উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
ভোটের মুখে কয়লা পাচার কাণ্ড কোনদিকে মোড় নেয়, রাজনৈতিক মহল থেকে রাজ্যবাসীর নজর সেদিকেই রয়েছে। ইতিমধ্যেই কয়লা পাচার কাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী ও শ্যালিকাকে। কয়লা পাচার কাণ্ডের কিংপিন অনুপ মাঝি ওরফে লালা এখনও পলাতক রয়েছেন। তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই দশা তাঁর আরএক সঙ্গী রত্নেশ ভর্মার। পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায় থাকা লালার বিশাল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার যখন তোড়জোড় করছে সিবিআই, তখনই তদন্ত করতে গিয়ে তাদের নজরে পড়ে পশ্চিম বর্ধমানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে থাকা ন’টি প্লটের উপর। তদন্তকারীদের সন্দেহ, কয়লার অবৈধ টাকা এই প্লট কিনতে ব্যবহার করা হতে পারে। এতেও নাকি রাজ্যের প্রভাবশালী যোগ রয়েছে। তবে, কে সেই প্রভাবশালী ও কোথায় কখন এই প্লট কেনা হয়েছে, সেবিষয়ে এখনই কিছু বলতে নারাজ তদন্তকারী অফিসাররা।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়লা পাচার করে আয় হওয়া কোটি কোটি টাকা এই কারবারের কিংপিন ও কিছু প্রভাবশালী বিদেশে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের নানা জায়গায় সম্পত্তি কিনতেও এই কালো কারবারের টাকা ব্যবহার করা হয়েছে। ইট ভাটা কেনা বা প্রাইম লোকেশনের জমি সবই ছিল কারবারিদের নজরে। প্রভাবশালীদের মাথায় হাত থাকায় সহজেই এত পরিমাণ জমি দ্রুত হাতবদল হয়ে যেত। আসানসোল ও দুর্গাপুরের মতো আধুনিক শহর ঘেরা পশ্চিম বর্ধমান জেলাতেও জমির প্রচুর দাম রয়েছে। এই এলাকায় ন’টি বিশেষ প্লট এখন পাখির চোখ তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের। ওই প্লটের তদন্ত করতে গিয়ে নতুন কোনও প্রভাবশালীর নাম উঠে আসে কি না সেটাই দেখার। জমির যাবতীয় নথির সত্যতা জানতে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, জেলাশাসক পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিককে নির্দেশ দিয়েছেন। জমির মালিকের তথ্য রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন ফেলে কি না সেদিকেই নজর রয়েছে সবার।