সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় নজর দেওয়া প্রয়োজন। অতিরিক্ত পরিশ্রমে শরীরে অবনতি। নানাভাবে অর্থ অপচয়। কর্মপরিবর্তনের সম্ভাবনা বৃদ্ধি।প্রতিকার: ... বিশদ
যতদিন বাঁচি ততদিনই শিখি প্রেম ও ভক্তির রহস্য, বুঝলে বন্ধু!
প্রশ্ন: কেমন ক’রে মানুষ ঈশ্বরকে ভালবাসবে?
উত্তর: সতীর পতির ওপর যেমন টান এবং কৃপণের সঞ্চিত ধনের ওপর যেমন টান তেমনি ভক্তকেও তার সমস্ত মন-প্রাণ দিয়ে প্রভুকে ভালবাসতে হবে।
প্রশ্ন: বই পড়ে কি ঈশ্বর-প্রেম লাভ করা যায়?
উত্তর: হিন্দুদের পাঁজীতে আগাম দেওয়া থাকে সারা দেশে কতো ইঞ্চি বৃষ্টি হবে। কিন্তু বৃষ্টির এত কথা থাকা সত্ত্বেও পাঁজী নিংড়ে একটি ফোঁটা জলও পাওয়া যায় না। সেইরকম অনেক মহৎ-বাণী থাকে সদ্গ্রন্থে, কিন্তু শুধু বই পড়ে কেউ আধ্যাত্মিক মানুষ হয় না। বইয়ের শিক্ষাকে অভ্যাস করতে হয় ঈশ্বর-প্রেম লাভ করতে গেলে।
ভগবান ও তাঁর শাস্ত্র এবং তাঁর একনিষ্ঠ ভক্ত—ভগবান, ভাগবত, ভক্ত—তিনে এক, অর্থাৎ একইভাবে দেখতে হয়।
প্রশ্ন: সত্যিকারের ঈশ্বরপ্রেমীর দৃষ্টিতে ঈশ্বর কেমন?
উত্তর: সে ঈশ্বরকে নিকটতম ও প্রিয়তম স্বজন ব’লে ভাবে। যেমন বৃন্দাবনের গোপীরা শ্রীকৃষ্ণকে বিশ্বের প্রভু জগন্নাথ ব’লে ভাবতে পারতেন না, তাঁদের প্রিয়তম গোপীনাথ বলেই ভাবতেন।
প্রশ্ন: মৃন্ময়ী-মূর্তিকে ‘মা’ ব’লে ডেকে ঈশ্বরপ্রেমী ভক্ত আনন্দ পায় কেন?
উত্তর: শিশু তার মা’র কাছে সবচেয়ে সহজ ও স্বচ্ছন্দ বোধ করে। সেই কারণে মা সন্তানের কাছে অন্যদের চেয়ে প্রিয়।
ন্যায়শাস্ত্রে এক পণ্ডিত ব্যক্তি শ্রীরামকৃষ্ণদেবকে একবার প্রশ্ন করেন,—‘জ্ঞান, জ্ঞাতা, জ্ঞেয় বলতে কি বুঝায়?’ তার উত্তরে ঠাকুর বলেন,—“মহাশয়, পণ্ডিতদের এইসব কূটকচালি আমার জানা নেই। আমি আমার জগন্মাতাকেই শুধু জানি আর জানি আমি তাঁর সন্তান।”
প্রশ্ন: ভগবৎ-প্রেমীরা ঈশ্বরের জন্য সবকিছু ত্যাগ করে কেন?
উত্তর: পোকা যেমন দীপশিখা দেখলে আর অন্ধকারে ফিরে যায় না, পিঁপড়ে যেমন চিনির ঢিবিতেই মরে, ঈশ্বরপ্রেমীরাও সেইরকম দিব্য আনন্দের জন্য সবকিছুই ত্যাগ করতে প্রস্তুত থাকে, অন্য কোনকিছুর পরোয়া করে না।
কারও এক-আধ গেলাস মদেই শরীর টলতে থাকে আবার কারও দু-তিন বোতল হ’লে তবে নেশা হয়। কিন্তু দু’জনেই সমান নেশার আনন্দ পায়। সেইরকম কোন ভক্ত ঈশ্বরের মহিমার একটু ঝলক দেখেই বিভোর হয় আবার কোন ভক্ত পরমেশ্বরের সাক্ষাৎ দর্শন পেয়ে মোহিত হয়। কিন্তু দু’জনেই সমান সৌভাগ্যবান ও আনন্দের অধিকারী।
স্বামী অভেদানন্দের ‘শ্রীরামকৃষ্ণদেবের আধ্যাত্মিক বাণী’ থেকে