কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
তিনি বলেন, এতদিন উত্তর-পশ্চিমের শীতল হাওয়ার গতিপথ আটকেছে আরব সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখা। এই দুই প্রভাব ধীরে ধীরে কমলেও এবার শীতের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এর জেরে বুধবার রাত থেকে জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশে ঝড়বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এই অবস্থায় উত্তর-পশ্চিমের ঠান্ডা বায়ুর প্রবাহ কার্যত বন্ধ। তার বদলে বইছে পুবালি বাতাস। তাতে ভর করে এ রাজ্য সহ সমগ্র পূর্ব ভারতের বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পও ঢুকছে প্রচুর পরিমাণে। ফলে শীত-শীত ভাব উধাও। উল্টে ডিসেম্বরের প্রায় মাঝামাঝি সময়েও দিনের বেলা রাস্তায় বেরিয়ে মানুষ কপালের ঘাম মুছছেন। রাতের দিকে সামান্য ঠান্ডার অনুভূতি থাকলেও তা ডিসেম্বরের এই সময়ে একেবারেই বেমানান বলে মানছেন আবহাওয়াবিদরা। তবে তাঁরা এও বলছেন, প্রত্যেকবারই শীতের আগমনপথে বাধা তৈরি করে দাঁড়ায় পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এটা স্বাভাবিক ঘটনা। এবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জন্য ক’দিন শীতের পথ রুদ্ধ হল, তারপর আরব সাগর ও সংলগ্ন অঞ্চলে ঘূর্ণাবর্ত ও নিম্নচাপ, আবার পশ্চিমী ঝঞ্ঝার বাধা— সব মিলিয়েই বিলম্বিত হচ্ছে শীতের আগমন।
সোমবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৯.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৪৮ থেকে ৯৯ শতাংশ। আজ, মঙ্গলবার সকাল থেকে আংশিক মেঘলা আকাশ দেখা যেতে পারে দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোথাও। তবে সারা রাজ্যের কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।