Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কাজ দাও, মুলতুবি রাখো
গ্রেট গেরুয়া সার্কাস
হারাধন চৌধুরী

দু’দশক যাবৎ ভারতীয় মিডিয়ায় সার্কাসের এলিজি বা শোকগাথা লেখা হচ্ছে। বেশিরভাগ লেখা ভারী হয়ে উঠছে জোকারদের জন্য সহমর্মিতায়। জোকারের জীবন কঠিন। কেউ শখ করে জোকার হয় না। কারও কারও জীবনখাতায় এই ভবিতব্যই লেখা থাকে। এইভাবে জোকার একটা বৃত্তি হয়ে উঠেছিল। একটা শ্রেণীকে রুটিরুজি দিয়েছে এই পেশা। কিন্তু সার্কাস নামক একদা জনপ্রিয় শিল্পটা লুপ্তপ্রায় হয়ে যাওয়ার কারণে সমাজের ওই শ্রেণীটার জীবন নিশ্চিতভাবে কঠোরতর হয়ে উঠেছে। কাঠ বেকার হয়ে গিয়েছেন বহু দক্ষ জোকার। 
বোল্ড ইটালিকস আকারে এই এলিজি প্রকাশ করতে করতে মিডিয়া যখন ক্লান্তপ্রায়, ঠিক তখনই আসরে অবতীর্ণ দিল্লীশ্বর। সুযোগটা করে দিয়েছে কোভিড-১৯। নোট বাতিল এবং ত্রুটিপূর্ণ জিএসটির নজিরবিহীন ধাক্কায় দেশ যখন টলোমলো ঠিক তখনই করোনা দেবীর আবির্ভাব। ভারতে প্যানডেমিক হল্লার ছ’মাসের মাথায় এসে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে, দীর্ঘ লকডাউনের আদৌ  কোনও প্রয়োজন ছিল কি? আনলকের মোড়কে লকডাউনের মাইল্ড রিপিটেশনটাও কি জরুরি কোনও পদক্ষেপ? নাকি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার একটা জবরদস্ত প্ল্যান? মোদি সরকার কি টের পায়নি—তাদের দু’-দু’টো মারাত্মক গোঁয়াতু্র্মি অর্থনীতির আঁতুড়ঘরে কোন দৈত্য প্রসব করতে চলেছে? এমন শুম্ভ-নিশুম্ভ বধের ক্ষমতা সাউথ ব্লক, নর্থ ব্লকের কারও নেই। কিন্তু দেশবাসীও তো ছেড়ে কথা বলবেন না। অতএব একটা দশপ্রহরণধারিণীর শরণ নেওয়া প্রয়োজন। করোনা দেবী যখন স্বয়ং প্রকাশিত হয়েছেন তখন তাঁকে অবজ্ঞা করে কোন মূর্খ! প্রথমে বলা হল, ২১ দিনের লকডাউনেই সব শাল্টে দেব! তারপর ‘আত্মনির্ভর ভারত’ সমেত আরও যা সব হ্যান করেঙ্গা ত্যান করেঙ্গা ‘মন কি বাত’ শোনানো হল তাতে দেশবাসী ভিরমিই খেল শুধু। পেট ভরল না কোনও ভুখার। বস্তুত, করোনাকে সামনে রেখেই একটা বছরের অর্ধেকটা কাটিয়ে দেওয়া গেল। বোধকরি, পৃথিবীর কোনও গ্রেট সার্কাস এবং গ্রেটেস্ট জোকারও এমনটা করে দেখাতে পারত না। জিডিপির করুণতম ছবি বুঝিয়ে দিচ্ছে, দেশ আরও ডুববে। এই শাসক করোনাকে শিখণ্ডি করে আরও ধেই ধেই করে নাচবে। কোনও সংশয় নেই। সঙ্গে চলবে রামমন্দির নির্মাণ, রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার উপযোগী জাতীয় শিক্ষানীতির প্রবর্তন, এবং চীন ও পাকিস্তানকে খেলনা বন্দুকের সামনে রেখে দেশপ্রেমের সুড়সুড়ি প্রদান। অথচ জানতে দেওয়া হচ্ছে না যে চীন মোটেই বেসামাল নয়। আমেরিকার মতো চীনও কোমর সোজা করে, মাথা উঁচু করে উঠে দাঁড়িয়েছে। এমনকী, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাকিস্তান অন্তত ভারতের থেকে অনেক ভালো পজিশনে রয়েছে। দ্রুত চাহিদা এবং উৎপাদন বৃদ্ধির সুবাদে ইমরান খানের অর্থনীতি লক্ষ্যমাত্রার থেকেও ২-৩ শতাংশ বেশি এগিয়ে যাচ্ছে বলে রায় দিয়েছেন সে দেশের বিশেষজ্ঞরা। অথচ, করোনা পরিস্থিতি পাকিস্তানের অর্থনীতিকে সাত দশকের ভিতরে সবচেয়ে গভীয় গাড্ডায় এনে ফেলেছিল। তাদের এই পুনরুজ্জীবনের পিছনে চীনের অবদান কতটা তা নিয়ে চর্চা নিশ্চয় হচ্ছে।  
কিন্তু ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ তখন কী করণীয়? হ্যাঁ, আমাদের একলাই চলতে হবে। এই ‘আমাদের’ বলতে আমি সারা দেশের প্রায় ৪৩ কোটি ওয়ার্ক ফোর্স বা কাজ করার ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষের কথা বোঝাতে চাইছি। আসুন, আমরা আর সর্বক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ মন মগজ চুবিয়ে রাখব না। ভ্যাকসিনের প্রতীক্ষায় একটি একটি করে দিন বিসর্জন দেব না। আমরা তো বুঝেই গিয়েছি, সব ঠিকঠাক থাকলেও আমাদের মতো হরিপদ কেরানি বা রামা কৈবর্তদের অঙ্গে এই ভ্যাকসিন প্রবেশ করতে এখনও দু’-চার বছর পেরিয়ে যেতে পারে। আমরা কি ততদিন নিজেদের বন্দি করে রাখব? স্বেচ্ছাবন্দিত্ব কিন্তু নেশায় পরিণত হয়ে যেতে পারে। কিছু নেশা এমনই যে তিলে তিলে মরছি জেনেও তা থেকে বেরতে ইচ্ছে হয় না। সর্বনাশ তত দূর গড়াবার আগেই আমাদের সাবধান হতে হবে। একটু একটু করে বাইরে বেরতেই হবে আমাদের। সংক্রমণ এবং মৃত্যুর পরিসংখ্যান এখনই মুছে ফেলা যাবে না। পাশাপাশি ভরসা খুঁজে নিতে হবে বিপুল সংখ্যক মানুষের সুস্থতার পরিসংখ্যান ও আখ্যানগুলো থেকে। আমেরিকার বিশেষজ্ঞদের আরও একাধিক উৎসাহব্যঞ্জক বক্তব্য নজরে এল সাম্প্রতিক কাগজে: ‘করোনা ভাইরাস ক্রমশ কমজোরি হয়ে মরশুমি অসুখে পরিণত হবে!’ ‘মাস্কের ব্যবহার ইমিউনিটি গড়তে মানুষকে সাহায্য করে!’ এতদিন জানতাম, শুধু সংক্রমণ রুখতে সাহায্য করে মাস্ক। তাহলে এটা তো বাড়তি পাওনা! এ নিয়ে বিতর্ক হয়তো থাকবে। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে আপস করতে কেউই বলছেন না। সব দেখে-শুনে মনে হয়, ভ্যাকসিন পাওয়ার পরেও মাস্ক ব্যবহার-সহ আনুষঙ্গিক স্বাস্থ্যবিধি অনির্দিষ্টকাল মেনে চলতেই হবে আমাদের। তাই যদি হবে তবে মাস্ক পরে এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধিকে সাথী করে আমরা এখনই কেন স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারব না?  
আসুন, আমরা সকলে মিলে ‘এক এবং একলা’ হই। অর্থনীতি নিয়ে সরকারকে একযোগে প্রশ্ন করতে থাকি আর নিজেদের মতো করে জাগতে চেষ্টা করি। সরকারের প্রতিটি গালভরা ঘোষণার কী রেজাল্ট হল জানতে চাই। সোজা সাপটা বলে দিই: দেশপ্রেমের গল্পটা পরে শুনব। খালি পেটে ধম্মকথাও বদ হজম হয়ে যায়। করোনা যথেষ্ট শিক্ষিত করেছে আমাদের। তাই নয়া জাতীয় শিক্ষানীতি আপাতত মুলতুবিই থাক। আমরা কাজ করে বাঁচতে চাই। ইমিডিয়েট কাজ/চাকরির ব্যবস্থা করো। আর কিচ্ছুটি বুঝি না।  
কৃষিকে বাদ দিলে সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক ক্ষেত্র হল এমএসএমই (মাইক্রো, স্মল ও মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ, অর্থাৎ খুব ছোট, ছোট ও মাঝারি মাপের শিল্প-ব্যবসা)। নীতিন গাদকারির দপ্তরের সর্বশেষ রিপোর্ট (২০১৮-১৯) বলছে: ৬ কোটি ৩৪ লক্ষ এমএসএমই চালু ছিল। এই সেক্টর ১১-১২ কোটি পরিবারের রুটিরুজির সংস্থান করে। জিডিপি-র ৩০ শতাংশ আসে এমএসএমই থেকে। এরা রপ্তানি বাণিজ্যের ৪৫ শতাংশের জোগানদার। একটি বেসরকারি সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, এমএসএমই-র অর্ধেকের বেশি গ্রাম-মফস্সলে অবস্থিত। তবে, শহুরে এমএসএমই-তে কাজের সুযোগ বেশি। এমএসএমই-র ৯৯ শতাংশের বেশি হল মাইক্রো মাপের। শহর, গ্রাম দু’জায়গাতেই রয়েছে। যেগুলিতে কাজের সুযোগ এক থেকে দু’জনের মাত্র। লকডাউনের সময় এই আর্থিক ক্ষেত্রের নাভিশ্বাস উঠেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত কিছু (৭ শতাংশ) ইউনিট মাত্র মাস তিনেকের বেশিকাল টিকে থাকতে পারবে বলে মনে করছে। বাকিদের ভাগ্যের পাশে কি ‘গভীর অন্ধকার’ লেখা হচ্ছে! অবশ্য অল ইন্ডিয়া ম্যানুফ্যাকচারার্স অর্গানাইজেশনের মতে, এমএসএমই-র সংখ্যা সাড়ে ৭ কোটি। লকডাউনের শুরুতে তারা বলেছিল, লকডাউন চার সপ্তাহের বেশি লম্বা হলে প্রথম ধাক্কাতেই চার ভাগের একভাগ বন্ধ হয়ে যাবে। লকডাউন ৮ সপ্তাহের বেশি হলে প্রায় অর্ধেক বন্ধ হয়ে যাবে। লক/আনলক মিলিয়ে যা উপহার পাওয়া গেল তাতে এবার কী অনুমান করা যায়? কোটি কোটি মানুষ বেকার হয়ে গিয়েছেন। তাঁদের উপর নির্ভরশীল আরও বহু কোটি মানুষের জাস্ট ভুখা দশা চলে এসেছে। 
এমএসএমই-র জন্য নির্মলা সীতারামন ৩ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। ওইসঙ্গে বলেছিলেন, আরও দেওয়া হবে ইকুইটি হিসেবে ৫০ হাজার কোটি টাকা এবং আংশিক ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমে ২০ হাজার কোটি টাকা। এসব ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা। বিশেজ্ঞরা হিসেব নিয়ে দেখেছেন, এই টোটাল স্কিমের লক্ষ্য মেরেকেটে ৫০ লক্ষ সংস্থা। তাহলে ভাবুন, এই সুরাহা মোট প্রয়োজনের কত শতাংশ। মনে রাখতে হবে, এ এমন এক দেশ যেখানে কেউ কথা রাখে না। পরতে পরতে দুর্নীতি, নষ্ট কৌশল আর ঘৃণ্য রাজনীতি। অন্যদিকে, চাহিদা এখন তলানিতে, ক্রমশ কমছে। চাহিদার নিরিখেই উৎপাদন করা হয়। উৎপাদন দেখে চাহিদা তো হয় না। অতএব এখন কোন সংস্থা ঋণ নিতে চাইবে—শর্ত যত সহজই হোক—ঋণ তো ঋণই? রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন কর্তা রঘুরাম রাজন যথার্থই বলেছেন, সরকারের এই স্কিম ঋণভারে জর্জরিত সংস্থাগুলোর ঋণভার আরও কিছুটা বাড়াবে মাত্র। ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের কথা মাথায় রেখেও বলছি, সব ব্যাঙ্ক কি টলোমলো কিংবা একেবারে বন্ধ সংস্থাকে ঋণ দিতে ভরসা পাবে? তার পরিবর্তে ভেবে দেখা যেত না কি এমএসএমই-র আটকে থাকা পেমেন্ট মিটিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা? গাদকারিই স্বীকার করেছেন, সরকারি এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের কাছে এমএসএমই-র প্রাপ্য ৫ লক্ষ কোটি টাকা। অর্থাৎ এটা কেন্দ্রের স্টিমুলাস প্যাকেজ সাইজের থেকেও বড়! প্যাকেজ ঘোষণার সময় অর্থমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, এই পেমেন্ট দেড় মাসের মধ্যেই মেটানো হবে। সরকার জানাক, সেটা কতটা এগিয়েছে। আপৎকালে ইগো অর্থহীন। ইগো ঝেড়ে ফেলে বিরোধী পক্ষের বিশেষজ্ঞদেরও মতামত নিক সরকার। তাতে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বলই হবে। প্রথম বার একটা বোধবুদ্ধির ছাপ মিলবে সরকারের গায়ে। সরকার যেন ভুলে না যায়, এমএসএমই হল ভারতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ড। মেরুদণ্ড ভেঙে গেলে চার পয়সাও মূল্য নেই। তখন হাজার মজাদার জোকারি মকারি করলেও দেখার জন্য কেউ থাকবে না। 
17th  September, 2020
ইতিহাস কি আবার
তালিবানের পক্ষে?
মৃণালকান্তি দাস

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আফগান শান্তি আলোচনায় একধাপ এগনো দরকার। যা ট্রাম্পকে নির্বাচনী যুদ্ধের প্রচারে এগিয়ে রাখবে। ট্রাম্প দেখাতে চাইছেন, দেশকে ১৯ বছরের যুদ্ধ থেকে মুক্তি দিচ্ছেন তিনি। এর জন্য ওই অঞ্চলের সব খেলোয়াড়কে তারা ‘শান্তি প্রক্রিয়া’য় শামিল করতে চায়। বিশদ

করোনাকে মওকা ধরেই তৎপর জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো
হারাধন চৌধুরী

জঙ্গিরা মনে করে, আমেরিকা, ভারত এবং আফ্রিকা ও ইউরোপের কিছু দেশে হামলা করার এটাই সুবর্ণ সুযোগ। এই সময় আঘাত হানতে পারলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করা যাবে। কারণ, এই দেশগুলোর সরকার, এবং আর্মিও করোনা মোকাবিলা নিয়ে এখন ব্যতিব্যস্ত। বিশদ

24th  September, 2020
স্বাবলম্বী শরীর কোভিড রুখতে সক্ষম
মৃন্ময় চন্দ 

সারা পৃথিবী আশঙ্কিত। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের মানব শরীরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলাকালীন হঠাৎই এক স্বেচ্ছাসেবক গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। গোটা পৃথিবীর বিশ্বাস অক্সফোর্ডের ‘কোভিশিল্ডেই’ মিলবে করোনার হাত থেকে নিষ্কৃতি।  
বিশদ

23rd  September, 2020
বারবার তাঁর হাতে দেখি মৃত্যুর পরোয়ানা 
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের স্কুলের এক শিক্ষক বলতেন, যে একবার ভুল করে, সে অজ্ঞতা থেকে করে। তিনবার পর্যন্ত ভুল অজ্ঞতা থেকে হতে পারে। কিন্তু কেউ যদি বারবার ভুল করতে থাকে, তবে বুঝতে হবে, সে ইচ্ছে করেই ভুল করছে এবং তার পিছনে কোনও দুরভিসন্ধি আছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে মোদিমশাইয়ের বারবার ভুল করা দেখে সেই শিক্ষকের কথা মনে পড়ে গেল। 
বিশদ

23rd  September, 2020
কৃষি সংস্কার: দেখনদারির
মোড়কে আশঙ্কার মেঘ
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

ভূতনাথ পাল। কেতুগ্রামের বিল্বেশ্বর এলাকায় বাড়ি ছিল তাঁর। অনেক কষ্টে ধারদেনায় ডুবে আলুচাষ করেছিলেন। ভেবেছিলেন, এখন আলুর বাজারটা ভালো যাচ্ছে। ক’টা দিন তো কষ্ট... তারপরই সুদিন আসবে। সুদিন মানে, দু’বেলা দু’মুঠো...। 
বিশদ

22nd  September, 2020
এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর
দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
জয়ন্ত কুশারী
 

এবার মহালয়ার ৩৫ দিন পর দুর্গাপুজো কেন, কী বলছে শাস্ত্র?
‘মা বুঝি চইলাছে কোয়ারেন্টিনে...’ বরেণ্য লোকগীতি শিল্পী অমর পাল জীবিত থাকলে বুঝি এমনটাই গাইতেন। যদিও তিনি গেয়েছিলেন, ‘মা বুঝি কৈলাসে চইলাছে...’ 
মহালয়া থেকে সপ্তমী, দিন পঁয়ত্রিশের এই ব্যবধান পাল্টে দিল এমন একটি গানের লাইন। আসলে মানুষের মুখে মুখে এখন যে ফিরছে এই কথাটি। 
বিশদ

21st  September, 2020
কেন্দ্রের কথার খেলাপ, রাজ্যগুলোর অর্থাভাব
পি চিদম্বরম

কর ব্যবস্থার ক্ষেত্রে পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) একটা ভয়ানক লড়াই হয়ে উঠেছে। যে অর্থনীতিতে পূর্বাহ্নেই দ্রুত পতনের সূচনা হয়েছিল, সেটা যখন মহামারীতে আরও বিধ্বস্ত হল তখন কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বিরাট বিচক্ষণতার পরিচয় দেওয়া উচিত ছিল। 
বিশদ

21st  September, 2020
অর্থনীতিই নয়, ভয়াবহ বিপর্যয় বিদেশনীতিরও
হিমাংশু সিংহ

২০১৪ থেকে ২০২০। মাঝে মাত্র ৬ বছর। দুর্বল না হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী শক্তিশালী একনায়ক হলে রাষ্ট্রের বিপদ কী কী? এই ক’বছরেই তার মোক্ষম উত্তর পেয়ে গিয়েছে দেশ। এমনকী পরিস্থিতি আজ এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে, এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সরকারি অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির সঙ্গে নরেন্দ্রনাথ দত্তের তুলনা টানছেন বুক ফুলিয়ে।  
বিশদ

20th  September, 2020
কুকথায় হাততালি জুটলেও
দূরে সরে যায় মানুষ 
তন্ময় মল্লিক

রুটি সেঁকার জন্য তাওয়া গরম করতে হয়। আবার সেই তাওয়া বেশি তেতে গেলে রুটি যায় পুড়ে। তখন খাবারের থালার বদলে রুটির জায়গা হয় ডাস্টবিনে। রাজনীতিতেও তেমনটাই। কর্মীদের চাঙ্গা করার জন্য নেতারা গরম গরম ভাষণ দেন। কিন্তু তা মাত্রা ছাড়ালে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নেয়।  
বিশদ

19th  September, 2020
বাংলার সমাজ ও
রাজনৈতিক সন্ধিক্ষণ
সমৃদ্ধ দত্ত

সেদিন বিকেলে তাঁকে ভেন্টিলেটরে নিয়ে যাওয়া হবে। কারণ, প্রবল শ্বাসকষ্ট। অক্সিজেন দিলেও কাজ হচ্ছে না তেমন। এইমস ডাক্তাররা বুঝলেন পরিস্থিতি ভালো নয়। অনেকদিন হয়ে গেল কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন।   বিশদ

18th  September, 2020
‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর
রূপকার নরেন্দ্র মোদি
যোগী আদিত্যনাথ

রাজা কালস্য কারণম্‌। মহাভারতের ‘শান্তিপর্ব’-এ যুধিষ্ঠিরকে উপদেশ দিতে গিয়ে পিতামহ ভীষ্ম এই কালজয়ী কথাটি বলেছিলেন। কথাটি পিতামহ নিজের লোকদের বলেছিলেন বলে মনে হতে পারে। কিন্তু এর ভিতরে এই ভারতের সবার জন্যই একটি জোরালো বার্তা তিনি রেখে গিয়েছেন।  বিশদ

17th  September, 2020
 কোনও প্রশ্ন নয়, নো কোয়েশ্চেনস!
সন্দীপন বিশ্বাস

 মোদি, অমিত শাহ তথা বিজেপি নেমে পড়েছে বিহার জয়ে। সেখানে অবশ্য নীতীশের হাত ধরে বিজেপিকে ভোট বৈতরণী পার হতে হবে। সেখানে রাজপুত ভোট আর ক্ষত্রিয় ভোট নিজেদের বাক্সে আনতে বিজেপিকে খেলতে হল দু’টি খেলা। একজনকে ডাইনি বানানো হল, অন্যজনকে দেবী বানানো হল।
বিশদ

16th  September, 2020
একনজরে
১০০ দিনের কাজ প্রকল্পে রায়দিঘির মথুরাপুর ২ ব্লকে পাতিলেবু ও আনারসের গ্রাম গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে প্রশাসন। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মেয়েদেরও এই কাজে নামানো হবে। বিডিও ...

 বর্ধমান থানার মির্জাপুরে বাসের ধাক্কায় এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম জয়দীপ সুবুধি (১৫)। সে বর্ধমান শহরের মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাইস্কুলে পড়ত। ...

 করোনার দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ শুরু হয়েছে ব্রিটেনে। সংক্রমণ রুখতে স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন জারির অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। তবে এইভাবে লকডাউনের সাফল্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ব্রিটিশ সরকারকে চিঠি দিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ...

 চারদিকে জল বেষ্টিত ভূতনির চর দুষ্কৃতীদের ডেরা হয়ে উঠেছে। বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা সেখানে ঘাঁটি গাড়ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস
১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম
১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং বেদির জন্ম
১৯৬৯ - বিখ্যাত বাঙালি চিত্রপরিচালক, অভিনেতা এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মধু বসু ওরফে নাম সুকুমার বসুর মৃত্যু
১৯৯০- রাজনীতিবিদ,স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীবাদি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৯ টাকা ৭৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ৯২.১৯ টাকা ৯৫.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৪.৫২ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৮৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৫৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৭,১৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৭,২৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী ৩৩/৬ রাত্রি ৬/৪৪। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র ৩২/৩৩ রাত্রি ৬/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৯/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/১৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ৯/৫৮ মধ্যে।
৮ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী রাত্রি ১০/৩১। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র রাত্রি ১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২২ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৯ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে।
৭ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। বৃষ: ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন
বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং ...বিশদ

04:28:18 PM

 আইপিএল: চেন্নাই সুপার কিংসকে ৪৪ রানে হারাল দিল্লি ক্যাপিটাল

11:13:05 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১০১/৪ (১৬ ওভার) 

10:49:48 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৪৭/৩ (১০ ওভার) 

10:14:56 PM

 আইপিএল: চেন্নাই ২৬/১ (৫ ওভার)

09:51:00 PM