উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সাংগঠনিকভাবে কংগ্রেস যতটা না শক্তিশালী, তার চেয়ে বামেদের ভোটব্যাঙ্ক বড় ফ্যাক্টর গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্র জয়ের ব্যাপারে। লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রায় ২৩ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিল। কংগ্রেসের জেতা গঙ্গারামপুর আসনে এবারেও যদি কংগ্রেস প্রার্থী হতো, তবে বামেদের ভোটের একটা বড় অংশ বিজেপির দিকে চলে যেত বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, এই আশঙ্কা থেকেই সিপিএমকে ওই আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে কংগ্রেসের হাত থেকে গঙ্গারামপুর আসনটি উপহার পেলেও বাস্তবে বামেরা ভোটবাক্সে কতটা সুবিধা তুলবে পারবে তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। এদিকে, নিজেদের জেতা আসন সিপিএমকে ছেড়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীদের অনেকেই। তাঁদের সেই ক্ষোভ সামাল দিতেই এখন মরিয়া জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব।
এদিকে, এদিন কুমারগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে সিপিএম প্রার্থীর দাবিতে কর্মী সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। সেক্ষেত্রে জেলায় কংগ্রেসের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
এবিষয়ে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী গৌতম দাস বলেন, সংযুক্ত মোর্চার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কৌশল তারা কোথায় কাকে প্রার্থী করবে। গত লোকসভা নির্বাচনে আমরা দেখেছি, বামের ভোট রামে গিয়েছে। আমরা বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে হেরে গেলেও শতাংশের হিসেবে আমাদের ভোটব্যাঙ্ক ধরে রেখেছি। ৩৪ বছরের একটি ক্ষয়িষ্ণু দলকে নিয়ে আমরা গঙ্গারামপুর আসনের জন্য চিন্তিত নই। আমরা জেলায় রাজনৈতিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী। আমরা আমাদের মতো করে লড়াই করব, সংযুক্ত মোর্চা তাদের মতো করে লড়বে। রাজনৈতিকভাবে আমরা এগিয়ে। ভোট কাটাকাটির আশায় আমরা জেলায় রাজনীতি করি না। আমাদের নিজেদের শক্তিতে এবার গঙ্গারামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল জয় হাসিল করবে।
জেলা কংগ্রেসের সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী বলেন, আমরা জেলায় ছ’টির মধ্যে তিনটি আসনের জন্য দাবি রেখেছিলাম। গঙ্গারামপুর, কুমারগঞ্জ ও তপন। আমাদের একটিমাত্র আসন দেওয়া হয়েছে কুমারগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। গতবার আমরা গঙ্গারামপুরে সর্বশক্তি দিয়ে আমাদের প্রার্থীকে জিতিয়েছি। সংযুক্ত মোর্চার আসন ভাগাভাগির ক্ষেত্রে প্রদেশ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এনিয়ে আমাদের কর্মীদের মধ্যে কিছু মান অভিমান রয়েছে। তবে তা মিটে যাবে। কুমারগঞ্জ আসন নিয়ে সিপিএম বিক্ষোভ মিছিল করেছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। গোটা বিষয়টি প্রদেশ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে।