Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নদীবাঁধ রক্ষাই সুন্দরবনের অস্তিত্বের প্রধান শর্ত
কান্তি গাঙ্গুলী

প্রাচীন ইতিহাসে টলেমি ও মেগাস্থিনিসের বিবরণে গঙ্গারিডি বলে যে ভূখণ্ডের উল্লেখ পাওয়া যায়, আজকের সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন নিম্নগাঙ্গেয় উপত্যকা সম্ভবত সেই ভূখণ্ডই। কলকাতার এন্টালি অঞ্চলটির নামকরণের পিছনে হেঁতাল গাছের প্রভূত উপস্থিতির কারণও হয়তো বিদ্যমান। কেওড়াতলা নামকরণের পিছনে কেওড়াগাছের বনের উপস্থিতির সম্পর্ক থাকতে পারে। তবে বর্তমানে দুই চব্বিশ পরগনা নিয়ে মোট ১৯টি ব্লককেই সুন্দরবন বলে চিহ্নিত করা হয়। খ্রিস্টপূর্ব সময় থেকেই সুন্দরবন অঞ্চল বন্দর হিসাবে প্রসিদ্ধ ছিল। সেন ও পাল রাজাদের হাত হয়ে বারো ভুঁইঞাদের মধ্যে ইশা খাঁ, প্রতাপাদিত্য প্রমুখের পরে মুসলিম ও ইংরেজ শাসনামলেও সুন্দরবনের গুরুত্ব কম ছিল না। ১৬৮৮ থেকে ১৭৩৪ হয়ে আজ পর্যন্ত সমুদ্র সন্নিহিত সুন্দরবন অঞ্চল তীব্র সামুদ্রিক ঝড়, সুনামী-ভূমিকম্পতে বার বার তছনছ হয়েছে। নিম্নগাঙ্গেয় উপত্যকা অঞ্চলে সমুদ্রের নিম্নচাপজনিত ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে সুন্দরবন অঞ্চল প্রকৃতির রুদ্ররূপকে প্রত্যক্ষ করেছে অসংখ্যবার। গত বিশ বছরে আয়লা, বুলবুল, উম-পুন সহ একাধিক ঝড়ে প্রভূত ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন সুন্দরবনবাসী এবং এই স্মৃতি আজও টাটকা।
এবার আলোচনার মূল প্রসঙ্গে ফিরে আসি। ২০২১-এর এপ্রিল-মে মাসে রাজ্য বিধানসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। অলীক কুনাট্য-রঙ্গে মজে আছে রাজ্যবাসীর একাংশ। এই অবকাশে সুন্দরবনের বর্তমান অবস্থা ও পরিণতি নিয়ে কোনও আলোচনাই তেমন করে শোনা যাচ্ছে না। নির্বাচনে শুধু গলা কাঁপিয়ে বক্তৃতা দিলেই তো হবে না। সুন্দরবনের এবং সুন্দরবনবাসীর মূল সমস্যাগুলো রাজনৈতিক দলের কাছে ইস্যু হিসাবেও উঠে আসতে হবে। গত তিরিশ বছর আমি সুন্দরবনেই বাড়ি করে বসবাস করছি। আমার অভিজ্ঞতা বলে, দীর্ঘ সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার নদীবাঁধকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই সুন্দরবনবাসীর কাছে সবচেয়ে জরুরি কাজ। কয়েকদিন আগে রাজ্য মন্ত্রিসভার মিটিং-এ সারা রাজ্যের নদী ও ড্যাম অঞ্চলে বাঁধ দেওয়ার ব্যাপারে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু সেখানে সুন্দরবনের নদীবাঁধ নিয়ে একটি কথাও নেই।
বর্তমানে যে অতিভঙ্গুর নদীবাঁধ আছে তা গড়ে উঠেছিল ইংরেজ আমলে, মূলত লাটদার জমিদারদের প্রয়োজনে। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ঘি-ননী-মাখন খাওয়ার উদ্দেশ্যে লাটদাররা সাঁওতাল পরগনা থেকে আদিবাসী জনমজুরদের এখানে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছিলেন। সেই পরিশ্রমী জনজাতির মানুষরা একদিকে যেমন গাছ কেটে জঙ্গল হাসিল করেছিল, কৃষি জমি বা আবাদি জমি তৈরি করার উদ্দেশ্যে তেমনি নদীতে মাটি ফেলে বাঁধও বেঁধেছিল। কারণ ভরা কোটালে তাদের বাসস্থান জলের তলায় চলে যেত। সমাজের নিম্নবর্গীয় প্রান্তিক মানুষদের এরকমই নিয়তি! চর্যাগীতিকায় যেমন বর্ণিত হয়েছে, ‘নগর বাহিরে ডোমনি তোহারই কুড়িয়া’, তেমনি এই শোষিত প্রান্তিক মানুষগুলোকেও জনপদের সীমান্তে সমুদ্র-সন্নিহিত এলাকায় বসবাস করতে হতো আর বাধ্যত নিয়ম করে মাটি দিয়ে বছর বছর নদীবাঁধ বাঁধতে হতো। মূলত আলগা মাটির এই বাঁধ রক্ষার দায়িত্ব ছিল প্রান্তিক গরিব মানুষদের উপর এবং ১৯৫৯ সাল পর্যন্ত এই ব্যবস্থাই বহাল ছিল। ১৯৬০ সালে ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় সরকার এই নদীবাঁধ রক্ষায় দায়িত্ব গ্রহণ করে।
বঙ্গোপসাগরে অতি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হলে তা মূলত আমাদের সুন্দরবন, ওড়িশার পারাদ্বীপ অথবা বাংলাদেশের কক্সবাজারে ভয়ঙ্কর সাইক্লোন হিসাবে ধেয়ে আসে। একটি ঘূর্ণিঝড়ে একবার শুধুমাত্র সাগরদ্বীপেই, সম্ভবত ১৭৩৭ সালে, ষাট হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। সুন্দরবন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বিভিন্ন আলোচনায় এবং জাপানের কিয়োটো শহরে বিশ্ব আবহাওয়া পরিবর্তন ও উষ্ণায়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক মঞ্চে দু’বার প্রতিনিধিত্ব করার সুবাদে সুন্দরবনের সমস্যার মূলগত বিষয়ে কিছু চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটানোর সুযোগ পেয়েছিলাম। কিয়োটো প্রোটোকল সিদ্ধান্ত ঘোষণার পূর্বেই পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বার বার বিশ্ব উষ্ণায়নের সতর্কতা বিষয়ে যেমন আলোচনা করতেন তেমনি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ সন্নিহিত সুন্দরবনের ভবিষ্যৎ ভয়াবহ পরিণতির কথাও উল্লেখ করতেন। তাঁদের আশঙ্কা সত্য প্রমাণ করে গত দশ-বারো বছরে কয়েকটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবন বিপদগ্রস্ত হল। তবু বাদাবন ও ম্যানগ্রোভ অরণ্যের সুবাদে প্রকৃতির ধ্বংসলীলা হয়তো কিছুটা কম হয়েছিল। ১৯৬০ সাল থেকে বাংলাদেশে যেমন বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন শুরু হয়, অনুরূপভাবে পশ্চিমবাংলার নিম্নগাঙ্গেয় উপত্যকায় সুন্দরবন নদীবাঁধ রক্ষায় আন্দোলনও গড়ে ওঠে, যার পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন তুষার কাঞ্জিলাল। তুষারবাবু বারবার সুন্দরবনের নদীবাঁধ উপযুক্তভাবে সংরক্ষণের কথা বলতেন। রাস্তাঘাট, ব্রিজ, স্কুল-কলেজ, যাইহোক না কেন, নদীবাঁধ সুরক্ষার বিষয়টি সুন্দরবনের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত।
সাম্প্রতিক সময়ে সুন্দরবনের বুকে আছড়ে পড়া তিনটি ঝড়—আয়লা, বুলবুল, উম-পুন। তিনটি ঝড়ের চরিত্র ও মারণ ক্ষমতা তিন রকম। আয়লা যখন হয়, অর্থাৎ ২০০৯-এর ২৫-২৬ মে, ঝড়ের গতি ১৭০ থেকে ১৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টা, তখন ছিল অমাবস্যার ভরা কোটাল এবং একই সঙ্গে একটানা ঝমঝম করে তুমুল বৃষ্টি হয়েছিল বেশ কয়েকদিন ধরে। এছাড়াও যে কোনও ঘূর্ণিঝড়ে লেজের ঝাপটাটাই হচ্ছে মারাত্মক। আয়লায় তাই প্রায় এক হাজার কিমি নদীবাঁধ ভেঙেছিল এবং কৃষিজমি ও পানীয় জলের উৎসের তীব্র বিপর্যয় ঘটেছিল। নদীর স্রোতে ভেসে যাচ্ছে গবাদি পশু, নারী-শিশু—সে এক হাড়হিম করা মর্মান্তিক দৃশ্য। বাড়ি ঘর একেবারে ধূলিস্যাৎ। পরবর্তী সময় নদীবাঁধ বাঁচাও আন্দোলন ও তৎকালীন রাজ্য সরকারের তৎপরতায় দিল্লির সরকার যোজনা কমিশনের চেয়ারম্যান মন্টেক সিং আলুওয়ালিয়া সহ নদীবাঁধ বিশেষজ্ঞ দলকে প্রেরণ করেন সুন্দরবনে। প্রণব মুখার্জিও এক্ষেত্রে আলাদা করে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রেরিত সমীক্ষক দল মোট তিন হাজার পাঁচশো কিমি নদী বাঁধের মধ্যে ভেঙে যাওয়া এক হাজার কিমি নদী বাঁধের মধ্যে সাতশো তিয়াত্তর কিমি অঞ্চলকে চিহ্নিত করেন কংক্রিটের নদীবাঁধ তৈরি করার জন্য। কেন্দ্রীয় সরকার পাঁচ হাজার বত্রিশ কোটি টাকা এই প্রকল্পে অনুমোদন করে। এখন কংক্রিটের নদীবাঁধ তৈরি করতে গেলে রিং-বাঁধ তৈরি করতে হবে এবং সেই জন্য জনপদের দিকের কিছু কৃষিজমিও সরকারকে অধিগ্রহণ করতে হয়। জমি সংক্রান্ত জটের কারণে সাতশো তিয়াত্তর কিমি নদীবাঁধের মধ্যে মাত্র সত্তর কিমি কংক্রিট নদীবাঁধ দেওয়া সম্ভব হল। বাকি আশি শতাংশ টাকা ফেরত চলে গেল। কেননা ২০১১ সালে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। পরবর্তী সময়ে ঘটে যাওয়া উম-পুন ঘূর্ণিঝড়ের বেগ ২৫০ কিমি প্রতিঘণ্টা ছিল, এটা যেমন ঠিক, তেমনি সেই সময় অমাবস্যার মরা কোটাল বা নদীতে ভাটা ছিল ও সেই সময়ে একটানা বৃষ্টিপাত হয়নি। আসলে সেদিন দুপুর দেড়টা থেকে পৌনে দুটোর সময় উম-পুনের ঝড় শুরু হয়েছিল। গতিবেগ ২৪০ থেকে ২৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টা। কিন্তু সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস তেমন ঘটল না, কারণ নদীতে তখন মরা কোটাল বা ভাটা চলছে। রাত প্রায় আটটার সময় যখন নদীতে ভরা কোটাল হবার সময় আসন্ন, ঠিক তখনই প্রকৃতির অকৃত্রিম আশীর্বাদে পুব-দক্ষিণের হাওয়ার দাপট স্তিমিত হয়ে এল এবং হাওয়ার গতি পশ্চিম দিকে ঘুরে গেল। সুন্দরবনে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে এই পুব-দক্ষিণের হাওয়াটাই মারাত্মক। সাংঘাতিক বিপর্যয়ের হাত থেকে বেঁচে গেল সুন্দরবনের নদীবাঁধ। ভরা কোটালের সময় যদি পুব-দক্ষিণের হাওয়ার গতি স্তিমিত না হতো তাহলে ভরা কোটালের সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসে প্রায় চল্লিশ ফুট পর্যন্ত ঢেউয়ে সমুদ্রের জলে প্লাবিত হতো গোটা সুন্দরবন, এমনকী বারুইপুর সংলগ্ন এলাকাও। সঙ্গে ঘূর্ণিঝড়ের লেজের ঝাপটে তছনছ হয়ে যেত গোটা তল্লাট। মণি নদীর তটে আমার স্কুলবাড়িতে সেদিন চারশো বিপদগ্রস্ত মানুষকে নিয়ে তীব্র আতঙ্কে সময় কাটিয়েছি। উম-পুন ঝড়ের দাপট তাই আয়লা ঝড়ের থেকে অনেকটা বেশি হলেও নদীবাঁধ ভেঙে ছিল কম। নদীবাঁধ দেশের সর্বত্রই ভাঙে, প্লাবিত হয় কৃষিজমি; জমির উর্বরতাশক্তি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু সুন্দরবনের নদীবাঁধ ভাঙলে লবণাক্ত জলে কৃষিজমি প্লাবিত হলে প্রায় তিন-চার বছর মাটির নোনাভাব না কাটা পর্যন্ত চাষ-আবাদ হয় না। সুন্দরবনের নদীবাঁধ সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে তাই সর্বাত্মক উদ্যোগ নেওয়া জরুরি। অন্য একটি বিষয়ও এই প্রেক্ষিতে আলোচনা করব। গ্রামীণ বিভিন্ন আবাস- যোজনা, যেমন প্রধানমন্ত্রী- গীতাঞ্জলি-ইন্দিরা আবাস স্কিমে গরিব মানুষ অ্যাসবেসটস ছাওয়া পাকা বাড়ির জন্য আর্থিক সাহায্য পান। যদিও প্রত্যেক বছরই ঝড়ে এই টিন, অ্যাসবেসটসের শেড ধ্বংস হয়ে যায়। সরকারকেও বছর বছর ত্রিপল, বাড়ি ভাঙার ক্ষতিপূরণ ইত্যাদি ব্যবস্থা করতে হয়। এক্ষেত্রে আমার প্রস্তাব—এই সমস্ত গ্রামীণ আবাস যোজনায় যাঁরা সমুদ্র উপকূলবর্তী অংশে ঘর পাবেন, তাঁদের যেন অতিরিক্ত কিছু টাকা প্রদান করা হয় কংক্রিটের ছাদ তৈরির জন্য। তাহলে সরকারকে বছর বছর ত্রিপল ও বাড়ি ভাঙার ক্ষতিপূরণের অর্থের ব্যবস্থা করার দরকার পড়বে না।
এই লেখার আর একটি প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে যে, আয়লা-বুলবুল-উমপুন—এই তিন ঝড়ের প্রকৃতিকে সামুদ্রিক ঝড়ের নির্দিষ্ট চরিত্রের মধ্যে সবসময় সংজ্ঞায়িত করা যাচ্ছে না। এটাই হচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলশ্রুতি। ঘূর্ণিঝড় ও তার প্রকৃতির পরিবর্তন হচ্ছে এবং চরিত্র পাল্টাচ্ছে কিন্তু উল্লেখনীয় বিষয় এই যে, কেন্দ্রীয় সরকার প্রেরিত সমীক্ষক দল যে অঞ্চলগুলোকে কংক্রিটের নদীবাঁধের জন্য চিহ্নিত করেছিল, সেখানেই উম-পুনের সময়ও নদীবাঁধগুলো ভেঙেছিল। গোসাবা, বাসন্তী, দেউলবাড়ি, রাঙাবেলিয়া, মাতলা, মৈপীঠ, ঠাকুরান নদী সংলগ্ন মৃদঙ্গভাঙা ইত্যাদি অঞ্চলে। এত কথা বলছি একটাই কারণে, নির্বাচন আসবে যাবে, সরকারের মুখগুলো পাল্টাবে কিন্তু আগামী মে-জুন মাসে আবার হয়তো সুন্দরবনে আছড়ে পড়বে নাম না জানা কোনও বিধ্বংসী ঝড়। এক সময় দাবি উঠেছিল সুন্দরবনের নদীবাঁধকে জাতীয় সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করতে হবে। তারপর মাতলা, ঠাকুরান, বিদ্যাধরী, হেড়োভাঙা, সপ্তমুখী, মণি নদী দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। সুন্দরবনের ছেচল্লিশ লক্ষ মানুষের জীবনের মূল সমস্যা নিয়ে অর্থাৎ নদীবাঁধ রক্ষা নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক আলোচনাকে তাই আজ সামগ্রিকভাবে নির্মাণ করতে হবে। যদি আমরা তা না পারি তাহলে এক মুহূর্তের মধ্যে সুন্দরবন জলের তলায় চলে যেতে পারে। আর কে না জানে, পরিবেশের ভারসাম্যের প্রেক্ষিতে ‘নগর পুড়িলে দেবালয় রক্ষা পায় না।’
তাই আসুন, নদী বাঁধ রক্ষার ক্ষেত্রে স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে তিনটি নিরাপত্তাবেষ্টনী নিয়েই আমরা সচেতন হই। প্রথমটি হচ্ছে নদীর ধার বরাবর বাদাবন, ম্যানগ্রোফ অরণ্যের প্রাচীর। দ্বিতীয় নিরাপত্তাবেষ্টনী হচ্ছে উঁচু কংক্রিটের বাঁধ এবং তৃতীয় ব্যবস্থা হচ্ছে, জনপদের মধ্যে সার দিয়ে তাল, খেঁজুর, নারকোল গাছের ঘন প্রাচীরের মতো নিবিড় ও সুসংহত বনসৃজন, যে গাছগুলো ঝড়ের তীব্রতার মোকাবিলা করতে পারে। এই তিন নিরাপত্তাবেষ্টনী দ্বারা সুন্দরবনের নিরাপত্তা স্থায়ী হতে পারে। রাজনৈতিক দল সমূহের কাছে একজন অতি সাধারণ রাজনৈতিক কর্মী ও সুন্দরবনবাসী হিসাবে বিনম্র অনুরোধ, আপনারা সুন্দরবনের অস্তিত্ব রক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিন।
 লেখক রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, মতামত ব্যক্তিগত 
04th  March, 2021
জঙ্গলমহলে ভোট মানে এখন উৎসব!
মৃণালকান্তি দাস

কে দুশমন, কে ঘরের লোক কিচ্ছু বোঝাতে হয় না জঙ্গলমহলের মানুষকে। গাঁয়ের জন্য কী করা গিয়েছে, আর কী করা যায়নি প্রতিমুহূর্তে তার হিসেব কষে নেন গাঁয়ের মানুষই। একটা টিউবওয়েল, এক টুকরো জমি, দু’বেলা দু’মুঠো খাবার আর পরিশ্রমের নিশ্চয়তা—সামান্য এই প্রাপ্তিতে সুখ, কত শক্তি খুঁজে পান এখানকার মানুষ। বিশদ

মোদির ভাষণ ও বাস্তবে
বিস্তর ফারাক
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

শুধু ‘ভাইপো’ আর ‘পিসি’র সমালোচনা করলে প্রমাণ হয় না যে বিজেপি সত্যিই কিছু করে দেখাতে পারবে। শুধু নাটকীয় ভঙ্গিতে সোনার বাংলা গড়ে দেব বললে মাটির বাংলাও যে গড়া যাবে না, সেটা বাঙালি জানে। তাই দরকার স্পষ্ট কর্মসূচি ঘোষণা, নির্বাচনী ইস্তাহারে একটা অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের বিকল্প পরিকল্পনা। বিশদ

11th  March, 2021
রাজনীতি দাঁড়িয়ে আছে
আধগলা গঙ্গাজলে
হারাধন চৌধুরী

প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মিথ্যাভাষণের কিছু অসুবিধে থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু রাজনীতিক হিসেবে সেই সমস্যা নেই বলেই হয়তো তাঁরা মনে করেন। সাম, দান, দণ্ড ও ভেদ—ভারতের প্রাচীন শাস্ত্র বর্ণিত রাজধর্মের এই চারটি দিকের অপপ্রয়োগেই সিদ্ধহস্ত আধুনিক ভারত। বিশদ

10th  March, 2021
নন্দীগ্রাম নয়, মমতার চ্যালেঞ্জ একলপ্তে ২৯১
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

মোক্ষম জবাবটা দিয়েছেন ওমর আবদুল্লা। গত শনিবার বেহালার মুচিপাড়ায় শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরলে পশ্চিমবঙ্গটা কাশ্মীর হয়ে যাবে।’ ২০১৯ সালে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিদায় নেওয়ার পর থেকে ওমর আবদুল্লা ভালোই ভুগছেন। 
বিশদ

09th  March, 2021
অর্থনীতির পাশাপাশি স্বাধীনতাও বিপন্ন
পি চিদম্বরম 

ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কি না তা একটা বিতর্কের বিষয়। চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধির যে এস্টিমেট ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস (এনএসও) দিয়েছে, সরকার সেটাকে ‘সেলিব্রেট করছে’। 
বিশদ

08th  March, 2021
বাইশে উত্তরপ্রদেশে কুড়ি
দফায় ভোট হবে তো!
হিমাংশু সিংহ 

প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতে শুরু করেছে। খেলেঙ্গে, লড়েঙ্গে, জিতেঙ্গে আবেগে ভাসছে নন্দীগ্রাম। সব পক্ষই বলছে, খেলা হবে। বাংলা ও বাঙালির ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয়ঙ্কর নির্ণায়ক খেলা। বহিরাগত শক্তি বনাম হাসিমুখে ঘরের মেয়ের লড়াই। তবে বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়েই খেলতে হবে। তাকে আক্রান্ত করে, জখম করে নয়। 
বিশদ

07th  March, 2021
যেখানে ‘ডবল ইঞ্জিন’
সেখানেই হেরেছে বিজেপি
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির নেতাদের মুখে ‘ডবল ইঞ্জিন’-এর প্রশংসার ফুলঝুরি ফুটছে। তাঁরা বোঝাতে চাইছেন, কেন্দ্রে ও রাজ্যে একই দলের সরকার থাকলে প্রচুর উন্নতি হবে। কলকারখানা হবে। চাকরি হবে। মাস্টারমশাই, সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়বে। 
বিশদ

06th  March, 2021
বিদায় শ্রেণিসংগ্রাম, স্বাগত টুম্পা
সমৃদ্ধ দত্ত

আত্মীয় অথবা পরিবারের মধ্যে কিছু কিছু বিশেষ ব্যক্তিকে দেখা যায়, যাঁরা কোনও একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর সেটি যে শ্রেষ্ঠ, সেকথা উচ্চৈঃস্বরে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। অন্যদের মতামত অথবা মৃদু বিরোধিতাকে পাত্তা দেন না তাঁরা। কিন্তু পরে যখন প্রমাণ হয় যে, ওই সিদ্ধান্ত শুধু যে ভুল ছিল তা‌ই নয়, গোটা পরিবারের পক্ষেও ক্ষতিকর হয়ে গিয়েছে, তখনই বিড়ম্বনার সৃষ্টি। 
বিশদ

05th  March, 2021
গোল্লায় যাবে শিল্প-সংস্কৃতি
ব্রাত্য বসু 

বাংলা ও তার সংস্কৃতি বাঁচাতে গেলে বহিরাগত এই বিজেপি রাজনীতিকে ঠেকাতেই হবে। বিজেপি কখনও বাংলায় এসে রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান বদলে দিচ্ছে, কখনও বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে তছনছ করছে, কখনও চৈতন্যদেবের মৃত্যুর অন্তত দুশো বছর পরে তাঁকে কাটোয়ায় জীবিত করে তুলছে, কখনও আবার বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষণে ঔপন্যাসিক না লিখে বলছে ‘উপনিবেশিক’। 
বিশদ

04th  March, 2021
মোদির সব প্রতিশ্রুতি যেন গল্পদাদুর আসর
সন্দীপন বিশ্বাস 

হঠাৎই জহর রায়ের একটি কৌতুক নকশা মনে পড়ল। এক ভদ্রলোক একটি ঘর ভাড়া নিতে গিয়েছেন। ঘর দেখে পছন্দও হয়েছে। দু’টি ঘর, রান্নাঘর, সঙ্গে আলাদা বাথরুম। কিন্তু ভাড়া শুনে ভদ্রলোকের মাথার চুল খাড়া হয়ে গেল। ভাড়া ৫০০ টাকা।  
বিশদ

03rd  March, 2021
৮ দফার পর নিশ্চয়ই রিগিংয়ের
অভিযোগ উঠবে না!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সেশন সাহেব, বড্ড মিস করছি আপনাকে। আপনি বলতেন, ‘গণতন্ত্র হল এমন একটা ব্যবস্থা, যেখানে আইনের শাসন সবার জন্য সমানভাবে বলবৎ থাকবে।’ সব মানুষের জন্য। সব রাজনৈতিক দলের জন্য। আপনি প্রমাণ করেছেন, এটা ছেলে ভুলানো গল্প নয়।  
বিশদ

02nd  March, 2021
আদালতগুলি স্বাধীনতার ঘণ্টাধ্বনি দিচ্ছে
পি চিদম্বরম

ঠিক যখন আমরা আশা ছেড়ে দিচ্ছি, তখনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে ব্যক্তি স্বাধীনতার বর্মটা হারিয়ে যায়নি। আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কিত স্বাক্ষর হয়েছিল ১৭৭৬-এর ৪ জুলাই। 
বিশদ

01st  March, 2021
একনজরে
শনিবার আইএসএল ফাইনালে নজর থাকবে দুই দলের গোলরক্ষকের দিকে। গোল্ডেন গ্লাভসের দৌড়ে রয়েছেন এটিকে মোহন বাগানের অরিন্দম ভট্টাচার্য ও মুম্বই সিটি এফসি’র অমরিন্দর সিং। চলতি ...

শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের দাবি মানতে বাধ্য হল মোদি সরকার। করোনার ভ্যাকসিন প্রাপ্তদের শংসাপত্রে আপাতত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি থাকছে না। ভোটের আদর্শ  নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে কমিশনের নির্দেশ মতোই সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ছবি। ...

মালদহের গাজোলের রানিগঞ্জে এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। জখম ব্যক্তির নাম বিফল মণ্ডল। ...

শিবরাত্রি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তারকেশ্বরের মন্দিরে ঢল নামে পুণ্যার্থীদের। বেলা যত বেড়েছে, লাইনও তত দীর্ঘ হয়েছে। এক সময়ে ভিড় এতটাই হয়েছিল যে, তা সামলাতে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

গ্লুকোমা দিবস
১৭৮৯ : আমেরিকায় পোস্ট অফিস স্থাপিত হয়
১৮৫৪: লেখক মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের জন্ম
১৮৯৪ : যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বোতলজাত কোকাকোলা বিক্রি শুরু হয়
১৯০৪ : ইংল্যান্ডে ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হয়
১৯১১: বাঙালি সাহিত্যিক অতুলচন্দ্র গুপ্তের জন্ম
১৯১৮ : ২১৫ বছর পর ফের রাশিয়ার রাজধানী হল মস্কো
১০২৪: সঙ্গীতশিল্পী উৎপলা সেনের জন্ম
১৯৩০ : মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে বৃটেনের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ বা অসহযোগ আন্দোলন শুরু
১৯৮৪: সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের জন্ম
১৯৮৮: সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) মৃত্যু
১৯৮৯ : স্যার টিম বার্নার্স লি CERN-এর ল্যাবে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) বিশ্বের তথ্য আদানপ্রদানের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমের অবতারণা করেন।
২০১৩: শিল্পী গণেশ পাইনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.৩০ টাকা ৭৪.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৭৪ টাকা ১০৩.৫৫ টাকা
ইউরো ৮৪.৬০ টাকা ৮৮.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৪,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ ফাল্গুন ১৪২৭, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী ২২/৫৭ দিবা ৩/৩। শতভিষা নক্ষত্র ৪২/২৭ রাত্রি ১০/৫১। সূর্যোদয় ৫/৫২/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৪০/৪৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৫ মধ্যে পুনঃ ৮/১৪ গতে ১০/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৭ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৮ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৪ গতে ৪/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ৪/১৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১১/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৩ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
২৭ ফাল্গুন ১৪২৭, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী দিবা ২/৪৩। শতভিষা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৪২। সূর্যোদয় ৫/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৪১। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে ও ৮/১ গতে ১০/২৮ মধ্যে ও ১২/৫৪ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/৯ গতে ৫/৪১ মধ্যে। এবং রাত্রি ৭/২১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/১৭ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫১ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১৬ মধ্যে। 
২৭ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টি২০: ভারতকে ৮ উইকেটে হারাল ইংল্যান্ড 

10:17:20 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ড ৮৯/১ (১১ ওভার) 

09:52:13 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ড ৫০/০ (৬ ওভার) 

09:28:55 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ডকে ১২৫ রানের টার্গেট দিল ভারত

08:49:53 PM

প্রয়াত  রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্যতম সহঅধ্যক্ষ স্বামী বাগীশানন্দ
প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্যতম সহঅধ্যক্ষ স্বামী বাগীশানন্দ। আজ, ...বিশদ

08:40:00 PM

প্রথম টি২০: ভারত ৮৩/৪ (১৫ ওভার)

08:19:34 PM