কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
বাংলাদেশ থেকে অনেকদিন ধরেই জাল নোট ঢুকছে এরাজ্যে। মূলত মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্ত লাগোয়া এলাকাকে এই কাজে ব্যবহার করত তারা। সেই এলাকার একাধিক ব্যক্তি যে এই কাজে জড়িত, তার প্রমাণ হাতে পেয়েছে বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থা। জাল নোট পাচারের অভিযোগে ধৃতদের জেরা করে অফিসাররা জানতে পারেন, বাংলাদেশের সাতক্ষীরার একাধিক জায়গায় জাল নোট ছাপার জন্য কারখানা খোলা হয়েছে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের মদতেই তা চলছে। নোট ছাপানোর কাগজ আসছে বিদেশ থেকে। নোটের গুণগত মান এতটাই উন্নত যে, খালি চোখে আসলের সঙ্গে নকলের ফারাক বোঝা যাচ্ছে না। সাতক্ষীরায় জাল নোট তৈরির কারখানা খোলার বিষয়টি ভারত শেখ হাসিনার সরকারকে জানিয়েছে। এই ধরনের কাজ আটকাতে সক্রিয় হয়ে ওঠে বাংলাদেশের র্যা পিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যা ব)। তারা এই জেলার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু করে। বাজেয়াপ্ত করা হয় একের পর এক কারখানা। গ্রেপ্তার করা হয় এই কারবারে জড়িত একাধিক ব্যক্তিকে। উদ্ধার হওয়া জাল নোটগুলি পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের কাছে খবর, ধরপাকড়ের জেরে কিছুদিনের জন্য বাংলাদেশে জাল নোট ছাপার কাজ বন্ধ ছিল। এর ফাঁকেই এই কারবারে যুক্ত লোকজন বিকল্প জায়গার খোঁজ শুরু করে। কিন্তু কোথায় সেই কারখানা খোলা হয়েছে, তার হদিশ মিলছিল না। তবে জাল নোট আসার পরিমাণ গত কয়েকমাসে যেভাবে বেড়েছে, তা দেখে তাঁরা নিশ্চিত যে, আবার কোথাও নতুন কারখানা চালু হয়েছে। জাল নোট সহ ধৃত বিভিন্ন এজেন্টকে জেরা করে তাঁরা জেনেছেন, জায়গা বদল করেছে জাল নোটের কারবারিরা। পুলিসি হানাদারি বেড়ে যাওয়ায় তারা গ্রাম লাগোয়া এলাকা বেছে নিয়েছে। সেই সঙ্গে মুর্শিদাবাদ ও মালদহ সীমান্তের পরিবর্তে উত্তর ২৪ পরগনার সীমান্তকে ব্যবহার করছে তারা। গোয়েন্দাদের হাতে আসা তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জে একাধিক জাল নোট ছাপার কারখানা খোলা হয়েছে। তবে সেখানে শুধুমাত্র দু’হাজার টাকার নোটই ছাপানো হচ্ছে। সাতক্ষীরার লোকজনই এই কারখানাগুলি চালাচ্ছে। চলতি বছরের অক্টোবর মাস থেকেই এখানে তৈরি জাল নোট যাচ্ছে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে। তবে সব চেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাই এই কারখানাগুলি চালাচ্ছে। এরাজ্যে এই সংগঠনের স্লিপার সেলের সদস্য যারা রয়েছে, তাদের মাধ্যমেই তা পাঠানো হচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এমনকী জেহাদিরাই ঘোজাডাঙা সীমান্ত দিয়ে জাল নোট নিয়ে উত্তর ২৪ পরগনায় ঢুকছে। তারপর পানিতর, পাকিরডাঙা হয়ে বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে। এই দুটি জায়গায় একাধিক এজেন্ট রয়েছে। তারা মজুত করে রাখছে জাল টাকা। এরপর প্রয়োজনমতো তা পাঠানো হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এই তথ্য আসার পরই এ বিষয়ে তথ্যপ্রমাণ জোগাড়ের কাজ শুরু হয়েছে। তা হাতে এলেই এই সংক্রান্ত রিপোর্ট যাবে সীমান্তের ওপারে।