উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বিজেপি কর্মীদের দাবি, শালতোড়ার পাবড়া এলাকার বাসিন্দা কালীপদ রায় আগে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ছিলেন। গত ছ’মাস আগে তৃণমূল তাঁকে ওই পদ থেকে সরিয়ে জেলা কমিটিতে নিয়ে আসে। গত বুধবার কালীপদবাবু রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন। সেই ঘটনার খবর পেয়েই বিজেপির কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।
আগামী ২৭ মার্চ শালতোড়া বিধানসভা আসনের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। তার আগে দলবদলুকে নিয়ে এই ক্ষোভ গেরুয়া শিবির চরম অস্বস্তিতে পড়েছে। কর্মীদের ক্ষোভ সামাল দিয়ে শালতোড়া আসনে ভোট পরিচালনা করাই কার্যত দুশ্চিন্তার। এদিন শালতোড়া থেকে একাধিক ম্যাটাডর ভ্যানে চেপে কর্মীরা বাঁকুড়ায় আসেন। তাঁদের অনেকেই বলেন, জেলা নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তের ফল শালতোড়ায় বিজেপিকে ভুগতে হবে।
অনেকের দাবি, রাজ্য বা জেলা নেতৃত্ব কোনও আলোচনা না করেই স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দলে নিচ্ছে। তার ফলে এলাকায় মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হচ্ছে। এদিন শালতোড়ার কর্মী-সমর্থকরা বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্র ও সাংসদ সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন। বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন ছাতনা-২ মণ্ডলের পর্যবেক্ষক বিজেপির অরূপ মণ্ডল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন প্রদীপ মণ্ডল সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীরা। তাঁরা বলেন, যাঁদের বিরুদ্ধে এতদিন লড়াই করে এলাম। তাঁরাই এখন আমাদের সতীর্থ। বিগত দিনে কালীপদর নেতৃত্বে আমাদের কর্মীদের উপর অত্যাচার করা হয়েছে। মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। বালি, কয়লার কারবারের সঙ্গে ওঁ জড়িত বলেও অভিযোগ। তিনি বিজেপিতে আসায় দলের কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও আমাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তাই কালীপদ রায়কে প্রকাশ্যেই দল থেকে বের করতে হবে। আমরা তাঁকে কোনওভাবেই মানব না। রাজনৈতিকভাবে আমরা দলে থাকলেও কালীপদবাবু বিজেপিতে এলে ভোটের পরিমাণ কমে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তাঁদের দাবি, রাজ্যের অন্যান্য জেলায় দলের অফিস রয়েছে। কর্মীরা সেখানে যান। কিন্তু, বাঁকুড়ায় জেলা পার্টি অফিস পর্যন্ত নেই।
কালীপদবাবু বলেন, রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের নির্দেশ নিঃশর্তে বিজেপি করতে হবে। তৃণমূলকে হারাতে হবে। দস্যু রত্নাকর সেজে তৃণমূলে ছিলাম। এখন বাল্মীকি মুনি হওয়ার জন্য রাম রাম করছি। এই ঘটনায় দলীয় নেতৃত্ব যা বলার বলবে।
এব্যাপারে সাংসদ সুভাষবাবু ফোন ধরেননি। হোয়াটস অ্যাপেরও জবাব দেননি। তবে বিজেপির জেলা সভাপতি বলেন, কালীপদবাবু দলে যোগ দিয়েছেন কি না আমার জানা নেই। তৃণমূল নিজেদের হার নিশ্চিত জেনে এমপি অফিসে কিছু লোককে পাঠিয়ে দিয়েছিল।
তৃণমূলের বাঁকুড়া জেলা সভাপতি তথা প্রার্থী শ্যামল সাঁতরা বলেন, আমাদের দলের গুরুত্বহীন লোকেরা বিজেপিতে যাচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন ওই দলের কর্মী সমর্থকরা। এতে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই। আমরা উন্নয়ন নিয়ে ব্যস্ত আছি।