কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
এর আগে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে এক উচ্চমানের বিতর্কের সাক্ষী থাকল লোকসভা। বিতর্কের শেষ বক্তা হিসেবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কোনওভাবেই সংবিধান লঙ্ঘন করে না। বরং এই বিল প্রতিবেশী দেশে নিপীড়নের শিকার মানুষজনকে অবর্ণনীয় জীবনযাত্রার হাত থেকে রক্ষা করবে। ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ না হলে এই বিলের কোনও প্রয়োজন হতো না বলে তিনি জানিয়েছেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনার সময় আগের বক্তারা বারবার সংবিধানের ১৪ ধারা লঙ্ঘন করা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। অমিত শাহ জোরের সঙ্গেই বলেন, এই বিল কখনওই সংবিধানের ১৪ ধারা লঙ্ঘন করছে না। তাঁর কথায়, এই ধারা নিপীড়িত মানুষকে রক্ষার জন্যই। তাই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল সংবিধানের ওই ধারাকেই মান্যতা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, অন্যদেশে অত্যাচারিত কেবল পার্সি বা হিন্দুকে ভারতে নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হলে, সংবিধান লঙ্ঘন করা হতো। সকল নিপীড়িত মানুষের জন্য আইন করা হয়েছে। তাই সংবিধানের ১৪ ধারা লঙ্ঘনের প্রশ্নই ওঠে না। অনুপ্রবেশকারী আর শরণার্থীদের মধ্যে পার্থক্যটা সবাইকে বুঝতে হবে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ হলে দেশে সংখ্যালঘুরা বিপদে পড়বেন বলেও নানা মহল থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে অমিত শাহ বলেন, গত সাত দশকে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বিপুল হারে বেড়েছে। পরিংসখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে দেশে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ৮৪ শতাংশ। ২০১১ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৭৯ শতাংশ। অপরদিকে মুসলিম জনসংখ্যা এই সময়ে ৯.৮ থেকে বেড়ে ১৪.২৩ শতাংশ হয়েছে। আসাদউদ্দিন ওয়াইসিকে উদ্দেশ করে শাহ বলেন, মুসলিমদের প্রতি কোনও অবিচার হতে দেব না। আপনি শুধু দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করবেন না দয়া করে।
ভারতের নতুন করে কোনও শরণার্থী নীতির প্রয়োজন নেই। শরণার্থী আটকাতে দেশের একাধিক আইনই যথেষ্ট। রোহিঙ্গাদের কোনওভাবেই দেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করা হবে না বলে তিনি জানিয়েছেন। এদিন তিনি বারবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, মোদি সরকারের কাছে সংবিধানই ধর্ম। কংগ্রেসকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে এদিন তিনি বলেন, মহম্মদ আলি জিন্না যখন দ্বিজাতি তত্ত্ব নিয়ে হাজির হয়েছিলেন, কংগ্রেস কেন তা মেনে নিল? গান্ধীজি তো বলেছিলেন দেশভাগ করতে হলে, তাঁর মৃতদেহের উপর দিয়ে তা করতে হবে। কংগ্রেস তারপরও কিন্তু পিছু হটেনি। কংগ্রেসকে খোঁচা দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ওরা এমন ধর্মনিরপেক্ষ যে কেরলে মুসমিল লিগ এবং মহারাষ্ট্রে শিবসেনার সঙ্গে জোট করে সরকার গড়েছে!’ বক্তব্য শেষ করার আগে তিনি আবারও জানান, সারাদেশে এনআরসি হবেই। আর এর জন্য এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে শিখণ্ডী করার প্রয়োজন নেই।