ারের উদ্ভাবক জন ব্যুও ডানলপের জন্ম 
১৮৮৯: গৌরহরি সেনের উদ্যোগে কলকাতার বিডন স্ট্রিটে ঐতিহাসিক চৈতন্য লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৯৪: বাংলার নারী আন্দোলনের অগ্রগণ্য কর্মী আশালতা সেনের জন্ম
১৯০০: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে পানামা খাল নিয়ে চুক্তি হয়।
১৯৩৭: চার্লি চ্যাপলিন অভিনীত প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মডার্ন টাইমস মুক্তি পায়
১৯৩৪: অভিনেতা সুজিত কুমারের জন্ম
১৯৭৬: অভিষেক বচ্চনের জন্ম
১৯৮৪: আর্জেন্তিনার ফুটবলার কার্লোস তেভেজের জন্ম
১৯৮৫:পর্তুগীজ ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জন্ম
১৯৮৮: কৌতুকাভিনেতা সন্তোষ দত্তের মৃত্যু
১৯৯০: ক্রিকেটার ভূবনেশ্বর কুমারের জন্ম
১৯৯২: ফুটবলার নেইমারের জন্ম
২০১৪: বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী যূথিকা রায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.১৮ টাকা ৮৭.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২৮ টাকা ১১০.০২ টাকা
ইউরো ৮৮.১৫ টাকা ৯১.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৩,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৩,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৯,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১২/৩৬। ভরণী নক্ষত্র ৩৫/৩৮ রাত্রি ৮/৩৩। সূর্যোদয় ৬/১৮/৪, সূর্যাস্ত ৫/২৩/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১০/০ গতে ১১/২৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৯ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪১ গতে ৩/৯ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪৯ গতে ১০/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪০ মধ্যে। 
২২ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  অষ্টমী রাত্রি ২/৫৯। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ১১/১২।  সূর্যোদয় ৬/২১, সূর্যাস্ত ৫/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ মধ্যে ও ৯/৫৩ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৩/১৬ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৪ গতে ৮/৫৩ মধ্যে ও ১/৫৩ গতে ৬/২০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫৩ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১১/৫২ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৩ মধ্যে।    
৬ শাবান।    

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বাংলার ভূয়সী প্রশংসা করলেন হেমন্ত সোরেন
বিজিবিএস ২০২৫-এ বক্তব্য রাখতে এসে বাংলার ভূয়সী প্রশংসা করলেন ঝাড়খণ্ডের ...বিশদ

04:06:53 PM

আমাদের রাজ্যে শিল্পস্থাপনের জন্য পাঁচ হাজার একর জমি রয়েছে: মমতা

04:05:00 PM

আমরা ভাগাভাগি করি না, একতায় বিশ্বাস করি: মমতা

04:04:00 PM

আমরা ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষণ চেয়েছি, কিন্তু কিছুই করা হয়নি, কেন্দ্রকে খোঁচা মমতার

03:59:00 PM

আমাদের দলে ৩৯.৫ শতাংশ মহিলা প্রতিনিধিত্ব রয়েছে: মমতা

03:57:00 PM

ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পে এক নম্বর বাংলা: মমতা

03:56:00 PM