Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? উত্তরটা খুব দ্রুত খুঁজতে হয়েছিল শীর্ষ নেতৃত্বকে। অনেক হিসেব কষে কংগ্রেসের সভাপতি কামরাজ যখন ইন্দিরা গান্ধীর নাম প্রস্তাব করলেন, দলের একটা বড় অংশ বেঁকে বসতে চাইল। কামরাজ জানতেন এমনটা হবে। তাই আগে থেকেই ঘুঁটি সাজিয়ে রেখেছিলেন। দেশের অধিকাংশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের দিয়ে সেই প্রস্তাবে সিলমোহর দেওয়ার আয়োজন সেরে রেখেছিলেন কামরাজ। ফলে গুলজারিলাল নন্দাকে টপকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কুর্সি দখল করেন ইন্দিরা। গুলজারিলাল নন্দার ব্যাপারে কামরাজের ব্যাখ্যা ছিল, ‘হি উইল রুইন দ্য পার্টি’। কিন্তু ইন্দিরা-বিরোধীরা তখন কামরাজকে বলেছিলেন, ‘শি উইল রুইন দ্য কান্ট্রি’। শোনেননি কামরাজ। ইন্দিরাও জানতেন, তাঁর এই যাত্রাপথ খুব সহজ হবে না। নিজেকে জনগণের সামনে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তার জন্য সবার আগে সমাধান করতে হবে খাদ্য সঙ্কটের। আর সেইসঙ্গে পাবলিককে বোঝাতে হবে, ইন্দিরা ছাড়া বিকল্প নেই। কৌশল নিলেন প্রিয়দর্শিনী—মাসে একবার করে জাতির উদ্দেশে ভাষণ... ইন্দিরার ‘মন কী বাত’।
নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস-মুক্ত ভারত গড়ার জন্য দিনরাত এক করে ফেলতে পারেন, ইন্দিরাকে কিন্তু তিনি মুছে ফেলতে পারেননি। পারবেনও না। প্রতি পদক্ষেপে মোদি মনে করিয়েছেন ইন্দিরাকে। এবারও তাঁর পিছনে ছুটে চলেছেন মোদি। তৃতীয় ইনিংস। তাহলেই স্পর্শ করে ফেলবেন দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রীর রেকর্ড। তিনটি শর্ত মেনে চলতেন ইন্দিরা—১) আগ্রাসন, ২) মানুষের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে যাওয়া, ৩) পাকিস্তান বিরোধিতা। তিনি জানতেন, সরকারের যাবতীয় খামতি এই তিন ফর্মুলাই ঢেকে দেবে। নরেন্দ্র মোদি খুব ভালো শিক্ষার্থী। ইন্দিরার থেকে এগুলো সযত্নে তুলে নিয়েছেন তিনি। নিতে পারেননি একটি আদর্শ... দেশবাসী সমস্যায় পড়লে প্রধানমন্ত্রীর কর্তব্য তাদের পাশে দাঁড়ানো। শুধু মুখে বলে নয়, পদক্ষেপ নিয়ে। কুর্সিতে বসার পরই আকাশে কালো মেঘ হয়ে দেখা দিয়েছিল খাদ্যসঙ্কট। দেশের কোণায় কোণায় খাবারের হাহাকার, মানুষ পথে নেমে পড়ছে, শুরু হয়েছে আন্দোলন, খাবারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে নেমে জুটছে পুলিসের গুলি। ইন্দিরা বুঝেছিলেন, বিদেশি সাহায্য না পেলে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি সম্ভব নয়। সেই প্রথম আমেরিকার সঙ্গে শুরু হল ভারতের হৃদ্যতা। মূল সাহায্যটা মার্কিন সরকারই করল। কিন্তু পাল্টা একটি শর্তের মাধ্যমে। মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার দাম কমাতে হবে। খাদ্যসঙ্কট থেকে বাঁচার জন্য অন্য কোনও উপায় ইন্দিরার হাতে ছিল না। দেশের রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গেলেও সেই শর্তই মেনেছিলেন ইন্দিরা। ১৯৬৬ সালের ৬ জুন—ইন্দিরার ভারত ঘোষণা করল, মার্কিন ডলারের নিরিখে ৫৭ শতাংশ অবমূল্যায়ন ঘটছে ভারতীয় মুদ্রার। অর্থাৎ এক মার্কিন ডলার হচ্ছে সাড়ে ৭ টাকা। ভারতীয় মুদ্রার দাম কমল, কিন্তু দুর্ভিক্ষের ভারতে খাবারের জোগান এল। 
ইন্দিরার বহু কৌশল নিখুঁত ফটোকপি করে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। মন কী বাত, পাবলিককে কানেক্ট করা, একনায়কতান্ত্রিক গণতন্ত্র এবং বিরোধীদের অভিযোগ মতো ‘অঘোষিত ইমার্জেন্সি’। কিন্তু মানুষের স্বার্থে ইন্দিরা গান্ধীর মতো কোন পদক্ষেপটা নিয়েছেন মোদিজি? করোনাকালের আগে থেকেই আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে দেশ। মহামারী বিদায় নিয়েছে, কিন্তু ভাগ্য ফেরেনি ভারতবাসীর। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসার যে কোনও লক্ষণ নেই, সেটা রিজার্ভ ব্যাঙ্কও স্বীকার করছে। মানছেন না শুধু মোদিজি। তিনি বলে বেড়াচ্ছেন, সব নিয়ন্ত্রণে আছে। তাহলে যে মধ্যবিত্ত ১০ বছর আগে ২৮ টাকায় চাল কিনত, সেই চালই এখন তাঁকে ৬৫ টাকা কেজিতে কিনতে হয় কেন? 
জওহরলাল নেহরু তাঁর মেয়েকে জাতীয় রাজনীতিতে একটা বড়সড় ‘পুশ’ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই রকেট কিছুদূর যেতেই থমকে গিয়েছিল। ইন্দিরা জানতেন, এবার নিজস্ব জ্বালানি লাগবে। আর তার জন্য বাবার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে তাঁকে। এখানে প্রশ্ন হল, বাবার ছায়া থেকে বেরিয়ে কেন? নেহরুর লেগাসি তো চিরকাল বয়েছেন ইন্দিরা। প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে তাঁর সুযোগও বাবার হাত ধরে। তাহলে ছায়া থেকে বেরনো কেন? কারণ নেহরুর মৃত্যুর পর ইন্দিরা হাড়ে হাড়ে বুঝেছিলেন, শুধুমাত্র বাবার নাম থাকলেই হবে না। সেটাই বরং তাঁকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেবে। তাই নিজের জমি বানাতে হবে। নেহরুর জুতো থেকে পা বের করে ভাবতে হবে। সেটাই করেছিলেন ইন্দিরা। তাই যে কয়েকজন মহিলা ভারতীয় রাজনীতির ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, নিঃসন্দেহে তাঁদের প্রথম নাম ইন্দিরা।
মোদিজি কিন্তু ইন্দিরার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। বলা ভালো, আসতে চাননি। ইন্দিরার বেলায় যদি নেহরুর সিঁড়ি থাকে, মোদির জন্য লিফটের ব্যবস্থা করেছে সঙ্ঘ। তাই গোধরা কাণ্ডের পরও মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়নি তাঁকে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও পথ তাঁর মসৃণই ছিল। তিনি বুঝেছিলেন, সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নিতে হবে। গণতন্ত্র থাকবে, কিন্তু রাশ থাকবে একজনের মুঠোয়। কোন ফর্মুলায়? ইন্দিরার। আর যদি জোটের গলায় লাগাম পরাতে হয়? তাহলে অবশ্য ইন্দিরা নন, তাঁর পুত্রবধূ... সোনিয়া গান্ধী। 
নেহরুর মৃত্যুর পর বিস্তর কাটাছেঁড়া হয়েছিল ইন্দিরাকে নিয়ে। জওহরলাল নেহরু প্রধানমন্ত্রী পদে ‘ইন্দু’কে বসানোর জন্য কামরাজকে বলে গেলেও সেই পথে হাঁটেননি কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি। ইন্দিরা সবটা দেখেছিলেন, বুঝেছিলেন এবং তা সত্ত্বেও বিবাদে যাননি। কোনও পক্ষ না নিয়ে শুরু করেছিলেন প্রতীক্ষা। সঠিক সময়ের। কিন্তু ইন্দিরা ভাবেননি, ৩০ বছর পর তাঁর পুত্রবধূকে নিয়েও কাটাছেঁড়া শুরু হবে। কংগ্রেসের অন্দরে। বাইরেও। একটি ইস্যু মাথাচাড়া দিয়ে কংগ্রেসকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেবে—বিদেশিনী। শাশুড়ির ভয়াবহ মৃত্যু থেকে ধাতস্থ হতে সময় লেগেছিল সোনিয়ার। কিন্তু স্বামীকেও এভাবে হারাতে হবে! দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি তিনি। কয়েকদিন আগেই ২৩তম বিবাহবার্ষিকী ছিল তাঁদের। তেহরানের রেস্তরাঁয় ডিনার সেরেছিলেন দু’জন। ছেলেমেয়ে অ্যাডাল্ট হয়েছে। ছেলে হার্ভার্ড থেকে পড়াশোনা শেষ করে ফিরছে। বুড়ো হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছেন তাঁরা... সময়টা উপভোগ করছিলেন দু’জনই। এলটিটিই হানায় সেই সময় যে হঠাৎ ফুরিয়ে গেল! শরীরের টুকরোগুলো এক জায়গায় করার সময় রাজীবের হাসিমুখটা মনে পড়ছিল সোনিয়ার। ফিরে এসেছিল ছোটবেলার সেই সঙ্গী... হাঁপানি রোগটা। জন্মভূমিতে ফিরে যেতে পারতেন, কিন্তু যাননি। ভারতই যে তাঁর নিজের দেশ হয়ে গিয়েছিল। কংগ্রেসের সভানেত্রীর পদের জন্য তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ’৯১ সালেই। ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সোনিয়া। হতে চাননি প্রধানমন্ত্রীও। সময়ের প্রয়োজন ছিল তাঁর। কয়েকটা বছর। অপেক্ষা করছিলেন তিনিও। সঠিক সময়ের। সীতারাম কেশরীর বিরুদ্ধে যখন বিদ্রোহ বাড়ছে... একে একে দল ছাড়ছেন মাধবরাও সিন্ধিয়া, এন ডি তিওয়ারি, পি চিদম্বরমরা... হাল ধরেছিলেন তিনি। গুছিয়ে উঠতে কয়েকটা বছর। তারপর ২০০৪ সালের মাস্টারস্ট্রোক। জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনিই ছিলেন অটোমেটিক চয়েজ। কিন্তু না। প্রত্যাখ্যান করলেন সোনিয়া। চমকে উঠল গোটা বিশ্ব। মনমোহন সিংকে বসালেন ক্ষমতার মাউন্ট এভারেস্টে। দ্বিতীয়বার নারীশক্তি হল ভারতীয় রাজনীতির নেপথ্য-পরিচালক। ‘ফ্যাক্টর’ও।
কংগ্রেসে সীতারাম কেশরীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আঁচে আরও একজন সেই সময় দল ছেড়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবা, মা, শাশুড়ি... নামজাদা কোনও হাত তাঁর মাথায় আশীর্বাদের মতো ছিল না। বিদেশি কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিও ছিল না ঝুলিতে। সামান্য নিম্নবিত্ত ঘর থেকে উঠে আসা দলীয় কর্মী। সম্বল বলতে মাটির সঙ্গে যোগ, আর অসম্ভব টেনাসিটি। লেগে থাকার ক্ষমতা। শেষ না দেখা পর্যন্ত হাল ছাড়তেন না তিনি। এখনও ছাড়েন না। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে বিশ্বস্ত কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে তৈরি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস। স্বপ্ন দেখলেন, ‘সিপিএমের অপশাসন থেকে মুক্ত করব বাংলাকে’। বছরের পর বছর কেটে গেল, স্বপ্ন সফল হল না। সিপিএম একের পর এক আঁকাবাঁকা স্লোগান তৈরি করল মমতার নামে। তিনি তাও হাল ছাড়লেন না। পাঁচ বছরের মধ্যে ২৩৫ আর ৩৫-এর ফারাক ঘুচে গেল। সেই সিপিএম এখন বাংলা বিধানসভায় শূন্য। আর মমতা জাতীয় রাজনীতিতে মহিলা হিসেবে ‘তৃতীয় ফ্যাক্টর’। আজ থেকে ৩০ বছর আগে তিনি মিশে যেতেন অজানা অচেনা ভিড়ের মাঝে। আজও যান। তখনও সাধারণ মানুষের জন্য তাঁর গলা গর্জে উঠত, আজও ওঠে। এখনও রাস্তার পাশে যন্ত্রণায় কাতর কোনও মুখ দেখতে পেলে গাড়ি থেমে যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। ১০ বছর বাংলার ক্ষমতায় থেকে সামাজিক সুরক্ষায় তাঁর অবদান কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ২ টাকা কেজি চাল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী। বহু বছর আগে তিনি বুঝেছিলেন, রাজনীতিতে নেতা নেত্রীদের থেকেও বড় ফ্যাক্টর ভোটার। আরও নিখুঁতভাবে বললে মহিলারা। ১৯৭১ সালে মাত্র ৪৮ শতাংশ মহিলা ভোট দিয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালেই পরিসংখ্যানটা পৌঁছে গিয়েছিল ৬০ শতাংশে। আর তার জন্য দায়ী ছিলেন শুধুই ইন্দিরা গান্ধী। তাঁর মৃত্যু। ১৯৯১ সালে কিন্তু আবার মহিলা ভোট নেমে গিয়েছিল ৫০ শতাংশে। ট্রেন্ডটা বদলাতে শুরু করে ২০০০ সালের পর। ২০১৪ সালে মোদি যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন, সেবার পুরুষদের ৬৭.১ শতাংশ ভোট দিয়েছিলেন, আর মহিলা ৬৫.৩ শতাংশ। মহিলারা যে ভোটের সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর, সেটা নরেন্দ্র মোদি বুঝেছেন একুশে বাংলার বিধানসভা ভোটের পর। শুধুমাত্র মহিলা ভোটই তাঁদের ২০০ পারের স্বপ্ন ধুলোয় মাখিয়ে দিয়েছে। তাই তিনি মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করিয়েছেন, এই ভোটের পুরো ফোকাস নিয়ে গিয়েছেন মা-বোনদের উপর। মমতার কথায় তাঁর দলের নেতারা নাক সিঁটকাতে পারেন, তাঁকে অনুসরণ করার ব্যাপারে কোনও ধন্দ তাঁরা রাখেন না। প্রকল্প থেকে আগ্রাসী প্রচার, মমতাকে আদর্শ না করলে হালে পানি পাওয়া মুশকিল। তাই মুখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ভিক্ষার টাকা বলেন, আর জিতে এলে ওটাই ৩ হাজার করে দেওয়ার প্রচার চালান। আম আদমি যদি প্রশ্ন করে, কোনটা মিথ্যা? তাহলে কি খুব অপরাধ হবে? মানুষ যদি মোদিজিকে জিজ্ঞেস করে গত ১০ বছরে কটা চাকরি হয়েছে, মানুষের মাথাপিছু আয় আদৌ বেড়েছে কি না, কিংবা আপনি দুটো ইনিংসে মন্দির বানানো ছাড়া আর কী করেছেন, তার উত্তর তৈরি আছে তো?
বাংলায় সভা করতে আসছেন মোদিজি। লাগাতার। তাঁর সভামঞ্চের সামনের দিকে বসানো হচ্ছে মহিলাদের, ঠিক মমতার মতো। এরপরও প্রশ্ন থাকছে—কোনটা স্বতঃস্ফূর্ত? সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী, তাঁদের প্রতিনিধিকে প্রার্থী করছেন। কিন্তু ভাবছেন না মহিলা অস্ত্রে মমতা ফ্যাক্টরকে জব্দ করা যাবে তো? চেষ্টা তাঁরা করছেন। করতেই পারেন। কিন্তু ফাঁক থেকে যাবে। কারণ, খেলাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগে শুরু করে দিয়েছেন। আপনারা যখন মাঠে নামছেন, অগ্নিকন্যার তখন পিচে হাত সেট হয়ে গিয়েছে। অনুসরণ হোক বা অনুকরণ, দিনের শেষে মানুষ ভাববেই... কী পেলাম, আর কার থেকে পেলাম। 
মমতা একটা কথা বলেন, মনে করবেন ৪২টা আসনেই প্রার্থী আমি। এখন মোদিও সেই কথা বলছেন। অনুসরণ? আসলে মোদি জানেন, প্রভাব বিস্তার করতে হবে। ফর্মুলা যারই হোক না কেন। ইন্দিরা নেই, সোনিয়া অসুস্থ, বাকি থাকলেন মমতা। এই টালিচালার বাসিন্দাকে আটকাতেই হবে। তৃতীয় ইনিংসের দম্ভে তিনি কিন্তু  দেখতে পাচ্ছেন না যে, ঝড় উঠে গিয়েছে। বাংলায়। আর দিল্লিতেও। মমতা আসরে নেমে পড়েছেন। রোগজীর্ণ শরীরে ঝলসে উঠেছেন সোনিয়া গান্ধীও। এখন ফ্যাক্টর?
বিপন্ন গণতন্ত্র।
09th  April, 2024
তৃতীয় দফায় তাল ঠুকছে সমীকরণ
শান্তনু দত্তগুপ্ত

আতাউর রহমান (নাম পরিবর্তিত) এখন বছরের বেশি সময়টাই থাকেন গুরুগ্রামে। যেদিকে চোখ যায়, আকাশের পথে পাড়ি দিচ্ছে একটার পর একটা বহুতল। বড় বড় সব প্রজেক্ট। আতাউর সেখানেই রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। ঠিকাদার সংস্থাই কাজ পাইয়ে দেয়। বিশদ

কংগ্রেসের ইস্তাহার মোদির হাতে মহিমান্বিত!
পি চিদম্বরম

সদিচ্ছা ও সহযোগিতার এক অভূতপূর্ব নিদর্শন রেখেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি দায়িত্ব নিয়ে কংগ্রেসের ইস্তাহারের পুনর্লিখন করেছেন। এবং, সেখানেই না থেমে তিনি তার সঙ্গে যোগ করেছেন তাঁর নিজস্ব ভাবনাচিন্তা এবং ধারণাগুলিকে।
বিশদ

29th  April, 2024
বিদ্বেষভাষণের কেন্দ্রে যখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী
হিমাংশু সিংহ

বিশ্বকাপ ফুটবলে এমন বহুবার হয়েছে। কাপ যুদ্ধ শুরুর ছ’মাস আগে থেকে সবাই বলেছে, ব্রাজিলই এবার সেরা। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার এক নম্বর দাবিদার। একটু তফাতে আর্জেন্তিনা। কিন্তু টুর্নামেন্ট এগতেই দেখা গেল অঘটনের ফেরে আচমকাই সেরা বাজি ছিটকে গেল। বিশদ

28th  April, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই বদলে দেবে অঙ্ক
তন্ময় মল্লিক

কৃষ্ণনগর পালপাড়া এলাকায় জাতীয় সড়কের ধারে একটি হোটেলে সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন মধুবাবু। শরীরে ছাপোষার ছাপ স্পষ্ট। একেবারে সাদাসিধে মানুষ। কথায় কোনও মারপ্যাঁচ নেই। ভোটের হাওয়া কোন দিকে জিজ্ঞাসা করায় গড় গড় করে বলে গেলেন নিজের কথা, ‘আগে সিপিএম করতাম, এখন বিজেপি। বিশদ

27th  April, 2024
টেনশন? এতটা মরিয়া কেন মোদি? 
সমৃদ্ধ দত্ত

এতটা নার্ভাস প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কোনওদিন লাগেনি। তিনি আসবেন দেখবেন জয় করবেন। তাঁর বক্তৃতা শুনতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে ভক্তরা অপেক্ষা করবে। মানুষ উদ্বাহু হয়ে জয়ধ্বনি দেবে প্রতিটি ঘোষণায়। মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখবেন তিনি তাঁর জাদুভাষণে। তিনি বিশ্বগুরু। তিনি হিন্দুহৃদয় সম্রাট।
বিশদ

26th  April, 2024
‘হিন্দু’ রাজেন্দ্রপ্রসাদ বনাম মোদির ‘হিন্দুত্ববাদ’
মৃণালকান্তি দাস

রাজেন্দ্রপ্রসাদ তিওয়ারি বিশ্বনাথ মন্দিরের প্রাক্তন মহন্ত। তাঁদের পরিবার কয়েক শতাব্দী ধরে শিবঠাকুরের এই পবিত্র বাসস্থানের দায়িত্বে। দেশে ‘মন্দির রাজনীতি’ নিয়ে সেই রাজেন্দ্রপ্রসাদও আজ বিরক্ত!
বিশদ

25th  April, 2024
ফৌজদারি অভিযোগ, না প্রার্থীর অলঙ্কার?
হারাধন চৌধুরী

ভারতের বহু মানুষ এখনও নিরক্ষর। সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, দেশে সাক্ষরতার হার ৭৭.৭০ শতাংশ। হলফ করে বলা যায়, দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্বাধীনতার অমৃতকালের কথা বলেন তখন নিশ্চয় তিনি এই তথ্য মনে রাখেন না। বিশদ

24th  April, 2024
দ্বিতীয় দফায় কতটা আত্মবিশ্বাসী বিজেপি?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভোটের মরশুম শুরুর আগে ‘মডেল রিসোর্স’ সংস্থা কলকাতায় একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। পুরোদস্তুর রাজনৈতিক ইস্যু। প্রশ্নের মুখে রাখা হয়েছিল সব বয়সের এবং সবরকম শিক্ষাগত যোগ্যতার মানুষকে। নানাবিধ জিজ্ঞাস্য। কিন্তু তার মধ্যে মোক্ষম একটি প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার মতে রামমন্দিরের জন্য ৬০০ কোটি টাকা খরচ করাটা কি যুক্তিসঙ্গত? বিশদ

23rd  April, 2024
ধর্মের নামে বজ্জাতির পরিণতি
পি চিদম্বরম

কংগ্রেস এবং বিজেপির ইস্তাহারের মধ্যে তুলনা করতে পারিনি বলে আমার গত সপ্তাহের কলামে আক্ষেপ করেছিলাম। আমার লেখার পরপরই অবশ্য ‘মোদি কি গ্যারান্টি’ নামে একটি ইস্তাহার বিজেপি প্রকাশ করে। এটা এখন ভীষণ রকমে স্পষ্ট যে বিজেপি আর একটি রাজনৈতিক দলমাত্র নয়, এটি একটি কাল্ট বা গোঁড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীর নাম।
বিশদ

22nd  April, 2024
মোদির ইস্তাহারে মানুষ ব্রাত্য, শুধুই ব্যক্তিপুজো
হিমাংশু সিংহ

ঘটা করে ইস্তাহার বেরিয়েছে গত রবিবার। প্রধানমন্ত্রীও ইতিমধ্যেই দেশের উত্তর থেকে দক্ষিণ জনসভার সংখ্যায় হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ছুটছেন। কিন্তু বাংলার গরিব মানুষের বকেয়া একশো দিনের কাজের টাকা ছাড়ার প্রতিশ্রুতি দিতে কেউ শুনেছেন একবারও? বিশদ

21st  April, 2024
লড়াইটা মোদির আমিত্বের বিরুদ্ধে
তন্ময় মল্লিক

অপেক্ষার অবসান। প্রথম দফার ২১টি রাজ্যের ১০২টি আসনের ভোট গ্রহণ শেষ। বাংলায় তিনটি। সবচেয়ে বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে বাংলায়। তারমধ্যে সর্বাধিক মোতায়েন ছিল অমিত শাহের ডেপুটি নিশীথ প্রামাণিকের নির্বাচনী কেন্দ্র কোচবিহারে। বুথ পাহারায় ‘দাদার পুলিস’।
বিশদ

20th  April, 2024
আজ থেকে পরীক্ষা শুরু তরুণদের
সমৃদ্ধ দত্ত

আপনাদের কাছে এই আজ থেকে যে মহাযুদ্ধ শুরু হচ্ছে, সেটি সবথেকে বড় অগ্নিপরীক্ষা। এটা মাথায় রাখবেন। আপনারা অর্থাৎ রাজ্যে রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় রাজনীতির তরুণ প্রজন্ম কতটা যোগ্য, কতটা আপনারা  নিজেদের প্রস্তুত করতে পারলেন এবং আগামী দিনে রাজ্যবাসী আপনাদের উপর কতটা বিশ্বাস, আস্থা কিংবা ভরসা করতে পারবে, মনে রাখবেন, সেই পরীক্ষাটি আজ থেকেই শুরু হচ্ছে। বিশদ

19th  April, 2024
একনজরে
জমি দুর্নীতি মামলায় ধৃত ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের জামিনের আবেদনের প্রেক্ষিতে ইডির জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে। আগামী ৬ মের মধ্যে এব্যপারে জবাব দিতে হবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী ...

‘মা-মাটি-মানুষ নিয়ে বাংলা আছে ভালো।’ এই থিম সং তৃণমূলের যে কোনও সভা শুরু হওয়ার আগেই শোনা যাচ্ছে। সেই সুরের যেন প্রতিধ্বনি শোনা গেল বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের চা চক্রে। অবাক মনে হলেও এটাই সত্যি। তবে তিনি তৃণমূলের থিম ...

আগামী দু’বছরের মধ্যে একটা ট্রফি জিততেই হবে বাবর আজমদের। ওডিআই ও টি-২০ ফরম্যাটে পাকিস্তানের প্রধান কোচের দায়িত্ব নেওয়ার পর ক্রিকেটারদের ...

পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ খানিকটা ম্রিয়মাণ। এখনও পর্যন্ত তিনি জনসভা করেছেন মাত্র দু’টি। তিনি মালদহে একটি রোড শোতে অংশ নিয়েছেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিমধ্যেই জনসভা করে ফেলেছেন ন’টি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সব কর্মেই অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। কর্মের পরিবেশে জটিলতা। মানসিক উত্তেজনা কমাতে চেষ্টা করুন। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস
১৬৩৯ - দিল্লির লালকেল্লার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়
১৮৪৮- শিল্পী রাজা রবি বর্মার জন্ম
১৯১৭ – সঙ্গীতবিশারদ দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯১৯ - জালিওয়ান ওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রিটিশ প্রদত্ত নাইট উপাধি ত্যাগ করেন
১৯১৯- বিশিষ্ট তবলাবাদক ওস্তাদ আল্লারাখার জন্ম
১৯৩৯- কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুভাষচন্দ্র বসু
১৯৪৫ -  জার্মান বাহিনীর মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ
১৯৪৫ – ইতালির একনায়ক মুসোলিনীর মৃত্যু
১৯৪৯ -  বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী উৎপলেন্দু চৌধুরীর জন্ম
১৯৫৪ -  ভারত ও চীনের মধ্যে পঞ্চশীল চুক্তি সম্পাদিত
১৯৭০ - টেনিস খেলোয়াড় আন্দ্রে আগাসির  জন্ম
১৯৮০ - চলচ্চিত্র নির্দেশক ও প্রযোজক স্যার আলফ্রেড যোসেফ হিচককের মৃত্যু
১৯৯৭ -   ব্রিটেন চীনের কাছে হংকংকে ফিরিয়ে দেয়
২০২০ - বিশিষ্টঅভিনেতা  ইরফান খানের মৃত্যু 

29th  April, 2024


ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৫৭ টাকা ৮৫.০০ টাকা
পাউন্ড ১০২.১২ টাকা ১০৬.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৭.৩৭ টাকা ৯১.৪১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭২,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৮১,৪৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। ষষ্ঠী ৪/৫৩ দিবা ৭/৬। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ৫৭/৩০ রাত্রি ৪/৯। সূর্যোদয় ৫/৮/৩৯, সূর্যাস্ত ৫/৫৯/৪। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৩ গতে ১০/১৭ মধ্যে পুনঃ ১২/৫১ গতে ২/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৩/২৫ গতে ৫/৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৭ গতে ১১/১২ মধ্যে পুনঃ ১/২৬ গতে ২/৫৬ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৫ গতে ৮/২১ মধ্যে পুনঃ ১/১০ গতে ২/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৪৬ মধ্যে। 
১৭ বৈশাখ, ১৪৩১, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪। সপ্তমী রাত্রি ২/৪৫। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র রাত্রি ১/৩৩। সূর্যোদয় ৫/৯, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৭ গতে ১০/১৪ মধ্যে ও ১২/৫১ গতে ২/৩৬ মধ্যে ও ৩/২৯ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/৪৯ মধ্যে ও ৯/০ গতে ১১/১১ মধ্যে ও ১/২২ গতে ২/৪৯ মধ্যে। বারবেলা ৬/৪৬ গতে ৮/২২ মধ্যে ও ১/১১ গতে ২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/২৪ গতে ৮/৪৭ মধ্যে। 
২০ শওয়াল।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আইপিএল: লখনউকে ১৪৫ রানের টার্গেট দিল মুম্বই

09:23:07 PM

আইপিএল: ৪৬ রানে আউট ওয়াধেরা, মুম্বই ১১২/৬ (১৭.১ ওভার),বিপক্ষ লখনউ

09:18:21 PM

আইপিএল: ১ রানে আউট নবি, মুম্বই ১২৩/৭ (১৮.১ ওভার),বিপক্ষ লখনউ

09:12:19 PM

আইপিএল: ৩২ রানে আউট ঈশান কিষান, মুম্বই ৮০/৫ (১৪ ওভার),বিপক্ষ লখনউ

08:49:28 PM

আইপিএল: মুম্বই ৬৫/৪ (১১ ওভার),বিপক্ষ লখনউ

08:45:55 PM

আইপিএল: ০ রানে আউট হার্দিক পান্ডিয়া, মুম্বই ২৭/৪ (৫.২ ওভার),বিপক্ষ লখনউ

08:17:17 PM