কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
তিনি বলেন, ‘কড়া ডোজের স্টেরয়েড দেওয়া হলেও নওয়াজ শরিফের প্লেটলেটের পরিমাণে বিশেষ তারতম্য হয়নি। কী কারণে প্লেটলেটের পরিমাণ কমছে, তা এখনও পর্যন্ত বোঝা যাচ্ছে না। এদিকে তাঁর রক্তে শর্করার পরিমাণ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়ে শরিফকে একজন বিশেষজ্ঞকে দিয়ে দেখানোর কথা বলেছেন চিকিৎসকরা। তবে এই অবস্থায় তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়াটাই চিকিৎসকদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।’
দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর পাকিস্তান সরকারের তরফে ছাড়পত্র পেয়ে লন্ডনে চিকিৎসা করাতে এসেছেন নওয়াজ শরিফ। প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রয়েছেন তাঁর ছোট ভাই এবং পিএমএল-এন-এর সভাপতি শাহবাজ শরিফ সহ দলের বেশ কয়েকজন নেতা। রয়েছেন ব্যক্তিগত চিকিৎসক সহ একটি মেডিক্যাল টিমও। কিন্তু আইনি জটিলতার জেরে এখনও বাবার কাছে আসতে পারেননি মারিয়ম। গত বছরের আগস্ট মাস থেকে তাঁকে ‘নো ফ্লাই’ লিস্টে রেখেছে পাক সরকার। মারিয়মের পাসপোর্টটিও বাজেয়াপ্ত করে রেখেছে সেদেশের হাইকোর্ট। বাবার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে ছ’সপ্তাহের জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিলেন শরিফ কন্যা। নিজের পাসপোর্ট চেয়ে পৃথক একটি আবেদনও করেন তিনি। সোমবার এই মামলার শুনানির পর মারিয়মের নাম ‘নো ফ্লাই’ লিস্ট থেকে সরানো হবে কি না, তা বর্তমান সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে আদালত। আগামী সাতদিনের মধ্যে এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
জানা গিয়েছে, নো ফ্লাই লিস্ট থেকে নিজের নাম প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়ে গত শনিবার লাহোর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মারিয়ম। সোমবার বিচারপতি আলি বকর নাজাফির নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। শুনানির শেষে মারিয়মকে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে কি না, সেই বিষয়টি আগামী সাতদিনের মধ্যে জানানোর জন্য সরকারকে নির্দেশ দেয় আদালত।