সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
যে ব্যক্তি সম্পদের সময়ে ভগবানে বিশ্বাস করে আর বিপদ আসিলে সে বিশ্বাস হারাইয়া ফেলে অথবা বিপদের সময় উর্ত্তীণ হইবার জন্য ভগবানকে ডাকে আবার সম্পদের সময়ে তাঁহাকে ভুলিয়া যায় যে ব্যক্তির ভগবানে প্রকৃত বিশ্বাস জন্মে নাই। সব অবস্থায় যাহার বিশ্বাস অচল থাকে সেই ভগবানে প্রকৃত বিশ্বাসী। প্রহ্লাদের ন্যায় অবলীলাক্রমে সে সকল বিপদ অতিক্রম করিতে পারে। মানুষের ধর্মই তাহাকে বাঁচাইয়া রাখে, ধর্ম দ্বারাই প্রকৃত সুখ ও শান্তি লাভ হয়। সুতরাং কোন ক্রমেই ধর্মভ্রষ্ট হইবে না, অসুরগণ ধর্ম বিরোধী বলিয়া ধর্মানুরত সাধু মহাপুরুষগণের প্রতি কত অত্যাচার করিয়াছে। মহাপুরুষগণ কী তাহাদের ভয়ে স্বধর্মানুষ্ঠানে বিরত হইয়াছেন? তোমার ধর্মকে তুমি দৃঢ় রূপে ধরিয়া থাক। কোন প্রকার ভয়ের কারণ উপস্থিত হইলেও ধর্মানুষ্ঠান পরিত্যাগ করিবে না।
নিষ্কাম কর্মানুষ্ঠানেই শ্রেষ্ঠ ধর্ম লাভ হয়। অতএব নাম, যশ ও স্বার্থের চিন্তা পরিহার করিয়া মনে প্রাণে পরহিতে রত থাক। বৃক্ষের জীবনকে আদর্শ রূপে গ্রহণ কর। বৃক্ষ সারা জীবন অপরকে ছায়া দান, আশ্রয় দান, ফলদান ও ফুলদান করিয়া থাকে। অবশেষে নিজের দেহ পর্যন্ত দান করিয়াও পরের অন্ন প্রস্তুত করাইয়া দেয়। ভোগ অপেক্ষা ত্যাগেই আনন্দ, ত্যাগেই প্রকৃত শান্তি আসে। সব ধর্মের লোককে শ্রদ্ধা কর। হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, প্রভৃতি সমস্ত ধর্মের লোকদের সঙ্গে মিত্রতা স্থাপন করিলে দেশে শান্তি আসিবে।
প্রত্যেক নর-নারীকে সঙ্ঘবদ্ধ হইতে হইবে। সমাজে সঙ্ঘবদ্ধ উপাসনা প্রণালী প্রচলন দ্বারা ভগবৎ কৃপালাভের চেষ্টা করিবে, তাহা হইলেই পরম পিতা পরমেশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করিয়া নিরাপদে অবস্থান করিতে পারিবে।
দুর্গাপ্রসন্ন পরমহংসদেবের ‘বাণী চিরন্তনী’ থেকে