মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে। বন্ধু-বান্ধবদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখা দরকার। কর্মে একাধিক শুভ যোগাযোগ আসবে। ... বিশদ
সত্য রক্ষা করতে হয়, প্রভু সকলেরই ব্যবস্থা করবেন।
দীন কাঙাল হয়ে তাঁকে কোনো কথা জানালে, তিনি তা রাখেন।
অন্য কথা নয়, বলবে মহাজীবনের কথা, চিন্তার চিন্ময় জগতে ডানা ভাসাবার কথা,—আলোর সুধা পান করবে আকণ্ঠ।
ভগবানকে এক কথায় পাওয়া যায় বেশি কথা লাগে না। শুধু একটি স্থানে বিশ্বাস হওয়া চাই।
আমি অনেক সময় চুপচাপ থাকি, কিন্তু মনে মনে তোমাদের কথা ভাবি। একান্ত মানুষ কোন বিষয়ে ভগবানে নির্ভর করতে পারে না, তাই দুঃখ পায়। কিন্তু নির্ভর করতে পারলে জীবনের কোন অভাব তিনি রাখেন না। নাম নিতে নিতে এবং মহাজনদের জীবনী পাঠে চিত্ত শুদ্ধ হলে নির্ভরতা আসে।
যথার্থ মানুষ হলে তো কিছুই পাওয়ার বাকী থাকে না। সে তখন নিজেকে বিলিয়ে আনন্দ পায়। চাইবে আনন্দ, জ্ঞান, প্রেম—এসব তিনিই দিবেন। শুধু নির্ভর কর। বাঁচার ইচ্ছা, সুখের ইচ্ছা—সমস্ত ছেড়ে তাঁকে নির্ভর করতে হয়। ব্যথার আগুনে পুড়ে পুড়ে তিনি মানুষকে সুন্দর করেন। যখন পোড়ান, তখন বড় হয়—দুর্দিন গেলে বুঝা যায় দুঃখের দান কত মহৎ। ভগবান মঙ্গলের জন্যই দুঃখ দেন—যেটুকু না দিলে না হয় মাত্র সেইটুকুই দেন।
গোঁসাই বলতেন—যে জাতি বেশী চাকুরীজীবী কালে কালে তারা মনুষ্যত্বের উচ্চ অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। তাদের ঈশ্বরে নির্ভরতা নষ্ট হয়। চাকরী জীবনকে নষ্ট করে।
একমাত্র ভগবানই কর্তা—কণ্ঠ সঙ্গীত তাঁর কৃপা ছাড়া সফল হয় না। মানুষ কবি, শিল্পী, সাধক, গায়ক—সবই তাঁর প্রসাদে হয়।
শিল্পী, গায়ক—এরা খুব সহজে ভগবানকে লাভ করতে পারে। যেখানে কোন শক্তির বিশেষ প্রকাশ হয়, তা ভগবানেরই।
ধর্ম যদি জীবনের ভিত্তি হোত, তবে এই অন্তরের সম্পর্ক অবিচ্ছিন্ন থাকতো। তখন দুঃখ এলে মনে হবে এর পশ্চাতেও রয়েছে তোমার কোনো মঙ্গল ইচ্ছা। এরপর ছুটোছুটি থাকে না। মনে হয়, দাতা তিনি—আর কার কাছে যাবো? ভগবানকে পাওয়ার পথ এক নয়—কেউ গানে, কেউ ধ্যানে, আবার কেউ বা সেবার ভিতর দিয়ে তাঁকে পায়। শাস্ত্র ও মহাজনবাক্যে বিশ্বাস না হওয়া পর্যন্ত ধর্ম লাভ করা যায় না। ঈশ্বরই কর্তা এবং তিনি সর্ব্বশক্তিমান—এ কথায় বিশ্বাস না হলে কি করে তাঁকে নির্ভর করে চলবে?
আগে জীবন গঠন। জীবন বড় না হলে সৃষ্টি কখনো মহৎ হতে পারে না। ব্যক্তিজীবন উন্নত না হলে সমাজজীবন উন্নত হবে কি করে?
মহাপ্রভুর আশ্রয় নিলেই মঙ্গল। আর তোমরা বিদ্রুপ, পরিহাস কর। উদ্ধত শিক্ষিত সমাজের জানা উচিত—তাদের কাব্য, সাহিত্য, দর্শন, ন্যায়, জ্যোতিষ—সব কিছু সাধু ঋষিদের দান।
শাস্ত্র বিরুদ্ধ কিছু ধর্ম হতে পারে না। গোস্বামীপ্রভু বারবার বলতেন— সত্যই ধর্ম। সত্যই মানুষকে প্রকৃত শান্তি ও সুখ দিতে পারে।