কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
একই সঙ্গে এদিন তিনি মঞ্চে দাঁড়িয়ে ৬৯ রকমের পরিষেবা উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেন। খাসজঙ্গল মহল্লার পাট্টা দেওয়ার কথাও তিনি ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক প্রকল্পের ঘোষণায় খড়্গপুরজুড়ে এদিন কার্যত খুশির হাওয়া বয়ে যায়। শহরবাসী মুখ্যমন্ত্রীর আসার খবর শোনার পর থেকে আশায় বুক বাঁধছিলেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রীর একের পর এক ঘোষণায় বাসিন্দাদের সেই প্রত্যাশাকেও ছাপিয়ে যায়।
এদিন দুপুর ১.১৬ মিনিট নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে করে খড়্গপুরে এসে পৌঁছান। বিধায়ক হিসেবে শপথ নেওয়ার পর প্রদীপ সরকার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে খড়্গপুবাসীর জন্য স্টেডিয়াম আর অডিটোরিয়ামের আর্জি জানিয়ে এসেছিলেন। এদিন মুখ্যমন্ত্রী শুধু খড়্গপুরের জন্যই একাধিক নতুন নতুন প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, খড়্গপুরের মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। তাই আমাদেরও তাঁদের জন্য কিছু করা দরকার বলে মনে করি। বিধানসভা নির্বাচনে এই প্রথম তৃণমূল প্রার্থীকে খড়্গপুরবাসী বিপুলভাবে জয়ী করায় মুখ্যমন্ত্রী কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, এই শহরে কোনও স্টেডিয়াম নেই। আমি স্টেডিয়ামের জন্য ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিলাম। তাতে স্টেডিয়ামের সীমানা প্রাচীর তৈরি হয়ে গিয়েছে। এবার আরও ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করছি। তাতে স্টেডিয়ামের গ্যালারি সহ খেলার পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। স্টেডিয়ামে ক্লাব হাউস বা বিনোদনের জন্য এখন কিছু না হলেও চলবে। কিন্তু পরিকাঠামো তৈরি হওয়া জরুরি। আর খড়্গপুর, করিমপুর এবং কালিয়াগঞ্জে আমরা একটি করে কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সেন্টার গড়ে তুলব। প্রতিটি কমিউনিটি সেন্টার তৈরির জন্য ৫ কোটি টাকা করে মোট ১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ করছি।
তিনি বলেন, এই জেলায় বিদ্যাসাগর, ক্ষুদিরাম সহ অনেক মনীষী রয়েছেন। তাঁদের যে কোনও একজনের নামেই কমিউনিটি সেন্টারের নামকরণ হবে। আর খড়্গপুর হাসপাতালে আইসিসিইউ তৈরির করার জন্য বলা হয়েছিল। ওই হাসপাতালে ২০২০ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ১০ শয্যা বিশিষ্ট আইসিসিইউ চালু করা হবে। কৃষকদের জন্য আমরা প্রচুর প্রকল্প নিয়ে এসেছি। কৃষকরা যাতে সরকারি সুবিধা পান, তার জন্য তিনি জেলাশাসক রশ্মি কমলকে নির্দেশ দেন, জেলায় ক্যাম্প করে কৃষকদের মিউটেশনের ব্যবস্থা করতে হবে। কৃষকরা কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায় এলেই সব ধরনের সুবিধা পাবেন। কোনও কৃষক মারা গেলে এখন দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পান। তিনি বলেন, বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কোনও অর্থ সাহায্য করেনি। আমরা কৃষকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।
ধান বিক্রি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফড়েদের খপ্পরে পড়বেন না। কুইন্টাল প্রতি আমরা ১৮৩৫ টাকা দাম দিয়ে ধান কিনছি। আপনার নিজেরা ধান বিক্রি করুন। তাতে আর্থিকভাবে আপনারা লাভবান হবেন। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আরও অতিরিক্ত পাঁচ একর জমি বরাদ্দ করেছি। পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, খড়্গপুরে পার্কিং হাব করতে হবে। শুভেন্দুবাবু তাঁর কথায় ঘাড় নেড়ে সম্মতি জানান।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর আগে শুভেন্দুবাবু বলেন, এখানে রেলের প্রচুর বঞ্চনা রয়েছে। পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে প্রদীপ সরকার রেল বাদে বাকি জায়গায় প্রচুর উন্নয়ন করেছেন। আরও উন্নয়ন করা হবে। আপনারা আমাদের উপর আস্থা রেখেছেন। সেই আস্থাপূরণের সব রকমের চেষ্টা করব। এদিন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, বিধায়ক দীনেন রায় সহ একাধিক বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সভা উপলক্ষে জনসমাগমও হয়েছিল প্রচুর।