উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ তৃণমূলের ওন্দা বিধানসভার প্রার্থী অরূপ খাঁ কর্মীদের নিয়ে মিছিল করে জেলাশাসকের অফিসের সামনে আসেন। ওই সময়েই বিজেপির বাঁকুড়ার প্রার্থী নীলাদ্রি শেখর দানাও সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে আসেন।
মাচানতলায় ট্রাফিকের অফিসের সামনে দুই দলের মিছিল মুখোমুখি হয়ে যায়। তারপরই দুই দল একে অপরের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। তৃণমূলের খেলা হবে স্লোগান মাইকে বাজছিল। বিজেপির সমর্থকরা জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিতে থাকেন। পুলিস বিজেপির মিছিলকে একটি ব্যারিকেডের মধ্যে আটকে দেয়। পরে তাদের সেখান থেকে সরানো হয়। তৃণমূলের মিছিলও সেখান থেকে পরে সরে যায়। সংশ্লিষ্ট দলের প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে জেলাশাসকের অফিস চত্বরে ঢোকেন। সেখানে অবশ্য কর্মী সমর্থকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। রাস্তাতেই দুই দলের কর্মীদের মধ্যে আস্ফালন চলছিল। উভয় দলের সমর্থকরা পতাকা নাড়িয়েও ক্ষমতা জাহিরের চেষ্টা করেন।
এদিন বড়জোড়ার তৃণমূল প্রার্থী অলোক মুখোপাধ্যায় অভিনব কায়দায় মনোনয়ন জমা দিতে বাঁকুড়ায় আসেন। তিনি পেট্রল, ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে এদিন সকালে সাইকেল চড়ে জেলাশাসকের অফিসের সামনে আসেন। তিনি বাঁকুড়ার জেলা তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে সাইকেল চালিয়ে মনোনয়ন জমা দেন। যদিও কর্মীরা তাঁর সঙ্গে হেঁটে মিছিলে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে বড়জোড়া ও গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের নেতা-কর্মীরাও ছিলেন।
অলোকবাবু বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করব। তাই গাড়ির জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন সাইকেলে চড়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছি।
এদিন তালডাংরার তৃণমূল প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তীও বর্ণাঢ্য রোড শো করে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তিনি হুডখোলা জিপে চেপে খাতড়া এসডিও অফিসে মনোনয়ন দেন। সেখানেও ব্যাপক জনস্রোত দেখা যায়। তালডাংরার বিজেপি প্রার্থী শ্যামল সরকারও এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়ন পর্ব ঘিরে এদিন বিষ্ণুপুরেও উত্তেজনা তৈরি হয়। সেখানে এদিন বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী তন্ময় ঘোষ, কোতুলপুরের হরকালী প্রতিহার, ইন্দাসের নির্মল ধারা, সোনামুখীর দিবাকর ঘরামি মনোনয়ন জমা দেন। ওই সময়ই তৃণমূলের বিষ্ণুপুরের প্রার্থী অর্চিতা বিদ, কোতুলপুরের সঙ্গীতা মালিক, ইন্দাসের রুনু মেটে, সোনামুখীর শ্যামল সাঁতরা, এছাড়া সিপিএমের প্রার্থীরাও মনোনয়ন জমা দিতে আসেন।
বিষ্ণুপুর এসডিও অফিসের সামনে রাজনৈতিক দলগুলির স্লোগান, বাজনা ও মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বচসা হয়। স্লোগান ঘিরে সেখানে সাময়িক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা রাস্তায় বসে প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। পরে অবশ্য পুলিসি হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।