উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল মহকুমা এলাকায় দমকল কেন্দ্র আছে দুই জায়গায়। চাঁচল সদর ও হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসিহাটাতে। ছ’টি ব্লক নিয়ে গঠিত এই মহকুমায় মাত্র দু’টি দমকল কেন্দ্র পর্যাপ্ত নয়। কোনও প্রত্যন্ত এলাকায় আগুন লাগলে দমকল কর্মীদের পক্ষে সময় মতো ঘটনাস্থলে পৌঁছনো সম্ভব হয় না। দমকল কর্মীরা পৌঁছনোর আগেই অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়ে যায়। বিশেষ করে রতুয়া-১ ও ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় দমকল কর্মীদের পৌঁছতে যথেষ্ট সময় লাগে। তাই বিশেষ করে রতুয়া-১ ও ২ ব্লকের বাসিন্দাদের দাবি, এই দু’টি ব্লক সদর এলাকায় দুটি পৃথক দমকল কেন্দ্র গড়ে তোলা হোক।
জানা গিয়েছে, চাঁচল সদর থেকে রতুয়া সদরের দূরত্ব প্রায় ২৬ কিলোমিটার। প্রত্যন্ত এলাকার জায়গাগুলির দূরত্ব তো আরও বেশি। ফলে রতুয়া-১ ব্লকের মহানন্দটোলা, বিলাইমারি, কাহালা, বাহারাল, দেবীপুর, চাঁদমনি-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দমকল বাহিনীর পৌঁছতে যথেষ্ট সময় লাগে। পাশাপাশি রতুয়া-২ ব্লক সদর পুখুরিয়ার দূরত্ব চাঁচল সদর থেকে প্রায় ৪১ কিলোমিটার। ব্লকের আড়াইডাঙা, পরাণপুর, পীরগঞ্জ, সম্বলপুর, মহারাজপুর, শ্রীপুর-১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দমকল বাহিনী পৌঁছাতে পারে না।চাঁচল সদর দমকল কেন্দ্র ও ইংলিসবাজার দমকল কেন্দ্রের প্রায় মাঝামাঝি অবস্থিত এই দুটি ব্লকে আগুন লাগলে দমকল বাহিনীর পক্ষে সময় মতো তো পৌঁছনোই সম্ভব নয় না। তাই দমকল কেন্দ্র নির্মাণের দাবি জোরাল হচ্ছে এই দু’টি ব্লকে।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, রতুয়া অনেক বড় ও ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকা। অথচ এই এলাকায় দমকল কেন্দ্র আজও হল না। খুব দ্রুত এই সমস্যা সমাধান করা উচিত। অতীতে একাধিক অগ্নিকাণ্ডে এই এলাকার বহু ক্ষতি হয়েছে। আমরা আর তার পুনরাবৃত্তি চাই না। স্থানীয় ব্যবসায়ী মহল থেকেও দমকল কেন্দ্রের দাবি উঠেছে। ব্যবসায়ীরা জানান, দমকল কেন্দ্র না থাকার ফলে এলাকার বাসিন্দারা ও ব্যবসায়ী মহল খুব আতঙ্কের মধ্যে থাকেন। কখন দুর্ঘটনা ঘটে বলা যায় না।
রতুয়া-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী আবেদা বেগম বলেন, বাসিন্দাদের দাবি যুক্তিসঙ্গত। চাঁচল সদর দমকল কেন্দ্রের আধিকারিকের কাছে এবিষয়ে প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে।
রতুয়া-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী সুমিত্রা সরকার বলেন, অবিলম্বে ব্লক সদর পুখুরিয়াতে একটি দমকল কেন্দ্র নির্মাণ করা প্রয়োজন। এই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
মালতীপুরের বিধায়ক কংগ্রেসের নেতা আলবেরুনী জুলকারনাইন এলাকার মানুষের দাবির সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, দমকল কেন্দ্র স্থাপনের ব্যাপারে রাজ্যের দমকল মন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। রতুয়ার বিধায়ক তৃণমূল নেতা সমর মুখোপাধ্যায় বলেন, রতুয়া-১ ও ২ ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় দমকল বাহিনীর কর্মীদের পৌঁছতে যথেষ্ট সময় লাগে। এই সমস্যার কথা ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।