সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
কিন্তু যে ব্যক্তির নিষেধবাণী উপেক্ষা করিয়া অকাতরে তুমি স্থানান্তরেযাইতে উদ্যত হইয়াছ—যে কোনো সিদ্ধসমাহিত মহাপুরুষ সেই ব্যক্তির আদেশ লঙ্ঘন করিতে সাহসী হইত কি না সন্দেহ। যদি কোন দিন প্রকৃত ধর্ম্মতত্ত্ব কোন ব্যক্তির নিকট উদ্ভেদ হইয়া থাকে, তবে সে বুঝিবে—তোমাকে যে ব্যক্তি স্থানান্তরে যাইতে নিষেধ করিতেছে—সে অন্তশ্চক্ষুবিশিষ্ট বা ভূত-ভবিষ্যৎ-বেত্তা কি না? যাবতীয় ধর্ম্মতত্ত্ব তাঁহার নিকট উদ্ভেদ হইয়াছে কিনা? তুমি নিতান্ত ছেলেমানুষ, তাই নানারূপ কল্পনার রাজ্যে বিচরণ করিয়া, অলীক চিন্তা করিয়া সাময়িক আনন্দ পাইতেছ। যে পর্য্যন্ত কর্ম্মক্ষেত্রে না যাওয়া যায় সেই পর্য্যন্তই কাল্পনিক সুখ ভোগ করা যায়। কর্ম্মক্ষেত্রে গিয়া পড়িলে নিজের সমস্ত চিন্তা যে অলীক তাহা প্রতিপন্ন হইয়া যাইবে। তুমি সুখে, শান্তিতে এবং নিতান্ত নিরাপদে ছিলে—যে পর্য্যন্ত তুমি Blind follower ছিলে। যখন হইতে তুমি ভাবিয়াছ—আমি আর Blind follower নই; আমারও নিজের একটা ব্যক্তিত্ব, অস্তিত্ব আছে;—তখন হইতেই তোমার ভিতরে নানা দুর্ব্বলতা ঢুকিতে আরম্ভ করিয়াছে। পার্থিব জগতে সাধারণ মানুষের নিকট সাধারণ মানুষের ব্যক্তিত্ব থাকিতে পারে। কিন্তু অধ্যাত্ম রাজ্যে সিদ্ধ-সমাহিত মহাপুরুষদের নিকট সাধারণ মানুষের আবার একটা ব্যক্তিত্ব কি? তুমি যে অবস্থায় দাঁড়াইয়াছ—এ-অবস্থায় নিজেকে রক্ষা করিতে হইলে তোমার নিজের সমস্ত খেয়াল খুসী ছাড়িয়া দিতে হইবে। সঙ্ঘের যাবতীয় কর্ম্মের ভিতরে তোমাকে প্রতিনিয়ত ডুবাইয়া রাখিতে হইবে এবং বিশেষ দায়িত্ব সহকারে সমস্ত কর্ম্ম সম্পাদন করিয়া যাইতে হইবে। সঙ্ঘনেতার আদেশ ও বাণী—সর্ব্বনিয়ন্তার আদেশ ও বাণী বলিয়া গ্রহণ করিতে হইবে। সঙ্ঘ ও সঙ্ঘনেতার উপর অগাধ ভক্তি ও শ্রদ্ধা আনিতে হইবে। এইরূপ ভাবে কিছুকাল চলিলে তোমার মানসিক অবস্থার পরিবর্ত্তন ঘটিবে, চঞ্চলতা বিদূরিত হইবে এবং সর্ব্বদা চিত্তের প্রসন্নতা ও প্রফুল্লতা লইয়া থাকিতে পারিবে। যে মুহূর্ত্তে তোমার ভিতরে এই চিন্তা আসিবে যে, সঙ্ঘ বা সঙ্ঘনেতার সহিত তোমার কোন সম্পর্ক নাই, সঙ্ঘের কোন কর্ম্মে তোমার সহানুভূতি নাই,—সেই মুহূর্ত্তে অশেষ দুর্ব্বলতা তোমার ভিতরে আসিয়া তোমাকে নিতান্ত বিপন্ন করিয়া ফেলিবে।