Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কেন্দ্রের কথার খেলাপ, রাজ্যগুলোর অর্থাভাব
পি চিদম্বরম

কর ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) একটা ভয়ানক লড়াই হয়ে উঠেছে। যে অর্থনীতিতে পূর্বাহ্নেই দ্রুত পতনের সূচনা হয়েছিল, সেটা যখন মহামারীতে আরও বিধ্বস্ত হল তখন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিরাট বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু কেন্দ্র সেটা করেনি, তার মতলবটা প্রকাশ করে ফেলেছে।
রাজ্যগুলোকে অবশ্যই কেন্দ্রীয় সহায়তা দিতে হবে
আমি কেন বলি যে অন্য সব রাস্তা ছেড়ে রাজ্যগুলোকে সহায়তা করার পথেই কেন্দ্রীয় সরকারের হাঁটা উচিত? কারণ, কেন্দ্র এবং রাজ্যের ক্ষমতা একেবারেই আলাদা:
১. নিজস্ব অধিকারে কেন্দ্রীয় সরকার টাকা ঋণ নিতে পারে। সেখানে রাজ্য সরকারগুলোকে ঋণ নিতে হয় কেন্দ্রীয় সরকারের আগাম অনুমতি নিয়ে।
২. সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী কেন্দ্রীয় সরকার নিজে ঋণ গ্রহণের সময় সুদের হার সর্বনিম্ন রাখার নির্দেশ দিতে পারে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারগুলোকে বেশি সুদের হারে ঋণ নিতে হয়। এমনকী, বিভিন্ন রাজ্যের ক্ষেত্রে সুদের হারে তারতম্যও হতে পারে।
৩. আরও একটি ব্যাপার হল, কেন্দ্রীয় সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লভ্যাংশ ডিভিডেন্ড হিসেবে নেওয়ার অধিকারী। সাম্প্রতিককালে এমনও দৃষ্টান্ত রয়েছে যে, নিয়মানুযায়ী রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যতটা ডিভিডেন্ড দিতে চেয়েছিল তার চেয়েও বেশি পরিমাণ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে আরবিআইয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল। অন্যদিকে, আররিআইয়ের লাভের উপর রাজ্য সরকারগুলোর কোনও দাবি নেই।
৪. মুদ্রাকরণের মাধ্যমে বা টাকা ছাপিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তার ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পারে। এই ধরনের প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকার রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে টাকা ছাপানোর নির্দেশ দেয় এবং ছাপানো টাকা কেন্দ্রীয় সরকারকে হস্তান্তর করতে বলে। রাজ্য সরকারগুলোর এই ধরনের কোনও সার্বভৌম ক্ষমতা নেই।
সুতরাং আর্থিক সঙ্কটের কালে রাজ্য সরকারগুলোর সহায়তা প্রয়োজন। রাজ্যগুলো জিএসডিপির (গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা রাজ্যের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন) ৩ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারে। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের ক্ষেত্রে অনুমান করা যায় যে প্রতিটি রাজ্যের এই ঋণ নেওয়ার ঊর্ধ্বসীমাটা পেরিয়ে গিয়েছে। অর্থাৎ রাজ্যগুলি আর ‌ই঩চ্ছে করলেও ঋণ নিতে পারবে না। তার ফলে রাজ্য সরকারগুলো ঋণ গ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ানোর আর্জি রেখেছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার ঋণ গ্রহণের ঊর্ধ্বসীমা মাত্র ০.৫ শতাংশ বাড়িয়েছে। বেশিরভাগ রাজ্যই, হয়তো-বা সব রাজ্যই, এবছর এই বর্ধিত সীমার পুরোটা ব্যবহার করে ফেলবে। এর অতিরিক্ত ঋণ নিলে সেটা রাজ্যগুলির পক্ষে বোঝা হয়ে যাবে। সেই ঋণ গ্রহণের জন্য যেসব শর্ত রয়েছে, তা পূরণ করার জন্য কোনও রাজ্যই প্রস্তুত নয়, বিশেষ করে এই অর্থবর্ষে।
বিশ্বাসের ভিত্তিতে বন্দোবস্ত
জিএসটি চুক্তিটা হল কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকারগুলোর মধ্যে কর সংক্রান্ত একটা বন্দোবস্ত, যেটা অনেক বছরের আলোচনা-বিতর্কের মাধ্যমে স্থির করা হয়েছে। এই বন্দোবস্তের ভিত্তি হল বিশ্বাস। আইনের যেমন একটা ভাষা আছে, তেমনি রয়েছে আইনের অন্তর্নিহিত ভাব। রাজ্যগুলোর কোষাগারের জন্য মূল্যযুক্ত কর (ভ্যাট) ছিল একটা কামধেনু। রাজ্যগুলোর কোষাগার ভরিয়ে দিত। এছাড়া এন্ট্রি ট্যাক্সের মতো কিছু কর কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়ের কোষাগারের জন্য ছিল আশীর্বাদ। জিএসটি চালুর সময় এই যাবতীয় ক্ষমতা একটি কাউন্সিলের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে রাজ্যগুলোকে রাজি করানো হয়েছিল। উল্লেখ্য যে, ওই কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভেটো’ দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। এর প্রতিদান স্বরূপ কেন্দ্রীয় সরকার দু’টো প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল: (১) বিক্রয় কর তুলে দেওয়ার পর ভ্যাট যেমন বেড়েছিল, জিএসটি সূত্রে রাজস্বও ঠিক তেমনি হারে বাড়বে। (২) যদি রাজস্ব বৃদ্ধির হার ১৪ শতাংশের নীচে নেমে যায়, তবে প্রথম পাঁচ বছর কেন্দ্র সেই ঘাটতির পুরোটাই  পূরণ করে দেবে ‘ক্ষতিপূরণ’ হিসেবে।
রাজ্যগুলোকে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দায়বদ্ধতাটা কোনও মৌখিক ব্যাপার নয়, এটা আইনসিদ্ধ রূপে লেখাজোকা রয়েছে। জিএসটি সংক্রান্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করতে জিএসটি কমপেনসেশন ফান্ড নামে একটা তহবিলও গড়া হয়েছে। এই ব্যবস্থাটা নেওয়া হয়েছিল বাধ্যবাধকতা হিসেবে, কোনও শর্তনির্ভর ব্যবস্থা হিসেবে নয়। অর্থমন্ত্রী এবং তাঁর অফিসাররা এই দিকটি তাঁদের সুবিধামতো এড়িয়ে যাচ্ছেন।
এই তহবিল যে-কোনও বছরে উদ্বৃত্ত হতে পারে অথবা পাঁচ বছর শেষে ঘাটতিও হতে পারে। যদি এই তহবিলে পাঁচ বছর পর কিছু উদ্বৃত্ত হয় তবে তার ৫০ শতাংশ অর্থ কেন্দ্রীয় সরকারকে হস্তান্তর করতে হবে। কিন্তু যদি ঘাটতি হয় তখন কী করা হবে? বিষয়টি নিয়ে জিএসটি কাউন্সিলে লম্বা বিতর্ক হয়েছিল। উল্লেখযোগ্য বিতর্ক হয়েছিল কাউন্সিলের সপ্তম, অষ্টম এবং দশম মিটিংয়ে। ২০১৭ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম বৈঠকে এই আলোচনায় ইতি পড়ে। সেদিন স্বাক্ষরিত কার্যবিবরণীর ৬.৩ অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছিল:
‘‘৬.৩. তেলেঙ্গানা থেকে আগত মাননীয় মন্ত্রী বলেছেন, ক্ষতিপূরণ আইনটিতে এই ব্যবস্থা রাখতে হবে যে, ক্ষতিপূরণ তহবিলে টাকার ঘাটতি হলে তা অন্য সূত্রে সংগ্রহ করতে হবে। সচিব বলেছেন, খসড়া ক্ষতিপূরণ আইনের ৮(১) ধারায় এই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যে, পাঁচ বছর ধরে ‘সেস’ সংগ্রহ করা যেতে পারে, অথবা সংগ্রহ করা যেতে পারে কাউন্সিলের সুপারিশ মতো সময়ের জন্য। তিনি বলেছিলেন, প্রকারান্তরে এটাই দাঁড়াবে যে ক্ষতিপূরণের অর্থ জোগাড়ের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অন্য উপায়ে সম্পদ সংগ্রহ করতে পারবে এবং এটা পুষিয়ে দেওয়া যেতে পারে পাঁচ বছরের পরেও ‘সেস’ চালু রেখে। তিনি বলেছিলেন, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য বাজার থেকে ঋণ গ্রহণের সম্ভাবনার মতো আরও কিছু সিদ্ধান্ত ছিল অষ্টম বৈঠকের কার্যবিরণীর অংশ। কাউন্সিলের অষ্টম বৈঠকটা হয়েছিল ২০১৭ সালের ৩ ও ৪ জানুয়ারি। বলা হয়েছিল যে, এটা আইনে যুক্ত করা প্রয়োজন।  এই পরামর্শের ব্যাপারে কাউন্সিল সেদিন সহমত হয়েছিল।’’
দ্ব্যর্থহীন সিদ্ধান্ত
কী সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেটা নিয়ে কোনও সংশয় থাকতে পারে না। ‘ক্ষতিপূরণের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অন্য কোনও উপায়ে সম্পদ সংগ্রহ করতে পারত’, যার মধ্যে ‘ক্ষতিপূরণের জন্য বাজার থেকে টাকা ধার নেওয়ার সম্ভাবনা’ও ছিল। কোনও প্রকার কূটতর্ক ‘রেকর্ড’ পাল্টে দিতে পারে না। ধার করার জন্য রাজ্যগুলোকে ‘দু’টো অপশন’ কেন্দ্র দিয়েছে—এটা একটা প্রতারণামূলক কাজ। প্রতিটা রাজ্যের চলতি বছরের রাজস্ব বাজেটে একটা ছিদ্র রয়ে গিয়েছে। ধার গ্রহণ এই ছিদ্র বন্ধ করবে, কিন্তু রাজ্যের মূলধনী হিসাবে এটাকে ‘ঋণ’ হিসেবে দেখানো হবে। রাজ্যকে এর সুদ গুনে যেতে হবে এবং শেষমেশ এই ঋণ পরিশোধও করতে হবে। যদি রাজ্য ধার না করে এবং কেন্দ্র ক্ষতিপূরণ না দেয় তবে এই ছিদ্র ছিদ্রই থেকে যাবে। এবং, এর অনিবার্য পরিণতি এটাই হবে যে চলতি বছরে রাজ্য তার মূলধনী ব্যয় অথবা জনকল্যাণ খাতের ব্যয় ছেঁটে ফেলবে। এই দু’টোর কোনওটাই কিন্তু কাম্য নয়। 
রাজ্যগুলো ঠিক কাজই করেছে—দু’টো অপশনই খারিজ করে দিয়ে এবং এই ছিদ্র পূরণের সম্পদ জোগাড়ের ব্যবস্থা কেন্দ্রকে করতে বলে। কেন্দ্র কি তার দায়িত্ব পালন করবে, না কি ‘মাই ওয়ে অর দ্য হাইওয়ে’ (হয় আমার কথা মনো, নয়তো ভাগো’) খেলা খেলবে? 
 লেখক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত 
21st  September, 2020
ইতিহাস কি আবার
তালিবানের পক্ষে?
মৃণালকান্তি দাস

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আফগান শান্তি আলোচনায় একধাপ এগনো দরকার। যা ট্রাম্পকে নির্বাচনী যুদ্ধের প্রচারে এগিয়ে রাখবে। ট্রাম্প দেখাতে চাইছেন, দেশকে ১৯ বছরের যুদ্ধ থেকে মুক্তি দিচ্ছেন তিনি। এর জন্য ওই অঞ্চলের সব খেলোয়াড়কে তারা ‘শান্তি প্রক্রিয়া’য় শামিল করতে চায়। বিশদ

করোনাকে মওকা ধরেই তৎপর জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো
হারাধন চৌধুরী

জঙ্গিরা মনে করে, আমেরিকা, ভারত এবং আফ্রিকা ও ইউরোপের কিছু দেশে হামলা করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ। এই সময় আঘাত হানতে পারলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করা যাবে। কারণ, এই দেশগুলোর সরকার, এবং আর্মিও করোনা মোকাবিলা নিয়ে এখন ব্যতিব্যস্ত। বিশদ

24th  September, 2020
স্বাবলম্বী শরীর কোভিড রুখতে সক্ষম
মৃন্ময় চন্দ 

সারা পৃথিবী আশঙ্কিত। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের মানব শরীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎই এক স্বেচ্ছাসেবক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গোটা পৃথিবীর বিশ্বাস অক্সফোর্ডের ‘কোভিশিল্ডেই’ মিলবে করোনার হাত থেকে নিষ্কৃতি।  
বিশদ

23rd  September, 2020
বারবার তাঁর হাতে দেখি মৃত্যুর পরোয়ানা 
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের স্কুলের এক শিক্ষক বলতেন, যে একবার ভুল করে, সে অজ্ঞতা থেকে করে। তিনবার পর্যন্ত ভুল অজ্ঞতা থেকে হতে পারে। কিন্তু কেউ যদি বারবার ভুল করতে থাকে, তবে বুঝতে হবে, সে ইচ্ছে করেই ভুল করছে এবং তার পিছনে কোনও দুরভিসন্ধি আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মোদিমশাইয়ের বারবার ভুল করা দেখে সেই শিক্ষকের কথা মনে পড়ে গেল। 
বিশদ

23rd  September, 2020
কৃষি সংস্কার: দেখনদারির
মোড়কে আশঙ্কার মেঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ভূতনাথ পাল। কেতুগ্রামের বিল্বেশ্বর এলাকায় বাড়ি ছিল তাঁর। অনেক কষ্টে ধারদেনায় ডুবে আলুচাষ করেছিলেন। ভেবেছিলেন, এখন আলুর বাজারটা ভালো যাচ্ছে। ক’টা দিন তো কষ্ট... তারপরই সুদিন আসবে। সুদিন মানে, দু’বেলা দু’মুঠো...। 
বিশদ

22nd  September, 2020
এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর
দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
জয়ন্ত কুশারী
 

এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
‘মা বুঝি চইলাছে কোয়ারেন্টিনে...’ বরেণ্য লোকগীতি শিল্পী অমর পাল জীবিত থাকলে বুঝি এমনটাই গাইতেন। যদিও তিনি গেয়েছিলেন, ‘মা বুঝি কৈলাসে চইলাছে...’ 
মহালয়া থেকে সপ্তমী, দিন পঁয়ত্রিশের এই ব্যবধান পাল্টে দিল এমন একটি গানের লাইন। আসলে মানুষের মুখে মুখে এখন যে ফিরছে এই কথাটি। 
বিশদ

21st  September, 2020
অর্থনীতিই নয়, ভয়াবহ বিপর্যয় বিদেশনীতিরও
হিমাংশু সিংহ

২০১৪ থেকে ২০২০। মাঝে মাত্র ৬ বছর। দুর্বল না হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী শক্তিশালী একনায়ক হলে রাষ্ট্রের বিপদ কী কী? এই ক’বছরেই তার মোক্ষম উত্তর পেয়ে গিয়েছে দেশ। এমনকী পরিস্থিতি আজ এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে, এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সরকারি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির সঙ্গে নরেন্দ্রনাথ দত্তের তুলনা টানছেন বুক ফুলিয়ে।  
বিশদ

20th  September, 2020
কুকথায় হাততালি জুটলেও
দূরে সরে যায় মানুষ 
তন্ময় মল্লিক

রুটি সেঁকার জন্য তাওয়া গরম করতে হয়। আবার সেই তাওয়া বেশি তেতে গেলে রুটি যায় পুড়ে। তখন খাবারের থালার বদলে রুটির জায়গা হয় ডাস্টবিনে। রাজনীতিতেও তেমনটাই। কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য নেতারা গরম গরম ভাষণ দেন। কিন্তু তা মাত্রা ছাড়ালে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়।  
বিশদ

19th  September, 2020
বাংলার সমাজ ও
রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণ
সমৃদ্ধ দত্ত

সেদিন বিকেলে তাঁকে ভেন্টিলেটরে নিয়ে যাওয়া হবে। কারণ, প্রবল শ্বাসকষ্ট। অক্সিজেন দিলেও কাজ হচ্ছে না তেমন। এইমস ডাক্তাররা বুঝলেন পরিস্থিতি ভালো নয়। অনেকদিন হয়ে গেল কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন।   বিশদ

18th  September, 2020
‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর
রূপকার নরেন্দ্র মোদি
যোগী আদিত্যনাথ

রাজা কালস্য কারণম্‌। মহাভারতের ‘শান্তিপর্ব’-এ যুধিষ্ঠিরকে উপদেশ দিতে গিয়ে পিতামহ ভীষ্ম এই কালজয়ী কথাটি বলেছিলেন। কথাটি পিতামহ নিজের লোকদের বলেছিলেন বলে মনে হতে পারে। কিন্তু এর ভিতরে এই ভারতের সবার জন্যই একটি জোরালো বার্তা তিনি রেখে গিয়েছেন।  বিশদ

17th  September, 2020
কাজ দাও, মুলতুবি রাখো
গ্রেট গেরুয়া সার্কাস
হারাধন চৌধুরী

দু’দশক যাবৎ ভারতীয় মিডিয়ায় সার্কাসের এলিজি বা শোকগাথা লেখা হচ্ছে। বেশিরভাগ লেখা ভারী হয়ে উঠছে জোকারদের জন্য সহমর্মিতায়। জোকারের জীবন কঠিন। কেউ শখ করে জোকার হয় না। কারও কারও জীবনখাতায় এই ভবিতব্যই লেখা থাকে।  বিশদ

17th  September, 2020
 কোনও প্রশ্ন নয়, নো কোয়েশ্চেনস!
সন্দীপন বিশ্বাস

 মোদি, অমিত শাহ তথা বিজেপি নেমে পড়েছে বিহার জয়ে। সেখানে অবশ্য নীতীশের হাত ধরে বিজেপিকে ভোট বৈতরণী পার হতে হবে। সেখানে রাজপুত ভোট আর ক্ষত্রিয় ভোট নিজেদের বাক্সে আনতে বিজেপিকে খেলতে হল দু’টি খেলা। একজনকে ডাইনি বানানো হল, অন্যজনকে দেবী বানানো হল।
বিশদ

16th  September, 2020
একনজরে
 প্রতিপক্ষ ফুটবলারের গায়ে থুতু দেওয়ার অপরাধে চার ম্যাচ নির্বাসিত হলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ফরাসি লিগে প্যারি সাঁজাঁ বনাম মার্সেই ম্যাচের শেষ লগ্নে ...

 করোনার দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ শুরু হয়েছে ব্রিটেনে। সংক্রমণ রুখতে স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন জারির অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। তবে এইভাবে লকডাউনের সাফল্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ব্রিটিশ সরকারকে চিঠি দিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ...

 চারদিকে জল বেষ্টিত ভূতনির চর দুষ্কৃতীদের ডেরা হয়ে উঠেছে। বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা সেখানে ঘাঁটি গাড়ছে। ...

১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে রায়দিঘির মথুরাপুর ২ ব্লকে পাতিলেবু ও আনারসের গ্রাম গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদেরও এই কাজে নামানো হবে। বিডিও ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস
১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম
১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং বেদির জন্ম
১৯৬৯ - বিখ্যাত বাঙালি চিত্রপরিচালক, অভিনেতা এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মধু বসু ওরফে নাম সুকুমার বসুর মৃত্যু
১৯৯০- রাজনীতিবিদ,স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীবাদি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৯ টাকা ৭৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ৯২.১৯ টাকা ৯৫.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৪.৫২ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৮৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৫৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৭,১৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৭,২৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী ৩৩/৬ রাত্রি ৬/৪৪। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র ৩২/৩৩ রাত্রি ৬/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৯/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/১৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ৯/৫৮ মধ্যে।
৮ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী রাত্রি ১০/৩১। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র রাত্রি ১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২২ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৯ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে।
৭ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। বৃষ: ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন
বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং ...বিশদ

04:28:18 PM

 আইপিএল: চেন্নাই সুপার কিংসকে ৪৪ রানে হারাল দিল্লি ক্যাপিটাল

11:13:05 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১০১/৪ (১৬ ওভার) 

10:49:48 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৪৭/৩ (১০ ওভার) 

10:14:56 PM

 আইপিএল: চেন্নাই ২৬/১ (৫ ওভার)

09:51:00 PM