Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাংলার সমাজ ও
রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণ
সমৃদ্ধ দত্ত

সেদিন বিকেলে তাঁকে ভেন্টিলেটরে নিয়ে যাওয়া হবে। কারণ, প্রবল শ্বাসকষ্ট। অক্সিজেন দিলেও কাজ হচ্ছে না তেমন। এইমস ডাক্তাররা বুঝলেন পরিস্থিতি ভালো নয়। অনেকদিন হয়ে গেল কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বেশ কষ্টে ইশারা ইঙ্গিতেই কথা বলছিলেন। তাই স্থির হয়েছে, ভেন্টিলেটরে নিয়ে যাওয়াই শ্রেয়। গত ১০ সেপ্টম্বর সকালে সেভাবেই একজন হসপিটাল অ্যাটেন্ডেন্টকে ইশারা করেছিলেন তিনি। হসপিটাল বেডসাইড টেবিলে একটি পেন আর প্যাড রয়েছে প্রথম থেকে। মাঝেমধ্যে তিনি চিঠি লেখেন। কিংবা কিছু নোট করেন। রঘুবংশপ্রসাদ সিং-কে সেই প্যাড দেওয়া হল। তিনি একটি চিঠি লিখলেন। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে। চিঠির প্রতিপাদ্য হল, মহাত্মা গান্ধী সেতু রোড থেকে হাজিপুর যাওয়ার যে হাইওয়ে, তার ঠিক মাঝখানে বৈশালী নামাঙ্কিত একটি তোরণদ্বার তৈরি করুক বিহার সরকার। সেই তোরণদ্বারে লেখা হোক ‘বিশ্বের প্রথম গণতন্ত্র, বৈশালী’। আর এরপর বৈশালী যখন ক্রস করছে, তখন বিভিন্ন স্থানে ফলক বসিয়ে রাষ্ট্রকবি দিনকরের কবিতার ছোট ছোট লা‌ইন যেন লেখা হয় রাস্তার পাশে পাশে। আপনার কাছে আমার বিনীত অনুরোধ এটাই। চিঠি লেখার একদিন পরই রঘুবংশপ্রসাদ সিং-এর মৃত্যু হল। বিহারের বৈশালী থেকে নির্বাচিত পাঁচবারের এমপি ছিলেন। লালুপ্রসাদ যাদবের দলের নেতা। অঙ্ক ও স্ট্যাটিসটিক্সের অধ্যাপক। পিএইচডি করেছেন। আমার সাংবাদিক জীবনে দেখা সবথেকে উদার, ডিসেন্ট, জ্ঞানঅর্জনে সদা উৎসূক এবং একজন যোগ্যতম মন্ত্রী। তিনি ছিলেন ইউপিএ সরকারের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী। রঘুবংশবাবু (তাঁকে এভাবেই ডাকা হতো বিহার ও দিল্লিতে) ভারতের গ্রামীণ এলাকার জন্য দুটি কাজ করে গিয়েছেন মন্ত্রী হিসেবে। ওই দুটি প্রকল্প ভারতের গ্রামসমাজে বিপ্লব এনে দিয়েছে। দুটিরই অন্যতম প্রধান কারিগর তিনি। ১০০ দিনের কাজের গ্যারান্টি আইন এবং নির্মল গ্রাম যোজনা। নির্মল গ্রাম যোজনার অর্থ প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি বাড়িতে শৌচালয় করে দেওয়া হবে। আজ আমরা জানি এই দুই প্রকল্প কীভাবে ভারতের গ্রামের আর্থসামাজিক অবস্থাকে আমূল বদলে দিয়েছে। ওই প্রকল্প দুটি শুরুর ১৪ বছর পরও আজ এই দু‌ই প্রকল্পই সবথেকে উজ্জ্বল ও প্রাসঙ্গিক। নির্মল গ্রাম যোজনার নাম হয়তো পরবর্তীতে একটি উচ্চকিত প্রচারের আলোয় ঢেকে গিয়েছে। নতুন কসমেটিক্স চেঞ্জ করে হয়েছে স্বচ্ছ ভারত প্রকল্প। কিন্তু আসল কাঠামোটি ওই রঘুবংশবাবুর তৈরি করে যাওয়া নির্মল গ্রাম যোজনাই।
৭৪ বছর বয়সি একজন মানুষের কালান্তক রোগ হয়েছে। তিনি জানেন ভেন্টিলেটরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মানে আর নাও ফিরতে পারি। অথচ সেই অন্তিম মুহূর্তে তিনি অন্য কিছু ভাবলেন না। শেষ চিঠি লিখে অনুরোধ করে গেলেন মুখ্যমন্ত্রীকে, বৈশালীকে যেন দুনিয়াবাসী মনে রাখে বিশ্বের প্রথম গণতন্ত্র হিসেবে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে হাতে লেখা চিঠিটি লেখার সময় তিনি কতটা অসুস্থ ছিলেন। আঁকাবাঁকা অক্ষরে ভাঙা ভাঙা শব্দ দিয়ে তৈরি বাক্য। রঘুবংশবাবু ঠিক যেমন ছিলেন, মৃত্যুর প্রাক্কালে নিজেকে সেই আসনেই স্থায়ীভাবে বসিয়ে দিয়ে গেলেন। হাঁটুর উপর ধুতি, পান অথবা খইনি খেতে খেতে সম্পূর্ণ দেহাতি হিন্দিতে বলা বা঩঩ক্যের দৃশ্যমানতার আড়ালে তিনি ছিলেন অন্যতম আধুনিক একটি মানুষ। তিনি ছিলেন রাম মনোহর লোহিয়ার সোশ্যালিস্ট রাজনীতির অনুগামী। রঘুবংশবাবু চলে যাওয়ার পর ভারতের জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে আর একজনও প্রভাবশালী রাজনীতিক রইলেন না, যাঁর সঙ্গে ১০০ শতাংশ মাটির যোগ আছে। গ্রামকে তিনি চিনতেন হাতের তালুর মতো। তাই আজও ভারতের গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকটি শ্রেষ্ঠ আকার ধারণ করেছিল এক ও একমাত্র রঘুবংশবাবুর আমলে। সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁর অফিসাররা যখন কোন রাজ্য কত বরাদ্দ পেল সেই তালিকা ফাইল দেখে দেখে বলতেন, তিনি অনায়াসে চেয়ারে পা তুলে চোখ বুজে বলে যেতেন প্রতিটি পরিসংখ্যান। তাবৎ আই এ এস অফিসার থাকতেন তটস্থ। কারণ, কোটি কোটি টাকার অঙ্কে সামান্য একটি ডিজিট ভুল হলেই তিনি চোখ খুলে ভ্রু কুঁচকে তাকাতেন! সকলেই বুঝে যেতেন যে কিছু একটা খটকা হয়েছে। তারপর তিনি হেসে ফেলতেন। শুধুই ঩কি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তি? না। তিনি ছিলেন সত্যদ্রষ্টা। রঘুবংশপ্রসাদ সিং এর প্রসঙ্গ উত্থাপন করার কারণ হল তাঁর করে যাওয়া ভবিষ্যদ্বাণী আজ সম্পূর্ণ সত্য হয়েছে। সবথেকে বড় হাহাকার হল, রঘুবংশবাবুদের মতো রাজনীতিক ক্লাস ক্র঩মেই বিদায় নিচ্ছে ভারত থেকে। এই মাসে দুজন এই পুরনো আদর্শগত ঘরানার রাজনীতিক চলে গেলেন। প্রণব মুখোপাধ্যায় ও রঘুবংশপ্রসাদ সিং। এই ওল্ড স্কুল পলিটিক্স বিস্মৃতির আড়ালে চলে যাচ্ছে দ্রুত।
তিনি আক্ষেপ করতেন, তোমাদের বাংলার মতো যদি এতজন সমাজ সংস্কারক অন্য রাজ্যেও থাকতেন, তাহলে দেশের বিভিন্ন অংশে পিছিয়ে পড়া রাজ্যের মানুষ শিক্ষা ও সংস্কৃতিতে অনেকটা এগিয়ে যেত। তোমাদের রামমোহন থেকে বিদ্যাসাগর। শ্রীরামকৃষ্ণ থেকে স্বামীজি। রবীন্দ্রনাথ থেকে সুভাষচন্দ্র। তালিকাটা দেখলে ভারতের যে কোনও রাজ্য ঈর্ষা করবে। এর মধ্যে একজনকে পেলেও অন্য কোনও রাজ্য মাথায় তুলে রাখতো। আর সেই রাজ্যের সামাজিক চেতনাও অনেকটা বদল হয়ে যেত। রঘুবংশবাবু ছিলেন বৈশালীর জন্য গর্বিত। তিনি সর্বদাই বলতেন বুদ্ধদেব ও বৌদ্ধ সংঘের সংসদীয় গণতন্ত্রের কথা। একটি সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, যেদিন তোমাদের এই মনীষীদের শিক্ষা পিছনের সারিতে চলে যাবে, সেদিন থেকেই দেখতে পাবে তোমরা নিজেদের জাতিগত বৈশিষ্ট্য হারাচ্ছো। নিজেদের অর্জন করা সংস্কৃতি ও শিক্ষা ধরে রাখতে না পারলে তখন অন্যদের নকল করতে হয়। তোমাদের কালচারই তোমাদের একটা সামাজিক কোঅর্ডিনেশনের কাজ করেছে। সেটা শিথিল হয়ে গেলেই নানারকম বিভাজনের কালচার মাথা চাড়া দেবে। সেটাই হবে প্রথম বিপদ।
আজ রঘুবংশবাবুর সেইসব কথাই সত্য প্রমাণিত হয়েছে। দেখা যাচ্ছে বাংলার সমাজ ও রাজনীতিতে সত্যিই অনুপ্রবেশ ঘটেছে বিবিধ ভিন্নসংস্কৃতি। আচমকা উচ্চবর্ণ বনাম নিম্নবর্ণ, হিন্দু বনাম মুসলিম, ঘটি বনাম বাঙাল—এই ইস্যুগুলি রাজনীতি এবং আমাদের নিত্যদিনের আলোচনায় ঢুকে পড়েছে। পশ্চিমবঙ্গে এই ইস্যুগুলি কি ছিল না? অবশ্যই ছিল। কিন্তু কখনও প্রত্যক্ষ রাজনীতির পরিসরে কিংবা ভোটের কৌশল হিসেবে সামনে আসেনি। স্বাধীনতার পর থেকেই সিপিএম এবং কংগ্রেস, যে যত কম অথবা বেশি ভোটই পাক, বিশুদ্ধ রাজনীতির বিশ্বাস ও সমর্থন থেকেই হারজিতের ফয়সালা হয়েছে। উচ্চবর্ণ, নিম্নবর্ণ, ঘটি, বাঙাল, ধনী, দরিদ্র, গ্রাম, শহর বিভিন্ন বিভাজিত সমাজের ভোট সব দলই পেয়েছে। কোনও অংশের ভোট কোনও একটি দলই পেয়েছে, এরকম হয়নি কখনও। ১৯৭৭ সালের সিপিএমের ল্যান্ড রিফর্মসের পর এমন হয়নি যে বাংলার সব চাষিই ঢেলে সিপিএমকে ভোট দিচ্ছে। গ্রামে গ্রামে কংগ্রেসও জয়ী হয়েছে। পরবর্তীকালে তৃণমূল। এমনকী বিজেপিও যে শুধু‌ই ঩হিন্দুর ভোট পাচ্ছে বা উচ্চবর্ণের, তাও নয়। যদিও তাদের রাজনৈতিক নীতি হল হিন্দুত্ববাদী। কিন্তু বাংলাবাসী সেই ধর্মীয় ভিত্তিতেই ভোটে বিপুল সাড়া দিয়েছে এমন নয়। হয়তো আরও নানাবিধ কারণ আছে।
ক্রমেই ভোট চাওয়া ও ভোট পাওয়ার প্যাটার্নটা বদলে যাচ্ছে। অনেক বেশি বেশি করে আজকাল বিভাজিত করে দেওয়া হচ্ছে সমাজকে। এভাবে ক্রমেই হয়তো আগামীদিনে নানারকম ভোটব্যাঙ্ক তৈরি হবে বাংলায়। কাস্ট, ধর্ম, জাতির ভিত্তিতে। যা অন্য রাজ্যগুলিতে আছে। সেই প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই যে সমাজকে বিভাজিত করার একটা পরীক্ষা করে রাজনৈতিক দলগুলি দেখতে পাচ্ছে বেশ সাফল্য পাওয়া যাচ্ছে, এই সুযোগটা তাদের আমরাই করে দিচ্ছি। বাংলার মানুষ ক্রমেই বদলে যাচ্ছে। তারা এই ফাঁদগুলিতে পা দিয়েছে। ওই রাজনীতি ও সামাজিক বিভাজনের ইস্যুতে অংশ নিতে শুরু করেছে। এই সুযোগ রাজনীতি নেবেই। এবং নিচ্ছে।
এর ফলে জাতিগতভাবে বাঙালি শক্তিহীন হয়ে যাচ্ছে। ধর্ম, কাস্ট, সাবকাস্ট ইত্যাদি ভাবে যতই বাঙালি বিভাজিত হতে থাকছে, ততই যে কোনও কমন ফ্যাক্টর অর্থাৎ সামগ্রিক বাংলার স্বার্থের ইস্যুতে আর কেউ একজোট হতে পারছে না। এভাবে ক্রমেই সম্মিলিত ভাবনার পরিবর্তে পৃথক পৃথক অদৃশ্য দ্বীপ তৈরি হয়ে যাচ্ছে সমাজে। আগামী বছর ভোট আসছে। তাই এখন থেকেই আমাদের বুঝে নিতে হবে কারা সামান্য হলেও কাজের ক্ষেত্রে বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছে বা পারবে। জনস্বার্থে যাদের দিয়ে কিছু অন্তত উপকার পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অর্থাৎ আমাদের মতো সাধারণ ভোটারদের ডাইরেক্ট আর্থ-সামাজিক-পারিবারিক লাভ কীসে হবে, সেটাই দেখা দরকার। এই মারাত্মক করোনা সংক্রমণ, লকডাউন, অসংখ্য জীবিকার সর্বনাশ, অন্ধকারাচ্ছন্ন রোজগারের সম্ভাবনা, পরীক্ষা, চাকরির সুযোগ পাওয়া..এসব জ্বলন্ত ইস্যু঩কেই কি আমরা সবথেকে বেশি অগ্রাধিকার দেব? নাকি আরও বেশি বেশি গুরুত্বহীন চর্চা ও অজানা স্বপ্ন ও প্ররোচনায় ঝাঁপ দেব? সিদ্ধান্ত আমাদেরই নিতে হবে। সাধারণ মানুষের কিন্তু সুখ ও স্বস্তি দুইই চাই!  
18th  September, 2020
ইতিহাস কি আবার
তালিবানের পক্ষে?
মৃণালকান্তি দাস

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আফগান শান্তি আলোচনায় একধাপ এগনো দরকার। যা ট্রাম্পকে নির্বাচনী যুদ্ধের প্রচারে এগিয়ে রাখবে। ট্রাম্প দেখাতে চাইছেন, দেশকে ১৯ বছরের যুদ্ধ থেকে মুক্তি দিচ্ছেন তিনি। এর জন্য ওই অঞ্চলের সব খেলোয়াড়কে তারা ‘শান্তি প্রক্রিয়া’য় শামিল করতে চায়। বিশদ

করোনাকে মওকা ধরেই তৎপর জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো
হারাধন চৌধুরী

জঙ্গিরা মনে করে, আমেরিকা, ভারত এবং আফ্রিকা ও ইউরোপের কিছু দেশে হামলা করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ। এই সময় আঘাত হানতে পারলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করা যাবে। কারণ, এই দেশগুলোর সরকার, এবং আর্মিও করোনা মোকাবিলা নিয়ে এখন ব্যতিব্যস্ত। বিশদ

24th  September, 2020
স্বাবলম্বী শরীর কোভিড রুখতে সক্ষম
মৃন্ময় চন্দ 

সারা পৃথিবী আশঙ্কিত। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের মানব শরীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎই এক স্বেচ্ছাসেবক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গোটা পৃথিবীর বিশ্বাস অক্সফোর্ডের ‘কোভিশিল্ডেই’ মিলবে করোনার হাত থেকে নিষ্কৃতি।  
বিশদ

23rd  September, 2020
বারবার তাঁর হাতে দেখি মৃত্যুর পরোয়ানা 
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের স্কুলের এক শিক্ষক বলতেন, যে একবার ভুল করে, সে অজ্ঞতা থেকে করে। তিনবার পর্যন্ত ভুল অজ্ঞতা থেকে হতে পারে। কিন্তু কেউ যদি বারবার ভুল করতে থাকে, তবে বুঝতে হবে, সে ইচ্ছে করেই ভুল করছে এবং তার পিছনে কোনও দুরভিসন্ধি আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মোদিমশাইয়ের বারবার ভুল করা দেখে সেই শিক্ষকের কথা মনে পড়ে গেল। 
বিশদ

23rd  September, 2020
কৃষি সংস্কার: দেখনদারির
মোড়কে আশঙ্কার মেঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ভূতনাথ পাল। কেতুগ্রামের বিল্বেশ্বর এলাকায় বাড়ি ছিল তাঁর। অনেক কষ্টে ধারদেনায় ডুবে আলুচাষ করেছিলেন। ভেবেছিলেন, এখন আলুর বাজারটা ভালো যাচ্ছে। ক’টা দিন তো কষ্ট... তারপরই সুদিন আসবে। সুদিন মানে, দু’বেলা দু’মুঠো...। 
বিশদ

22nd  September, 2020
এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর
দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
জয়ন্ত কুশারী
 

এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
‘মা বুঝি চইলাছে কোয়ারেন্টিনে...’ বরেণ্য লোকগীতি শিল্পী অমর পাল জীবিত থাকলে বুঝি এমনটাই গাইতেন। যদিও তিনি গেয়েছিলেন, ‘মা বুঝি কৈলাসে চইলাছে...’ 
মহালয়া থেকে সপ্তমী, দিন পঁয়ত্রিশের এই ব্যবধান পাল্টে দিল এমন একটি গানের লাইন। আসলে মানুষের মুখে মুখে এখন যে ফিরছে এই কথাটি। 
বিশদ

21st  September, 2020
কেন্দ্রের কথার খেলাপ, রাজ্যগুলোর অর্থাভাব
পি চিদম্বরম

কর ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) একটা ভয়ানক লড়াই হয়ে উঠেছে। যে অর্থনীতিতে পূর্বাহ্নেই দ্রুত পতনের সূচনা হয়েছিল, সেটা যখন মহামারীতে আরও বিধ্বস্ত হল তখন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিরাট বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল। 
বিশদ

21st  September, 2020
অর্থনীতিই নয়, ভয়াবহ বিপর্যয় বিদেশনীতিরও
হিমাংশু সিংহ

২০১৪ থেকে ২০২০। মাঝে মাত্র ৬ বছর। দুর্বল না হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী শক্তিশালী একনায়ক হলে রাষ্ট্রের বিপদ কী কী? এই ক’বছরেই তার মোক্ষম উত্তর পেয়ে গিয়েছে দেশ। এমনকী পরিস্থিতি আজ এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে, এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সরকারি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির সঙ্গে নরেন্দ্রনাথ দত্তের তুলনা টানছেন বুক ফুলিয়ে।  
বিশদ

20th  September, 2020
কুকথায় হাততালি জুটলেও
দূরে সরে যায় মানুষ 
তন্ময় মল্লিক

রুটি সেঁকার জন্য তাওয়া গরম করতে হয়। আবার সেই তাওয়া বেশি তেতে গেলে রুটি যায় পুড়ে। তখন খাবারের থালার বদলে রুটির জায়গা হয় ডাস্টবিনে। রাজনীতিতেও তেমনটাই। কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য নেতারা গরম গরম ভাষণ দেন। কিন্তু তা মাত্রা ছাড়ালে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়।  
বিশদ

19th  September, 2020
‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর
রূপকার নরেন্দ্র মোদি
যোগী আদিত্যনাথ

রাজা কালস্য কারণম্‌। মহাভারতের ‘শান্তিপর্ব’-এ যুধিষ্ঠিরকে উপদেশ দিতে গিয়ে পিতামহ ভীষ্ম এই কালজয়ী কথাটি বলেছিলেন। কথাটি পিতামহ নিজের লোকদের বলেছিলেন বলে মনে হতে পারে। কিন্তু এর ভিতরে এই ভারতের সবার জন্যই একটি জোরালো বার্তা তিনি রেখে গিয়েছেন।  বিশদ

17th  September, 2020
কাজ দাও, মুলতুবি রাখো
গ্রেট গেরুয়া সার্কাস
হারাধন চৌধুরী

দু’দশক যাবৎ ভারতীয় মিডিয়ায় সার্কাসের এলিজি বা শোকগাথা লেখা হচ্ছে। বেশিরভাগ লেখা ভারী হয়ে উঠছে জোকারদের জন্য সহমর্মিতায়। জোকারের জীবন কঠিন। কেউ শখ করে জোকার হয় না। কারও কারও জীবনখাতায় এই ভবিতব্যই লেখা থাকে।  বিশদ

17th  September, 2020
 কোনও প্রশ্ন নয়, নো কোয়েশ্চেনস!
সন্দীপন বিশ্বাস

 মোদি, অমিত শাহ তথা বিজেপি নেমে পড়েছে বিহার জয়ে। সেখানে অবশ্য নীতীশের হাত ধরে বিজেপিকে ভোট বৈতরণী পার হতে হবে। সেখানে রাজপুত ভোট আর ক্ষত্রিয় ভোট নিজেদের বাক্সে আনতে বিজেপিকে খেলতে হল দু’টি খেলা। একজনকে ডাইনি বানানো হল, অন্যজনকে দেবী বানানো হল।
বিশদ

16th  September, 2020
একনজরে
১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে রায়দিঘির মথুরাপুর ২ ব্লকে পাতিলেবু ও আনারসের গ্রাম গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদেরও এই কাজে নামানো হবে। বিডিও ...

 বর্ধমান থানার মির্জাপুরে বাসের ধাক্কায় এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম জয়দীপ সুবুধি (১৫)। সে বর্ধমান শহরের মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাইস্কুলে পড়ত। ...

 প্রতিপক্ষ ফুটবলারের গায়ে থুতু দেওয়ার অপরাধে চার ম্যাচ নির্বাসিত হলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। গত ১৪ সেপ্টেম্বর ফরাসি লিগে প্যারি সাঁজাঁ বনাম মার্সেই ম্যাচের শেষ লগ্নে ...

 করোনার দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ শুরু হয়েছে ব্রিটেনে। সংক্রমণ রুখতে স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন জারির অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। তবে এইভাবে লকডাউনের সাফল্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ব্রিটিশ সরকারকে চিঠি দিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস
১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম
১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং বেদির জন্ম
১৯৬৯ - বিখ্যাত বাঙালি চিত্রপরিচালক, অভিনেতা এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মধু বসু ওরফে নাম সুকুমার বসুর মৃত্যু
১৯৯০- রাজনীতিবিদ,স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীবাদি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৯ টাকা ৭৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ৯২.১৯ টাকা ৯৫.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৪.৫২ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৮৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৫৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৭,১৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৭,২৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী ৩৩/৬ রাত্রি ৬/৪৪। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র ৩২/৩৩ রাত্রি ৬/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৯/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/১৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ৯/৫৮ মধ্যে।
৮ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী রাত্রি ১০/৩১। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র রাত্রি ১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২২ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৯ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে।
৭ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। বৃষ: ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন
বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং ...বিশদ

04:28:18 PM

 আইপিএল: চেন্নাই সুপার কিংসকে ৪৪ রানে হারাল দিল্লি ক্যাপিটাল

11:13:05 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১০১/৪ (১৬ ওভার) 

10:49:48 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৪৭/৩ (১০ ওভার) 

10:14:56 PM

 আইপিএল: চেন্নাই ২৬/১ (৫ ওভার)

09:51:00 PM