উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
মালদহে ইতিমধ্যেই ভোটপ্রচারে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে তৃণমূল। বিজেপিও টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা করছে। দুই দলের তরফেই প্রচার চালাচ্ছেন হেভিওয়েটরা। সেই তুলনায় এখনও পর্যন্ত অনেকটাই ব্যাকফুটে কংগ্রেস। কেন্দ্রীয় নেতা তো দূরের কথা, রাজ্যস্তরের বড় কোনও নেতাকেও এখনও পর্যন্ত মালদহে ভোট প্রচারে দেখা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে দলকে অক্সিজেন জোগাতে সোনিয়া ও রাহুল প্রচারে আসুন, চাইছেন কর্মীদের একটা বড় অংশ। জেলা কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে তারা জেলায় বড় নির্বাচনী সভা করতে চলেছে। সেই সময় প্রচারে আসতে পারেন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী ও প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। এছাড়াও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, আজহারউদ্দিনের মতো হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতা-নেত্রীদের নিয়ে আসার ব্যাপারে কথাবার্তা চলছে। উত্তর মালদহ ও দক্ষিণ মালদহ মিলিয়ে তাঁরা তিনটি জনসভা করতে পারেন। কংগ্রেসের মালদহ জেলার কার্যকরী সভাপতি কালীসাধন রায় বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রচারের নিজস্ব কৌশল থাকে। আমাদের প্রচারের ধারা অন্য দলের থেকে স্বতন্ত্র। আমরা এখনও পর্যন্ত কোনও বড় জনসভা করিনি। সময় যখন আসবে, তখন ঠিকই হবে। এই জেলা কংগ্রেসের মাটি। গনিখান চৌধুরী মালদহের প্রেরণা শক্তি। তাঁর নামেই ভোট করবেন দলের কর্মীরা।
কালীসাধনবাবু বলেন, কর্মীরা চাইছেন একটা বড় সভা করা হোক। সেজন্য আমরা দলের পক্ষ থেকে কংগ্রেসের হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে মালদহে বড় জনসভা করার পরিকল্পনা রয়েছে। সভার দিন ও জায়গা এখনও ঠিক করা হয়নি। উত্তর ও দক্ষিণ মালদহ তিনটি বড় সভা হতে পারে। জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সভার জায়গা ঠিক করা হবে। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মালদহে একটি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি। অন্য আসনটি কংগ্রেসের দখলেই ছিল। লোকসভা ভোটের সেই ফলের উপর ভর করেই এবার প্রচারে ঝড় তুলতে চাইছে বিজেপি নেতৃত্ব। পিছিয়ে নেই তৃণমূলও। কংগ্রেস অবশ্য দাবি করেছে, এত আগে থেকে নয়, সময় এলেই প্রচারে হেভিওয়েটদের এনে তারাও চমক দেবে।