উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের দলের প্রার্থীরা এখন এলাকায় গিয়ে ছোট ছোট বৈঠক করছেন। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে তাঁরা স্থানীয় কর্মী এবং সমর্থকদের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন নীতির বিরুদ্ধে তারা আন্দোলনে শামিল হচ্ছে। দেওয়ালজুড়ে তৃণমূল প্রার্থীদের নাম শোভা পাচ্ছে। কিন্তু কংগ্রেস এখন সেসব কিছুই শুরু করতে পারেনি। তাদের দলের এক নেতা বলেন, বামেরা প্রার্থী ঘোষণা করে দিল। কিন্তু আমাদের দল এত কেন সময় নিচ্ছে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। এলাকায় নিয়ে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে প্রার্থীদের পরিচয় করাতে বেশ কিছুদিন সময় লেগে যায়। শেষ মুহূর্তে নাম ঘোষণা হলে সেই সময় পাওয়া যাবে না। আগে প্রার্থী ঘোষণা করতে এত বেশি সময় নিত না নেতৃত্ব। এবার লড়াই কঠিন হাওয়ায় প্রার্থীদের নাম আগে ঘোষণা করা উচিত ছিল। কংগ্রেসের অনেকেই মনে করছেন, মুর্শিদাবাদে তাদের দল চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ার একাধিক কারণ রয়েছে। প্রথমত, রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রীর মতো বিভিন্ন প্রকল্পগুলি থেকে বাসিন্দারা উপকৃত হয়েছেন। তার ফলে একসময় যাঁরা কংগ্রেসকে চোখ বন্ধ করে ভোট দিত তারাও ভাবছে। তৃণমূল এই সমস্ত প্রকল্পগুলিকে সামনে রেখে প্রচার করায় সুবিধা পাচ্ছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই সমস্ত প্রকল্পগুলির জন্য শুধু কংগ্রেস নয়, বামেরাও চিন্তায় রয়েছে। প্রচারে নেমে তাদেরকেও রাজ্য সরকারের এই সমস্ত প্রকল্পগুলির সাফল্যের কাহিনী ভোটারদের মুখেই শুনতে হচ্ছে। যদিও সিপিএম নেতা ইউনিস সরকার বলেন, ওরা প্রকল্পগুলি নিয়ে যতটা প্রচার করছে ততটা কাজ হয়নি। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকা সত্ত্বেও অনেকেই বিনামূল্যে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। আমরা প্রচারে এই বিষয়গুলি তুলে ধরছি। জেলার বাসিন্দারা বলছেন, মুর্শিদাবাদে সিপিএমের তুলনায় কংগ্রেস বেশি চাপে রয়েছে। কারণ বিভিন্ন কারণে এই জেলায় বহু আগেই বামেদের সংগঠন নড়বড়ে হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস এখনও লড়াইয়ের ময়দানে ভালোভাবে রয়েছে। তবে ২০১৬সাল পর্যন্ত তারা দাপিয়ে জেলায় রাজনীতি করলেও এখন সেই শক্তি নেই। ডামাডোল শুরু হয়েছে। আর সেই কারণেই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতেও দলকে বেগ পেতে হচ্ছে। যদিও কংগ্রেস নেতা শিলাদিত্য হালদার বলেন, আমরা সারা বছরই মানুষের পাশে থাকি। ভোটের সময় আলাদাভাবে প্রচার করার দরকার হয় না। প্রার্থী ঘোষণা না হলেও প্রতিটি বুথেই আমাদের নেতা-কর্মীরা গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। জেলায় এবারের ফলাফল অনেক ভালো হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়ে যাবে।