কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
তিনি বলেন, সেই আইনের জন্যই পঞ্চায়েতের প্রতিটি স্তরে মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণ করা হয়েছে। যা দেশে কোথাও হয়নি। আমাদের এই পঞ্চায়েত ব্যবস্থা দেশ-বিদেশে সমাদৃত। আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য, পিছিয়ে পড়া এলাকা এবং গ্রামীণ এলাকার সার্বিক উন্নয়ন। যদি কোথাও কোনও অভিযোগ থাকে, তাহলে আমাদের দপ্তরকে জানাবেন, নিশ্চয়ই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা আইন অর্থাৎ ১০০ দিনের কাজে ২০১০-’১১ সালে ১৫.৫৩ কোটি শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে। সেখানে ২০১৮-’১৯ আর্থিক বছরে ৩৩.৮৩ কোটি শ্রমদিবস তৈরি হয়েছে। ২০১৯-’২০ সালে বাজেট বরাদ্দ হয়েছে ৬,২১৯ কোটি টাকা।
গরিব মানুষের বাসস্থান করে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে চলছে বাংলার আবাস যোজনা। পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, ২০১০-’১১ সালে যেখানে ১,৮০,৫২০টি বাড়ি তৈরি করা হয়েছে। সেখানে ২০১৮-’১৯ সালে ৫,৫০,৫৯২টি বাড়ি তৈরি হয়েছে। যা তিনগুণেরও বেশি। মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে ২০১০-’১১ সালে যেখানে ৪,৬৬,৩১১টি শৌচালয় তৈরি হয়েছিল, সেখানে ২০১৬-’১৭ সালে ২৩,২২,৪৩৪টি শৌচালয় তৈরি হয়েছে। গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সুদৃঢ় করতে বাংলা সড়ক যোজনায় ২০১০-’১১ সালে ১,৪৪২ কিমি রাস্তা তৈরি হয়েছিল, সেখানে ২০১৮-’১৯ আর্থিক বছরে ৫,১১১ কিমি রাস্তা তৈরি হয়েছে। আগে এই রাস্তা তৈরিতে ৯০ শতাংশ টাকা দিত কেন্দ্র। এখন তা কমিয়ে ৫০ শতাংশ দিচ্ছে, তাহলে কেন প্রকল্পের নাম প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা করা হবে? মুখ্যমন্ত্রীর নামেও এই প্রকল্প করা হোক। কেন্দ্রীয় সরকারের আরও যথাযথ সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে আমাদের সাফল্য আরও বাড়তে পারত। এই রাজ্যে পঞ্চায়েত ব্যবস্থার অন্যতম দিক হল তৃণমূলস্তর পর্যন্ত বিকেন্দ্রীকরণ। মানুষকে সঙ্গে নিয়ে মানুষের জন্য কাজ করাই লক্ষ্য। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বিবৃতির উপরে শাসকদলের বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর, সমীর জানা গ্রামীণ উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করেন। বিরোধীরা অধিবেশন কক্ষে ছিলেন। আজ মঙ্গলবার বিধানসভায় ফের আলোচনা হবে।