উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বুধবার নন্দীগ্রামের বিরুলিয়া বাজারে গুরুতর আঘাত পান তৃণমূল নেত্রী। তারপর থেকেই তিনি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাইরে অগুনতি মানুষের ভিড়, উৎকণ্ঠা, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ... গত ৩৬ ঘণ্টায় রাজ্যের পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে। তাই বৃহস্পতিবার মমতা নিজেই ভিডিও বার্তার উপায় বেছে নেন। বলেন, ‘আমার কর্মী-ভাইবোন এবং সাধারণ মানুষকে বলছি, আমার খুব জোর চোট লেগেছিল। হাত-পায়ে চোট আছে। আঘাত আছে লিগামেন্টে। মাথায় এবং বুকে খুব ব্যথাও হয়েছে। গাড়ির পাদানির উপরে দাঁড়িয়ে সকলকে নমস্কার করছিলাম। তখন এমন জোরে চাপ আসে, গাড়ির দরজাটা আমার পায়ের উপর চেপে যায়।’ যে সব ওষুধ গাড়িতে ছিল, সেগুলি খেয়েই কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো। উদ্বিগ্ন কর্মী-সমর্থকদের প্রতি মমতার বার্তা, ‘আমি অনুরোধ করব সকলের কাছে... শান্ত থাকুন, সংযত থাকুন, ভালো থাকুন। এমন কিছু করবেন না, যাতে মানুষের অসুবিধা হয়।’
নির্বাচনী প্রচার পর্বে এখন সরগরম বাংলা। এই অবস্থায় মমতারও ঠাসা কর্মসূচি ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনার পর কী হবে, তা নিয়ে চিন্তিত সকলে। মমতা বলেছেন, ‘আশা করি আমি আবার দু-তিন দিনের মধ্যেই নিজের ফিল্ডে ফিরে যেতে পারব। তবে হয়তো পায়ের সমস্যা থাকবে। কিন্তু ম্যানেজ করে নেব। কোনও মিটিংই নষ্ট করব না। হয়তো কিছু দিন আমাকে হুইল চেয়ারে ঘুরতে হবে। তার জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাইব।’
তবে দুর্ঘটনার নেপথ্যে ‘অভিসন্ধি’ ছিল বলেই ফের জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি ও সাধারণ সম্পাদক ফিরহাদ হাকিম। সেইসঙ্গে উড়িয়ে দিয়েছেন ‘খুঁটি তত্ত্ব’ও। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও বলেছেন, ‘ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত।’ লোহার বিমে আঘাত লাগার যে তত্ত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। মমতার গাড়িটি দেখিয়ে ফিরহাদরা দাবি করেছেন, ‘লোহার বিমে ধাক্কা লেগেছে গাড়ির, এটা মিথ্যা ও অপপ্রচার। লোহার বিমে ধাক্কা লাগল, অথচ গাড়িতে একটি আঁচড় পর্যন্ত নেই! এই তত্ত্ব একজন শিশুও মানবে না। তাহলে কীসের ভিত্তিতে এমন তত্ত্ব সামনে আনছে বিরোধীরা?’ এদিন কালীঘাটে তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটি বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ঘটনার প্রতিবাদে আজ, শুক্রবার রাজ্যজুড়ে মৌন মিছিল করা হবে।