উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
অতীতে ইস্তাহার নিয়ে কখনও এভাবে মানুষের আগাম মত নেওয়ার রাস্তায় হাঁটেনি বামেরা। তারা ক্ষমতায় এলে কোন কর্মসূচিগুলি রূপায়ণ করবে—মূলত সেই মর্মে বিষয়বস্তু সংবলিত করে বামফ্রন্টের নেতৃত্ব সংবাদ মাধ্যমের কাছে তাদের ইস্তাহার প্রকাশ করে এসেছে। তাহলে এবার এমন খোলামেলা মতামত গ্রহণের উদ্যোগ কেন? বাম শিবির তথা সিপিএমের অন্যতম নেতা সুজন চক্রবর্তীর উত্তর, এবার আমরা ‘জনগণের ইস্তাহার’ তৈরি করছি। ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, শিক্ষা, কাজ, পরিবেশ, কৃষি, শিল্প ইত্যাদি নানা বিষয়ে মানুষের প্রকৃত চাহিদাকে গুরুত্ব দিতেই এই পথ নেওয়া হয়েছে। আমরা শুধু নিজেদের ধারণা বা মতকে প্রাধান্য দিতে চাই না বলেই বাস্তব থেকে শিক্ষা নিয়ে ইস্তাহার তৈরিতে বাড়তি গুরুত্ব দিতে চেয়েছি।
এবারের ইস্তাহারে নয়-নয় করে ২৫টি মূল বিষয়ের উপর বিকল্প সরকারের দৃষ্টি থাকবে বলে খসড়ায় ইঙ্গিত করা হয়েছে। ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার ক্ষমতায় আসার পর সমস্ত ধরনের রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি দিয়েছিল প্রতিশ্রুতি মেনে। এবারেও তারা সেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে রাজ্যে গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং বিরোধী কণ্ঠস্বরের অধিকার রক্ষার প্রশ্নে। দ্বিতীয় গুরুত্ব দিয়েছে তারা কর্মসংস্থানের উপর। বিশেষ করে সরকারি ও আধা সরকারি পরিধিতে যাবতীয় শূন্যপদে লোক নিয়োগকে তাদের সরকার পাখির চোখ করবে বলে বুঝিয়েছেন বিমানবাবুরা। ফি বছর চাকরির যাবতীয় পরীক্ষা চালু করাকে এজন্য লক্ষ্য হিসেবে রেখেছেন তাঁরা।
একই সঙ্গে কৃষি, শিল্প ও পরিষেবা—তিনটি বিষয়ের উপরই গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছে বাম নেতৃত্ব। পাশাপাশি কর্মসংস্থানের জন্য বেকার ছেলেমেয়েদের স্বনির্ভর করে তোলার জন্য বাড়তি নজর দেওয়ার কথা দেওয়া হয়েছে ইস্তাহারে। একইভাবে গরিব মানুষের কথা ভেবে পরিবার পিছু মাসে ৩৫ কেজি চাল বা গম নিশ্চিত করা, রেশনের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বাজারের তুলনায় সস্তায় দেওয়া বা ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুতের মাশুল না নেওয়ার মতো জনমোহিনী বেশ কিছু প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। ক্ষমতায় এলে রাজ্যে সমকাজে সমবেতন, ন্যূনতম মজুরি ৭০০ টাকা বা রেগার কাজের মেয়াদ বছরে ১৫০ দিন করার মতো দাবিকে বাস্তবায়িত করার কথাও দিয়েছেন বিমানবাবুরা।