কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
কথায় বলে, শূন্য কলসি বাজে বেশি। মোদি সরকার আপাতত এই নীতিতেই বিশ্বাসী। ‘আচ্ছে দিনে’র যে স্বপ্ন নরেন্দ্র মোদি পাঁচ বছর আগে দেখাতে শুরু করেছিলেন, সেই স্বপ্ন দেখানো আজও চলছে। যদিও তার বিন্দুমাত্র বাস্তবায়িত হয়নি। নোট বাতিল এবং জিএসটির নড়বড়ে প্রয়োগের পর দেশের শিল্প-বাণিজ্যে যে ধাক্কাটা লেগেছিল, সেই পরিস্থিতি থেকে আজও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বেশিরভাগ মানুষ। ছোটখাটো ব্যবসা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ বিপুল পরিমাণ ছাঁটাই এবং কর্মীদের বেতন কাটছাঁট করে টিমটিম করে চালাচ্ছে। শুধুমাত্র কোটিপতি ব্যবসায়ীদের দিকে তাকিয়ে থাকলে আসল চিত্রটা সামনে আসবে না। নোট বাতিলের পর থেকে বেকারত্ব বেড়েছে তা তো কেন্দ্রীয় সরকারই স্বীকার করেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু প্রথম থেকে মোদি সরকার এবং সেই ‘ফাঁকা কলসি’ সম্পর্কে সতর্ক করে গিয়েছিলেন। তাঁর সেই কথা অক্ষরে অক্ষরে ফলেছে। হয়তো মোদি সরকার চেষ্টা করছে। কিন্তু তা মোটেও যথেষ্ট হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের রান্নাঘরে আজ আগুন। ১০০ টাকা কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। সব্জির দাম আকাশছোঁয়া। বাড়ছে ডিম, মুরগির দামও। গ্যাসের ভর্তুকি কমছে। অগ্নিমূল্য হচ্ছে পেট্রল, ডিজেল। এই সবই কিন্তু একে অপরের সঙ্গে জড়িত। আর্থিক হাল যত খারাপ হবে, ধীরে ধীরে তা গ্রাস করবে দেশকে। মানুষকে। মনমোহন সিং কিন্তু বলেই দিয়েছেন, আর্থিক হাল নিয়ে যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, সেই প্রবণতা চলতে থাকলে পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতি স্বপ্নই থেকে যাবে।
রাজনীতির লড়াই চলবে। নরেন্দ্র মোদির সামনে কিন্তু এখন
একটাই চ্যালেঞ্জ হওয়া উচিত। অর্থনীতি। কারণ, তার সঙ্গে মানুষ জড়িয়ে। দেশ জড়িয়ে।