উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
জেলা বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান তথা সিপিএমের জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, ইসলামপুর আসনটি কখনওই কংগ্রেসের ছিল না। ২০১৬ সালে বামফ্রন্ট সমর্থিত জেডইউ প্রার্থী সেখানে ছিল। কংগ্রেস সেখানে অনৈতিকভাবে গোঁজ প্রার্থী দিয়েছিল। ইসলামপুর আসনটি কংগ্রেসকে ছাড়াটা আমরা মনে করি ঠিক হয়নি। ইসলামপুর আসনটি সিপিএমকে দেওয়ার জন্য রাজ্য বামফ্রন্টে দাবি জানানো হয়েছে। চোপড়ায় সিপিএম প্রার্থী দিয়েছে। এর পরই সেখানে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে চলে গেল। তা হলে জোট কি করে হল? করণদিঘিতে যাঁকে ফব প্রার্থী করা হয়েছে, তিনি দু’দিন আগে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ছিলেন। অন্য দল থেকে এনে প্রর্থী করা হচ্ছে। জয়ী হলে আবার তৃণমূলে ফিরে যাবেন। রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যানকে আমি জানিয়েছি যে, তৃণমূল থেকে বামফ্রন্টে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থী হতে পারেন না। তা হলে করণদিঘিতে কী করে হল? ওই আসনটি সিপিএমকে ছাড়তে বলছি। কিংবা প্রার্থী বদল করা হোক। ইটাহারে আমরা সিপিআইকে বলেছিলাম, নতুন মুখ দিতে। কিন্তু তাদের দল নতুন মুখ দেয়নি। সেখানে সাধারণ ভোটাররা নতুন মুখ চেয়েছিলেন।
চাকুলিয়ার বিধায়ক তথা ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলা কমিটির সদস্য আলি ইমরান রমজ ওরফে ভিক্টর বলেন, করণদিঘির আসন হচ্ছে ফরওয়ার্ড ব্লকের। সেখানে ফরওয়ার্ড ব্লক সিদ্ধান্ত নেবে, সেখানে প্রার্থী কে হবেন। ফব চূড়ান্তভাবে হাফিজুল ইকবালকে সেখানে প্রর্থীর ঘোষণা করে দিয়েছে। বামফ্রন্ট থেকে জয়ী হয়েও অনেকেই তৃণমূলে গিয়েছে। বামফ্রন্টের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয় না। সিপিএম নেতৃত্ব হয়তো তা জানে না তাই আসনটিতে এখনও তারা নিজেদের প্রার্থীর দাবি করছে। করণদিঘির ফব প্রার্থী হাফিজুল ইকবাল ওরফে ভোলা বলেন, আমি জয়ী হলে তৃণমূলে চলে যাব অগ্রিম এমন ভাবা উচিত নয়।
জেলা কংগ্রেসের সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত বলেন, ইসলামপুর আমাদের স্থায়ী আসন। ২০১৬ সালে কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে সকলেই কাজ করেছেন। সিপিএম কায়দা করে সেখানে জেডইউ দলের প্রার্থী দিয়েছিল। কিন্তু সেখানে আমাদের প্রার্থীই জয়ী হয়েছিলেন। জেলায় চারটি আসন আমাদের চূড়ান্তভাবে ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও রাজ্যে জোট হলেও নিচুতলায় অনেক নেতা-কর্মী সেই জোট মানেননি। এবার মজবুত জোট করার জন্য অনেক আগে থেকেই বাম কংগ্রেস যৌথ কর্মসূচি নিয়েছিল। তার পরেও জেলায় জোটে জট কাটেনি। চোপড়ায় দলের প্রার্থী না হওয়ায় কংগ্রেসের একটা বড় অংশ বিজেপিতে চলে গিয়েছে বলে অভিযোগ। সবমিলিয়ে ভোটবাক্সে প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।