উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
প্রথমে দেখা যাক, আমরা এই ১০ বছরে আমরা কী পেলাম। এই ১০ বছরে অনেক উন্নতি হয়েছে। রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, সেতু সহ নানা নাগরিক পরিষেবার উন্নয়ন হয়েছে। জেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে। ফলে বহু গ্রামের মানুষ উপকৃত হয়েছেন। কিন্তু এই রাজ্যে বিদ্যুতের দাম কেন এত বেশি? তা রাজ্য সরকারের দেখা উচিত। এদিকে কেন্দ্র সরকারের তরফে রান্নার গ্যাসে এতটাই দাম বাড়ানো হয়েছে যে রান্নাঘরে যেন আগুন লেগে গিয়েছে। পেট্রল, ডিজেলের দাম আঁকাশছোয়া। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামও ক্রমশ বেড়েই চলেছে।
আমি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বহু পুরনো বাসিন্দা। এই জেলাকে বহুদিন ধরে দেখে আসছি। কিন্তু পিছিয়ে পড়া জেলা হিসেবে তকমা আর কতদিন লেগে থাকবে? আমি চাই, এই জেলার কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন হোক। জেলায় চিকিৎসা ব্যবস্থা আগের থেকে উন্নত হয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য পরিষেবায় আরও উন্নতি করার দরকার। যাতে জেলার মানুষকে বাইরে ছুটতে না হয়। আত্রেয়ী নদী সহ অন্যান্য নদীকে সংস্কার করে কৃষিকাজের পরিপূরক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এই জেলায় সংস্কৃতি ও পুরাকীর্তির ভান্ডার রয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারই জেলার ঐতিহাসিক সৌধগুলিকে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
অন্যদিকে, এই জেলায় কর্মসংস্থানের কোনও সুযোগ নেই। কর্মসংস্থানের জন্য বেশিরভাগ মানুষকে বাইরে ছুটতে হয়। তাই নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধার সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। অর্থ নয়, মেধার সঠিক স্বীকৃতি চাই।
কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, যে কোনও সরকারের লক্ষ্য শুধু ভোটে জেতা এবং তার জন্য, ভোট পাওয়ার নিরিখে কাজ করা। ভোটের আগে নেতা-নেত্রীদের আশ্বাসবাণী ভোটের পরেই নিরাশায় পরিণত হয়। সময়ের সঙ্গে সবকিছু পরিবর্তন হয়েছে। তাই যেই সরকারই ক্ষমতায় আসুক না কেন, আশা করব যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জন্য কর্মসংস্থান এবং নাগরিক পরিষেবা যাতে কোনওভাবেই বিঘ্নিত না হয়। তাই পরিশেষে বলব যে, মেধার সঠিক প্রয়োগ না হলে দেশ কখনই এগোবে না।