Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ফ্যাক্টর নারীশক্তি, গ্যারান্টিও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

জওহরলাল নেহরুর হাতে সময় যে বেশি নেই, তার আভাস অনেক আগে থেকেই পেয়েছিলেন কংগ্রেসের ‘বস’রা। তাই বছর দুয়েক ধরে নিজেদের গুছিয়ে নিতে পেরেছিলেন। বরং সময় দেননি লালবাহাদুর শাস্ত্রী। কে হবেন প্রধানমন্ত্রী? উত্তরটা খুব দ্রুত খুঁজতে হয়েছিল শীর্ষ নেতৃত্বকে। অনেক হিসেব কষে কংগ্রেসের সভাপতি কামরাজ যখন ইন্দিরা গান্ধীর নাম প্রস্তাব করলেন, দলের একটা বড় অংশ বেঁকে বসতে চাইল। কামরাজ জানতেন এমনটা হবে। তাই আগে থেকেই ঘুঁটি সাজিয়ে রেখেছিলেন। দেশের অধিকাংশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের দিয়ে সেই প্রস্তাবে সিলমোহর দেওয়ার আয়োজন সেরে রেখেছিলেন কামরাজ। ফলে গুলজারিলাল নন্দাকে টপকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কুর্সি দখল করেন ইন্দিরা। গুলজারিলাল নন্দার ব্যাপারে কামরাজের ব্যাখ্যা ছিল, ‘হি উইল রুইন দ্য পার্টি’। কিন্তু ইন্দিরা-বিরোধীরা তখন কামরাজকে বলেছিলেন, ‘শি উইল রুইন দ্য কান্ট্রি’। শোনেননি কামরাজ। ইন্দিরাও জানতেন, তাঁর এই যাত্রাপথ খুব সহজ হবে না। নিজেকে জনগণের সামনে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তার জন্য সবার আগে সমাধান করতে হবে খাদ্য সঙ্কটের। আর সেইসঙ্গে পাবলিককে বোঝাতে হবে, ইন্দিরা ছাড়া বিকল্প নেই। কৌশল নিলেন প্রিয়দর্শিনী—মাসে একবার করে জাতির উদ্দেশে ভাষণ... ইন্দিরার ‘মন কী বাত’।
নরেন্দ্র মোদি কংগ্রেস-মুক্ত ভারত গড়ার জন্য দিনরাত এক করে ফেলতে পারেন, ইন্দিরাকে কিন্তু তিনি মুছে ফেলতে পারেননি। পারবেনও না। প্রতি পদক্ষেপে মোদি মনে করিয়েছেন ইন্দিরাকে। এবারও তাঁর পিছনে ছুটে চলেছেন মোদি। তৃতীয় ইনিংস। তাহলেই স্পর্শ করে ফেলবেন দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রীর রেকর্ড। তিনটি শর্ত মেনে চলতেন ইন্দিরা—১) আগ্রাসন, ২) মানুষের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে যাওয়া, ৩) পাকিস্তান বিরোধিতা। তিনি জানতেন, সরকারের যাবতীয় খামতি এই তিন ফর্মুলাই ঢেকে দেবে। নরেন্দ্র মোদি খুব ভালো শিক্ষার্থী। ইন্দিরার থেকে এগুলো সযত্নে তুলে নিয়েছেন তিনি। নিতে পারেননি একটি আদর্শ... দেশবাসী সমস্যায় পড়লে প্রধানমন্ত্রীর কর্তব্য তাদের পাশে দাঁড়ানো। শুধু মুখে বলে নয়, পদক্ষেপ নিয়ে। কুর্সিতে বসার পরই আকাশে কালো মেঘ হয়ে দেখা দিয়েছিল খাদ্যসঙ্কট। দেশের কোণায় কোণায় খাবারের হাহাকার, মানুষ পথে নেমে পড়ছে, শুরু হয়েছে আন্দোলন, খাবারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে নেমে জুটছে পুলিসের গুলি। ইন্দিরা বুঝেছিলেন, বিদেশি সাহায্য না পেলে এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি সম্ভব নয়। সেই প্রথম আমেরিকার সঙ্গে শুরু হল ভারতের হৃদ্যতা। মূল সাহায্যটা মার্কিন সরকারই করল। কিন্তু পাল্টা একটি শর্তের মাধ্যমে। মার্কিন ডলারের তুলনায় টাকার দাম কমাতে হবে। খাদ্যসঙ্কট থেকে বাঁচার জন্য অন্য কোনও উপায় ইন্দিরার হাতে ছিল না। দেশের রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গেলেও সেই শর্তই মেনেছিলেন ইন্দিরা। ১৯৬৬ সালের ৬ জুন—ইন্দিরার ভারত ঘোষণা করল, মার্কিন ডলারের নিরিখে ৫৭ শতাংশ অবমূল্যায়ন ঘটছে ভারতীয় মুদ্রার। অর্থাৎ এক মার্কিন ডলার হচ্ছে সাড়ে ৭ টাকা। ভারতীয় মুদ্রার দাম কমল, কিন্তু দুর্ভিক্ষের ভারতে খাবারের জোগান এল। 
ইন্দিরার বহু কৌশল নিখুঁত ফটোকপি করে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। মন কী বাত, পাবলিককে কানেক্ট করা, একনায়কতান্ত্রিক গণতন্ত্র এবং বিরোধীদের অভিযোগ মতো ‘অঘোষিত ইমার্জেন্সি’। কিন্তু মানুষের স্বার্থে ইন্দিরা গান্ধীর মতো কোন পদক্ষেপটা নিয়েছেন মোদিজি? করোনাকালের আগে থেকেই আর্থিক সঙ্কটে ভুগছে দেশ। মহামারী বিদায় নিয়েছে, কিন্তু ভাগ্য ফেরেনি ভারতবাসীর। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে আসার যে কোনও লক্ষণ নেই, সেটা রিজার্ভ ব্যাঙ্কও স্বীকার করছে। মানছেন না শুধু মোদিজি। তিনি বলে বেড়াচ্ছেন, সব নিয়ন্ত্রণে আছে। তাহলে যে মধ্যবিত্ত ১০ বছর আগে ২৮ টাকায় চাল কিনত, সেই চালই এখন তাঁকে ৬৫ টাকা কেজিতে কিনতে হয় কেন? 
জওহরলাল নেহরু তাঁর মেয়েকে জাতীয় রাজনীতিতে একটা বড়সড় ‘পুশ’ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই রকেট কিছুদূর যেতেই থমকে গিয়েছিল। ইন্দিরা জানতেন, এবার নিজস্ব জ্বালানি লাগবে। আর তার জন্য বাবার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে তাঁকে। এখানে প্রশ্ন হল, বাবার ছায়া থেকে বেরিয়ে কেন? নেহরুর লেগাসি তো চিরকাল বয়েছেন ইন্দিরা। প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে তাঁর সুযোগও বাবার হাত ধরে। তাহলে ছায়া থেকে বেরনো কেন? কারণ নেহরুর মৃত্যুর পর ইন্দিরা হাড়ে হাড়ে বুঝেছিলেন, শুধুমাত্র বাবার নাম থাকলেই হবে না। সেটাই বরং তাঁকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেবে। তাই নিজের জমি বানাতে হবে। নেহরুর জুতো থেকে পা বের করে ভাবতে হবে। সেটাই করেছিলেন ইন্দিরা। তাই যে কয়েকজন মহিলা ভারতীয় রাজনীতির ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, নিঃসন্দেহে তাঁদের প্রথম নাম ইন্দিরা।
মোদিজি কিন্তু ইন্দিরার ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। বলা ভালো, আসতে চাননি। ইন্দিরার বেলায় যদি নেহরুর সিঁড়ি থাকে, মোদির জন্য লিফটের ব্যবস্থা করেছে সঙ্ঘ। তাই গোধরা কাণ্ডের পরও মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয়নি তাঁকে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরও পথ তাঁর মসৃণই ছিল। তিনি বুঝেছিলেন, সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে তুলে নিতে হবে। গণতন্ত্র থাকবে, কিন্তু রাশ থাকবে একজনের মুঠোয়। কোন ফর্মুলায়? ইন্দিরার। আর যদি জোটের গলায় লাগাম পরাতে হয়? তাহলে অবশ্য ইন্দিরা নন, তাঁর পুত্রবধূ... সোনিয়া গান্ধী। 
নেহরুর মৃত্যুর পর বিস্তর কাটাছেঁড়া হয়েছিল ইন্দিরাকে নিয়ে। জওহরলাল নেহরু প্রধানমন্ত্রী পদে ‘ইন্দু’কে বসানোর জন্য কামরাজকে বলে গেলেও সেই পথে হাঁটেননি কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি। ইন্দিরা সবটা দেখেছিলেন, বুঝেছিলেন এবং তা সত্ত্বেও বিবাদে যাননি। কোনও পক্ষ না নিয়ে শুরু করেছিলেন প্রতীক্ষা। সঠিক সময়ের। কিন্তু ইন্দিরা ভাবেননি, ৩০ বছর পর তাঁর পুত্রবধূকে নিয়েও কাটাছেঁড়া শুরু হবে। কংগ্রেসের অন্দরে। বাইরেও। একটি ইস্যু মাথাচাড়া দিয়ে কংগ্রেসকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেবে—বিদেশিনী। শাশুড়ির ভয়াবহ মৃত্যু থেকে ধাতস্থ হতে সময় লেগেছিল সোনিয়ার। কিন্তু স্বামীকেও এভাবে হারাতে হবে! দুঃস্বপ্নেও ভাবেননি তিনি। কয়েকদিন আগেই ২৩তম বিবাহবার্ষিকী ছিল তাঁদের। তেহরানের রেস্তরাঁয় ডিনার সেরেছিলেন দু’জন। ছেলেমেয়ে অ্যাডাল্ট হয়েছে। ছেলে হার্ভার্ড থেকে পড়াশোনা শেষ করে ফিরছে। বুড়ো হওয়ার দিকে এগিয়ে চলেছেন তাঁরা... সময়টা উপভোগ করছিলেন দু’জনই। এলটিটিই হানায় সেই সময় যে হঠাৎ ফুরিয়ে গেল! শরীরের টুকরোগুলো এক জায়গায় করার সময় রাজীবের হাসিমুখটা মনে পড়ছিল সোনিয়ার। ফিরে এসেছিল ছোটবেলার সেই সঙ্গী... হাঁপানি রোগটা। জন্মভূমিতে ফিরে যেতে পারতেন, কিন্তু যাননি। ভারতই যে তাঁর নিজের দেশ হয়ে গিয়েছিল। কংগ্রেসের সভানেত্রীর পদের জন্য তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ’৯১ সালেই। ফিরিয়ে দিয়েছিলেন সোনিয়া। হতে চাননি প্রধানমন্ত্রীও। সময়ের প্রয়োজন ছিল তাঁর। কয়েকটা বছর। অপেক্ষা করছিলেন তিনিও। সঠিক সময়ের। সীতারাম কেশরীর বিরুদ্ধে যখন বিদ্রোহ বাড়ছে... একে একে দল ছাড়ছেন মাধবরাও সিন্ধিয়া, এন ডি তিওয়ারি, পি চিদম্বরমরা... হাল ধরেছিলেন তিনি। গুছিয়ে উঠতে কয়েকটা বছর। তারপর ২০০৪ সালের মাস্টারস্ট্রোক। জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনিই ছিলেন অটোমেটিক চয়েজ। কিন্তু না। প্রত্যাখ্যান করলেন সোনিয়া। চমকে উঠল গোটা বিশ্ব। মনমোহন সিংকে বসালেন ক্ষমতার মাউন্ট এভারেস্টে। দ্বিতীয়বার নারীশক্তি হল ভারতীয় রাজনীতির নেপথ্য-পরিচালক। ‘ফ্যাক্টর’ও।
কংগ্রেসে সীতারাম কেশরীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আঁচে আরও একজন সেই সময় দল ছেড়েছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবা, মা, শাশুড়ি... নামজাদা কোনও হাত তাঁর মাথায় আশীর্বাদের মতো ছিল না। বিদেশি কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রিও ছিল না ঝুলিতে। সামান্য নিম্নবিত্ত ঘর থেকে উঠে আসা দলীয় কর্মী। সম্বল বলতে মাটির সঙ্গে যোগ, আর অসম্ভব টেনাসিটি। লেগে থাকার ক্ষমতা। শেষ না দেখা পর্যন্ত হাল ছাড়তেন না তিনি। এখনও ছাড়েন না। কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে বিশ্বস্ত কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে তৈরি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস। স্বপ্ন দেখলেন, ‘সিপিএমের অপশাসন থেকে মুক্ত করব বাংলাকে’। বছরের পর বছর কেটে গেল, স্বপ্ন সফল হল না। সিপিএম একের পর এক আঁকাবাঁকা স্লোগান তৈরি করল মমতার নামে। তিনি তাও হাল ছাড়লেন না। পাঁচ বছরের মধ্যে ২৩৫ আর ৩৫-এর ফারাক ঘুচে গেল। সেই সিপিএম এখন বাংলা বিধানসভায় শূন্য। আর মমতা জাতীয় রাজনীতিতে মহিলা হিসেবে ‘তৃতীয় ফ্যাক্টর’। আজ থেকে ৩০ বছর আগে তিনি মিশে যেতেন অজানা অচেনা ভিড়ের মাঝে। আজও যান। তখনও সাধারণ মানুষের জন্য তাঁর গলা গর্জে উঠত, আজও ওঠে। এখনও রাস্তার পাশে যন্ত্রণায় কাতর কোনও মুখ দেখতে পেলে গাড়ি থেমে যায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর। ১০ বছর বাংলার ক্ষমতায় থেকে সামাজিক সুরক্ষায় তাঁর অবদান কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, ২ টাকা কেজি চাল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী। বহু বছর আগে তিনি বুঝেছিলেন, রাজনীতিতে নেতা নেত্রীদের থেকেও বড় ফ্যাক্টর ভোটার। আরও নিখুঁতভাবে বললে মহিলারা। ১৯৭১ সালে মাত্র ৪৮ শতাংশ মহিলা ভোট দিয়েছিলেন। ১৯৮৪ সালেই পরিসংখ্যানটা পৌঁছে গিয়েছিল ৬০ শতাংশে। আর তার জন্য দায়ী ছিলেন শুধুই ইন্দিরা গান্ধী। তাঁর মৃত্যু। ১৯৯১ সালে কিন্তু আবার মহিলা ভোট নেমে গিয়েছিল ৫০ শতাংশে। ট্রেন্ডটা বদলাতে শুরু করে ২০০০ সালের পর। ২০১৪ সালে মোদি যখন প্রথমবার ক্ষমতায় আসেন, সেবার পুরুষদের ৬৭.১ শতাংশ ভোট দিয়েছিলেন, আর মহিলা ৬৫.৩ শতাংশ। মহিলারা যে ভোটের সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর, সেটা নরেন্দ্র মোদি বুঝেছেন একুশে বাংলার বিধানসভা ভোটের পর। শুধুমাত্র মহিলা ভোটই তাঁদের ২০০ পারের স্বপ্ন ধুলোয় মাখিয়ে দিয়েছে। তাই তিনি মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশ করিয়েছেন, এই ভোটের পুরো ফোকাস নিয়ে গিয়েছেন মা-বোনদের উপর। মমতার কথায় তাঁর দলের নেতারা নাক সিঁটকাতে পারেন, তাঁকে অনুসরণ করার ব্যাপারে কোনও ধন্দ তাঁরা রাখেন না। প্রকল্প থেকে আগ্রাসী প্রচার, মমতাকে আদর্শ না করলে হালে পানি পাওয়া মুশকিল। তাই মুখে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ভিক্ষার টাকা বলেন, আর জিতে এলে ওটাই ৩ হাজার করে দেওয়ার প্রচার চালান। আম আদমি যদি প্রশ্ন করে, কোনটা মিথ্যা? তাহলে কি খুব অপরাধ হবে? মানুষ যদি মোদিজিকে জিজ্ঞেস করে গত ১০ বছরে কটা চাকরি হয়েছে, মানুষের মাথাপিছু আয় আদৌ বেড়েছে কি না, কিংবা আপনি দুটো ইনিংসে মন্দির বানানো ছাড়া আর কী করেছেন, তার উত্তর তৈরি আছে তো?
বাংলায় সভা করতে আসছেন মোদিজি। লাগাতার। তাঁর সভামঞ্চের সামনের দিকে বসানো হচ্ছে মহিলাদের, ঠিক মমতার মতো। এরপরও প্রশ্ন থাকছে—কোনটা স্বতঃস্ফূর্ত? সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী, তাঁদের প্রতিনিধিকে প্রার্থী করছেন। কিন্তু ভাবছেন না মহিলা অস্ত্রে মমতা ফ্যাক্টরকে জব্দ করা যাবে তো? চেষ্টা তাঁরা করছেন। করতেই পারেন। কিন্তু ফাঁক থেকে যাবে। কারণ, খেলাটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক আগে শুরু করে দিয়েছেন। আপনারা যখন মাঠে নামছেন, অগ্নিকন্যার তখন পিচে হাত সেট হয়ে গিয়েছে। অনুসরণ হোক বা অনুকরণ, দিনের শেষে মানুষ ভাববেই... কী পেলাম, আর কার থেকে পেলাম। 
মমতা একটা কথা বলেন, মনে করবেন ৪২টা আসনেই প্রার্থী আমি। এখন মোদিও সেই কথা বলছেন। অনুসরণ? আসলে মোদি জানেন, প্রভাব বিস্তার করতে হবে। ফর্মুলা যারই হোক না কেন। ইন্দিরা নেই, সোনিয়া অসুস্থ, বাকি থাকলেন মমতা। এই টালিচালার বাসিন্দাকে আটকাতেই হবে। তৃতীয় ইনিংসের দম্ভে তিনি কিন্তু  দেখতে পাচ্ছেন না যে, ঝড় উঠে গিয়েছে। বাংলায়। আর দিল্লিতেও। মমতা আসরে নেমে পড়েছেন। রোগজীর্ণ শরীরে ঝলসে উঠেছেন সোনিয়া গান্ধীও। এখন ফ্যাক্টর?
বিপন্ন গণতন্ত্র।
09th  April, 2024
যোগীর অপদার্থতা বিরলের মধ্যে বিরলতম
সন্দীপন বিশ্বাস

অমৃতের সন্ধানে গিয়ে জুটল গরলের স্বাদ! তার জন্য ধর্ম দায়ী নয়। আধ্যাত্মিকতার পরশ পেতে গিয়ে মিলল মৃত্যুর হিমশীতল স্পর্শ! তার জন্যও ধর্ম দায়ী নয়। দায়ী ধর্মোন্মাদনার জিগির। দায়ী যাঁরা ধর্মকে কেন্দ্র করে সারা দেশজুড়ে রাজনীতি করছেন, ধর্ম নিয়ে ব্যবসা ফেঁদেছেন।
বিশদ

সংসার বা কর্পোরেটের বাজেটে ধাপ্পা চলে না
শান্তনু দত্তগুপ্ত

বাজেট প্রস্তাব পেশ করেছেন ভারত সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। আর তারপর থেকেই সাধু সাধু রব উঠে গিয়েছে। এমন বাজেট নাকি স্বাধীনতার পর এই প্রথম। নরেন্দ্র মোদি মা লক্ষ্মীকে আম জনতার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন।
বিশদ

04th  February, 2025
সেদিনের কবি সাহিত্যিকদের সরস্বতী বন্দনা
সায়ন্তন মজুমদার

বছরের প্রথম ঢ্যামকুড়াকুড় ঢাকের বাদ্যি কোন পুজোয় আমরা শুনতে পাই? শ্রীপঞ্চমীর সরস্বতী পুজোয়। মাঘের এই উৎসবে মাতোয়ারা ছোটদের হলুদ পোশাক যেন দিনটাকে বসন্তপঞ্চমীই বানিয়ে দেয়। যদিও স্তোত্র অনুযায়ী দেবীর গায়ের রং, শাড়ি-গয়না থেকে বীণাবাহন, আসনপদ্ম সবই কিন্তু সাদা।
বিশদ

03rd  February, 2025
সংবিধানকে গ্রাস করল মতাদর্শ
পি চিদম্বরম

ভারতের সংবিধানের ৪৪ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, ‘রাষ্ট্র ভারতের সর্বত্র নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি আইন নিশ্চিত করার চেষ্টা করবে’। বিজেপি একটি বিশেষ আদর্শের দ্বারা চালিত হয়। তাই দলটি ‘অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (ইউসিসি)’ শব্দগুলির উপর জোর দিয়েছে।
বিশদ

03rd  February, 2025
বাজেট ২০২৫: বিষিয়ে ওঠা ক্ষতে স্টিকিং প্লাস্টার লাগানোর চেষ্টা
প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

২০২৫-২৬ আর্থিক বছরের কেন্দ্রীয় বাজেট বিশ্লেষণ করার আগে ‘বর্তমান’-এর পাঠকদের প্রথমেই মনে করিয়ে দিতে চাই, বাজেট একটি দিশা মাত্র।
বিশদ

02nd  February, 2025
উপেক্ষিত বাংলা, এই বাজেটে দিন বদলাবে না
হিমাংশু সিংহ

লাখপতি দিদিদের কথা শুনতে পেলেন নির্মলার বাজেটে? কিংবা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে যে ১০ লাখ পদ ফাঁকা, সেখানে লোক নিয়োগের রোডম্যাপ? উপেক্ষিত একশো দিনের কাজ। এবারও মমতার বাংলা চূড়ান্ত বঞ্চিতই রইল। নতুন কোনও প্রকল্পের কথা তো দূরঅস্ত। প্রায় দু’লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া নিয়ে একটি কথাও বলতে শোনা গেল না অর্থমন্ত্রীকে। ছাব্বিশে পশ্চিমবঙ্গে কোনও সম্ভাবনা নেই দেখেই কি এই মুখ ফিরিয়ে নেওয়া।
বিশদ

02nd  February, 2025
কারবার যখন আতঙ্কের
বিশ্বজিৎ দাস

সত্যি আর অতিরঞ্জন—এই দুই ধরনের গল্পকাহিনি থুড়ি আমাদের ভাষায় ‘স্টোরির’ ঠেলায় নাভিশ্বাস উঠছে হাজার হাজার মানুষের। সত্যি নয়, ‘সত্যির মতো’ শব্দবন্ধের ঠেলায় কত কী হতে পারে, তার সাক্ষী মহাভারত। ‘অশ্বথামা হত’... মৃদুস্বরে ইতি গজ! সম্ভবত পৃথিবীর প্রথম ও প্রাচীনতম ‘টুইস্টিং হেডিং’ বা ওপরচালাকির হেডিং বোধহয় এটাই! 
বিশদ

01st  February, 2025
 নিয়োগ মামলা: সিপিএমের দু’মুখো নীতি
তন্ময় মল্লিক
 

অনেকেই বলছেন, ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল ইস্যুতে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও এসএফআইয়ের মধ্যে মতপার্থক্য তৈরি হয়েছে। কিন্তু, এ নিয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে। কারণ বিকাশবাবু গোড়া থেকেই শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়াকে ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ প্রমাণে মরিয়া।
বিশদ

01st  February, 2025
মধ্যবিত্ত কারা? বাজেট তাদের কী দেবে?
সমৃদ্ধ দত্ত

মধ্যবিত্ত  চেনার উপায় কী? এই শ্রেণি সর্বদাই সবথেকে বেশি পছন্দ করে অন্যকে দুটি জিনিস দিতে। পরামর্শ এবং ওপিনিয়ন বা মতামত। সবথেকে পছন্দ করে কেউ যদি তাঁর কাছে জানতে  চায়, আমার এরকম একটি সমস্যা হয়েছে, কী করি বলুন তো?
বিশদ

31st  January, 2025
ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড চাই, কিন্তু কেন?
মৃণালকান্তি দাস

নিছক মজার ছলেই একবার কানাডা দখলের কথা বলেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পানামা খালও ফেরত চেয়েছেন তিনি। আর এবার তাঁর নজর পড়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের উপরও। ফিনান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, দাম উঠেছে এক ট্রিলিয়ন ডলার অর্থাৎ এক লাখ কোটি ডলার।
বিশদ

30th  January, 2025
বাঁধা সাঁকো ভেঙে ফেলব আমরা?
হারাধন চৌধুরী

‘ভাঙা সংসার ছাড়া আর সবই জুড়ে দিতে পারে’—বাংলারই একটা পণ্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনী ক্যাচলাইন এটা—তৈরি হয়েছে বাঙালির মনস্তত্ত্ব ঘেঁটেই। কেননা, বাঙালি বেঁচে আছে বস্তুত ভাঙাভাঙির ভিতর দিয়ে। তার দেশ যে কতবার ভেঙেছে, তার খতিয়ান মনে রাখা দুঃসাধ্য!
বিশদ

29th  January, 2025
বৃদ্ধি, পরিকাঠামো ও কর্মসংস্থানই মূল লক্ষ্য
সিদ্ধার্থ সান্যাল

যে সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে চলেছেন, তা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। কারণ, বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক জটিলতা দেশীয় অর্থনীতিতেও প্রভাব ফেলছে। দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।​​​​​ 
বিশদ

28th  January, 2025
একনজরে
গ্রামীণ সড়ক তৈরির টাকা দীর্ঘদিন আটকে রেখেছে কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যজুড়ে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দিল নবান্ন। ...

মুর্শিদাবাদ জেলায় গতবারের থেকে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ল। এ বছরও জেলায় ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবারের তুলনায় এবছর ...

অনুশীলনে সবার আগেই নেমে পড়েছিলেন জেমি ম্যাকলারেন। বক্সের বাইরে বল বসিয়ে একের পর এক শট রাখছিলেন তেকাঠিতে। হঠাৎই পিছন থেকে দৌড় এসে লিস্টন সেই বল ...

জালিয়াতি ও কারচুপির অভিযোগে একের পর কোম্পানিকে নাস্তানাবুদ করেছে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে ভারতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল এই মার্কিন শর্ট সেলার সংস্থা। সম্প্রতি এই সংস্থায় ঝাঁপ পড়েছে।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭৯২: টিপু সুলতান ব্রিটিশ ও হায়দারাবাদের নিজামের কাছে পরাজিত হয়ে মহীশূরের অর্ধেক এলাকা ব্রিটিশদের হাতে ছেড়ে দেন।
১৮৪০: টায়ারের উদ্ভাবক জন ব্যুও ডানলপের জন্ম 
১৮৮৯: গৌরহরি সেনের উদ্যোগে কলকাতার বিডন স্ট্রিটে ঐতিহাসিক চৈতন্য লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠিত হয়
১৮৯৪: বাংলার নারী আন্দোলনের অগ্রগণ্য কর্মী আশালতা সেনের জন্ম
১৯০০: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের মধ্যে পানামা খাল নিয়ে চুক্তি হয়।
১৯৩৭: চার্লি চ্যাপলিন অভিনীত প্রথম সবাক চলচ্চিত্র মডার্ন টাইমস মুক্তি পায়
১৯৩৪: অভিনেতা সুজিত কুমারের জন্ম
১৯৭৬: অভিষেক বচ্চনের জন্ম
১৯৮৪: আর্জেন্তিনার ফুটবলার কার্লোস তেভেজের জন্ম
১৯৮৫:পর্তুগীজ ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর জন্ম
১৯৮৮: কৌতুকাভিনেতা সন্তোষ দত্তের মৃত্যু
১৯৯০: ক্রিকেটার ভূবনেশ্বর কুমারের জন্ম
১৯৯২: ফুটবলার নেইমারের জন্ম
২০১৪: বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী যূথিকা রায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৬.১৮ টাকা ৮৭.৯২ টাকা
পাউন্ড ১০৬.২৮ টাকা ১১০.০২ টাকা
ইউরো ৮৮.১৫ টাকা ৯১.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৮৩,৩৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৮৩,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭৯,৬০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯৪,০৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯৪,১৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২২ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  অষ্টমী ৪৫/৪৫ রাত্রি ১২/৩৬। ভরণী নক্ষত্র ৩৫/৩৮ রাত্রি ৮/৩৩। সূর্যোদয় ৬/১৮/৪, সূর্যাস্ত ৫/২৩/২২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৭ মধ্যে পুনঃ ১০/০ গতে ১১/২৮ মধ্যে পুনঃ ৩/৯ গতে ৪/৩৮ মধ্যে। রাত্রি ৬/১৪ গতে ৮/৯ মধ্যে পুনঃ ২/০ গতে উদয়াবধি। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪১ গতে ৩/৯ মধ্যে। রাত্রি ৮/৪৯ গতে ১০/৩২ মধ্যে। বারবেলা ৯/৪ গতে ১০/২৭ মধ্যে পুনঃ ১১/৫০ গতে ১/১৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৪ গতে ৪/৪০ মধ্যে। 
২২ মাঘ ১৪৩১, বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।  অষ্টমী রাত্রি ২/৫৯। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ১১/১২।  সূর্যোদয় ৬/২১, সূর্যাস্ত ৫/২৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৫ মধ্যে ও ৯/৫৩ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৩/১৬ গতে ৪/৪৮ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৪ গতে ৮/৫৩ মধ্যে ও ১/৫৩ গতে ৬/২০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ১/৪৩ গতে ৩/১৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৫৩ গতে ১০/৩৩ মধ্যে। কালবেলা ৯/৬ গতে ১০/২৯ মধ্যে ও ১১/৫২ গতে ১/১৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৩/৬ গতে ৪/৪৩ মধ্যে।    
৬ শাবান।    

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
দিল্লির ভোটে ভুয়ো ভোটার!
ভুয়ো ভোটারকে ঘিরে উত্তপ্ত দিল্লি নির্বাচন। দিল্লির সীলমপুরে একাধিক মহিলার ...বিশদ

01:18:00 PM

ময়নাগুড়িতে টোটো চালকদের সাবধানতা অবলম্বন করার আহ্বান পুলিসের

01:17:00 PM

বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন: সেজে উঠেছে নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টার

01:13:00 PM

কলকাতা বিমান বন্দরে আগুন, কিছুক্ষণের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে আনল দমকল

01:12:00 PM

দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন: ভোট দিয়ে বের হলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ

01:05:00 PM

লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় যুবককে খুনের অভিযোগে ধৃত ১
আট দিন আগে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার জাহিদ পুরকাইত ...বিশদ

01:03:00 PM