Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিদায় শ্রেণিসংগ্রাম, স্বাগত টুম্পা
সমৃদ্ধ দত্ত

আত্মীয় অথবা পরিবারের মধ্যে কিছু কিছু বিশেষ ব্যক্তিকে দেখা যায়, যাঁরা কোনও একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার পর সেটি যে শ্রেষ্ঠ, সেকথা উচ্চৈঃস্বরে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। অন্যদের মতামত অথবা মৃদু বিরোধিতাকে পাত্তা দেন না তাঁরা। কিন্তু পরে যখন প্রমাণ হয় যে, ওই সিদ্ধান্ত শুধু যে ভুল ছিল তা‌ই নয়, গোটা পরিবারের পক্ষেও ক্ষতিকর হয়ে গিয়েছে, তখনই বিড়ম্বনার সৃষ্টি। কখনও ওই ব্যক্তি নিচু স্বরে ভুল স্বীকার করেন অথবা করেন না। কিন্তু সমস্যা হল, আবার কিছুকাল পর তিনি আর একটি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে একইভাবে উচ্চকণ্ঠে সেটির যথার্থতার পক্ষে সওয়াল করেন। সেটিও কালের নিয়মে হয়তো ভুল প্রতিপন্ন হল। এভাবে বারংবার ভুলের অভ্যাস প্রতিষ্ঠা হয়ে গেলে একটা সময় দেখা যায়, পরিবার অথবা আত্মীয় পরিজনদের মধ্যে তাঁর মতামতের আর বিশেষ গুরুত্ব থাকে না। অর্থাৎ তাঁর কথাকে কেউ সিরিয়াসলি নেয় না। কারণ, ততদিনে জানা হয়ে গিয়েছে লোকটির স্বভাবই হল ভুল করা। এর কারণ কী? কারণ দূরদৃষ্টির অভাব। দূরদৃষ্টির অভাব কাদের হয়? যাঁরা মুহূর্তে জীবনযাপন করেন। অর্থাৎ পরিণতি, ভবিষ্যৎ, ফলশ্রুতি এসবকে যাঁরা পাত্তা না দিয়ে শুধুমাত্র বর্তমান মোমেন্টেই জিততে চান স্রেফ উচ্চকন্ঠে মতপ্রকাশ করে।
আমাদের বঙ্গবাসীর কাছে সিপিএম এরকমই এক নন-সিরিয়াস পার্টিতে পরিণত করেছে নিজেদের। অত্যন্ত যত্নে সিপিএম নিজেদের এরকম একটি হাস্যকর রাজনৈতিক দলে পর্যবসিত করতে সক্ষম হয়েছে। কেন? সিপিএম দুটি জিনিস খুব ভালোবাসে। ভুল করতে আর রেকর্ড করতে। এ পর্যন্ত সিপিএম যত ভুল করেছে এবং কুশাসনের যত রেকর্ড করেছে, বহু চেষ্টা করেও তৃণমূল সেটা ভাঙতে পারছে না। সিপিএমের ভুলের ইতিহাস শুরু হয়েছে অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির পথ চলার পর থেকেই। ব্রিটিশকে যুদ্ধে পরাস্ত করতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু জাপানের প্রধানমন্ত্রী হেদিকি তোজোর সহায়তা চাওয়ায়, সুভাষচন্দ্রকে ‘তোজোর কুকুর’ বলে অভিহিত করেছিল তৎকালীন কমিউনিস্ট পার্টি। ১৯৪২ সাল থেকে লাগাতার ‘পিপলস ওয়ার’পত্রিকায় সুভাষচন্দ্র বসুকে সাম্রাজ্যবাদের দালাল হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়। শুধু প্রবন্ধ লিখে নয়, সুভাষচন্দ্র বসুর কার্টুন বানিয়েও প্রকাশ করা হয়েছিল। নেতাজির ১০৫ তম জন্মবার্ষিকীতে এসে অবশেষে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেন, নেতাজি জার্মানি, ইতালি ও জাপানির সঙ্গে মিত্রতা করায় আজও আমরা তাঁর সেই পথের বিরোধিতা করি। কিন্তু একইসঙ্গে আমরা অবশ্যই ভুল করেছি তাঁকে দেশপ্রেমের প্রেক্ষিতে মূল্যায়ন করতে। এজন্য আমরা ক্ষমাপ্রার্থী!
১৯৫২ সালের মার্চ মাসে কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার সেন্ট্রাল কমিটি একটি বিশেষ প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। সেখানে বাবাসাহেব আম্বেদকরের চরম সমালোচনা করা হয়। বাবাসাহেব ১৯৪২ সালে গঠন করেছিলেন, সিডিউলড কাস্টস ফেডারেশন। আম্বেদকরকে সেই কারণে কমিউনিস্ট পার্টি আখ্যা দিয়েছিল সংশোধনবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী। জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব থেকে দলিতদের পৃথক করে নিয়ে গিয়ে আম্বেদকর শ্রেণিসংগ্রামকে দুর্বল করেছেন বলে তীব্র ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করা হয় ও‌ই রেজোলিউশনে। অর্থাৎ কমিউনিস্ট পার্টির কাছে ক্লাস স্ট্রাগল ছিল কাস্ট স্ট্রাগলের থেকে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও উপযোগী। পরবর্তীকালে আমরা কী দেখেছি? সেই কমিউনিস্ট পার্টির অংশ সিপিএম পুরোদস্তুর নেমে পড়েছে জাতপাতের রাজনীতির সঙ্গে হাত মেলাতে। মায়াবতী থেকে লালুপ্রসাদ যাদব, সকলেই কাস্ট তথা আইডেন্টিটি পলিটিক্স করেন। এঁদের সঙ্গে প্রথম গাঁটছড়া বাঁধা দলটির নাম সিপিএম। পক্ষান্তরে, সিপিএমের শ্রেণিসংগ্রাম কোথায় গেল?
১৯৪৮ সালে ‘মার্কসবাদী’ পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পর্কে লেখা হয়েছিল, ‘রবীন্দ্র-সাহিত্যের সঙ্গে মার্কসবাদের বিরোধ এত প্রচণ্ড যে, প্রগতির শিবিরে তাঁর স্থান হতে পারে না। রবীন্দ্র-সাহিত্য হল প্রগতির শিবির থেকে মানুষ ভুলিয়ে বের করে নিয়ে যাবার মোহিনী মায়া’। ১৯৪১ সালে ‘পরিচয়’ পত্রিকায় এক কমিউনিস্ট সমালোচক রবীন্দ্রনাথকে সরাসরি বুর্জোয়া, ধনতন্ত্রের প্রতিভূদের পক্ষে হিসেবেই অভিহিত করেন। এহেন ঐতিহ্যের উত্তরাধিকারী সিপিএম পরবর্তীকালে সরকারে এসে খণ্ডে খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী প্রকাশ করেছে। এবং স্বীকার করেছে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে তাদের মূল্যায়ন ভুল ছিল।
সত্তর ও আশির দশকে ব্যাঙ্কিং ও ইনসিওরেন্স সেক্টরে কম্পিউটার নিয়ে আসার একটি আলোচনা শুরু হয়। চরম বিরোধিতা শুরু করে কর্মী সংগঠনগুলি। সর্বাগ্রে সেই আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে ঝাঁপিয়েছিল সিপিএম। কর্মহীনতার জুজু দেখিয়ে কম্পিউটারকে আটকে দিয়েছিল। তার পরিণাম কী হয়েছে সেটা আমরা জানি। ২০০৪ সালে ‘ফার ইস্টার্ন ইকনমিক রিভিউ’ নামক একটি পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য ওই সিদ্ধান্তকে চরম নির্বুদ্ধিতা হিসেবে আখ্যা দিয়েছিলেন। কিন্তু লাভ কী। ততদিনে তো অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে? বুদ্ধদেববাবু বলেছিলেন, আমাদের ওই সিদ্ধান্তটি ছিল চূড়ান্ত বুদ্ধিহীন। ফুলিশ! ১৯৭৭ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসার ৬ বছর পর ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত ইংরেজি পড়া বন্ধ করে দিয়েছিল বামফ্রন্ট সরকার। এই একটি ভুলের মাশুল কতগুলি প্রজন্ম দিচ্ছে বাংলায়?
সুতরাং সিপিএমে আজীবন ভুল করেছে অজস্র। এবং করেছে রেকর্ড। কেমন রেকর্ড? নবান্ন অভিযানে যাওয়া এক যুবকের পুলিসের লাঠির আঘাতেই মূত্যু হয়েছে বলে সিপিএম অভিযোগ করেছে, এমনকী বন্‌ধ ডেকেছে বাংলায়। রাজনৈতিকভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতেই পারে বিরোধী দল হিসেবে। কিন্তু সমস্যা হল, পাল্টা তৃণমূল বলার সুযোগ পাচ্ছে যে, ১৯৯৩ সালে মহাকরণ অভিযানে যাওয়া যুবকদের উপর গুলি চালিয়ে ১৩ জনকে মেরে ফেলেছিল সিপিএম সরকারের পুলিস। সিপিএম একটা কথা খুব বলে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তো বিজেপিকে হাত ধরে এনেছেন বাংলায়। সমস্যা হল, এক্ষেত্রেও তারা আগেই রেকর্ড করে রেখেছে। ১৯৮৯ সালে সিপিএম রাজীব গান্ধীকে চোর আখ্যা দিয়ে বিজেপির সঙ্গে জোটে গিয়েছিল। বহু চেষ্টা করলেও ভুলের ক্ষেত্রে মমতা টেক্কা দিতে পারবেন না সিপিএমকে। ভুলের রেকর্ড সৃষ্টিতে বরাবর এগিয়ে সিপিএম। তৃণমূলকে সিন্ডিকেটের দল হিসেবে ব্যঙ্গ করে সিপিএম। অত্যন্ত জোরালো এক আক্রমণাত্মক রাজনীতি হতে পারতো এই ইস্যু। অথচ অনেক আগেই সিপিএম সম্পর্কে স্বয়ং সিপিএম নেতা ও মন্ত্রী বিনয় চৌধুরী প্রকা঩শ্যে বলে গিয়েছিলেন যে, এটা হল একটা ঠিকাদারদের সরকার! দুর্নীতিগ্রস্ত।
পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে হাত মেলানো ঠিক হল কি না, সেটা নিয়ে জল্পনা কল্পনা চলছে। উত্তর সময়ই দেবে। সমস্যাটি হল, সিপিএমের ভুল করার ট্র্যাক রেকর্ড। অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তে জোটের তাল কাটার দরকার ছিল কোনও? এই সিদ্ধান্তটিও যদি ভুল প্রমাণিত হয় একদিন? রণকৌশল নির্মাণে পার্টির অন্দরে কারা চালিত করছে সিপিএমকে? বহুদিন পর, বাম-কংগ্রেস জোটের প্রতি একটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিজেপি এবং তৃণমূল বিরোধী মানুষের মনে একটা অন্তত ভাবনা দেখা দিচ্ছে যে, বিকল্প প্ল্যাটফর্ম পাওয়া যাচ্ছে। প্রবল ভিড় হয়েছে ব্রিগেডে। ওই ভিড় কী শুনতে এসেছিল? আর কী দেখেশুনে ফিরল তারা? সবথেকে বড় আশার কথা কং-সিপিএমের পক্ষে যেটা হয়েছে, আরবান এলিট এডুকেটেড যুবসম্প্রদায় এবং গ্রামগঞ্জের খেটে খাওয়া মানুষের একাংশ আবার বামপন্থায় আগ্রহ প্রকাশ করছে। কিন্তু ভুল করতে জুড়ি নেই সিপিএমের। এবার নির্বাচনে দেখা যাচ্ছে সিপিএম বামপন্থার অনুষঙ্গ সেই শিহরণ জাগানো স্লোগান, পোস্টার, সংস্কৃতিকেই বিসর্জন দিয়ে দিল। ব্রিগেডের মঞ্চ অথবা মিছিলে পাওয়া গেল না শ্রেণিসংগ্রামের কোনও স্লোগান, নেই কৃষক শ্রমিকের জন্য কোনও বার্তা। কেন? কারণ আজ আর সিপিএমর প্রথম সারির কৃষক নেতা নেই। প্রথম সারিতে শ্রমিক নেতা নেই। আরবান মিডল ক্লাস দখল করে নিয়েছে সিপিএমকে। আর তারই সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এবার ব্রিগেডে সিপিএমকে সম্পূর্ণ গ্রাস করে নিল টুম্পা-সঙ্গীত। এটি কি খারাপ সংস্কৃতি? মোটেই না। পপুলার কালচারকে ভালো মন্দ দাঁড়িপাল্লায় ওভাবে মাপা যায় না। উচিতও নয়। কিন্তু এই সিপিএমই কয়েক বছর আগে ব্যঙ্গ করেছিল তৃণমূলের পাগলু ডান্স সংস্কৃতিকে। একদা উষা উত্থুপ অথবা হোপ এইট্টি সিক্সের নিন্দা করেছিলেন কট্টরবাদী বাম নেতারা। বেদনার বিষয় হল, সিপিএম নিজেদের বড্ড লঘু করে দিচ্ছে!
সরকার, ভোটব্যাঙ্ক, বিশ্বাসযোগ্যতা, নেতৃত্বপ্রদানের নৈপূণ্য, সবই হারিয়ে ফেলেছে সিপিএম। শেষ নিশান হিসেবে অন্তত বেঁচেছিল পার্টির ঐতিহ্যময় স্লোগান আর ঘোষিত সংস্কৃতি চেতনা। এবার সেই ঩ঐতিহ্যের পিছুটান থেকে নিজেকে মুক্তি দিল সিপিএম। শ্রেণিসংগ্রাম, জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব, সর্বহারার একনায়কতন্ত্র এসব যে নিছক কথার কথা, সেকথা সিপিএম বুঝিয়ে দিল। কোনও দলের সঙ্গে তাদের ফারাক নেই। এক ও একমাত্র লক্ষ্য ভোটে জেতা। অধ্যাপক রবীন্দ্রকুমার দাশগুপ্ত তাঁর ‘অলীক সংলাপ’ নামক গ্রন্থে লিখেছিলেন, ‘কমিউনিস্ট পার্টির নামের পর ব্র্যাকেটে যদি মার্কসের নাম না থাকিয়া ভীম নাগের নাম থাকিত, তাহা হইলেও পার্টির প্রতিষ্ঠার কোনও হেরফের হইত না’।
সিপিএমের এবার ব্র্যাকেট-বদলের সময় এসেছে!  
05th  March, 2021
জঙ্গলমহলে ভোট মানে এখন উৎসব!
মৃণালকান্তি দাস

কে দুশমন, কে ঘরের লোক কিচ্ছু বোঝাতে হয় না জঙ্গলমহলের মানুষকে। গাঁয়ের জন্য কী করা গিয়েছে, আর কী করা যায়নি প্রতিমুহূর্তে তার হিসেব কষে নেন গাঁয়ের মানুষই। একটা টিউবওয়েল, এক টুকরো জমি, দু’বেলা দু’মুঠো খাবার আর পরিশ্রমের নিশ্চয়তা—সামান্য এই প্রাপ্তিতে সুখ, কত শক্তি খুঁজে পান এখানকার মানুষ। বিশদ

মোদির ভাষণ ও বাস্তবে
বিস্তর ফারাক
সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়

শুধু ‘ভাইপো’ আর ‘পিসি’র সমালোচনা করলে প্রমাণ হয় না যে বিজেপি সত্যিই কিছু করে দেখাতে পারবে। শুধু নাটকীয় ভঙ্গিতে সোনার বাংলা গড়ে দেব বললে মাটির বাংলাও যে গড়া যাবে না, সেটা বাঙালি জানে। তাই দরকার স্পষ্ট কর্মসূচি ঘোষণা, নির্বাচনী ইস্তাহারে একটা অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের বিকল্প পরিকল্পনা। বিশদ

11th  March, 2021
রাজনীতি দাঁড়িয়ে আছে
আধগলা গঙ্গাজলে
হারাধন চৌধুরী

প্রধানমন্ত্রী বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মিথ্যাভাষণের কিছু অসুবিধে থাকলেও থাকতে পারে, কিন্তু রাজনীতিক হিসেবে সেই সমস্যা নেই বলেই হয়তো তাঁরা মনে করেন। সাম, দান, দণ্ড ও ভেদ—ভারতের প্রাচীন শাস্ত্র বর্ণিত রাজধর্মের এই চারটি দিকের অপপ্রয়োগেই সিদ্ধহস্ত আধুনিক ভারত। বিশদ

10th  March, 2021
নন্দীগ্রাম নয়, মমতার চ্যালেঞ্জ একলপ্তে ২৯১
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

মোক্ষম জবাবটা দিয়েছেন ওমর আবদুল্লা। গত শনিবার বেহালার মুচিপাড়ায় শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘তৃণমূল ক্ষমতায় ফিরলে পশ্চিমবঙ্গটা কাশ্মীর হয়ে যাবে।’ ২০১৯ সালে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিদায় নেওয়ার পর থেকে ওমর আবদুল্লা ভালোই ভুগছেন। 
বিশদ

09th  March, 2021
অর্থনীতির পাশাপাশি স্বাধীনতাও বিপন্ন
পি চিদম্বরম 

ভারতীয় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে কি না তা একটা বিতর্কের বিষয়। চলতি অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ০.৪ শতাংশ বৃদ্ধির যে এস্টিমেট ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকস অফিস (এনএসও) দিয়েছে, সরকার সেটাকে ‘সেলিব্রেট করছে’। 
বিশদ

08th  March, 2021
বাইশে উত্তরপ্রদেশে কুড়ি
দফায় ভোট হবে তো!
হিমাংশু সিংহ 

প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতে শুরু করেছে। খেলেঙ্গে, লড়েঙ্গে, জিতেঙ্গে আবেগে ভাসছে নন্দীগ্রাম। সব পক্ষই বলছে, খেলা হবে। বাংলা ও বাঙালির ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয়ঙ্কর নির্ণায়ক খেলা। বহিরাগত শক্তি বনাম হাসিমুখে ঘরের মেয়ের লড়াই। তবে বাংলার কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়েই খেলতে হবে। তাকে আক্রান্ত করে, জখম করে নয়। 
বিশদ

07th  March, 2021
যেখানে ‘ডবল ইঞ্জিন’
সেখানেই হেরেছে বিজেপি
তন্ময় মল্লিক

বিজেপির নেতাদের মুখে ‘ডবল ইঞ্জিন’-এর প্রশংসার ফুলঝুরি ফুটছে। তাঁরা বোঝাতে চাইছেন, কেন্দ্রে ও রাজ্যে একই দলের সরকার থাকলে প্রচুর উন্নতি হবে। কলকারখানা হবে। চাকরি হবে। মাস্টারমশাই, সরকারি কর্মীদের বেতন বাড়বে। 
বিশদ

06th  March, 2021
নদীবাঁধ রক্ষাই সুন্দরবনের অস্তিত্বের প্রধান শর্ত
কান্তি গাঙ্গুলী

প্রাচীন ইতিহাসে টলেমি ও মেগাস্থিনিসের বিবরণে গঙ্গারিডি বলে যে ভূখণ্ডের উল্লেখ পাওয়া যায়, আজকের সুন্দরবন ও তৎসংলগ্ন নিম্নগাঙ্গেয় উপত্যকা সম্ভবত সেই ভূখণ্ডই। কলকাতার এন্টালি অঞ্চলটির নামকরণের পিছনে হেঁতাল গাছের প্রভূত উপস্থিতির কারণও হয়তো বিদ্যমান।  
বিশদ

04th  March, 2021
গোল্লায় যাবে শিল্প-সংস্কৃতি
ব্রাত্য বসু 

বাংলা ও তার সংস্কৃতি বাঁচাতে গেলে বহিরাগত এই বিজেপি রাজনীতিকে ঠেকাতেই হবে। বিজেপি কখনও বাংলায় এসে রবীন্দ্রনাথের জন্মস্থান বদলে দিচ্ছে, কখনও বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে তছনছ করছে, কখনও চৈতন্যদেবের মৃত্যুর অন্তত দুশো বছর পরে তাঁকে কাটোয়ায় জীবিত করে তুলছে, কখনও আবার বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষণে ঔপন্যাসিক না লিখে বলছে ‘উপনিবেশিক’। 
বিশদ

04th  March, 2021
মোদির সব প্রতিশ্রুতি যেন গল্পদাদুর আসর
সন্দীপন বিশ্বাস 

হঠাৎই জহর রায়ের একটি কৌতুক নকশা মনে পড়ল। এক ভদ্রলোক একটি ঘর ভাড়া নিতে গিয়েছেন। ঘর দেখে পছন্দও হয়েছে। দু’টি ঘর, রান্নাঘর, সঙ্গে আলাদা বাথরুম। কিন্তু ভাড়া শুনে ভদ্রলোকের মাথার চুল খাড়া হয়ে গেল। ভাড়া ৫০০ টাকা।  
বিশদ

03rd  March, 2021
৮ দফার পর নিশ্চয়ই রিগিংয়ের
অভিযোগ উঠবে না!
শান্তনু দত্তগুপ্ত

সেশন সাহেব, বড্ড মিস করছি আপনাকে। আপনি বলতেন, ‘গণতন্ত্র হল এমন একটা ব্যবস্থা, যেখানে আইনের শাসন সবার জন্য সমানভাবে বলবৎ থাকবে।’ সব মানুষের জন্য। সব রাজনৈতিক দলের জন্য। আপনি প্রমাণ করেছেন, এটা ছেলে ভুলানো গল্প নয়।  
বিশদ

02nd  March, 2021
আদালতগুলি স্বাধীনতার ঘণ্টাধ্বনি দিচ্ছে
পি চিদম্বরম

ঠিক যখন আমরা আশা ছেড়ে দিচ্ছি, তখনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে ব্যক্তি স্বাধীনতার বর্মটা হারিয়ে যায়নি। আমেরিকার স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কিত স্বাক্ষর হয়েছিল ১৭৭৬-এর ৪ জুলাই। 
বিশদ

01st  March, 2021
একনজরে
কয়লা পাচার কাণ্ডে এবার নতুন মোড় নিতে চলেছে। এই কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআইয়ের নজরে পড়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার ন’টি বিশাল প্লট। বহু কোটি মূল্যের ...

ব্রিটিশ রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে বর্ণবৈষম্যের বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন যুবরাজ হ্যারি ও তাঁর স্ত্রী মেগান মার্কেল। তাঁদের সাক্ষাৎকার নিয়ে তোলপাড় চলছে। যদিও রাজ পরিবারের বিরুদ্ধে ভাই ...

শনিবার আইএসএল ফাইনালে নজর থাকবে দুই দলের গোলরক্ষকের দিকে। গোল্ডেন গ্লাভসের দৌড়ে রয়েছেন এটিকে মোহন বাগানের অরিন্দম ভট্টাচার্য ও মুম্বই সিটি এফসি’র অমরিন্দর সিং। চলতি ...

বিজেপিকে হারানোর বার্তা নিয়ে আগামী ১৩ মার্চ হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে কিষান মহাপঞ্চায়েতের আয়োজন করতে চলেছেন কৃষকরা। উপস্থিত থাকবেন রাকেশ টিকায়েত। বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন বাতিল করার ইস্যুতে ভোটের বাংলায় গোটা রাজ্যে সবমিলিয়ে ছ’টি মহাপঞ্চায়েত আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

গ্লুকোমা দিবস
১৭৮৯ : আমেরিকায় পোস্ট অফিস স্থাপিত হয়
১৮৫৪: লেখক মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের জন্ম
১৮৯৪ : যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বোতলজাত কোকাকোলা বিক্রি শুরু হয়
১৯০৪ : ইংল্যান্ডে ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হয়
১৯১১: বাঙালি সাহিত্যিক অতুলচন্দ্র গুপ্তের জন্ম
১৯১৮ : ২১৫ বছর পর ফের রাশিয়ার রাজধানী হল মস্কো
১০২৪: সঙ্গীতশিল্পী উৎপলা সেনের জন্ম
১৯৩০ : মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে বৃটেনের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ বা অসহযোগ আন্দোলন শুরু
১৯৮৪: সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের জন্ম
১৯৮৮: সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) মৃত্যু
১৯৮৯ : স্যার টিম বার্নার্স লি CERN-এর ল্যাবে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) বিশ্বের তথ্য আদানপ্রদানের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমের অবতারণা করেন।
২০১৩: শিল্পী গণেশ পাইনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.৩০ টাকা ৭৪.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৭৪ টাকা ১০৩.৫৫ টাকা
ইউরো ৮৪.৬০ টাকা ৮৮.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৪,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ ফাল্গুন ১৪২৭, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী ২২/৫৭ দিবা ৩/৩। শতভিষা নক্ষত্র ৪২/২৭ রাত্রি ১০/৫১। সূর্যোদয় ৫/৫২/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৪০/৪৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৫ মধ্যে পুনঃ ৮/১৪ গতে ১০/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৭ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৮ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৪ গতে ৪/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ৪/১৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১১/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৩ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
২৭ ফাল্গুন ১৪২৭, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী দিবা ২/৪৩। শতভিষা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৪২। সূর্যোদয় ৫/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৪১। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে ও ৮/১ গতে ১০/২৮ মধ্যে ও ১২/৫৪ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/৯ গতে ৫/৪১ মধ্যে। এবং রাত্রি ৭/২১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/১৭ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫১ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১৬ মধ্যে। 
২৭ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টি২০: ভারতকে ৮ উইকেটে হারাল ইংল্যান্ড 

10:17:20 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ড ৮৯/১ (১১ ওভার) 

09:52:13 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ড ৫০/০ (৬ ওভার) 

09:28:55 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ডকে ১২৫ রানের টার্গেট দিল ভারত

08:49:53 PM

প্রয়াত  রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্যতম সহঅধ্যক্ষ স্বামী বাগীশানন্দ
প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্যতম সহঅধ্যক্ষ স্বামী বাগীশানন্দ। আজ, ...বিশদ

08:40:00 PM

প্রথম টি২০: ভারত ৮৩/৪ (১৫ ওভার)

08:19:34 PM