Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কুকথায় হাততালি জুটলেও
দূরে সরে যায় মানুষ 
তন্ময় মল্লিক

রুটি সেঁকার জন্য তাওয়া গরম করতে হয়। আবার সেই তাওয়া বেশি তেতে গেলে রুটি যায় পুড়ে। তখন খাবারের থালার বদলে রুটির জায়গা হয় ডাস্টবিনে। রাজনীতিতেও তেমনটাই। কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য নেতারা গরম গরম ভাষণ দেন। কিন্তু তা মাত্রা ছাড়ালে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়। পাতে তোলে না। বলতে বাধা নেই, ভোট এগিয়ে আসতেই গেরুয়া শিবিরের কিছু নেতার ভাষণে গরমের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। হুঙ্কার ছাড়ার প্রতিযোগিতায় যেন একে অপরকে ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন। তাতে কর্মীরা কিঞ্চিৎ চাঙ্গা হচ্ছেন, হাততালিও পাচ্ছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ? মুখ ফেরাচ্ছেন। কারণ বেশিরভাগ মানুষই শান্তিপ্রিয়। অশান্তি এবং মারদাঙ্গা তাঁদের নাপসন্দ। পঞ্চায়েত ভোটে সেই ভুল করেছিল শাসক দল। মানুষ শিক্ষা দিয়েছিল লোকসভা নির্বাচনে।
কথায় আছে, মুখের কথা আর হাতের ঢিল ছোঁড়ার আগে সাতবার ভাবতে হয়। একবার তা বেরিয়ে গেলে ফেরানো যায় না। তার রেশ থেকে যায় মৃত্যুর পরেও। সেই নজির এরাজ্যে প্রচুর। বাম জমানার শেষলগ্নে সিপিএম নেতা অনিল বসু আরামবাগের একটি জনসভায় কর্মীদের চাঙ্গা করতে গিয়ে সেই ভুলটাই করেছিলেন। কর্মীদের হাততালি পেয়েছিলেন, কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল জনগণ। লোকসভা আসনে অনিল বসুর রেকর্ড ভোটে জেতার কথা হয়তো মানুষ ভুলে যাবে, ভুলবে না তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে করা কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি।
নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় ‘লাইফ হেল’ করে দেওয়ার হুঙ্কার ছেড়েছিলেন সিপিএমের বিনয় কোঙার। সমাজসেবী মেধা পাটেকর নন্দীগ্রামে যাবেন শুনে বিনয়বাবু বলেছিলেন, ‘নন্দীগ্রামের মেয়েরা মেধা পাটেকরকে পাছা দেখাবে।’ তাঁর কথায় ছিল উস্কানি। কৃষক আন্দোলনের সামনের সারিতে
ছিলেন বিনয় কোঙার। ভাগচাষিদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর লড়াইয়ের গৌরব ম্লান করে দিয়েছে তাঁরই কুকথা। তবে অনিল বসু বা বিনয় কোঙার নন, প্রমোদ দাশগুপ্তকেই এরাজ্যে কুকথার স্রষ্টা বলে অনেকে মনে করেন। যুক্তফ্রন্টের আমলে নকশাল আন্দোলন দমনে ব্যর্থ পুলিসকে কটাক্ষ করতে
গিয়ে তিনি অত্যন্ত কুৎসিত মন্তব্য করেছিলেন। পুলিসের গুলিতে নকশালদের না মরার পিছনে
এমন কথা বলেছিলেন, যা মনে পড়লে এখনও বহু কমরেড লজ্জায় মুখ লুকান।
এরাজ্যের মানুষের কাছে যাঁর আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল নায়ক হিসেবে, তাঁর নাম তাপস পাল। সিনেমাপাগল লক্ষ লক্ষ মা-বোনের চোখে তিনি ছিলেন ‘হিরো’। একের পর এক হিট সিমেনা উপহার দিয়েছিলেন। সেই ইমেজের জোরেই তিনি বিধানসভা ও লোকসভার কঠিন আসনেও অনায়াসেই জয় হাসিল করেছিলেন। সেই তাপস পাল সিপিএমকে আক্রমণ করতে গিয়ে হারিয়ে ছিলেন ভাষার উপর নিয়ন্ত্রণ। তাঁর সেই কুৎসিত মন্তব্যের জন্যই তিনি নায়ক থেকে হয়ে গিয়েছিলেন ‘খলনায়ক’। রিলের হিরো আর রিয়েল নায়কের সংলাপ যে এক হয় না, সেটা তিনি ভুলে গিয়েছিলেন। তাই যাঁর মহাপ্রস্থানের দিনে বাংলার মা-বোনেদের চোখের জলে বান ডাকার কথা ছিল, সেই তাপস পাল ইহলোক ছেড়েছিলেন নীরবে।
প্রতিবাদ হিংসার পথ নিলে দিকভ্রষ্ট হয় আন্দোলন। তখন লক্ষ্যকে ছাপিয়ে বড় হয়ে যায় উপলক্ষ। একথা প্রমাণ হয়েছে বারে বারে। সাফল্যের কোনও শর্টকাট রুট নেই। সাফল্য আসে ধারাবাহিকতার হাত ধরে। ধারাবাহিক ও সংযত আন্দোলনেই পূরণ হয় উদ্দেশ্য। অবিরাম বৃষ্টিধারা মাটির একটার পর একটা স্তর ভেদ করে ধীরে ধীরে পৌঁছয় গভীরে। পুষ্ট করে ভূগর্ভস্থ জলাধার। সেই বিশুদ্ধ জলই মানুষের জীবন বাঁচায়। আন্দোলনও তেমনই। ধারাবাহিক আন্দোলন মানুষের মনের গভীরে জায়গা করে নেয়। সুরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠার ভরসা জোগায়।
ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্মলগ্ন থেকেই লড়াইয়ের পথ নিয়েছিল দ্বন্দ্ব। সহিংস, না অহিংস? মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহরুর অহিংস পথকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ছিলেন লালা লাজপত রায়, বালগঙ্গাধর তিলক, বিপিনচন্দ্র পালরা। তাঁদের আস্থা ছিল চরমপন্থায়। ‘যেমন কুকুর তেমন মুগুর’ নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন বাঘা যতীন, প্রফুল্ল চাকি, বিনয়-বাদল-দীনেশ। ভারতবাসীর ‘নয়নের মণি’ সুভাষচন্দ্র বসুও কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। এঁরা সকলেই আমাদের প্রণম্য। তবুও স্বাধীন ভারত গান্ধীজিকেই ‘জাতির জনক’-এর সম্মান দিয়েছে। কারণ তাঁর অহিংস নীতি। ভারত শান্তির পূজারি।
ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিলে ভবিষ্যতের পথ মসৃণ হয়। কিন্তু রাজনৈতিক নেতাদের সাম্প্রতিক কথাবার্তায় ইতিহাস থেকে শিক্ষা গ্রহণের ছাপ বিন্দুমাত্র নেই। রাজনীতিতে কদর্য ভাষার প্রয়োগ দেউলিয়াপনার লক্ষণ। উস্কানিমূলক ভাষণ ও ব্যক্তি আক্রমণে স্তাবকদের হাততালি পাওয়া যায়, কিন্তু সাধারণ
মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়। কারণ রাজনীতির চাওয়া-পাওয়ার বাইরে অসংখ্য মানুষ আছেন, যাঁরা শান্তি ছাড়া আর কিছুই চান না।
বড় হওয়ার সর্বোত্তম রাস্তা নিজের উৎকর্ষ বৃদ্ধি। অন্যকে ছোট করে বড় হওয়ার চেষ্টা ভুল এবং বিপজ্জনক। কিন্তু রাজনীতিতে দিন দিন সেটাই জনপ্রিয় হচ্ছে। সমালোচনা করলেই হেনস্তার চেষ্টা। কম বেশি সব দলেই। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে বাঙালি গর্ববোধ করে। বিজেপির সমালোচনা করায় অভিজিৎ বিনায়কের কৃতিত্বকে ছোট করার চেষ্টা চলে। বলা হল, ‘বিদেশিনীকে বিয়ে করেছেন বলেই তিনি নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন।’ যুক্তি ও তর্কের ভাঁড়ার শূন্য হলে কদর্ষ ভাষাই নির্গত হয়।
২০১১ সালে ভোটের আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘বদলা নয়, বদল চাই।’ কারণ তিনি বুঝেছিলেন, সিপিএমের ৩৪ বছরের রাজত্বের অন্যায় ও অত্যাচারের বদলা নিতে গেলে গঙ্গার জল লাল হয়ে যাবে। তাই বঙ্গ রাজনীতির পালা বদলের পর তাঁরই নির্দেশে রাজ্যজুড়ে বেজেছিল রবীন্দ্রসঙ্গীত।
দিলীপবাবু বদলা নেওয়ার নীতিতে বিশ্বাসী। বহুবার তিনি প্রকাশ্যে তা ঘোষণা করেছেন। অনেকে মনে করেন, দিলীপবাবুর লক্ষ্য ছিল, এরাজ্যে প্রধান বিরোধী দলের স্বীকৃতি আদায়। সিপিএমের হতাশাগ্রস্ত কর্মীদের কাছে টানতেই তিনি বদলার কথা বলেছিলেন। তাঁর সেই উদ্দেশ্য সফল।
এবার তাঁর লক্ষ্য রাজ্যের ক্ষমতা দখল। তাই বিরোধী নেতা থেকে শাসক হওয়ার ‘ইমেজ বিল্ডিং’ই তাঁর সামনে সব চেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তার জন্য দরকার ভাষার সংযম। কিন্তু সেই রাস্তায় তিনি হাঁটতে নারাজ। হয়তো চাইলেও পারছেন না। কারণ দলে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই তিনি আক্রমণের ধার দিন দিন বাড়াচ্ছেন। তৃণমূলের পাশাপাশি আক্রমণ করছেন পুলিসকেও। হয়তো ভাবছেন, পুলিসকে চাপে রাখতে না পারলে ‘গেম’ বের করা কঠিন। তাই পুলিস-পরিবারের মধ্যে ভয়টা চালান করে দিতে চাইছেন। সেই কারণেই পুলিসের সন্তানদের পড়া বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি।
গ্যাংস্টার বিকাশ দুবে কানপুরওয়ালের এনকাউন্টারকে আগেই সমর্থন করেছিলেন দিলীপবাবু। এবার তাঁকেও ছাপিয়ে গেলেন তাঁর দলের সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রত মণ্ডল ও মন্ত্রী স্বপন দেবনাথকে ‘ক্রিমিনাল’ আখ্যা দিয়ে এনকাউন্টার করার হুমকি দিয়েছেন রাজুবাবু। তাঁর সেই কথায় প্রচুর হাততালি পড়েছে। সেটাই স্বাভাবিক। অনিল বসুও হাততালি পেয়েছিলেন। তাপস পালও পেয়েছিলেন। কিন্তু, সেই হাততালি কেড়ে নিয়েছিল তাঁদের সারা জীবনের সুনাম।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন দল গঠনের এক বছরের মধ্যেই সিপিএমের ভিত নড়িয়ে দিয়েছিলেন। সিপিএমের একের পর এক ভুল পদক্ষেপ, ছোট আঙারিয়ার নৃশংস গণহত্যার মতো ঘটনায় বামেদের নেগেটিভ ভোট দিন দিন বাড়ছিল। তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য মমতাকে প্রায় এক যুগ অপেক্ষা করতে হয়েছিল। তাঁর আপসহীন লড়াই-ই তাঁকে এক নম্বর বিরোধী নেত্রীর মর্যাদা দিলেও প্রশাসক হিসেবে তখনও তিনি পরীক্ষিত হননি। তাই মানুষ ভরসা করতে পারেনি। মনমোহন সিংয়ের মন্ত্রিসভায় রেলমন্ত্রী হিসেবে তাঁর বিপুল সাফল্য ও বাংলায় রেলের প্রভূত উন্নয়঩ন তাঁকে প্রশাসকের সেই স্বীকৃতি দিয়েছিল। মানুষ বুঝেছিল, দায়িত্ব দিলে তিনি কাজ করতে পাবরেন। মানুষের সেই ভরসা ও বিশ্বাস তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে।
ইতিহাস শুধু কিছু অতীত ঘটনার সাক্ষীই নয়, শিক্ষাও দেয়। কী করা উচিত, আর কোনটা এড়িয়ে চলা দরকার, ইতিহাস সেই শিক্ষাও দেয়। তাই অনিল বসু, বিনয় কোঙার, তাপস পালরা হয়ে উঠেছেন রাজনীতির শিক্ষণীয় চরিত্র। তাঁরাই শিখিয়ে গিয়েছেন, কুকথার ফুলঝুরি ফুটিয়ে স্তাবকদের হাততালি পাওয়া যায়, কিন্তু সাধারণ মানুষ সরে দূরে। অনেক দূরে...।  
19th  September, 2020
ইতিহাস কি আবার
তালিবানের পক্ষে?
মৃণালকান্তি দাস

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আফগান শান্তি আলোচনায় একধাপ এগনো দরকার। যা ট্রাম্পকে নির্বাচনী যুদ্ধের প্রচারে এগিয়ে রাখবে। ট্রাম্প দেখাতে চাইছেন, দেশকে ১৯ বছরের যুদ্ধ থেকে মুক্তি দিচ্ছেন তিনি। এর জন্য ওই অঞ্চলের সব খেলোয়াড়কে তারা ‘শান্তি প্রক্রিয়া’য় শামিল করতে চায়। বিশদ

করোনাকে মওকা ধরেই তৎপর জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো
হারাধন চৌধুরী

জঙ্গিরা মনে করে, আমেরিকা, ভারত এবং আফ্রিকা ও ইউরোপের কিছু দেশে হামলা করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ। এই সময় আঘাত হানতে পারলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করা যাবে। কারণ, এই দেশগুলোর সরকার, এবং আর্মিও করোনা মোকাবিলা নিয়ে এখন ব্যতিব্যস্ত। বিশদ

24th  September, 2020
স্বাবলম্বী শরীর কোভিড রুখতে সক্ষম
মৃন্ময় চন্দ 

সারা পৃথিবী আশঙ্কিত। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের মানব শরীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎই এক স্বেচ্ছাসেবক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গোটা পৃথিবীর বিশ্বাস অক্সফোর্ডের ‘কোভিশিল্ডেই’ মিলবে করোনার হাত থেকে নিষ্কৃতি।  
বিশদ

23rd  September, 2020
বারবার তাঁর হাতে দেখি মৃত্যুর পরোয়ানা 
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের স্কুলের এক শিক্ষক বলতেন, যে একবার ভুল করে, সে অজ্ঞতা থেকে করে। তিনবার পর্যন্ত ভুল অজ্ঞতা থেকে হতে পারে। কিন্তু কেউ যদি বারবার ভুল করতে থাকে, তবে বুঝতে হবে, সে ইচ্ছে করেই ভুল করছে এবং তার পিছনে কোনও দুরভিসন্ধি আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মোদিমশাইয়ের বারবার ভুল করা দেখে সেই শিক্ষকের কথা মনে পড়ে গেল। 
বিশদ

23rd  September, 2020
কৃষি সংস্কার: দেখনদারির
মোড়কে আশঙ্কার মেঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ভূতনাথ পাল। কেতুগ্রামের বিল্বেশ্বর এলাকায় বাড়ি ছিল তাঁর। অনেক কষ্টে ধারদেনায় ডুবে আলুচাষ করেছিলেন। ভেবেছিলেন, এখন আলুর বাজারটা ভালো যাচ্ছে। ক’টা দিন তো কষ্ট... তারপরই সুদিন আসবে। সুদিন মানে, দু’বেলা দু’মুঠো...। 
বিশদ

22nd  September, 2020
এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর
দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
জয়ন্ত কুশারী
 

এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
‘মা বুঝি চইলাছে কোয়ারেন্টিনে...’ বরেণ্য লোকগীতি শিল্পী অমর পাল জীবিত থাকলে বুঝি এমনটাই গাইতেন। যদিও তিনি গেয়েছিলেন, ‘মা বুঝি কৈলাসে চইলাছে...’ 
মহালয়া থেকে সপ্তমী, দিন পঁয়ত্রিশের এই ব্যবধান পাল্টে দিল এমন একটি গানের লাইন। আসলে মানুষের মুখে মুখে এখন যে ফিরছে এই কথাটি। 
বিশদ

21st  September, 2020
কেন্দ্রের কথার খেলাপ, রাজ্যগুলোর অর্থাভাব
পি চিদম্বরম

কর ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) একটা ভয়ানক লড়াই হয়ে উঠেছে। যে অর্থনীতিতে পূর্বাহ্নেই দ্রুত পতনের সূচনা হয়েছিল, সেটা যখন মহামারীতে আরও বিধ্বস্ত হল তখন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিরাট বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল। 
বিশদ

21st  September, 2020
অর্থনীতিই নয়, ভয়াবহ বিপর্যয় বিদেশনীতিরও
হিমাংশু সিংহ

২০১৪ থেকে ২০২০। মাঝে মাত্র ৬ বছর। দুর্বল না হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী শক্তিশালী একনায়ক হলে রাষ্ট্রের বিপদ কী কী? এই ক’বছরেই তার মোক্ষম উত্তর পেয়ে গিয়েছে দেশ। এমনকী পরিস্থিতি আজ এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে, এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সরকারি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির সঙ্গে নরেন্দ্রনাথ দত্তের তুলনা টানছেন বুক ফুলিয়ে।  
বিশদ

20th  September, 2020
বাংলার সমাজ ও
রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণ
সমৃদ্ধ দত্ত

সেদিন বিকেলে তাঁকে ভেন্টিলেটরে নিয়ে যাওয়া হবে। কারণ, প্রবল শ্বাসকষ্ট। অক্সিজেন দিলেও কাজ হচ্ছে না তেমন। এইমস ডাক্তাররা বুঝলেন পরিস্থিতি ভালো নয়। অনেকদিন হয়ে গেল কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন।   বিশদ

18th  September, 2020
‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর
রূপকার নরেন্দ্র মোদি
যোগী আদিত্যনাথ

রাজা কালস্য কারণম্‌। মহাভারতের ‘শান্তিপর্ব’-এ যুধিষ্ঠিরকে উপদেশ দিতে গিয়ে পিতামহ ভীষ্ম এই কালজয়ী কথাটি বলেছিলেন। কথাটি পিতামহ নিজের লোকদের বলেছিলেন বলে মনে হতে পারে। কিন্তু এর ভিতরে এই ভারতের সবার জন্যই একটি জোরালো বার্তা তিনি রেখে গিয়েছেন।  বিশদ

17th  September, 2020
কাজ দাও, মুলতুবি রাখো
গ্রেট গেরুয়া সার্কাস
হারাধন চৌধুরী

দু’দশক যাবৎ ভারতীয় মিডিয়ায় সার্কাসের এলিজি বা শোকগাথা লেখা হচ্ছে। বেশিরভাগ লেখা ভারী হয়ে উঠছে জোকারদের জন্য সহমর্মিতায়। জোকারের জীবন কঠিন। কেউ শখ করে জোকার হয় না। কারও কারও জীবনখাতায় এই ভবিতব্যই লেখা থাকে।  বিশদ

17th  September, 2020
 কোনও প্রশ্ন নয়, নো কোয়েশ্চেনস!
সন্দীপন বিশ্বাস

 মোদি, অমিত শাহ তথা বিজেপি নেমে পড়েছে বিহার জয়ে। সেখানে অবশ্য নীতীশের হাত ধরে বিজেপিকে ভোট বৈতরণী পার হতে হবে। সেখানে রাজপুত ভোট আর ক্ষত্রিয় ভোট নিজেদের বাক্সে আনতে বিজেপিকে খেলতে হল দু’টি খেলা। একজনকে ডাইনি বানানো হল, অন্যজনকে দেবী বানানো হল।
বিশদ

16th  September, 2020
একনজরে
১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে রায়দিঘির মথুরাপুর ২ ব্লকে পাতিলেবু ও আনারসের গ্রাম গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদেরও এই কাজে নামানো হবে। বিডিও ...

 চারদিকে জল বেষ্টিত ভূতনির চর দুষ্কৃতীদের ডেরা হয়ে উঠেছে। বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা সেখানে ঘাঁটি গাড়ছে। ...

 বিরোধীদের যাবতীয় আপত্তি অগ্রাহ্য করে কৃষি ও কৃষকদের স্বার্থ সম্পর্কিত তিনটি বিল গাজোয়ারি করে সংসদে পাশ করিয়েছে মোদি সরকার। প্রতিবাদে গোটা বিরোধী শিবির দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এনডিএ-র একাধিক শরিক দলও বেজায় ক্ষুব্ধ। ...

 দুই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সহ মালদহের ১১জনকে হন্যে হয়ে খুঁজছে এনআইএ। তাদের ধরার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও চালিয়েছে তারা। ওই দুই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ডোমকল থেকে ধৃত ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস
১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম
১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং বেদির জন্ম
১৯৬৯ - বিখ্যাত বাঙালি চিত্রপরিচালক, অভিনেতা এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মধু বসু ওরফে নাম সুকুমার বসুর মৃত্যু
১৯৯০- রাজনীতিবিদ,স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীবাদি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৯ টাকা ৭৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ৯২.১৯ টাকা ৯৫.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৪.৫২ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৮৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৫৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৭,১৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৭,২৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী ৩৩/৬ রাত্রি ৬/৪৪। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র ৩২/৩৩ রাত্রি ৬/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৯/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/১৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ৯/৫৮ মধ্যে।
৮ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী রাত্রি ১০/৩১। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র রাত্রি ১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২২ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৯ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে।
৭ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। বৃষ: ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন
বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং ...বিশদ

04:28:18 PM

 আইপিএল: চেন্নাই সুপার কিংসকে ৪৪ রানে হারাল দিল্লি ক্যাপিটাল

11:13:05 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১০১/৪ (১৬ ওভার) 

10:49:48 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৪৭/৩ (১০ ওভার) 

10:14:56 PM

 আইপিএল: চেন্নাই ২৬/১ (৫ ওভার)

09:51:00 PM