উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোটের সময় নিজের বুথে দাপটের সঙ্গে দলের কাজ করেছিলেন বিফলবাবু। বুধবার গভীর রাতে বাড়ির দুই কিলোমিটার দূরে দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলা চালায়। তাঁর ডান পায়ের উপরের অংশে গুলি লাগে। তিনি গুরুতর জখম অবস্থায় ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন। রাতেই তাঁকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযোগ, গত ভোটে বুথে সক্রিয়ভাবে তৃণমূলের হয়ে কাজ করায় তাঁর উপর আগে থেকেই রাজনৈতিক আক্রোশ ছিল। সেই আক্রোশে চার-পাঁচজন দুষ্কৃতী ওই রাতে তাঁকে ঘিরে ধরে প্রাণে মারার চেষ্টা করে। ওই বুথকর্মী পালানোর চেষ্টা করলে গুলি করা হয়। ঘটনার রাত থেকেই এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা রয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে গাজোল থানার পুলিস।
ভোটের মুখে এনিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। ঘটনার পর এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র মজুত ও দুষ্কৃতীদের বাড়বাড়ন্তের বিষয়টিও উঠে আসছে।
এবিষয়ে আক্রান্তের স্ত্রী উমা মণ্ডল বলেন, স্বামী তৃণমূল সমর্থক। রাতে কাজ থেকে বাড়ি আসছিল। দুষ্কৃতীরা তাকে ঘিরে ধরে এলোপাথাড়ি গুলি করে। কোনওক্রমে বেঁচে গেলেও গুরুতর জখম হয়েছে। আমাদের ধারণা, বিজেপির লোকজনই এই কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। তবে কে গুলি করেছে, তাকে স্বামী শনাক্ত করতে পারেনি। পুলিসকে সব বলেছি।
এবিষয়ে গাজোল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক প্রসাদ বলেন, বিজেপির ভিত নড়ে গিয়েছে। তাই তারা তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুনের চেষ্টা করছে। ভোটের আগে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের সক্রিয় বুথকর্মী দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে জখম হয়েছেন। ঘটনা যাই ঘটুক, পুলিস সঠিক তদন্ত করুক। এটাই দাবি রাখছি।
এবিষয়ে জেলা বিজেপির মুখপাত্র বলেন, গ্রাম্য বিবাদ থেকে ওই ঘটনা ঘটেছে। তোলাবাজি, সিন্ডিকেট, লোকজনকে চমকানো বিজেপির সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না। এটা তৃণমূলের মধ্যে রয়েছে। এখন তারা বিজেপির ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। এসব করে তাদের কোনও লাভ হবে না।
এবিষয়ে গাজোল থানার আইসি পূর্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, রাতে একটি গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। তাতে একজন জখম হন। তিনি কোন রাজনৈতিক দলের, তা আমরা বলতে পারব না। তবে এনিয়ে নির্দিষ্ট অভিযোগ এলে খতিয়ে দেখা হবে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিফলবাবু স্থানীয় আলমপুরে হাটে কাজ করেন। রাতে হাট থেকে ফিরে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর উপর হামলা হয়। তবে সূত্রের খবর, তাঁর বিরুদ্ধে এলাকায় ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ রয়েছে। পুলিসের খাতায় তার রেকর্ডও রয়েছে। এর আগেও একাধিক মামলায় তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন। ভোট এগিয়ে আসতেই তিনি ফের সক্রিয় হয়ে ওঠেন। এতেই রোষের মুখে পড়েন বিফলবাবু।