কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
রাজভবনের অসহযোগিতা বিধানসভা অধিবেশন সুষ্ঠুভাবে চালোনার পথে প্রধান প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এই অভিযোগ তুলেছেন। বিধানসভা অধিবেশন শুরু হয়ে মাঝপথে দু’দিন স্থগিত রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তফসিলি জাতি ও উপজাতি কমিশন গঠনের লক্ষ্যে একটি বিলের খসড়া অধিবেশনে পেশের আগে নিয়ম অনুসারে রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য রাজভবনে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু ওই বিল রাজভবন থেকে অনুমোদন না মেলায় তা বিধানসভায় পেশ করা যাচ্ছে না। তার জেরে নির্ধারিত কার্যসূচি বদল করতে বাধ্য হয় সরকার। এই বদলকে কেন্দ্র করেই গত কয়েকদিন ধরে অধিবেশন নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধছে। উৎসাহ হারাচ্ছেন বিধায়করা। এদিন বিধানসভার দ্বিতীয়ার্ধে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির পুরনো রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার শুরুতে সভার কোরাম (ন্যূনতম সদস্য সংখ্যা) বজায় রাখতে হিমশিম খেতে হয় শাসকপক্ষকে। উল্লেখ্য, পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অনুপস্থিত ছিলেন। এদিন কিছু সময়ের জন্য ট্রেজারি বেঞ্চে আসন খালি দেখে সরাকরপক্ষের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ফোন করতে শুরু করেন বিধায়ক ও মন্ত্রীদের। দিনের শেষে অধিবেশনে হাজিরার জন্য হুইপ জারি করতে বাধ্য হন তিনি। নির্মলবাবু অবশ্য অধিবেশনের এই দশার জন্য রাজ্যপালকেই বিঁধেছেন। তাঁর অভিযোগ, রাজভবনে বিল আটকে রেখে তিনি সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছেন। পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। পাশাপাশি বিরোধীদেরও একহাত নিয়েছেন নির্মলবাবু। এদিন অধিবেশেনর প্রথম পর্বে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে মুলতুবি প্রস্তাব এনে আলোচনা চেয়েছিল কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট। অধ্যক্ষ বিমানবাবু প্রস্তাব পাঠের অনুমতি দিলেও আলোচনায় রজি হননি। বিরোধীরা তার প্রতিবাদে অধিবেশন কক্ষের মধ্যে বিক্ষোভ দেখিয়ে পরে গোটা দিনের জন্য ওয়াকআউট করে। কংগ্রেসের মনোজ চক্রবর্তী ও বামেদের মানস মুখোপাধ্যায় বলেন, অধিবেশনে কার্যসূচির অভাবে দুই বছরের পুরনো স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্ট নিয়ে আলোচনা করে শাসকপক্ষ নিয়ম রক্ষা করছে। অথচ বিরোধীদের মুল্যবৃদ্ধির মতো জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে আলোচনায় বাধা দিচ্ছে। নির্মলবাবুর মতে, রাজ্যপালের অসহযোগিতার কারণে সমস্যা হচ্ছে। তা নিয়ে বিরোধীরা চুপ। নানা অজুহাতে সভাত্যাগ করছে। বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান বলেন, সরকারের গোমস্তাগিরি করার জন্য আমরা সভায় অংশ নিতে রাজি নই। আমাদের মুখ বন্ধ করাটাই শাসক দলের প্রধান কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঘটনাচক্রে অধিবেশনে বিরোধী বেঞ্চ খালি, পাশাপাশি ট্রেজারিতেও সিংহভাগ আসন শূন্য। ফলে, কোরাম নিয়েই সংশয় দেখা দিয়েছিল। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের তফসিলি জাতি উপজাতি কমিশন বিল নিয়ে কিছু ব্যাখ্যা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকের কাছে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নবান্নের তরফে রাজ্যপালকে তাঁর প্রশ্নের জবাব দেওয়া হয়নি।