উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এখানে একটি জিনিস লক্ষ্য করবার যে, মাস্টারমশাই ঠাকুরের কাছে যাবেন, মনে এ-রকম কোন সংকল্প নিয়ে বেরোননি। বরানগরে গেছেন, অনেক বাগান ছিল তখন সেখানে। এ-বাগানে সে-বাগানে বেড়িয়ে বেড়াচ্ছেন, এমন সময় তাঁর আত্মীয় সিধু—যিনি ঐ জায়গার সঙ্গে পরিচিত, তিনি বললেন, ‘গঙ্গার ধারে একটি চমৎকার বাগান আছে, সে বাগানটি কি দেখতে যাবেন? সেখানে একজন পরমহংস আছেন।’ তারপর এ-বাগানে সে-বাগানে বেড়াতে বেড়াতে তাঁরা দক্ষিণেশ্বরে কালীবাড়ির বাগানে গিয়ে পড়লেন। তাই মাস্টারমশাই দৈবক্রমেই সেখানে গিয়ে পড়েছেন, পরিকল্পনা করে নয়; সাধু দেখতে যে গেছেন, তাও নয়। তারপর ঠাকুরের কাছে গিয়ে মাস্টারমশাই দেখলেন, অপরের সঙ্গে ঠাকুর কথা বলছেন। সেই কথার এখানে উল্লেখমাত্র করেছেন। কথাগুলির সঙ্গে মাস্টারমশায়ের অন্তরের কোন যোগ তখনও হয়নি। তবে কথাগুলি তাঁর ভাল লেগেছে। মনে হয়, তখনও ঠাকুরের আকর্ষণ খুব প্রবলভাবে যে বোধ করেছেন, তা নয়। কারণ, বলছেন, ‘একবার দেখি, কোথায় এসেছি, তারপর এখানে এসে বোসব।’
বাগান দেখতে ঠাকুরের ঘর থেকে বেরিয়েছেন, এমন সময়ে আরতির কাঁসর-ঘণ্টা খোল-করতাল বেজে উঠল। তাই সব মন্দিরে আরতি দেখে আবার এলেন ঠাকুরের ঘরের সামনে। দেখলেন—ঘরের দরজা বন্ধ।
স্বামী ভূতেশানন্দের ‘শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত-প্রসঙ্গ’ থেকে