উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। উচ্চতর বিদ্যার ক্ষেত্রে শুভ ফল পাবে। কর্মপ্রার্থীদের ... বিশদ
মুক্তি দু’ধরনের, অস্থায়ী ও স্থায়ী। ধরো, একজন মানুষ। তার অন্ন জুটছে না। তুমি সেই অন্নহীন লোকটিকে অন্ন দিলে, ওটা একটা ত্রাণ কার্য হ’ল। আজ তুমি তাকে অন্ন দিয়ে মুক্তি দিলে ঠিকই কিন্তু পরের দিনও তো আবার তার খিদে পাবে। যদি কালও খেতে দাও তো তার পরের দিনও খিদে পাবে। অতএব যে ধরনের ত্রাণ কার্যের দ্বারা মানুষের সাময়িক ক্ষুধার নিবৃত্তি ঘটে, কিছুক্ষণের জন্যে পেটের খিদে মিটলো তাকে ত্রাণ বলা হয়।
এই যে মুক্তি এটা স্থায়ী নয়, অস্থায়ী। আর যে কার্যের দ্বারা স্থায়ীভাবে ক্লেশ দূর হয়, দুঃখ দূর হয় তাকে বলি পরিত্রাণ। সেটা ত্রাণ নয় সেটা হ’ল পরিত্রাণ। ধরো কাউকে বিছেতে কামড়ালো তো লোকটির অবশ্যই কষ্ট হবে। এর জন্যে মন্ত্র আছে, দেড় দু’মিনিট ধরে মন্ত্রের প্রয়োগ করলে দংশনের যাতনা দূর হয়ে যায়। এই হ’ল মন্ত্র। এতে মানুষের সাময়িক দুঃখ নিবৃত্তি ঘটলো ঠিকই কিন্তু এর ফলে ভবিষ্যতে যে আর কখনো বিছাতে কামড়াবে না, তা তো নয়। এই পৃথিবীতে বিভিন্ন রকমের মন্ত্র রয়েছে। যেমন ধরো, কারো মাথাটা খারাপ হয়ে গেলো, জাগতিক কোনো কাজে উৎসাহ হারিয়ে ফেললো। তো এক্ষেত্রেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রের প্রয়োগ করলে কাজ হবে। এখন দুঃখটা যদি স্থূল জগতের না হয়ে মানসিক স্তরে হয় তাহলেও মন্ত্রের দ্বারাই কাজ হয়ে যাবে। এই সবই মন্ত্র। কারণ, এই সব মনন করলে মানুষ দুঃখ কষ্টের হাত থেকে অব্যাহতি পায়। এসব মন্ত্র ঠিকই, কিন্তু এইগুলো পরিত্রাণের মন্ত্র নয়। এতে দুঃখের সাময়িক নিবৃত্তি ঘটে, কিন্তু দুঃখের আত্যন্তিকী নিবৃত্তি ঘটে না। উল্টোদিকে আধ্যাত্মিক দুঃখ দূর করবার জন্যে যে মন্ত্র তাকে বলা হয় ইষ্টমন্ত্র, গুরুমন্ত্র। এই ইষ্টমন্ত্র বা গুরুমন্ত্রের গুণ হ’ল ওতে দুঃখ চিরকালের জন্যে দূরীভূত হয়।