কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের প্রথম ভোটপ্রচার শুরু করেন সাইমন্ডস। উজ্জ্বল গোলাপি রঙের শাড়ি পরে প্রেমিক-প্রধানমন্ত্রী জনসনকে নিয়ে নিসডেনের স্বামীনারায়ণ মন্দিরে যান তিনি। সেখানে জনসন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদি নতুন ভারত গড়ার কাজ করছেন। আমাদের ব্রিটিশ সরকার তাঁর সেই উদ্যোগে পুরোপুরি সমর্থন দেবে। এ দেশে জাতিবিদ্বেষ বা ভারতবিরোধী কার্যকলাপের কোনও স্থান নেই।’
হিন্দু ভোট তাঁর ঝুলিতে ভরতেই জনসনের এই মন্দির সফর বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রধানমন্ত্রীর কথায় তারই ইঙ্গিত মিলেছে। ‘তিলক’ ও ‘মালা’ জনসনকে সমর্থন করে — এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অতীতে কনজারভেটিভ দলকে মসনদে বসাতে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। আমি যখন এই কথা নরেন্দ্রভাইকে (মোদি) বলেছিলাম, তখন উনি শুধু হেসেছিলেন। এবং বলেছিলেন ভারতীয়রা সর্বদা জয়ীর দিকেই থাকেন।’ আর মন্দির প্রসঙ্গে জনসনের মন্তব্য, ‘আমাদের দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের দেওয়া বড় উপহার হল এই মন্দির। দান-ধ্যান করে আপনারা সমাজের কল্যাণ করছেন। লন্ডন ও ব্রিটেন আপনাদের জন্য ঋণী।’
নীল এবং হলুদ শাড়ি পড়ে হাজির হয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি প্যাটেল। এছাড়া শনিবারই ছিল স্বামীনারায়ণ সংস্থার সভাপতি প্রমুখ স্বামী মাহারাজের ৯৮তম জন্মদিন। সেখানে দাঁড়িয়ে স্বচ্ছ ভিসা নীতি নিয়ে দলের অবস্থানের পক্ষে জোর সওয়াল করেন প্রীতি। তিনি বলেন, ভারত সহ বিশ্বের সমস্ত দেশ থেকে আগত শরণার্থীদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার মতো ‘পয়েন্ট বেসড’ নিয়মে ভিসা-নীতি চালু করতে আমরা দায়বদ্ধ। এই ভোটই ব্রেক্সিট ও সীমান্ত সুরক্ষা নিয়ে দিশা ঠিক করবে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘কনজারভেটিভ পার্টি নেতৃত্বাধীন সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার ব্রেক্সিট এবং অবাধ আনাগোনা রোধে সিদ্ধান্ত নেবে। গণতান্ত্রিক নিয়ন্ত্রণের আওতায় চলে আসবে অভিবাসন নীতি।’
অন্যদিকে রবিবার জাতির উদ্দেশে একটি বিবৃতি জারি করছেন জনসন। সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নয়া ভিসা নীতিতে গোটা বিশ্বের মেধাবি ব্যক্তিরা ব্রিটেনে আসার ক্ষেত্রে সুবিধা পাবেন। জনসনের কথায়, ‘তবে স্বল্প প্রশিক্ষিতদের কঠিন বাধার মুখে পড়তে হবে। সত্যিই যদি কাজের অভাব থাকে, তবেই শরণার্থীরা ব্রিটেনে প্রবেশ করতে পারবেন এবং সেক্ষেত্রে তাঁরা পাকাপাকিভাবে থাকতে পারবেন না। যাঁরা ব্রিটেনে আসবে তাঁদের প্রত্যেককে প্রথম দিন থেকে এনএইচএস-এ অবদান রাখতে হবে। এটাই নীতি।’