Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মোদি কার ‘অবতার’, হিরণ্যকশিপু না হিটলার?
সন্দীপন বিশ্বাস

নির্বাচন এখন একেবারে শেষ লগ্নে এসে পৌঁছেছে। পুরো নির্বাচনী প্রচারে বারবার প্রধানমন্ত্রীর তাল কেটেছে। এক এক পর্যায়ের নির্বাচনের পর তিনি মুখ খুললেই নানা বিতর্কিত কথা বেরিয়ে এসেছে। তাই নিয়ে মানুষের মনে এক তিক্ত অনুভূতির জন্ম হয়েছে। সর্বত্র মানুষ বলছেন, প্রধানমন্ত্রী একটি মর্যাদাসম্পন্ন পদে অধিষ্ঠান করে কীভাবে এমন সব কুকথা বলতে পারেন! আসলে নির্বাচনে বিজেপি যতই পিছিয়ে পড়ছে, মোদিজির হাত থেকে খেলা বেরিয়ে যাচ্ছে, ততই তিনি অস্থির হয়ে বেফাঁস কথা বলে ফেলছেন। মুসলমান, মঙ্গল সূত্র নিয়ে যা বলেছিলেন, তার মধ্যে ছিল হিংসা ছড়ানোর কথা, বিচ্ছিন্নতার ঘোলাজলে মাছ ধরার কথা। কিন্তু দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী মোদির পাতা ফাঁদে পা দেননি। নিজের দশ বছরের ব্যর্থতা ঢাকতে ভোটের ইস্যু হিসাবে তিনি হিন্দুত্বের পাশা খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সবক্ষেত্রে এমন প্রয়াস সফল হয় না। মানুষ এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জবাব চাইছেন মোদির কাছে। আপনি কী করেছেন দেশের জন্য? সত্যি কথা বলতে কী, তার জবাব মোদির কাছে কিংবা তাঁর অন্ধ ভক্তদের কাছে নেই। তাই আবার পাশার চালে উল্টো দান দিলেন। তিনি নিজেকে বললেন, তিনি এই পৃথিবীতে জন্মেছেন, কিন্তু কোনও জৈবিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ভ্রূণ সৃষ্টি হয়নি। তিনি যেন দৈব প্রেরিত! ‘আমি ঈশ্বরের অংশ।’ এই কথায় মনে পড়ে যাচ্ছে, হিটলারও এমন কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমায় ঈশ্বর যেমন নির্দেশ দেন, আমি সেই নির্দেশ মতোই কাজ করি।’ কী আশ্চর্য মিল!   
ওদিকে ওড়িশার বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র বলে বসলেন, প্রভু জগন্নাথ হলেন মোদিজির ভক্ত। ভেবে দেখুন, কতটা ঔদ্ধত্য মানুষের মধ্যে সৃষ্টি হলে তিনি ভাবতে পারেন, ভগবান কোনও মানুষের ভক্ত! পরে সম্বিত ক্ষমা চাইলেও যা সর্বনাশ হওয়ার হয়ে গিয়েছে। ওড়িশার মানুষ এর যোগ্য জবাব দিচ্ছেন ভোটবাক্সে। তাঁদের কাছে ভগবান জগন্নাথদেব কতটা প্রাণের ঠাকুর, সেই বোধটুকুও নির্বাচনে ভরাডুবির আশঙ্কায় গেরুয়াবাবুরা হারিয়ে ফেলেছেন। 
এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজা হিরণ্যকশিপুর গল্প মনে পড়ে গেল। অসুররাজ হিরণ্যকশিপু ছিলেন একজন অতি বলদর্পী রাজা। তিনি নিজেকে ঈশ্বরের থেকেও শক্তিশালী ভাবতে শুরু করেন। ভাই হিরণ্যাক্ষের মৃত্যুর কারণে তিনি বিষ্ণুকে পরম শত্রু বলে মনে করতেন। তাঁর রাজ্যে বিষ্ণুপুজো নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু তাঁর শিশুপুত্র প্রহ্লাদ ছিলেন পরম বিষ্ণুভক্ত। এজন্য রাজা পুত্রকে হত্যার আদেশ দেন। বারবার চেষ্টা করেও প্রহ্লাদকে মারতে অক্ষম হন রাজা। রাজা এর কারণ জানতে চান। প্রহ্লাদ বলেন, তাঁকে ভগবান বিষ্ণু বারবার বাঁচিয়েছেন। রাজা ক্রুদ্ধ হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমার বিষ্ণুর অবস্থান কোথায়?’ প্রহ্লাদ বলেন, ‘সর্বত্র।’ রাজা জিজ্ঞাসা করেন, ‘এই বড় স্ফটিকস্তম্ভের মধ্যে তোমার বিষ্ণু আছে?’ প্রহ্লাদ বলেন, ‘হ্যাঁ।’ রাজা লাথি মেরে সেই স্ফটিক স্তম্ভ ভাঙতেই তার মধ্য থেকে বেরিয়ে আসে বিষ্ণুর নৃসিংহ অবতার। রাজা হিরণ্যকশিপুকে নিজের উরুর উপর ফেলে তাঁকে বধ করেন সেই অবতার। আসলে পুরাণের এই সব কাহিনির মধ্য দিয়ে নিজেদের ঔদ্ধত্যকে প্রশমিত করার শিক্ষাই দেওয়া হয়।  
সবাই যে সেই শিক্ষা গ্রহণ করেন তা নয়। ক্ষমতার দম্ভে অনেকের মধ্যেই প্রকাশিত হয় এই ঔদ্ধত্য। নরেন্দ্র মোদি যেভাবে নিজেকে ভাবতে শুরু করেছেন, একইভাবে নিজেদের মহাশক্তিমান মনে করতেন বহু শাসকই। পুরাণে দেখি অসুররা নিজেদের ভগবানের থেকেও বড় বলে মনে করতেন। মধ্যযুগের ইতিহাসে এমন অনেক রাজার নাম পাওয়া যায়। আধুনিক যুগে যে শাসকের মধ্যে এই প্রবণতা সবথেকে বেশি ছিল, তিনি হলেন হিটলার। 
২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে মোদির বক্তৃতা একবার দেখুন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমি দেশের মানুষের সেবক হতে চাই। আমাকে আপনারা একবার সেবা করার সুযোগ দিন।’ ২০১৯ সালে নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, ‘আমি দেশের চৌকিদার। সবাইকে রক্ষা করা আমার কাজ।’ ২০২৪ সালে এসে বিপাকে পড়ে এখন নিজেকে একজন ‘অবতার’ বলে মানুষের মনে বিশ্বাস সৃষ্টি করতে চাইছেন। সাবিত্রী দেবী মুখোপাধ্যায় নামে এক মহিলা ছিলেন নিও নাৎসিজিমের প্রবক্তা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হিটলার সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ‘হিটলার হলেন বিষ্ণুর অবতার। তিনি এসেছেন কলিযুগে মানুষকে বিপদ থেকে উদ্ধার করতে। আসলে নাৎসিজিমের সঙ্গে হিন্দুইজমের ধর্মগত বা দর্শনগত কোনও পার্থক্য নেই।’ সত্যিই কি তাই? আসলে প্রকৃত হিন্দুধর্ম কখনওই বিজেপির হিন্দুত্বের সঙ্গে মেলে না। সেই নিও নাৎসিজমই কি তবে আজ নিও হিন্দুইজমের ভেক ধরে এসেছে? 
প্রকৃতপক্ষে হিটলারের মতো এই ধরনের মানসিকতাসম্পন্ন মানুষকে বলা হয় মেগালোম্যানিয়াক। বেশ কিছুক্ষেত্রে ডাক্তারি পরিভাষায় এই ধরনের মানসিকতাকে বলা হয় বলা হয় ডিলিউশন অব গ্র্যাঞ্জার। মূলত যেসব রোগী নিজেদের ভগবানের থেকেও ক্ষমতাসম্পন্ন বলে ভাবতে থাকেন, যাঁদের বাস্তব পরিস্থিতির সঙ্গে মানসিক ভারসাম্যের অভাব দেখা দেয়, তাঁদের এই ধরনের রোগী হিসাবে চিহ্নিত করেন চিকিৎসকরা। মানসিক ভারসাম্যের অভাব থেকে এই ধরনের বিভ্রম ঘটে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। চিকিৎসকরা বলেন, এই ধরনের রোগীদের অ্যাসাইলামে রেখে চিকিৎসা করা প্রয়োজন। 
এই অবতার তত্ত্বের উপসংহার লিখতে সাধুরা দল বেঁধে পথে নামলেন। তাঁদের একটাই উদ্দেশ্য, ভেঙে পড়া মোদির ভোট বাক্সকে চাঙ্গা করা। কিন্তু তা হওয়ার উপায় নেই। বেশ কয়েকটি ঘটনার পর কারও কারও সাধুত্ব নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে মানুষের মনে। আমাদের দেশে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু বিখ্যাত, ধনী গেরুয়া বসনধারী সাধুকে অসামাজিক কাজকর্ম করতে। অবশ্য প্রণম্য সাধু অসংখ্য রয়েছেন। তাহলে আমরা বিচার করব কীভাবে? গেরুয়া বসনের ভেক দেখলেই কি গদগদ হয়ে মাথা নত করব? না, আগে দেখতে হবে, সাধুর মনটা গেরুয়ায় রাঙানো কি না! তিনি ভক্তের জাত, ধর্ম, সম্প্রদায়, অর্থকৌলিন্য দেখেন কি না! আমি বহু গৃহী মানুষের মধ্যে সর্বত্যাগী ভাববৈরাগ্যের সাধুমনস্কতা যেমন দেখেছি, তেমনি বহু সাধুর গেরুয়ার আড়ালে কামিনী কাঞ্চনলোভী ভোগী পুরুষও দেখেছি। আসলে গেরুয়া পোশাকধারী ব্যক্তি মাত্রই যে একজন সৎ এবং দিব্যভাবসম্পন্ন মানুষ হবেন, এটা আদতে একটি মৌলবাদী ভাবনা। তাই কোনও অনৈতিক কারণে কোনও সাধু যখন গ্রেপ্তার হন, তখন তাঁর জন্য জন্য নিশ্চয়ই সমগ্র সাধুকূলের অসম্মান হয় না। কিংবা যখন কোনও সাধুর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে, তখনও সমগ্র সাধু সমাজ অবশ্যই অভিযুক্ত হয়ে যান না। সাধুরা তখন ঐক্যবদ্ধভাবে ‘গেল গেল’ রব করে পথেও 
নামেন না। এখন নেমেছেন, তার কারণ পিছনে বিজেপির খোঁচা আছে। এটাকে খড়কুটোর মতো ধরে শেষ ইস্যু করতে চাইছে বিজেপি। সন্দেশখালিকে ইস্যু করা যায়নি, অবতার ধাপ্পা ইস্যু হয়নি, মঙ্গলসূত্র ইস্যু হয়নি, হিন্দুত্ব ইস্যু হয়নি, মুজরোর কুৎসিত ইঙ্গিত ইস্যু হয়নি। কেননা এবারে ভোটের মধ্য দিয়ে মোদিজির কাছে মানুষ তর্জনী তুলে প্রশ্ন 
করছেন, চাকরির কী হল, মূল্যবৃদ্ধি দ্বিগুণেরও বেশি কেন হল? বিজেপির মধ্যে দুর্নীতির এত বাড়বাড়ন্ত কেন, অন্যের ঘরে কালো টাকা খুঁজছেন, তাহলে আপনার পার্টির ঘরে এত কালো টাকা কেন? সেসবের উত্তর খুঁজতে মোদিকে দৈব বৈরাগী সাজতে হচ্ছে। হতে পারেন, তিনি মানসিকভাবে সত্যিই একজন বৈরাগী। সেক্ষেত্রে তাঁর যোগ্য স্থান হল রামলালার মন্দির। সেখানে সারাদিন ভজন পূজন নিয়ে থাকুন। এমন মানসিকভাব সম্পন্ন মানুষ দেশের কাণ্ডারী হতে পারেন না। 
এবারের নির্বাচনে মোদি কতটা সফল হতে পারবেন, বোঝা যাবে ৪ জুন। তবে অনেকেই বলছেন, ওটাই বিজেপি সরকারের এক্সপায়ারি ডেট। এই পৃথিবীতে এখন মোদিকে রামচন্দ্র, হনুমান, শিবজি, গোমাতা বাঁচাবেন কি? একমাত্র বাঁচাতে পারে ইভিএমের কারসাজি। এছাড়া নেই কোনও পরিত্রাণ!
একটি স্বকপোল কল্পিত নকশা দিয়ে লেখাটা শেষ করি। একদিন স্বর্গলোকে বসে গল্প করছেন জগন্নাথ,  বলরাম ও সুভদ্রা। সুভদ্রা বললেন, ‘দাদা, আজ একটা নতুন কথা জানলাম। তুমি নাকি মোদির ভক্ত?’ জগন্নাথ হেসে বললেন, ‘হ্যাঁ মর্তলোকে সবাই আমার ফ্যান, আর আমি মোদির ফ্যান।’ সুভদ্রা বললেন, ‘দাদা, তুমি এই ঔদ্ধত্য সহ্য করলে?’ বলরাম বললেন, ‘সেই কথাটা জানিস তো? তোমারে বধিবে যে গোকুলে বাড়িছে সে!’ জগন্নাথ হেসে বললেন, ‘ওটা ছিল পুরাণতন্ত্রের কথা। এখন গণতন্ত্রে বলে, তোমারে বধিবে যে ইভিএমে বাড়িছে সে!’ 
29th  May, 2024
নারায়ণমূর্তি, সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য বিতর্কিত নয়
পি চিদম্বরম

আমি সেই ব্যক্তিদের গুণমুগ্ধ, যাঁরা আমাকে ভাবতে প্রাণিত করেন। তাঁদের কিছু মতামতের সঙ্গে আমি একমত নাও হতে পারি কিন্তু খুশি যে তাঁরা আমাকে থামতে, চিন্তা এবং পুনরায় চিন্তা করতেও বাধ্য করেন। আমাদের চারপাশে এমন মানুষ খুব বেশি নেই।​​​​​​ 
বিশদ

দিল্লি এবারও ফাঁকি দেবে মোদিকে?
হিমাংশু সিংহ

ইস্তাহারই বলে দিচ্ছে বিজেপি ভয় পেয়েছে। এবারও পরাজয়ই দেওয়াল লিখন দিল্লিতে। নাহলে অন্তঃসত্ত্বা হলেই ২১ হাজার টাকা। প্রথম সন্তান হলে ৫ হাজার আর দ্বিতীয়টির ক্ষেত্রে ৬ হাজার দেওয়ার টোপ দিতে হয় সাংবাদিক সম্মেলন করে! বিশদ

19th  January, 2025
আর জি কর: সত্যি-মিথ্যের ফয়সালা আজই
তন্ময় মল্লিক

আজ বাংলার চিকিৎসক কন্যার নির্মম হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা। সেদিকেই গোটা দেশের নজর। অভয়ার নারকীয় হত্যাকাণ্ড নড়িয়ে দিয়েছিল প্রতিটি মানুষের হৃদয়। জাস্টিসের দাবিতে উত্তাল হয়েছিল কলকাতা। বিশদ

18th  January, 2025
ভোটে ত্রিমুখী লড়াইয়ের দিন শেষ
সমৃদ্ধ দত্ত

২০২৪ সাল ভারতীয় রাজনীতির ক্ষেত্রে কী কী ভবিষ্যদ্বাণী করে দিয়ে গেল? একঝাঁক। আগামী দিনের রাজনীতি কেমন চলবে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। প্রথমত, যা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই, সেটি হল, আবার কেন্দ্রে জোট রাজনীতি ফিরে এল। এবং এটাই চলবে। বিশদ

17th  January, 2025
বাংলাদেশ নিয়ে পাকিস্তান কেন এত তৎপর?
মৃণালকান্তি দাস

বাংলাদেশ ‘বিছরা হুয়া’ ভাই! কথাটা বলেছিলেন, পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ও বিদেশমন্ত্রী মহম্মদ ইসহাক দার। ‘বিছরা হুয়া’-র অর্থ, হারিয়ে যাওয়া। ২ জানুয়ারি ইসলামাবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই পাক মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন, বাংলাদেশকে সম্ভাব্য সব উপায়ে সহযোগিতা করবে পাকিস্তান। বিশদ

16th  January, 2025
ভারত-আমেরিকা একসঙ্গেই যাবতীয় চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করবে
এরিক গারসেটি

সেই কিশোর বয়সে প্রথম পা রাখি ভারতে। তখন তো ধারণাও করতে পারিনি যে কীভাবে এই দেশ একদিন আমার গোটা হৃদয়টাই গ্রাস করে নেবে। তাই মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে মেয়াদ শেষের সময় আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি— ভারতের কাছ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, শিক্ষা, এবং ভালোবাসার জন্য। বিশদ

16th  January, 2025
গঙ্গাসাগর মেলার জাতীয় স্বীকৃতি ন্যায্য দাবি
হারাধন চৌধুরী

কূর্মপুরাণে বলা হয়েছে, ‘সর্বত্র সুলভা গঙ্গা ত্রিষু স্থানেষু দুর্লভা।/ গঙ্গাদ্বারে প্রয়াগে চ গঙ্গাসাগরসঙ্গমে।।’ অর্থাৎ গঙ্গা সর্বত্র সুলভা হলেও হরিদ্বার, প্রয়াগ ও গঙ্গাসাগর—এই তিন স্থানে অতিশয় দুর্লভা। দুর্লভ বস্তুর প্রতিই তো মানুষের আকর্ষণ সর্বাধিক। এছাড়া গঙ্গাই ভারতভূমির আত্মা। বিশদ

15th  January, 2025
‘আবার তোরা মানুষ হ’
শান্তনু দত্তগুপ্ত

অশ্বত্থতলার মোড়ে গেলে এখনও কি ওই নুড়িটা দেখতে পাওয়া যাবে? মাপ করবেন। শিবরাম চক্কোত্তি মহাশয় নিজেই শেষে মত বদল করেছিলেন, আর আমরা তো নেহাৎ ছারপোকা। মনে পড়ল? ওই যে লেখকের হোঁচট-সঙ্গী পাথরটি... উপড়ে একপাশে রেখেছিলেন লেখক। বিশদ

14th  January, 2025
‘ভাইস চ্যান্সেলর’ হবেন ইউজিসির ‘ভাইসরয়’! 
পি চিদম্বরম

প্রকৃতপক্ষে সব সরকারেরই অধিক ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা থাকে। তাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ এবং কর্তৃত্ব নিশ্চিত করার জন্য তারা নতুন নতুন আইন তৈরি করে। এর কারণ এটাই যে শাসকরা ভাবেন, দেশ এবং জনগণের জন্য কোনটা ভালো তা কেবল তাঁরাই জানেন।
বিশদ

13th  January, 2025
স্বামী বিবেকানন্দের হিন্দুত্বই একমাত্র মুক্তির পথ
হিমাংশু সিংহ

‘‘যখন নেতৃত্ব দিচ্ছ তখন সেবা করো, স্বার্থশূন্য হও।’’ এই উপদেশ তিনি দিয়েছিলেন স্বাধীনতার অর্ধশতক আগে। আজ যখন আমরা উন্নত ভারতের স্বপ্ন দেখি, সংবিধানের ৭৫ বছরে নানা বর্ণাঢ্য উৎসব করি, তখন তাঁর ওই ছোট্ট অথচ মহান উপদেশটা কি মনে রেখেছি? বিশদ

12th  January, 2025
গদি বাঁচাতেই যুদ্ধের জিগির, কিন্তু কতদিন?
তন্ময় মল্লিক

‘ভারত ওদের শত্রু এখন বন্ধু পাকিস্তান/ যারা একাত্তরে কেড়েছিল লাখো মা-বোনের সম্মান/ এই হানাদার আজ এই মাটিতে বেঁধেছে আবার ঘর/ ওই নরপশুদের বাবা-দাদা ছিল পাক সেনাদের চর।’ এই গানের রচিয়তা ভারতবর্ষের কোনও গীতিকার নন।
বিশদ

11th  January, 2025
হিন্দুত্ব প্রজেক্ট এবং ভারত-ব্র্যান্ডের ক্ষতি
সমৃদ্ধ দত্ত

দেওয়ালজুড়ে সাজানো হয়েছিল লাল রঙের লাভ সাইন আকৃতির বেলুন। শিশু ও বালক বালিকার দল নিজেদের মতো করে এঁকেছিল যিশুর ছবি। সকলেই পরেছিল সান্টাক্লজের লাল সাদা পোশাক। দিদিমণি এবং বাচ্চারা মিলে গা‌ই঩ছিল ক্রিসমাস ক্যারল। বিশদ

10th  January, 2025
একনজরে
ধান কেনায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে বীরভূম জেলা খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তর কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না। গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে এখনও অবধি প্রায় ১লাখ ৬৫হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। ...

বালুরঘাট শহরে জোড়া ব্রিজের কাছে আত্রেয়ী সংলগ্ন খাঁড়ি দখল করে নির্মিত হচ্ছে দোকান। যা নিয়ে সরব হন শহরের মানুষ। সেই খবর ‘বর্তমান’-এ প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসল সেচদপ্তর। ...

ধর্মের জিগির তো ছিলই। এবার অস্ত্রের ঝনঝনানির ইঙ্গিত দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার! হিন্দুদের বাড়িতে ধারালো অস্ত্র রাখার নিদান দিলেন তিনি। ...

ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে আপাতত যুদ্ধ বন্ধ হল। সংঘর্ষবিরতির শর্ত অনুযায়ী, রবিবার হামাসের পক্ষ থেকে তিন মহিলা পণবন্দির নাম প্রকাশ করা হয়। পরে তাঁদের রেড ক্রসের প্রতিনিধিদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে অর্থাগমের সম্ভাবনা।  সন্তানের কর্ম প্রাপ্তির সুখবর পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে জটিলতা কিছুটা ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১২৬৫:  ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়
১৮১৭: হিন্দু কলেজের (বর্তমান প্রেসিডেন্সি কলেজ) যাত্রা শুরু
১৮৭০:  বেঙ্গল গেজেট প্রথম প্রকাশিত হয়
১৮৭১: শিল্পপতি রতনজি টাটার জন্ম
১৮৯২: আমেরিকার স্প্রিং ফিল্ডে প্রথম বাস্কেটবল খেলা হয়
১৯০৫: দক্ষিণ আফ্রিকার ট্রান্সভালের প্রিমিয়ার খনিতে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হীরা পাওয়া যায়। যার ওজন ছিল ৩.১০৬ ক্যারেট
১৯৩৪: আলোকচিত্র এবং ইলেকট্রনিকস্ কোম্পানী হিসেবে ফুজিফিল্ম কোম্পানীর যাত্রা শুরু
১৯৭২: নতুন রাজ্য হল অরুণাচল প্রদেশ ও মেঘালয়
১৯৮৪: বিশ্বের সেরা সাঁতারু ও টারজান চরিত্রাভিনেতা জনি ওয়েসমুলারের মৃত্যু
১৯৯৩: মার্কিন অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের মৃত্যু
১৯৯৫: তাজমহলকে পরিবেশ দূষণের হাত থেকে রক্ষাকল্পে ৮৪ টি শিল্প কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়
২০০৯: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম এবং প্রথম আফ্রো-আমেরিকান রাষ্ট্রপতি হিসেবে বারাক ওবামার শপথ গ্রহণ
২০২১: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯তম উপ রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রথম নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস এর শপথ গ্রহণ।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৭৮ টাকা ৮৭.৫২ টাকা
পাউন্ড ১০৩.৬৮ টাকা ১০৭.৩৮ টাকা
ইউরো ৮৭.৬০ টাকা ৯০.৯৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
19th  January, 2025
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৯,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৯,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৫,৯০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৮৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৯৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
19th  January, 2025

দিন পঞ্জিকা

৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী ৯/০, দিবা ৯/৫৯। হস্তা নক্ষত্র ৩৮/১৮ রাত্রি ৮/৩০। সূর্যোদয় ৬/২২/৫৭, সূর্যাস্ত ৫/১২/৩০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৯ মধ্যে পুনঃ ১০/৪৩ গতে ১২/৫২ মধ্যে। রাত্রি ৬/৫ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১১/২১ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/২ গতে ৪/২৮ মধ্যে। বারবেলা ৭/৪৪ গতে ৯/৫ মধ্যে পুনঃ ২/২৯ গতে ৩/৫০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৮ মধ্যে। 
৬ মাঘ ১৪৩১, সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২৫। ষষ্ঠী দিবা ৯/১৭। হস্তা নক্ষত্র ৮/১০। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১১। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৮ মধ্যে ও ১০/৪৪ গতে ১২/৫৭ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৪৯ মধ্যে ও ১১/২৫ গতে ২/৫২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। কালবেলা ৭/৪৭ গতে ৯/৭ মধ্যে ও ২/৩০ গতে ৩/৫১ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/৯ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। 
১৯ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
পার্ক সার্কাসে অগ্নিকাণ্ড: স্বাভাবিক হল রেল পরিষেবা

06:22:00 PM

সইফকে দেখতে হাসপাতালে পৌঁছলেন সঞ্জয় দত্ত

06:18:00 PM

যন্ত্র বিকল,  বন্ধ অস্ত্রোপচার
অপারেশন টেবিলে যন্ত্র বিকল হয়ে গেল। ফলে মাঝপথেই এক রোগীর ...বিশদ

05:45:00 PM

পার্ক সার্কাসে স্টেশন লাগোয়া চত্বরে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ১৪টি ইঞ্জিন

05:35:32 PM

পার্ক সার্কাসে অগ্নিকাণ্ডের জেরে ব্যাহত ট্রেন পরিষেবা

05:19:00 PM

 পার্ক সার্কাসে আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছল দমকলের আরও ৪টি ইঞ্জিন

05:16:00 PM