Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাজার আগুন, বেকারত্ব লাগামছাড়া,
শিল্পে মন্দা, সরকার মেতে হিন্দুরাষ্ট্রে
হিমাংশু সিংহ

দেশভাগ, শরণার্থীর ঢল, বার বার ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে উদ্বাস্তু হওয়ার তীব্র যন্ত্রণা আর অভিশাপের মাশুল এই বাংলা বড় কম দেয়নি। ইতিহাস সাক্ষী, সাবেক পূর্ববঙ্গের শত শত নিরাশ্রয় মানুষকে নিজের বুকে টেনে নিতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন সঙ্কট। বদলে গিয়েছে গোটা রাজ্যের জনভিত্তি। সেদিনও ভোট ছিল, খাদ্য ও বাসস্থানের অভাবও ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ফিরতে বাধ্য করা হয়নি কাউকেই। রাস্তাঘাটে সর্বত্র শিকড় হারানো মলিন মুখের মানুষের আনাগোনায় বদলে গিয়েছিল চেনা পথের চেহারাটাই। কয়েক দশক কেটে গেলেও উদ্বাস্তু সমস্যা এবং দেশভাগের সেই দগদগে ক্ষত আজও শুকোয়নি। কোনওরকমে প্রাণ বাঁচাতে শেষবার ’৭১ সালে বাংলাদেশ যুদ্ধের সময় ভিটে ছেড়ে পূর্ববঙ্গ থেকে দলে দলে আসে শরণার্থী। খাদ্য নেই, পানীয় জল নেই, মাথার উপর ছাদের বদলে শুধুই খোলা আকাশ। ট্রেনে, স্টেশনে, খাল, বিল নদীর পাড়ে কোলে দুধের শিশু আর বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে একটু নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ। অন্তহীন সব হারানো মানুষের মিছিল। যাঁরাই এসেছেন তাঁদেরই বুকে ধরে আপন করে নিয়েছে বাংলার মাটি। ফেরায়নি কাউকেই। অসহায় শরণার্থীদের জাত ধর্ম সম্প্রদায় কিছুই মিলিয়েও দেখা হয়নি তখন। বিচার করা হয়নি, ওরা হিন্দু না মুসলিম। প্রাণ বাঁচানোর মরিয়া আর্তি নিয়ে আসা মানুষগুলোকে মাথা গোঁজার আশ্রয় দিতে সেদিন কোনও কার্পণ্য করেনি রবীন্দ্রনাথ-নেতাজি-বিবেকানন্দের মানবিক বাংলা। সহস্র উদ্বাস্তু প্রাণ ধীরে ধীরে বাধা পড়েছে একসূত্রে, একই মালায়। হাজারো সঙ্কট আর অভাব, কিছুই এই সঙ্কল্প থেকে টলাতে পারেনি। কিন্তু আজ এতদিন পর কোথায় যেন সেই চিরায়ত সুর কাটছে। বিভেদ ও বিচ্ছিন্নতার আবর্তে ‘মোরা একই বৃন্তে দুটি কুসুমের’ আবেগকেই বিপন্ন করার চক্রান্ত চলছে। বা বলা ভালো, আইন করে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পাঁচিল তোলার এক অপপ্রয়াস শুরু হয়েছে। যার জেরে নতুন করে নিজভূমে পরবাসী হওয়ার ভয় আর আতঙ্ক চেপে বসছে বাংলা তথা গোটা দেশের বুকে। এবার আর দেশভাগ নয়, দেশের মানুষকে নতুন করে শরণার্থী বানানোর এই নতুন উপদ্রবের নাম এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। ধনী দরিদ্র নয়, সৎ অসৎ নয়, এবার মানুষকে ভাগ করা হচ্ছে, শরণার্থী আর অনুপ্রবেশকারী — এই দু’ভাগে। যার প্রধান লক্ষ্য, আরও বেশি করে ধর্ম ও সম্প্রদায়ের নামে বিভাজন ঘটিয়ে, মেরুকরণ করে ভোটবাক্সে ‘পদ্ম’-র ঢেউ তোলা। সেই লক্ষ্যেই এবার ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানের কাঠামোটাকেই দুমড়ে মুচড়ে শুধুমাত্র অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব প্রদানের এমন বিপুল আয়োজন। ফের ২০২৪-এ কেন্দ্রের ক্ষমতা দখলই যার চূড়ান্ত উদ্দেশ্য।
অতি সম্প্রতি অসমে এনআরসি কার্যকর করার সঙ্গেই গোটা প্রক্রিয়ার শুরু। আর তারপর রোজ নিয়ম করে দোর্দণ্ডপ্রতাপ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ঘোষণা, সারা দেশেই এনআরসি হবে। অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানো হবে ২০২৪-এর আগেই। এই একটা হুঙ্কারই সর্বত্র এক অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। আবার ভিটেমাটি হারানোর আতঙ্ক আর ভীতি চেপে বসেছে বাংলার মানুষের মনে। না, ভুল বললাম, গোটা দেশে। বাজারে পেঁয়াজ দেড়শো টাকা ছাড়াচ্ছে। সব্জির বাজার আগুন। ভয়ঙ্কর মন্দা আর সেইসঙ্গে বিক্রি ও চাহিদার অভাবের ত্র্যহস্পর্শে শিল্পে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা। চাকরি নেই, উল্টে কাজ হারিয়ে নতুন করে বেকার বাড়ছে। ছোট ব্যবসায়ীদের নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলছে, এর থেকে এখনই পরিত্রাণের কোনও উপায় নেই। জিডিপি কমতে কমতে ৪.৫-এ এসে দাঁড়িয়েছে। ব্যাঙ্কগুলো ডুবছে। অথচ, সেদিকে কোনও ভ্রুক্ষেপই নেই সরকারের। তারা এখন মেতে রয়েছেন শরণার্থী আর বেআইনি অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে। মুসলিম-অমুসলিম বিভাজন ঘটানোর ভয়ঙ্কর খেলায়। এই সাম্প্রদায়িক আগুন নিয়ে খেলার শেষ কোথায় কে জানে! গেরুয়া শিবির বলছে, বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুদের প্রাপ্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতেই এনআরসি ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করাতে কেন্দ্র বদ্ধপরিকর। আর বিরোধীদের সমালোচনা, আরএসএসের পুরনো এজেন্ডা হিন্দুরাষ্ট্র গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতেই এতটা মরিয়া মোদি সরকার।
দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে ইতিমধ্যেই কাশ্মীরের ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি ঘটিয়েছেন মোদি ভাই-অমিত ভাই জুটি। বেআইনি হয়ে গিয়েছে তাৎক্ষণিক তিন তালাকও। অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণেও দেশের সর্বোচ্চ আদালতেও সুপ্রিম কোর্টের আইনি সম্মতি মিলেছে। এবার অনুপ্রবেশকারী মুসলিম হটাও অভিযান। সবমিলিয়ে দেশজুড়ে হিন্দুরাষ্ট্র গড়ার আয়োজন জোর কদমে। শেষ যেটা বাকি ছিল, আগামীকাল, সোমবারই সেই চূড়ান্ত অগ্নিপরীক্ষায় নামছে নরেন্দ্র মোদি-অমিত শাহদের সরকার। সোমবারই লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার কথা। বলা বাহুল্য, এই বিলের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। যদি দ্রুত সরকার এই বিলটিকে রাজ্যসভা ও লোকসভায়, অর্থাৎ সংসদের দুই কক্ষেই পাশ করাতে সক্ষম হয় তাহলে ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাই আমূল বদলে যাবে। তখনও দেশের প্রতিটি মানুষ সমান, প্রত্যেক ধর্মের একই স্থান, আমাদের সংবিধানের এই দর্শন আর উপলব্ধির কোনও তাৎপর্য থাকবে কি?
বলা বাহুল্য এনআরসিকে ভোটের বাক্সে আরও বেশি করে ফলপ্রসূ ও কার্যকর করতে তড়িঘড়ি এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল আনছে বিজেপি। এনআরসির জন্য যেন সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দুদের এবং সেইসঙ্গে শিখ, পার্সি, বৌদ্ধ, জৈন সম্প্রদায়ের মানুষকে কোনও ঝামেলা পোহাতে না হয় সেই জন্য। ইতিমধ্যেই অসমে যে ১৯ লক্ষ লোকের নাম চূড়ান্ত এনআরসি তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে, তার মধ্যে ১২ লক্ষই হিন্দু! এতে অসমে বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে ক্ষমতাসীন বিজেপি। এই একটা তথ্যই বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপির কোর ভোট ব্যাঙ্কটাকে বিপদে ফেলছে। আর সেই জন্যই মোদি-অমিত শাহের যুগলবন্দিতে চলা সরকার এবার ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব প্রদানের এই ধুরন্ধর চালটি চালতে চলেছেন।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কার্যকর হলে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে যেসব হিন্দু, শিখ, জৈন, পার্সি, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মানুষ শরণার্থী হয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁদেরই শুধু নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। বাকিদের নয়। এর থেকেই বোঝা যায় উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কার। বিজেপি আরএসএসের প্রধান লক্ষ্যই হল, নির্দিষ্ট তিনটি প্রতিবেশী দেশে নির্যাতনের শিকার ও আশ্রয়প্রার্থী অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দিয়ে ভারতের মূল স্রোতে শামিল করা। শোনা যাচ্ছে, সংখ্যালঘু অনুপ্রবেশকারী মুসলিমদের জন্য অন্য বন্দোবস্ত। সেখানে লাখ টাকার প্রশ্ন, অনুপ্রবেশকারী সংখ্যালঘু মুসলিমদের অতঃপর ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানো হবে, না কি ভারত থেকে পত্রপাঠ বের করে দেওয়া হবে? আরও একটি সংগত প্রশ্ন উঠছে, ভারতের সংবিধান এবং প্রাচীন ঐতিহ্য আদর্শ মানলে ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে কাউকে নাগরিকত্ব দেওয়া যুক্তিযুক্ত কি? বিরোধীরা এই যুক্তিতে সরব হয়েছেন যে, এতে সংবিধানের আত্মার অবমাননা করা হচ্ছে। সংবিধানের ১৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এদেশে সবাই সমান। মানুষে মানুষে এমন বিভেদ করার কোনও সুযোগ এখানে নেই। ধর্ম এদেশে নাগরিকত্ব লাভের কোনও মাপকাঠি বা শর্ত হতে পারে না। অথচ স্বাধীনতালাভের আগে দেশভাগের সময় থেকে যে বিষ আমরা বয়ে চলেছি সেই দ্বিজাতি তত্ত্বের লক্ষ্যপূরণে এবার মরিয়া হয়ে নেমেছে শাসক বিজেপি ও তার প্রাণভোমরা আরএসএস। ভারতকে ধীরে ধীরে ১০০ কোটি হিন্দুর দেশে পরিণত করাই এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের লক্ষ্য।
তবে, উত্তর-পূর্ব ভারতে বিজেপির সরকার বিপন্ন হতে পারে এই আশঙ্কায় অরুণাচল, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড যেখানে ইনারলাইন পারমিট বহাল আছে সেখানে এই বিল কার্যকর করা যাবে না বলে সংশোধনীতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর অর্থ, নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্কের জেরে উত্তর-পূর্বে নিজের ভিত্তি দুর্বল করতে চায় না বিজেপি। অসম, মেঘালয়, ত্রিপুরার মতো রাজ্যে যেসব এলাকা ষষ্ঠ তফসিলের আওতাভুক্ত সেখানেও এই বিল কার্যকর হবে না। অর্থাৎ মূলত হিন্দিবলয় এবং পূর্ব ও পশ্চিম ভারতে মুসলিম জনগোষ্ঠীকে চূড়ান্ত কোণঠাসা করে ভোটবাক্সে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করাই অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদি জুটির প্রধান লক্ষ্য। তা করতে গিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ, এবং স্বাধীনতার সময়েও সংবিধান প্রণেতারা যেটা হতে দেননি, সেই হিন্দুরাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্য থেকে কোনওভাবেই বিচ্যুত হতে চায় না গেরুয়া শিবির। দেশভাগের উপর্যুপরি ক্ষত আমাদের বাংলার শরীরে এখনও দগদগে হয়েই রয়েছে। এই অবস্থায় এনআরসি যাতে বাংলায় বুকে নতুন করে কোনও ক্ষত সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে প্রতিটি মানুষকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। বাংলার অগ্নিকন্যা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কারণেই দ্বিতীয়বার স্বাধীনতা আন্দোলনের জন্য আপামর জনসাধারণকে তৈরি হতে বলেছেন। সেই দ্বিতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনই স্থির করবে ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে না কি অটুট থাকবে। আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে সারা দেশে এনআরসি এবং অযোধ্যায় রামমন্দির গড়া সম্পূর্ণ হলে ভারতকে হিন্দুরাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার পথে আর একটাই মাত্র বাধা অবশিষ্ট থাকবে—অভিন্ন দেওয়ানি বিধি। অর্থাৎ, এক্ষেত্রেও শেষ রক্ষাকবচটিও হারাতে পারে মুসলিম সমাজ। আরএসএসের স্বপ্নের সেই হিন্দুরাষ্ট্র গড়ারই পদধ্বনিই কি শোনা যাচ্ছে মোদি-শাহ জুটির কণ্ঠে? আর সেই ভয়ঙ্কর চেষ্টার সামনে আবারও মানুষের ঢাল হয়ে দাঁড়াবার সঙ্কল্পে অবিচল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। তিনিই পারেন বাংলার মানুষের আর একবার অনৈতিকভাবে উদ্বাস্তু হওয়া ঠেকাতে।
08th  December, 2019
এনকাউন্টার, আইন এবং ন্যায়বিচার
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

জাস্টিস ইজ ডান। নীচে একটা স্মাইলি... প্ল্যাকার্ডে লেখা বলতে শুধু এটাই। কোনও কায়দা নেই। নেই রাজনীতির রং। নেহাতই সাদা কাগজে মোরাদাবাদের স্কুলের ছাত্রীদের হাতে লেখা কাগজগুলো বলছে, এবার হয়তো আমরা নিরাপদ হব।
বিশদ

আর ক’জন ধর্ষিতা হলে রামরাজ্য পাব
সন্দীপন বিশ্বাস 

রাত অনেক হল। মেয়েটি এখনো বাড়ি ফেরেনি। কোথাও আটকে গিয়েছে। অনেক লড়াই করে, পুরুষের সঙ্গে পাশাপাশি ঘাম ঝরিয়ে তাকে বেঁচে থাকতে হয়। বাড়িতে বাবা-মা অস্থির হয়ে ওঠেন।  বিশদ

09th  December, 2019
অর্থনীতিবিদদের ছাড়াই অর্থনীতি
পি চিদম্বরম

প্রত্যেকেই অর্থনীতিবিদ। যে গৃহবধূ পরিবার সামলানোর বাজেট তৈরি করেন, তাঁকে থেকে শুরু করে একজন ডেয়ারি মালিক যিনি দুধ বিক্রির জন্য গোদোহন করেন এবং একজন ছোট উদ্যোগী যিনি বড় নির্মাণ ব্যবসায়ীর জন্য যন্ত্রাংশ তৈরি করেন, সকলেই এই গোত্রে পড়েন।  বিশদ

09th  December, 2019
বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুর প্রাপ্য অধিকার
জিষ্ণু বসু

 কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা বলেছেন। চলতি অধিবেশনেই হয়তো পাশ হবে ঐতিহাসিক নাগরিকত্ব সংশোধনী। এটি আইনে রূপান্তরিত হলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে আসা হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান ও পারসিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা এদেশের পূর্ণ নাগরিকত্ব পাবেন।
বিশদ

08th  December, 2019
কর্পোরেটদের যথেষ্ট সুবিধা দিলেও অর্থনীতির বিপর্যয় রোধে চাহিদাবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ
দেবনারায়ণ সরকার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থে ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে।’ কিন্তু কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রীরা থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারতীয় অর্থনীতির চরম বেহাল অবস্থার বাস্তবতা সর্বদা চাপা দিতে ব্যস্ত। 
বিশদ

07th  December, 2019
অণুচক্রিকা বিভ্রাট
শুভময় মৈত্র

সরকারি হাসপাতালে ভিড় বেশি, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সুবিধে হয়তো কম। তবে নিম্নবিত্ত মানুষের তা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। অন্যদিকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে রাজ্যে এখনও অত্যন্ত মেধাবী চিকিৎসকেরা সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। 
বিশদ

06th  December, 2019
সার্ভিল্যান্স যুগের প্রথম পরীক্ষাগার উইঘুর সমাজ
মৃণালকান্তি দাস

চীনের সংবাদ মানেই তো যেন সাফল্যের খবর। সমুদ্রের উপর ৩৪ মাইল লম্বা ব্রিজ, অতিকায় যাত্রী পরিবহণ বিমান তৈরি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া উদ্ভাবন, চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ...। মিহিরগুল তুরসুনের ‘গল্প’ সেই তালিকায় খুঁজেও পাবেন না। ১৪১ কোটি জনসংখ্যার চীনে মিহিরগুল মাত্র সোয়া কোটি উইঘুরের প্রতিনিধি। 
বিশদ

06th  December, 2019
আর ঘৃণা নিতে পারছে না বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

 এটাই বোধহয় আমার শোনা প্রথম কোনও ছড়া। আজও ভুলতে পারিনি। শ্রবণ। দর্শন। স্পর্শ। প্রথম অনেক জিনিসই ভোলা যায় না। জীবনের উপান্তে পৌঁছেও সেসব অনুভবে জেগে থাকে অনেকের। কোনোটা বয়ে বেড়ায় সুখানুভূতি, কোনোটা বেদনা। এই ছড়াটি আমার জীবনে তেমনই একটি। যখন প্রথম শুনেছি তখন নিতান্তই শিশু। বিশদ

05th  December, 2019
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

03rd  December, 2019
সিঁদুরে মেঘ ঝাড়খণ্ডেও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা কথা বেশ প্রচলিত... এদেশের ভোটাররা সাধারণত পছন্দের প্রার্থীকে নয়, অপছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচনী মুখ করে বিজেপি আসরে নামল, সেটা একটা বড়সড় চমক ছিল। 
বিশদ

03rd  December, 2019
আচ্ছে দিন আনবে তুমি এমন শক্তিমান!
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সঙ্গে কলেজে পড়ত ঘন্টেশ্বর বর্ধন। ওর ঠাকুর্দারা ছিলেন জমিদার। আমরা শুনেছিলাম ওদের মাঠভরা শস্য, প্রচুর জমিজমা, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গোরু, ধানভরা গোলা সবই ছিল। দেউড়িতে ঘণ্টা বাজত। ছিল দ্বাররক্ষী। কিন্তু এখন সে সবের নামগন্ধ নেই। ভাঙাচোরা বাড়ি আর একটা তালপুকুর ওদের জমিদারির সাক্ষ্য বহন করত। 
বিশদ

02nd  December, 2019
বিজেপির অহঙ্কারের পতন
হিমাংশু সিংহ

সবকিছুর একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করলে অহঙ্কার আর দম্ভের পতন অনিবার্য। সভ্যতার ইতিহাস বারবার এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে। আজও দিচ্ছে। তবু ক্ষমতার চূড়ায় বসে অধিকাংশ শাসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গ এই আপ্তবাক্যটা প্রায়শই ভুলে যায়।  বিশদ

01st  December, 2019
একনজরে
সংবাদদাতা, রামপুরহাট: অজ্ঞাতপরিচয় এক সাধুর মৃত্যু হল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রবিবার রাতে তারাপীঠের শ্মশান থেকে অসুস্থ ওই সাধুকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে তারাপীঠ থানার পুলিস। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।   ...

ওয়েলিংটন, ৯ ডিসেম্বর (এএফপি): ছবির মতো সুন্দর হোয়াইট আইল্যান্ড। ভ্রমণের আনন্দে মশগুল পর্যটকের দল। ভরদুপুরে হঠাৎ করে জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি। সোমবার নিউজিল্যান্ডের এই ঘটনায় মৃত্যু হল অন্তত পাঁচজনের। জখম ১৮ জন। সরকারি সূত্রে খবর, আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। তাঁদের উদ্ধারের ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আজ, ১০ ডিসেম্বর থেকে নিজেদের মার্জিনাল কস্ট অব ফান্ডস বেসড লেন্ডিং রেট বা এমসিএলআর কমাল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই)। এক প্রেস বিবৃতিতে তারা একথা জানিয়ে বলেছে, আগে তাদের বার্ষিক এমসিএলআর ছিল আট শতাংশ। ...

অমিত চৌধুরী, হরিপাল: হরিপাল থানার কৈকালা গ্রাম পঞ্চায়েতের বলদবাঁধ গ্রামে প্রতিবছর শীতের সময় ভিড় করে পরিযায়ী পাখি। বিদেশি পাখির আগমনকে ঘিরে একসময় এলাকায় পিকনিকের আসর বসলেও স্থানীয় মানুষ উদ্যোগ নিয়ে পাখিদের নিশ্চিন্তে অস্থায়ী ঠিকানায় বাস করতে বন্ধ করে দিয়েছেন পিকনিক। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস,
১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,
১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর জন্ম,
২০০১- অভিনেতা অশোককুমারের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৪ টাকা ৭২.১৪ টাকা
পাউন্ড ৯২.০৭ টাকা ৯৫.৩৭ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৪ টাকা ৮০.২৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,২৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৩২৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৮৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১১/২৬ দিবা ১০/৪৪। কৃত্তিকা ৫৯/২৯ শেষ রাত্রি ৫/৫৭। সূ উ ৬/৯/৩১, অ ৪/৪৮/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/২২ মধ্যে পুনঃ ৯/১৬ গতে ১১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৪৩ গতে ৩/৩০ মধ্যে পুনঃ ৫/১৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১০/২/৪৮ দিবা ১০/১২/৫। কৃত্তিকা ৬০/০/০ অহোরাত্র, সূ উ ৬/১০/৫৮, অ ৪/৪৯/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/১২ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৯/৫৩ গতে ২/৯/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৯/২৬ গতে ৮/৯/৩৯ মধ্যে।
 
মোসলেম: ১২ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ১৮৬৮- বিশ্বের প্রথম ট্রাফিক বাতি লন্ডনের প্যালেস অব ...বিশদ

04:28:18 PM

আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। বৃষ: অর্থভাগ্য খুব ভালো না হলেও ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর ...বিশদ

07:03:20 PM

ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে মৃত স্কুলছাত্র 
চিনা মাঞ্জার বলি স্কুলছাত্র। সুতোর ধারে গলা কেটে মৃত্যু হল ...বিশদ

06:20:33 PM

২৪৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:02:02 PM

আইলিগ: ইস্ট বেঙ্গল ৪-১ গোলে হারাল নেরোকাকে 

04:01:36 PM