উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের জন্য গত ডিসেম্বরে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ১২ ডিসেম্বর কমিটির চেয়ারম্যান দেবকুমার মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে সদস্যরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে তদন্ত করেন। ২৪ ডিসেম্বর কমিটির চেয়ারম্যান উচ্চশিক্ষা দপ্তরের প্রধান সচিবের কাছে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেন। গত ২০ জানুয়ারি উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সহকারী সচিব পদমর্যাদার এক আধিকারিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নির্দেশিকা পাঠান। সেই নির্দেশিকার সঙ্গে কমিটির নয় পাতার তদন্ত রিপোর্ট জুড়ে দেওয়া হয়। রিপোর্টের আট নম্বর পাতার পাঁচ নম্বর পয়েন্টে বিপ্লব গিরিকে সরানোর সুপারিশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘শারীরবিদ্যার অধ্যাপক বিপ্লব গিরি বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজ করছেন। তাঁকে দ্রুত নিজের বিভাগে ফিরে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে মনোনিবেশ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সিনিয়র আধিকারিক অথবা ‘ডিন’কে ওই পদে আপাতত বসানো যেতে পারে। তবে দ্রুত স্থায়ী রেজিস্ট্রার নিয়োগের জন্য কর্তৃপক্ষকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন মেনে পদক্ষেপ করতে হবে।’ ওই নির্দেশিকা হাতে পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের সচিব চিঠিতে স্পষ্ট উল্লেখ করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত বিপ্লববাবুকে সরানো বা তাঁর জায়গায় সিনিয়র আধিকারিক বা কোনও বিভাগের ‘ডিন’কে বসানো হয়নি। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক ও অধ্যাপক নিয়োগের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ অগ্রাহ্য করার অভিযোগ উঠেছিল। ফের ওই ধরনের অভিযোগ ওঠায় কর্তৃপক্ষের বেপরোয়া মনোভাবের বিষয়টি সামনে এসেছে বলে মালদহের শিক্ষা মহলের অভিমত। অবিলম্বে সরকারের নির্দেশ কার্যকর করা উচিত বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে। উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদগুলিতে অস্থায়ীভাবে বসে পড়ার প্রবণতা দীর্ঘদিন ধরে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। অধ্যাপকদের একাংশ ওই পদগুলিতে বসে প্রশাসনিক এবং আর্থিক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখেন বলে অভিযোগ। প্রতি ছ’মাস অন্তর নিজেরাই নিজেদের মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশ করেন। উপাচার্য, রেজিস্ট্রার সহ অন্যান্য পদের ক্ষেত্রে এই ঘটনা বারবার ঘটেছে। পদের মোহে অধ্যাপকরা পঠনপাঠন শিকেয় তুলে রাখেন, এমনও অভিযোগ। ফলে ছাত্রছাত্রীদের সমস্যা হয়। পদলোভী অধ্যাপকদের ইঁদুর দৌড়ের জন্য গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও উপাচার্যই নিজের পূর্ণ মেয়াদ অতিবাহিত করতে পারেননি। ১২ বছরেরও বেশি পুরনো কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এই ঘটনা নজিরবিহীন বলে শিক্ষা মহলের অভিমত।