উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ
বৃহস্পতিবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর ইলেকশন এজেন্ট শেখ সুপিয়ান বুধবারের ঘটনা নিয়ে নন্দীগ্রাম থানায় একটি এফআইআর করেন। তবে, তাতে কারও নাম নেই। তিনি ঘটনার তদন্ত দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে ছিলেন বিরুলিয়া অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি পরিতোষ জানা। তিনি বলেন, বিজেপি কিছু মদ্যপ লোকজনকে ভিড়ের মধ্যে ঢুকিয়ে দিয়েছিল। তারাই মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার অছিলায় হামলা চালিয়েছে। গাড়ির দরজা খুলে বেরনোর মুখে নেত্রীকে ধাক্কা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী কোনও রাজনৈতিক দলের নাম নেননি। তিনি শুধুমাত্র দুষ্কৃতীদের কথাই বলেছেন। অথচ বিজেপি আগ বাড়িয়ে বিরোধিতা করছে। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে। আমাদের স্থির বিশ্বাস, এটা বিজেপির কাজ। এটা ঠিক ‘চোরের মায়ের বড় গলা’র মতোই ব্যাপার।
স্থানীয় তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা অনিমা হাইত বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী রানিচক, আমদাবাদ প্রভৃতি জায়গায় একাধিক মন্দিরে পুজো দিয়ে ফিরছিলেন। বিরুলিয়া বাজার এলাকায় বসন্তকুমারী মন্দির আছে। এখানেও নেত্রীর পুজো দেওয়ার কথা ছিল। সেজন্য আমি এবং আরও অনেকেই মন্দিরে ব্যস্ত ছিলাম। পুলিসও সেখানে হাজির ছিল। কিছুক্ষণ পর শুনলাম, মুখ্যমন্ত্রী পুজো দিতে আসবেন না। কারণ, জখম হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। চার-পাঁচজন তাঁকে ধাক্কা দিয়েছে বলে শুনেছি। বৃহস্পতিবার সকালে আমাদের কর্মীরা প্রশাসন এবং সংবাদ মাধ্যমকে সেকথা জানানোর সময় বিজেপির লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হন।
ঘটনাস্থলে তৃণমূলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন বিজেপির জেলা সহ সভাপতি প্রলয় পাল। তিনি বলেন, আমি সকালে বাজারে এসে দেখি, তৃণমূলের লোকজন সংবাদ মাধ্যম এবং প্রশাসনের কাছে মনগড়া তথ্য দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে কোনওভাবে ধাক্কা দেওয়ার ঘটনাই ঘটেনি। রাস্তার ধারে লোহার পিলার আছে। মুখ্যমন্ত্রী বিরুলিয়া বাজারে ভিড় দেখে একটি গেট খুলে পা পাদানিতে পা রেখে হাতজোড় করেছিলেন। ধীরে ধীরে গাড়ি এগচ্ছিল। সেই সময় গাড়ির গেটটি একটি লোহার পিলারে ধাক্কা খায়। গেট ধরে রেখেছিলেন এক নিরাপত্তারক্ষী। তিনি ছিটকে রাস্তায় পড়েন। আর মুখ্যমন্ত্রী পায়ে আঘাত পান। এর বাইরে কোনও ঘটনাই নেই।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গোবিন্দ সামন্ত বলেন, আমরা পাশের কেবল অফিসের দোতলার বারান্দায় দাঁড়িয়েছিলাম। তখন বিরুলিয়া বাজারে বেশ ভিড়। রানিচক থেকে আসা মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি বিরুলিয়া বাজারে রেয়াপাড়া-তল্যা রাস্তার উপর ওঠার মুহূর্তে ঘটনাটি ঘটে। নেত্রী গাড়ির একটি গেট খুলে নমস্কার করছিলেন। রাস্তার দু’ধারে দড়ি পড়েছিল। পুলিস কিংবা সিভিক ভলান্টিয়ার দড়ি ধরে দাঁড়িয়ে থাকলে এমনটা হতো না। কাছাকাছি কোনও পুলিসও ছিল না।
শেখ সুপিয়ান বলেন, আমরা চাই, গোটা ঘটনার তদন্ত হোক। কারা এর সঙ্গে জড়িত, সেটা খুঁজে বের করুক পুলিস।