Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

সিঁদুরে মেঘ ঝাড়খণ্ডেও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা কথা বেশ প্রচলিত... এদেশের ভোটাররা সাধারণত পছন্দের প্রার্থীকে নয়, অপছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচনী মুখ করে বিজেপি আসরে নামল, সেটা একটা বড়সড় চমক ছিল। কারণ, গোধরা কাণ্ডের অতীত, দলের নরমপন্থী গোষ্ঠীর (প্রভাবশালী তো বটেই) বিপরীত মেরু এবং অবশ্যই একচ্ছত্র আধিপত্যে বিশ্বাসী এক রাজনীতিক। তাঁর ইতিবাচক দিক কী ছিল? অসম্ভব ভালো কথা বলতে পারেন, দারুণ প্রশাসক এবং গুজরাতের উন্নয়নে তাঁর প্রশংসনীয় ভূমিকা। এদেশের ভোটার এমন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কোনওদিন দেখেনি। গোটা ভারত প্রায় ঘুরেছিলেন তিনি, প্রচার করেছিলেন। বিজেপির এক একজন প্রার্থীর হয়ে। এভাবেই কি তিনি পছন্দের প্রার্থী হয়ে গিয়েছিলেন? নাঃ। ব্যাপারটা অতটা সহজ নয়। একের পর এক দুর্নীতির আগুনে পুড়ে তখন দ্বিতীয় ইউপিএ সরকার ছাই হতে বসেছে। শরিকদের বায়নার চাপ এবং আর্থিক কেলেঙ্কারি... এই সরকার আগে কত ভালো ভালো কাজ করেছে, সেটাই মানুষ ভুলতে বসেছিল। হয়তো পরিবারতন্ত্র থেকে একটু ছুটি চাইছিল ভারত। তাই মোদির পক্ষে কেবল নয়, কংগ্রেসের বিপক্ষেও বিলক্ষণ ভোট পড়েছিল। সেই প্রবণতা চলতি বছরের লোকসভা ভোটেও দেখা গিয়েছে। কেন? মোদির প্রতিপক্ষ হিসেবে রাহুল গান্ধীকে ভারতীয় ভোটাররা খুব একটা পছন্দ করেননি। তাই মোদির পক্ষে ভোট তো পড়েইছে, রাহুল গান্ধীর বিপক্ষেও গিয়েছে বিপুল একটা অংশ। তারপর ছ’মাস অতিক্রান্ত।
পসন্দ-না পসন্দের থিওরিটা যদি ১০০ শতাংশ কার্যকর বলে ধরি, তাহলে এখন খুব পরিষ্কার ছবিটা হল, হাওয়া ঘুরছে। লোকসভা ভোটে অর্থাৎ দেশ চালানোর জন্য নরেন্দ্র মোদির বিকল্প নেই ঠিকই, রাজ্য চালানোর জন্য তো আছে! তাই মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থান-ছত্তিশগড় যদি সিনেমার ট্রেলার হয়, তাহলে হরিয়ানা-মহারাষ্ট্রের ফল থেকে পূর্ণাঙ্গ ছবিটা শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির ঝুলিতে এখনও ভোট আসছে। কিন্তু প্রতিপক্ষকে ‘পছন্দ না হওয়া’ জনমতের যে সমর্থনটা তারা গত পাঁচ বছর ধরে পেয়ে এসেছিল, তাতে ভাটা পড়েছে। এবং তার হাতে-গরম প্রমাণ অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের তিন কেন্দ্রে উপনির্বাচন। লোকসভা নির্বাচনে ১৮টি আসন জয়ের পর বিজেপি মনে করেছিল, গোটা রাজ্যটাই তাদের দখলে। ফল যে এভাবে ঘুরে যাবে, ভোটের সময়ও এতটা আন্দাজ করা যায়নি। বিজেপি কিন্তু মনে করেছিল, কিছু না থাকতেই যদি এই ফল হয়, তাহলে তো বাংলার মানুষ আমাদেরই পাশে! যা হল না। বিষয়টা একেবারে পরিষ্কার, বিজেপির বোঝা উচিত, বাংলায় এখনও মমতার বিকল্প মমতাই। বরং যে রাজ্যগুলিতে বিজেপি গত কয়েক বছর ধরে ফুলেফেঁপে উঠেছিল, সেদিকে আরও বেশি করে নজর দেওয়া উচিত। হরিয়ানার পর মহারাষ্ট্রেও মুখ পুড়েছে গেরুয়া শিবিরের। এতদিনের শরিক শিবসেনা সঙ্গ ছেড়েছে। শুধু বাল থ্যাকারের দলই নয়, রাজ্যে রাজ্যে শরিক সমস্যায় ভুগছে বিজেপি। এমনকী ঝাড়খণ্ডেও আসন রফা নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এজেএসইউ) এবার আর এনডিএতে নেই। তারা চেয়েছিল ১৮টি আসনে লড়তে। কিন্তু বিজেপি জানিয়েছিল, খুব বেশি হলে ১৩টি ছাড়া যাবে। আর তাতেই বেঁকে বসেছে এজেএসইউ। শনিবার থেকে শুরু হয়েছে পাঁচ দফার বিধানসভা ভোট। তারা কিন্তু আলাদাই লড়ছে। সাদা চোখে মারাত্মক কিছু মনে হচ্ছে না ঠিকই, এটা অবশ্যই বিজেপির কাছে বড় ধাক্কা। একটা সময় ধারণা করা হচ্ছিল, ঝাড়খণ্ড বিজেপি হাসতে হাসতে দখল করবে। এখন কিন্তু অঙ্কটা অতটাও আর সহজ নেই। একটি সমীক্ষক সংস্থা মতামত সংগ্রহ করার পর দাবি করছে, খুব বেশি হলে ৩৩টি আসন পাবে। আর ৮১ বিধানসভা কেন্দ্রের ঝাড়খণ্ডে ম্যাজিক ফিগার ৪১।
গত কয়েকটি বিধানসভা নির্বাচনের ধারা দেখলে সমীকরণটা খুব অস্বাভাবিক নয়। আঞ্চলিক দলগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে ইদানীং নির্ণায়ক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। এবং ঝাড়খণ্ডেও বিজেপি-বিরোধী জোটের মধ্যে কংগ্রেস নয়, জনপ্রিয়তা বেড়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার। চলতি ভোটে জেএমএমের হেমন্ত সোরেনই বিরোধী জোটে মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার কিন্তু এখনও রাজ্যে একটা স্থায়ী ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে। সরকারে না এলেও ওই ভোটে সাধারণত খুব একটা ঘাটতি হয় না। গত বিধানসভা ভোটেও যা ছিল ২০ শতাংশের মতো। এছাড়া ঝাড়খণ্ড বিকাশ মোর্চা বা জেভিএম কিছুটা ভোট টানে। এই জেভিএম গত ভোটে ছিল ইউপিএর সঙ্গে। এবার তারা আবার আলাদা লড়ছে। অর্থাৎ, বিজেপি যেমন এজেএসইউয়ের ভোটটা পাচ্ছে না, ঠিক তেমনই জেভিএমের সমর্থন কংগ্রেস জোটের সঙ্গে নেই। এই দুই দলই কিন্তু বড় দলগুলি থেকে কিছুটা ভোট কাটবে বলেই আশা করা যায়। সেক্ষেত্রে ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হওয়ার সম্ভাবনাটাই প্রবল। এমন পরিস্থিতিতে ছোটখাটো দল এবং নির্দলের উপরই সরকার গঠনের ভাগ্য নির্ধারণ করবে। কম বিধানসভা আসনের ঝাড়খণ্ডে বিজেপির একটাই সুবিধা, ৩০-৩৫টা আসন পেলেও বাকিটা ম্যানেজ করা অসম্ভব নয়। যে সমস্যাটা তাদের মহারাষ্ট্রে হয়েছে। ম্যাজিক ফিগার ১৪৫, কিন্তু তাদের দখলে ছিল ১০৫টি আসন। ফারাক অনেকটা। তাই কোনও না কোনও আঞ্চলিক দলের উপর ভরসা করতেই হয়েছে বিজেপিকে। শিবসেনা তাদের উপর দাদাগিরি দেখিয়ে জোট ছেড়ে বেরিয়ে যেতে পেরেছে। এনসিপির অজিত পাওয়ার হঠাৎ ঘরশত্রু বিভীষণ হয়ে বেরিয়ে এসে সমর্থন জুগিয়েছেন। আবার তারপর বেচাল হয়ে গিয়েছে বুঝতে পেরে ঘরে ফিরে গিয়েছেন। ভোররাতে শপথের ব্যবস্থা করেও তাই মুখ পুড়েছে বিজেপির।
ঝাড়খণ্ডে তেমন কিছু হোক, বিজেপি তা একেবারেই চাইবে না। তারা অবশ্য আশাবাদী, রঘুবর দাসই বিনা ঝড়ঝাপ্টায় ভোট বৈতরণী পার করিয়ে দেবেন। তিনিই একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী, যিনি পাঁচ বছর টানা ঝাড়খণ্ডে সরকার চালিয়েছেন। ২০০০ সালে পৃথক রাজ্য হওয়ার পর এই প্রথম। তাহলে ধরে নেওয়া যেতেই পারে, তার মধ্যে নিশ্চয়ই সেই ক্ষমতা আছে! কিন্তু তাঁর জমানায় কি ঝাড়খণ্ডের দারুণ উন্নতি হয়েছে? হয়তো হয়েছে, কিন্তু তা চোখে পড়ার মতো নয়। ঝাড়খণ্ড খনি সমৃদ্ধ। দেশকে ‘কাঁচামাল’ সরবরাহ করে এই রাজ্য। অথচ এখানকার অধিকাংশ মানুষেরই দারিদ্র্যসীমার নীচে বসবাস। এ অবশ্য নতুন কিছু নয়। বিশ্বের যে দেশ, যে প্রান্তই খনি সমৃদ্ধ, সেখানে এটাই অতি পরিচিত ছবি। শিক্ষার অভাব, হাতে কাঁচা টাকা এবং সেটাও যথেষ্ট নয়। রঘুবর দাস নিশ্চিতভাবে পাঁচ বছর সরকার টেনেছেন, কিন্তু এই ছবিটা বদলাতে পারেননি। খনি সমৃদ্ধ ঝাড়খণ্ডের বহু কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থীকে সেখানকার মানুষ শুধু ভোটের সময় দেখেছিল। পাঁচ বছরে যাঁদের আর হদিশ পাওয়া যায়নি। সেই ক্ষোভটা ভোটারদের মনে বিলক্ষণ রয়েছে। কাজেই যদি মারমার কাটকাট ফল করতে হয়, বিজেপিকে কিন্তু স্ট্র্যাটেজি বদলাতেই হবে। আর যদি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থীকে দেখে ভোট হয়, রঘুবরের ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছেন হেমন্ত সোরেন। আর কালো ঘোড়া জেভিএমের বাবুলাল মারাণ্ডি। জেভিএমের প্রাপ্ত আসন যদি ১৫ টপকে যায়, তাহলে বাবুলাল অদূর ভবিষ্যতে ঝাড়খণ্ডের ‘উদ্ধব’ হতেই পারেন।
বিজেপি যেভাবে হোক এই রাজ্য ধরে রাখার চেষ্টা করবে, সে নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। কিন্তু শরিক ধরে বা নির্দল ম্যানেজ করে জিতলেও কি নরেন্দ্র মোদির সেই সম্মান থাকবে? মনে রাখতে হবে, ঝাড়খণ্ডে ভোট পাঁচ দফায়। আর দিন যত যাচ্ছে, দেশের অর্থনীতির ফাঁপা চেহারাটা ততই প্রকাশ্যে আসছে। জিডিপি কমছে, উৎপাদন শিল্প ধাক্কা খাচ্ছে, কাজ হারাচ্ছে মানুষ। একে তো হাতে টাকা নেই, উল্টোদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। এর প্রতিকার এখনও চোখে পড়ছে না। রামমন্দির ইস্যু দিয়ে আর নতুন করে বিজেপি ভোট করাতে পারবে না। সেটা অতীত হয়ে গিয়েছে। সবার অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা করে ঢুকে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি ফের দিলে লোকে মারতে আসবে। তার থেকে যদি প্রত্যেক নাগরিকের দু’বেলা দু’মুঠো খাওয়াটা সরকার নিশ্চিত করতে পারে, সেটাই হবে পরম প্রাপ্তি। ভারতবাসী কিন্তু খুব অল্পেই সন্তুষ্ট হয়। নরেন্দ্র মোদি ‘আচ্ছে দিনে’র স্বপ্ন দেখালে আমরা তাতেই অন্ধের মতো বিশ্বাস করি। এখনও ভারত মনে করে, মোদিই পারবেন। তাই এই বিপুল জনমতে তাঁর ফিরে আসা। কেন্দ্রের মসনদে। এই বিশ্বাসের মর্যাদা দেওয়াটা কিন্তু তাঁরই কর্তব্য।
ফল মিলবে ভোটযন্ত্রে। কারণ, ভারত হোক বা ঝাড়খণ্ড... বিজেপির মুখ যে তিনিই। 
03rd  December, 2019
এনকাউন্টার, আইন এবং ন্যায়বিচার
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

জাস্টিস ইজ ডান। নীচে একটা স্মাইলি... প্ল্যাকার্ডে লেখা বলতে শুধু এটাই। কোনও কায়দা নেই। নেই রাজনীতির রং। নেহাতই সাদা কাগজে মোরাদাবাদের স্কুলের ছাত্রীদের হাতে লেখা কাগজগুলো বলছে, এবার হয়তো আমরা নিরাপদ হব।
বিশদ

আর ক’জন ধর্ষিতা হলে রামরাজ্য পাব
সন্দীপন বিশ্বাস 

রাত অনেক হল। মেয়েটি এখনো বাড়ি ফেরেনি। কোথাও আটকে গিয়েছে। অনেক লড়াই করে, পুরুষের সঙ্গে পাশাপাশি ঘাম ঝরিয়ে তাকে বেঁচে থাকতে হয়। বাড়িতে বাবা-মা অস্থির হয়ে ওঠেন।  বিশদ

09th  December, 2019
অর্থনীতিবিদদের ছাড়াই অর্থনীতি
পি চিদম্বরম

প্রত্যেকেই অর্থনীতিবিদ। যে গৃহবধূ পরিবার সামলানোর বাজেট তৈরি করেন, তাঁকে থেকে শুরু করে একজন ডেয়ারি মালিক যিনি দুধ বিক্রির জন্য গোদোহন করেন এবং একজন ছোট উদ্যোগী যিনি বড় নির্মাণ ব্যবসায়ীর জন্য যন্ত্রাংশ তৈরি করেন, সকলেই এই গোত্রে পড়েন।  বিশদ

09th  December, 2019
বাজার আগুন, বেকারত্ব লাগামছাড়া,
শিল্পে মন্দা, সরকার মেতে হিন্দুরাষ্ট্রে
হিমাংশু সিংহ

 দেশভাগ, শরণার্থীর ঢল, বার বার ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে উদ্বাস্তু হওয়ার তীব্র যন্ত্রণা আর অভিশাপের মাশুল এই বাংলা বড় কম দেয়নি। ইতিহাস সাক্ষী, সাবেক পূর্ববঙ্গের শত শত নিরাশ্রয় মানুষকে নিজের বুকে টেনে নিতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন সঙ্কট। বদলে গিয়েছে গোটা রাজ্যের জনভিত্তি।
বিশদ

08th  December, 2019
বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুর প্রাপ্য অধিকার
জিষ্ণু বসু

 কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা বলেছেন। চলতি অধিবেশনেই হয়তো পাশ হবে ঐতিহাসিক নাগরিকত্ব সংশোধনী। এটি আইনে রূপান্তরিত হলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে আসা হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান ও পারসিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা এদেশের পূর্ণ নাগরিকত্ব পাবেন।
বিশদ

08th  December, 2019
কর্পোরেটদের যথেষ্ট সুবিধা দিলেও অর্থনীতির বিপর্যয় রোধে চাহিদাবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ
দেবনারায়ণ সরকার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থে ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে।’ কিন্তু কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রীরা থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারতীয় অর্থনীতির চরম বেহাল অবস্থার বাস্তবতা সর্বদা চাপা দিতে ব্যস্ত। 
বিশদ

07th  December, 2019
অণুচক্রিকা বিভ্রাট
শুভময় মৈত্র

সরকারি হাসপাতালে ভিড় বেশি, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সুবিধে হয়তো কম। তবে নিম্নবিত্ত মানুষের তা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। অন্যদিকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে রাজ্যে এখনও অত্যন্ত মেধাবী চিকিৎসকেরা সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। 
বিশদ

06th  December, 2019
সার্ভিল্যান্স যুগের প্রথম পরীক্ষাগার উইঘুর সমাজ
মৃণালকান্তি দাস

চীনের সংবাদ মানেই তো যেন সাফল্যের খবর। সমুদ্রের উপর ৩৪ মাইল লম্বা ব্রিজ, অতিকায় যাত্রী পরিবহণ বিমান তৈরি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া উদ্ভাবন, চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ...। মিহিরগুল তুরসুনের ‘গল্প’ সেই তালিকায় খুঁজেও পাবেন না। ১৪১ কোটি জনসংখ্যার চীনে মিহিরগুল মাত্র সোয়া কোটি উইঘুরের প্রতিনিধি। 
বিশদ

06th  December, 2019
আর ঘৃণা নিতে পারছে না বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

 এটাই বোধহয় আমার শোনা প্রথম কোনও ছড়া। আজও ভুলতে পারিনি। শ্রবণ। দর্শন। স্পর্শ। প্রথম অনেক জিনিসই ভোলা যায় না। জীবনের উপান্তে পৌঁছেও সেসব অনুভবে জেগে থাকে অনেকের। কোনোটা বয়ে বেড়ায় সুখানুভূতি, কোনোটা বেদনা। এই ছড়াটি আমার জীবনে তেমনই একটি। যখন প্রথম শুনেছি তখন নিতান্তই শিশু। বিশদ

05th  December, 2019
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

03rd  December, 2019
আচ্ছে দিন আনবে তুমি এমন শক্তিমান!
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সঙ্গে কলেজে পড়ত ঘন্টেশ্বর বর্ধন। ওর ঠাকুর্দারা ছিলেন জমিদার। আমরা শুনেছিলাম ওদের মাঠভরা শস্য, প্রচুর জমিজমা, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গোরু, ধানভরা গোলা সবই ছিল। দেউড়িতে ঘণ্টা বাজত। ছিল দ্বাররক্ষী। কিন্তু এখন সে সবের নামগন্ধ নেই। ভাঙাচোরা বাড়ি আর একটা তালপুকুর ওদের জমিদারির সাক্ষ্য বহন করত। 
বিশদ

02nd  December, 2019
বিজেপির অহঙ্কারের পতন
হিমাংশু সিংহ

সবকিছুর একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করলে অহঙ্কার আর দম্ভের পতন অনিবার্য। সভ্যতার ইতিহাস বারবার এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে। আজও দিচ্ছে। তবু ক্ষমতার চূড়ায় বসে অধিকাংশ শাসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গ এই আপ্তবাক্যটা প্রায়শই ভুলে যায়।  বিশদ

01st  December, 2019
একনজরে
অর্পণ সেনগুপ্ত, কলকাতা: স্কুলের কাছে ‘প্রায়র পারমিশন’ (পিপি) এসে পৌঁছনোর আগেই শিক্ষক পদপ্রার্থীদের হাতে তা চলে আসছে। আর তার প্রতিলিপি নিয়েই স্কুলে যোগ দিতে চলে আসছেন শিক্ষকরা। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে এই ঘটনা ঘটছে। বদলির আবেদন করা শিক্ষকদের হাতে এই পিপি ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আজ, ১০ ডিসেম্বর থেকে নিজেদের মার্জিনাল কস্ট অব ফান্ডস বেসড লেন্ডিং রেট বা এমসিএলআর কমাল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই)। এক প্রেস বিবৃতিতে তারা একথা জানিয়ে বলেছে, আগে তাদের বার্ষিক এমসিএলআর ছিল আট শতাংশ। ...

জম্মু, ৯ ডিসেম্বর (পিটিআই): কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর ফের সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলি চালাল পাক সেনা। সোমবার ভোর পৌনে চারটে নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরের পুঞ্চ সেক্টরে ভারতীয় সেনার চৌকি লক্ষ্য করে তারা গুলি চালায়। ...

সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে চাঁচলে। এই সপ্তাহেই চাঁচলের খরবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। কলকাতার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর।  ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস,
১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,
১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর জন্ম,
২০০১- অভিনেতা অশোককুমারের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৪ টাকা ৭২.১৪ টাকা
পাউন্ড ৯২.০৭ টাকা ৯৫.৩৭ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৪ টাকা ৮০.২৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,২৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৩২৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৮৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১১/২৬ দিবা ১০/৪৪। কৃত্তিকা ৫৯/২৯ শেষ রাত্রি ৫/৫৭। সূ উ ৬/৯/৩১, অ ৪/৪৮/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/২২ মধ্যে পুনঃ ৯/১৬ গতে ১১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৪৩ গতে ৩/৩০ মধ্যে পুনঃ ৫/১৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১০/২/৪৮ দিবা ১০/১২/৫। কৃত্তিকা ৬০/০/০ অহোরাত্র, সূ উ ৬/১০/৫৮, অ ৪/৪৯/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/১২ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৯/৫৩ গতে ২/৯/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৯/২৬ গতে ৮/৯/৩৯ মধ্যে।
 
মোসলেম: ১২ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ১৮৬৮- বিশ্বের প্রথম ট্রাফিক বাতি লন্ডনের প্যালেস অব ...বিশদ

04:28:18 PM

আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। বৃষ: অর্থভাগ্য খুব ভালো না হলেও ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর ...বিশদ

07:03:20 PM

ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে মৃত স্কুলছাত্র 
চিনা মাঞ্জার বলি স্কুলছাত্র। সুতোর ধারে গলা কেটে মৃত্যু হল ...বিশদ

06:20:33 PM

২৪৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:02:02 PM

আইলিগ: ইস্ট বেঙ্গল ৪-১ গোলে হারাল নেরোকাকে 

04:01:36 PM