Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

রাজনীতি দাঁড়িয়ে আছে
আধগলা গঙ্গাজলে
হারাধন চৌধুরী

আইসিএস অশোক মিত্র একটা সুন্দর গল্প শুনিয়ে গিয়েছেন। তাঁর ঠাকুর্দা সর্বেশ্বর মিত্র পড়তেন কলকাতার ডাফ কলেজে। কুলীন কায়স্থ বংশের উজ্জ্বল ছেলেটিকে খ্রিস্টান বানাবার ইচ্ছে পোষণ করতেন রেভারেন্ড আলেকজান্ডার ডাফ। কিন্তু সেকালে শিক্ষিত সমাজে বইছে নাস্তিকতার হাওয়া। হয়তো তারই প্রভাবে পাদ্রির মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়নি। ঠাকুর্দা মশাই খাতাকলমে হিন্দুই রয়ে গিয়েছিলেন। একইসঙ্গে সেকালের হিন্দুসমাজের আচার-বিচার ভাঙার ব্যাপারেও দড় হয়ে ওঠেন তরুণ সর্বেশ্বর। তার একটা নমুনা এইরকম: ডাফ কলেজে পড়ার সময় সর্বেশ্বর প্রায়ই এক জোড়া মুরগির ডিম সেদ্ধ নিয়ে গঙ্গার ধারে যেতেন। তারপর আধগলা জলে নেমে সেই ডিম দু’টো খোসা ছাড়িয়ে খেতেন! গঙ্গাকে অপবিত্র করার অভিপ্রায় তাঁর থাকত না। তিনি যেটা করতেন তার একটাই যুক্তি পাওয়া যায়, শাস্ত্রকথিত পবিত্রতা রক্ষার আড়ালে ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য সিদ্ধি। অর্থাৎ সর্বেশ্বর মিত্র মশাই গঙ্গাজলকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন। এটা ছিল দেড়শো বছর আগে এক তরুণের যুক্তিবাদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের একটা স্বাস্থ্যকর দৃষ্টান্ত।
***
ভোট এলেই আমরা দেখি, রাজনীতির কারবারিদের ভিতর একজন করে সর্বেশ্বর মিত্র বাস করেন। তাঁদের অনেকরই আধগলা গঙ্গাজল দরকার হয়। না-হলে তাঁদের পক্ষে ভোট বৈতরণী পেরনো যেন অসম্ভব হয়ে ওঠে। কারও কাছে এই গঙ্গাজলের নাম রাজনৈতিক কৌশল, কারও কাছে গণতন্ত্র, জনসেবা কিংবা নির্বাচন কমিশন। 
ভোট এলেই শিলান্যাসের হিড়িক পড়ে যেত জ্যোতি বসুর জমানায়। নদী পেরনোর পর যাত্রীর কাছে নৌকা ও মাঝির কদর যতখানি, রাইটার্স দখলের পর বেশিরভাগ শিলাখণ্ডের গুরুত্ব ততটাই তুচ্ছ দেখেছি আমরা। বাংলায় বাম রাজত্বের বয়স যত বেড়েছে এই ট্র্যাডিশন তত বেশি করে পেয়ে বসে যেন। অসীম দাশগুপ্ত, বিশেষ খ্যাতিমান এই অর্থমন্ত্রীকে পাশে বসিয়েই অবলীলায় প্রতিশ্রুতির বন্যা বইয়ে দিতেন জ্যোতিবাবু। যত দূর মনে পড়ে, ইন্দিরা গান্ধী, রাজীব গান্ধীও এই ব্র্যাকেটের রাজনীতিক। কংগ্রেস আর মার্কসবাদী—কে যে কাকে কপি করত, বলা দুষ্কর। 
মনমোহন সিংকে হারিয়ে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন ২০১৪ সালে। একজন মুখ্যমন্ত্রী থেকে রূপকথার চরিত্রের মতো তাঁর উত্থানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করেছিলেন তিনি নিজেই। মনমোহনকে জব্দ করতে মোদি হাতিয়ার করেছিলেন চাকরির টোপ। ২০১৩-র শেষাশেষি এক জনসভায় মোদি প্রথম উসকে দিলেন যুবসমাজের আবেগ। বললেন, ‘দেশের মোট জনসংখ্যার ৬৫ শতাংশের বয়স ৩৫ বছরের নীচে। এই বিশাল যুব শ্রেণি বেকারত্বের বিরুদ্ধে লড়ছে। অথচ এদেরকেই উন্নয়নের মূল শক্তি করে তোলা সম্ভব।’ আরও বললেন, ‘বিজেপি ক্ষমতাসীন হলে বছরে এক কোটি বেকারকে চাকরি দেব।’ ‘ইউপিএ কথা রাখেনি’—মোদি সেদিন দুষেছিলেন। ভোট যত এগিয়ে আসে, চাকরির প্রতিশ্রুতি গল্পের গোরু হয়ে ওঠে। সেবার ভোট শুরুর দু’সপ্তাহ আগে বিজেপি তাদেরই প্রতিশ্রুতিতে আরও রং লেপেছিল, পরবর্তী দশ বছরে ২৫ কোটি চাকরির ব্যবস্থা করবে! প্রথম মোদি সরকার গড়ার আগে বিজেপির ইস্তাহারে চাকরির বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল। দাপুটে সরকার গড়েও মোদি তাঁর প্রথম টার্মে বেকারদের ভীষণ হতাশ করেন। প্রতিশ্রুতিভঙ্গের অভিযোগ ক্রমশ জোরদার হয়েছে। ২০১৮-র মার্চে এক টিভি সাক্ষাৎকারেও মোদি এই সংক্রান্ত প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে জবাব দেন, ‘পকোড়া ভেজেও দিনান্তে দু’শো টাকা রোজগার হয়। এটাকেও কর্মসংস্থান হিসেবে দেখতে হবে।’ ২০১৯-এর ভোটে বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে মোদিই ফিরে এসেছেন। কিন্তু এতদিনে দেশে ক’জন বেকার কেন্দ্রের চাকরি পেয়েছেন? সবাই সবাইকেই জিজ্ঞাসা করছেন, কিন্তু কারও কাছে কোনও উত্তর নেই। মোদি সরকারও স্পিকটি নট। 
মোদি বিদেশ থেকে কালো টাকা উদ্ধার করে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আর স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন, প্রতিটি নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেবেন। সেই স্মৃতি ফিকে হয়নি এখনও। তবু হালফিল ভোটের বাংলায় এসে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি ছোটাতে একটুও লজ্জা বোধ করছেন না বিজেপির তাবড় নেতারা। মোদি, অমিত শাহ, জে পি নাড্ডা ঘন ঘন আসছেন। বাংলার গরিব জনগণ ও ছাত্রছাত্রীদের ‘দুর্দশা’ আর ‘ভেঙেপড়া আইনশৃঙ্খলা’ নিয়ে ৭ মার্চ ব্রিগেডে মোদি প্রায় কেঁদে ফেললেন। যা বলে গেলেন তার সরলার্থ একটাই, বাংলার সমস্ত অভাব অভিযোগ দুর্দশা তিনি এবার দূর করে তবেই থামবেন। বাঙালিদের বোঝার সুবিধের জন্য কথার ভাঁজে ভাঁজে বাংলাও পাঞ্চ করলেন বর্তমান ভারতের সর্বশ্রেষ্ঠ ‘সেলসম্যান’—‘বাংলা চায় শান্তি, বাংলা চায় উন্নতি, বাংলা চায় সোনার বাংলা’। আর কথা দিলেন, তাঁর নেতৃত্বে বাংলায় এই দফায় এমন 
উন্নতি হবে যে তার প্রভাব থাকবে ২৫ বছর। 
কংগ্রেস, কমিউনিস্ট এবং তৃণমূলের শাসনে বাংলা থেকে যা-সব লুট হয়েছে তিনিই ফিরিয়ে দেবেন। স্বাধীনতা-উত্তর সাড়ে সাত দশকে যা হারিয়েছে, সবই ফেরত পাবে বাংলা।  
একের পর এক জনসভায় এসব যখন বলছেন, তখন যোগীরাজ্যের কথাটি মুখে পর্যন্ত নিচ্ছেন না। (অথচ বিজেপি-শাসিত এই রাজ্যটিই খুন, ধর্ষণ, নারী, শিশু ও সংখ্যালঘুদের উপর অত্যাচারে সর্বকালীন রেকর্ড গড়েছে। কোনও বিরোধী নেতার কুৎসা নয়, এ তথ্য এনসিআরবি-র।) অমিত শাহ থেকে মোদির কারবার দেখে মনে হয়, যোগী তাঁদের ভাসুর ঠাকুর! 
আসলে তাঁরা রাজনীতি নামক গঙ্গাজলের সুবিধে নিচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মিথ্যাভাষণের কিছু অসুবিধে থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু রাজনীতিক হিসেবে সেই সমস্যা নেই বলেই হয়তো তাঁরা মনে করেন। সাম, দান, দণ্ড ও ভেদ—ভারতের প্রাচীন শাস্ত্র বর্ণিত রাজধর্মের এই চারটি দিকের অপপ্রয়োগেই সিদ্ধহস্ত আধুনিক ভারত। ‘রাজধর্মে ভ্রাতৃধর্ম বন্ধু নাই’—দুর্যোধনের এই দর্শনকে সামনে রেখে অবাধে দলবদল করা যায়, আয়ারাম গয়ারাম হওয়া চলে। গণতন্ত্র বাঁচানোর দোহাই পেড়ে, ‘ধর্মনরিপেক্ষতা’ রক্ষার প্রশ্নে সিলেকটিভ হওয়া যায়। যেমনটা সিপিএমসহ বামপন্থীদের একটা অংশ এবার করেছে। অতীতেও করেছে একাধিকবার। বাংলায় কংগ্রেস এবং সিপিএমের হাত ধরাধরি নিয়ে মোদির কটাক্ষও যথার্থ—‘কংগ্রেসের কালো হাত সাদা হয়ে গেল কী করে—বামেরা তো একসময় এই হাতই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়ার সংকল্প করেছিলেন!’ পিকচার আভি বাকি হ্যায়! ভোট যত এগিয়ে আসবে আরও অনেক পিকচার আমাদের সামনে আসবে। তার অনেকগুলিই আমাদের বহু চেনা। যেমন কিছু ঘরে নগদ টাকা, চাল, বিরিয়ানি, এমনকী বিলিতি মদের বোতলও পৌঁছে যাবে। কিছু ক্লাব এবং মস্তানকে হাত করার জন্যও পৌঁছে যাবে উপঢৌকন। এসব চলবে জনসেবার নামে। নির্বাচন কমিশনের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টাও চলে। সরকারি দেওয়াল, সরকারি খরচায় গাড়ি, প্রচারের সুযোগও নেয় অনেক শাসক দল। কমিশনের পর্যবেক্ষকদের একাংশের নামে অতীতে অন্যায় সরকারি আতিথ্য গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে, বারবার। ভোটে কারচুপির সব অভিযোগের নিরপেক্ষ নিষ্পত্তি হয়েছে, এমনটাও জোর দিয়ে বলতে পারবেন না কোনও কমিশন কর্তা? বরং সুবিধাপ্রাপ্ত কোনও কোনও রাজনৈতিক দল পার পেয়ে যায় কমিশন নামক গঙ্গাজলে আধগলা পর্যন্ত ডুবে নেয়ে এসে। 
***
কিন্তু স্বাধীন ভারতের রাজনীতির সূচনা এতটা নিচু মানের ছিল না। ১৯৪৮-এর ফেব্রুয়ারিতে সিপিআইয়ের নতুন সম্পাদক বি টি রণদিভে বললেন, ‘জনগণের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিরাট সুযোগ এসেছে।’ চাষি ও মজুরদের প্রতি সংগ্রাম শুরুর আহ্বান জানালেন তিনি। ২৯ মার্চ দেশজুড়ে কর্মচারী ধর্মঘটের ডাক দিলেন। পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিরণশঙ্কর রায় তার চারদিন আগে, আচমকাই এখানে কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দিলেন। প্রধানমন্ত্রী নেহরু ব্যাপারটা একদম ভালোভাবে নেননি। নেহরু ১ এপ্রিল সব মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে কিরণশঙ্করের এই ‘একতরফা’ সিদ্ধান্তের নিন্দা করেন, ভবিষ্যতে এই ধরনের পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকার পরামর্শও দেন। 
১৯৪৭-এর ১৪ আগস্ট কিরণশঙ্কর ঢাকা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হন। ১৯৪৮-এর ২৩ জানুয়ারি বিধানচন্দ্র রায় মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কিরণশঙ্করকে এই বাংলার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার আহ্বান জানান। মালদহের এক মুসলিম বিধায়ক ঢাকায় চলে যান। সেই শূন্যস্থানে কিরণশঙ্করকে মনোনীত করা হয়। কিন্তু মন্ত্রিপদ বাঁচাতে কিরণশঙ্করের ভোটে জিতে আসা জরুরি ছিল। উপনির্বাচনে দাঁড়ালেন। মালদহের তৎকালীন কালেক্টর (ডিএম) অশোক মিত্রের সঙ্গে দেখা করে বললেন, ‘আমাকে কোনওভাবে ফেভার করবেন না।’ সেকালে প্রার্থীদের গাড়ির তেল কালেক্টর মারফত নিতে হতো। চাহিদামতো তেল এবং অন্যান্য সুবিধে না-পেয়ে কিরণশঙ্করের ছেলে বেজায় খেপে যান। তিনি দেখা করে কালেক্টরকে হুমকি দেন। কড়া কালেক্টরও তাঁকে পাল্টা শুনিয়ে দেন, ‘পারলে যথাসাধ্য ক্ষতি করবেন আমার। কিন্তু আইনের নড়চড় হবে না।’ তেল না-পেয়ে এমন অবস্থা হয় যে কিরণশঙ্করের ডানহাত সৌরীন্দ্রমোহন মিশ্র গোরুর গাড়ি চেপে ভোটের কাজ করতে বাধ্য হন। তবু কংগ্রেস প্রার্থী কিরণশঙ্কর রায় জয়ী হন। এমএলএ হওয়ার পর কিরণশঙ্কর মালদহবাসীকে ধন্যবাদ জানাতে গিয়ে ডিএমের সঙ্গে দেখা করেন। তাঁর প্রতি স্নেহ, সৌজন্যের বিন্দুমাত্র ঘাটতি না দেখে ডিএম অবাক হন। তিনি যেচে ডিএমের সঙ্গে খাওয়াদাওয়াও করেন। পুত্রের অভব্য আচরণের কথা পরে শুনে তিনি ব্যথিতই হয়েছেন বলে জানান। ছেলেকে কিরণশঙ্কর উপদেশ দেন, ‘তুমি কোন বংশের ছেলে ভুলে যেও না।’ 
ভাবতে অবাক লাগে, আজকের দিনে কোন প্রধানমন্ত্রী তাঁর দলের রাজ্য সরকারের কাজের নিন্দে করতে পারতেন! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ছেলেকে কড়কে দেওয়ার হিম্মত আছে কোন ডিএমের! কোন মন্ত্রী একজন কড়া আমলার সরকারি দায়িত্বকর্তব্য পালনের সহায় হতে পারেন, যে-কর্তব্যপালনের ফল সরাসরি তাঁরই বিরুদ্ধে যাচ্ছে!
10th  March, 2021
জঙ্গলমহলে ভোট মানে এখন উৎসব!
মৃণালকান্তি দাস

কে দুশমন, কে ঘরের লোক কিচ্ছু বোঝাতে হয় না জঙ্গলমহলের মানুষকে। গাঁয়ের জন্য কী করা গিয়েছে, আর কী করা যায়নি প্রতিমুহূর্তে তার হিসেব কষে নেন গাঁয়ের মানুষই। একটা টিউবওয়েল, এক টুকরো জমি, দু’বেলা দু’মুঠো খাবার আর পরিশ্রমের নিশ্চয়তা—সামান্য এই প্রাপ্তিতে সুখ, কত শক্তি খুঁজে পান এখানকার মানুষ। বিশদ

মোদির ভাষণ ও বাস্তবে
বিস্তর ফারাক
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

শুধু ‘ভাইপো’ আর ‘পিসি’র সমালোচনা করলে প্রমাণ হয় না যে বিজেপি সত্যিই কিছু করে দেখাতে পারবে। শুধু নাটকীয় ভঙ্গিতে সোনার বাংলা গড়ে দেব বললে মাটির বাংলাও যে গড়া যাবে না, সেটা বাঙালি জানে। তাই দরকার স্পষ্ট কর্মসূচি ঘোষণা, নির্বাচনী ইস্তাহারে একটা অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের বিকল্প পরিকল্পনা। বিশদ

11th  March, 2021
নন্দীগ্রাম নয়, মমতার চ্যালেঞ্জ একলপ্তে ২৯১
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

মোক্ষম জবাবটা দিয়েছেন ওমর আবদুল্লা। গত শনিবার বেহালার মুচিপাড়ায় শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরলে পশ্চিমবঙ্গটা কাশ্মীর হয়ে যাবে।’ ২০১৯ সালে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিদায় নেওয়ার পর থেকে ওমর আবদুল্লা ভালোই ভুগছেন। 
বিশদ

09th  March, 2021
অর্থনীতির পাশাপাশি স্বাধীনতাও বিপন্ন
পি চিদম্বরম 

ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কি না তা একটা বিতর্কের বিষয়। চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধির যে এস্টিমেট ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস (এনএসও) দিয়েছে, সরকার সেটাকে ‘সেলিব্রেট করছে’। 
বিশদ

08th  March, 2021
বাইশে উত্তরপ্রদেশে কুড়ি
দফায় ভোট হবে তো!
হিমাংশু সিংহ 

প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতে শুরু করেছে। খেলেঙ্গে, লড়েঙ্গে, জিতেঙ্গে আবেগে ভাসছে নন্দীগ্রাম। সব পক্ষই বলছে, খেলা হবে। বাংলা ও বাঙালির ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয়ঙ্কর নির্ণায়ক খেলা। বহিরাগত শক্তি বনাম হাসিমুখে ঘরের মেয়ের লড়াই। তবে বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়েই খেলতে হবে। তাকে আক্রান্ত করে, জখম করে নয়। 
বিশদ

07th  March, 2021
যেখানে ‘ডবল ইঞ্জিন’
সেখানেই হেরেছে বিজেপি
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির নেতাদের মুখে ‘ডবল ইঞ্জিন’-এর প্রশংসার ফুলঝুরি ফুটছে। তাঁরা বোঝাতে চাইছেন, কেন্দ্রে ও রাজ্যে একই দলের সরকার থাকলে প্রচুর উন্নতি হবে। কলকারখানা হবে। চাকরি হবে। মাস্টারমশাই, সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়বে। 
বিশদ

06th  March, 2021
বিদায় শ্রেণিসংগ্রাম, স্বাগত টুম্পা
সমৃদ্ধ দত্ত

আত্মীয় অথবা পরিবারের মধ্যে কিছু কিছু বিশেষ ব্যক্তিকে দেখা যায়, যাঁরা কোনও একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর সেটি যে শ্রেষ্ঠ, সেকথা উচ্চৈঃস্বরে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। অন্যদের মতামত অথবা মৃদু বিরোধিতাকে পাত্তা দেন না তাঁরা। কিন্তু পরে যখন প্রমাণ হয় যে, ওই সিদ্ধান্ত শুধু যে ভুল ছিল তা‌ই নয়, গোটা পরিবারের পক্ষেও ক্ষতিকর হয়ে গিয়েছে, তখনই বিড়ম্বনার সৃষ্টি। 
বিশদ

05th  March, 2021
নদীবাঁধ রক্ষাই সুন্দরবনের অস্তিত্বের প্রধান শর্ত
কান্তি গাঙ্গুলী

প্রাচীন ইতিহাসে টলেমি ও মেগাস্থিনিসের বিবরণে গঙ্গারিডি বলে যে ভূখণ্ডের উল্লেখ পাওয়া যায়, আজকের সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন নিম্নগাঙ্গেয় উপত্যকা সম্ভবত সেই ভূখণ্ডই। কলকাতার এন্টালি অঞ্চলটির নামকরণের পিছনে হেঁতাল গাছের প্রভূত উপস্থিতির কারণও হয়তো বিদ্যমান।  
বিশদ

04th  March, 2021
গোল্লায় যাবে শিল্প-সংস্কৃতি
ব্রাত্য বসু 

বাংলা ও তার সংস্কৃতি বাঁচাতে গেলে বহিরাগত এই বিজেপি রাজনীতিকে ঠেকাতেই হবে। বিজেপি কখনও বাংলায় এসে রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান বদলে দিচ্ছে, কখনও বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে তছনছ করছে, কখনও চৈতন্যদেবের মৃত্যুর অন্তত দুশো বছর পরে তাঁকে কাটোয়ায় জীবিত করে তুলছে, কখনও আবার বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষণে ঔপন্যাসিক না লিখে বলছে ‘উপনিবেশিক’। 
বিশদ

04th  March, 2021
মোদির সব প্রতিশ্রুতি যেন গল্পদাদুর আসর
সন্দীপন বিশ্বাস 

হঠাৎই জহর রায়ের একটি কৌতুক নকশা মনে পড়ল। এক ভদ্রলোক একটি ঘর ভাড়া নিতে গিয়েছেন। ঘর দেখে পছন্দও হয়েছে। দু’টি ঘর, রান্নাঘর, সঙ্গে আলাদা বাথরুম। কিন্তু ভাড়া শুনে ভদ্রলোকের মাথার চুল খাড়া হয়ে গেল। ভাড়া ৫০০ টাকা।  
বিশদ

03rd  March, 2021
৮ দফার পর নিশ্চয়ই রিগিংয়ের
অভিযোগ উঠবে না!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সেশন সাহেব, বড্ড মিস করছি আপনাকে। আপনি বলতেন, ‘গণতন্ত্র হল এমন একটা ব্যবস্থা, যেখানে আইনের শাসন সবার জন্য সমানভাবে বলবৎ থাকবে।’ সব মানুষের জন্য। সব রাজনৈতিক দলের জন্য। আপনি প্রমাণ করেছেন, এটা ছেলে ভুলানো গল্প নয়।  
বিশদ

02nd  March, 2021
আদালতগুলি স্বাধীনতার ঘণ্টাধ্বনি দিচ্ছে
পি চিদম্বরম

ঠিক যখন আমরা আশা ছেড়ে দিচ্ছি, তখনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে ব্যক্তি স্বাধীনতার বর্মটা হারিয়ে যায়নি। আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কিত স্বাক্ষর হয়েছিল ১৭৭৬-এর ৪ জুলাই। 
বিশদ

01st  March, 2021
একনজরে
বিজেপিকে হারানোর বার্তা নিয়ে আগামী ১৩ মার্চ হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে কিষান মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করতে চলেছেন কৃষকরা। উপস্থিত থাকবেন রাকেশ টিকায়েত। বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার ইস্যুতে ভোটের বাংলায় গোটা রাজ্যে সবমিলিয়ে ছ’টি মহাপঞ্চায়েত আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। ...

শনিবার আইএসএল ফাইনালে নজর থাকবে দুই দলের গোলরক্ষকের দিকে। গোল্ডেন গ্লাভসের দৌড়ে রয়েছেন এটিকে মোহন বাগানের অরিন্দম ভট্টাচার্য ও মুম্বই সিটি এফসি’র অমরিন্দর সিং। চলতি ...

শিবরাত্রি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তারকেশ্বরের মন্দিরে ঢল নামে পুণ্যার্থীদের। বেলা যত বেড়েছে, লাইনও তত দীর্ঘ হয়েছে। এক সময়ে ভিড় এতটাই হয়েছিল যে, তা সামলাতে ...

মালদহের গাজোলের রানিগঞ্জে এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। জখম ব্যক্তির নাম বিফল মণ্ডল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

গ্লুকোমা দিবস
১৭৮৯ : আমেরিকায় পোস্ট অফিস স্থাপিত হয়
১৮৫৪: লেখক মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের জন্ম
১৮৯৪ : যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বোতলজাত কোকাকোলা বিক্রি শুরু হয়
১৯০৪ : ইংল্যান্ডে ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হয়
১৯১১: বাঙালি সাহিত্যিক অতুলচন্দ্র গুপ্তের জন্ম
১৯১৮ : ২১৫ বছর পর ফের রাশিয়ার রাজধানী হল মস্কো
১০২৪: সঙ্গীতশিল্পী উৎপলা সেনের জন্ম
১৯৩০ : মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে বৃটেনের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ বা অসহযোগ আন্দোলন শুরু
১৯৮৪: সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের জন্ম
১৯৮৮: সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) মৃত্যু
১৯৮৯ : স্যার টিম বার্নার্স লি CERN-এর ল্যাবে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) বিশ্বের তথ্য আদানপ্রদানের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমের অবতারণা করেন।
২০১৩: শিল্পী গণেশ পাইনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.৩০ টাকা ৭৪.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৭৪ টাকা ১০৩.৫৫ টাকা
ইউরো ৮৪.৬০ টাকা ৮৮.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৪,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ ফাল্গুন ১৪২৭, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী ২২/৫৭ দিবা ৩/৩। শতভিষা নক্ষত্র ৪২/২৭ রাত্রি ১০/৫১। সূর্যোদয় ৫/৫২/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৪০/৪৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৫ মধ্যে পুনঃ ৮/১৪ গতে ১০/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৭ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৮ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৪ গতে ৪/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ৪/১৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১১/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৩ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
২৭ ফাল্গুন ১৪২৭, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী দিবা ২/৪৩। শতভিষা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৪২। সূর্যোদয় ৫/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৪১। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে ও ৮/১ গতে ১০/২৮ মধ্যে ও ১২/৫৪ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/৯ গতে ৫/৪১ মধ্যে। এবং রাত্রি ৭/২১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/১৭ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫১ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১৬ মধ্যে। 
২৭ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টি২০: ভারতকে ৮ উইকেটে হারাল ইংল্যান্ড 

10:17:20 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ড ৮৯/১ (১১ ওভার) 

09:52:13 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ড ৫০/০ (৬ ওভার) 

09:28:55 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ডকে ১২৫ রানের টার্গেট দিল ভারত

08:49:53 PM

প্রয়াত  রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্যতম সহঅধ্যক্ষ স্বামী বাগীশানন্দ
প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্যতম সহঅধ্যক্ষ স্বামী বাগীশানন্দ। আজ, ...বিশদ

08:40:00 PM

প্রথম টি২০: ভারত ৮৩/৪ (১৫ ওভার)

08:19:34 PM