Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

অণুচক্রিকা বিভ্রাট
শুভময় মৈত্র

সরকারি হাসপাতালে ভিড় বেশি, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সুবিধে হয়তো কম। তবে নিম্নবিত্ত মানুষের তা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। অন্যদিকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে রাজ্যে এখনও অত্যন্ত মেধাবী চিকিৎসকেরা সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। সেখানকার আর একটা সুবিধে হল যে গোটা বিষয়টার সঙ্গে বেসরকারি মুনাফার সেভাবে কোনও সম্পর্ক নেই। খুচরো বেনিয়ম আছে অনেক, তবে তার সুফল-কুফল সবটাই ভোগ করেন নিম্নবিত্ত মানুষ। সেখানে কয়েক লক্ষ টাকা দিয়ে যন্ত্র কিনে বছরখানেকের মধ্যে লাভ করার অঙ্ক কষতে হয় না। অনেকসময় যন্ত্র খারাপ হয়ে পড়ে থাকে, তবে কাজ করলে তা আম জনতার স্বাস্থ্য পরীক্ষাতেই ব্যবহৃত হয়। তুলনায় স্বচ্ছলদের জন্যে থিকথিকে মানুষে ভরা সরকারি হাসপাতাল স্বাভাবিক গন্তব্য নয়। আশির দশকেও কলকাতায় খুব বেশি মধ্যবিত্ত মানুষ বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার সুযোগ পেতেন না। তখনও সরকারি হাসপাতালই ছিল মূল গন্তব্য। তবে তারপর থেকে ধীরে ধীরে কলকাতার চরিত্র বদলাতে থাকে। বাড়ির বদলে ফ্ল্যাটের মতই সরকারি হাসপাতাল থেকে বেসরকারি নার্সিং হোমের দিকে দলবেঁধে হাঁটতে শুরু করে মধ্যবিত্ত চিকিৎসাপ্রার্থী বাঙালি। সেই পথেই আজকের দিনে বাইপাসের ধারে উল্টোডাঙা থেকে বারুইপুর পর্যন্ত বেসরকারি হাসপাতালের অভাব নেই। তবে একমাত্র বাইপাসকে চিহ্নিত করে লাভ নেই। কলকাতার অন্যান্য রাস্তার ধারেও প্রচুর বেসরকারি হাসপাতাল আছে। শুধু রাস্তাই বা কেন, গলি কিংবা তস্য গলিতেও নার্সিং হোমের খোঁজ পাওয়া যাবে এই কলকাতায়। এই সমস্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অনেকের চিকিৎসা হয়, প্রচুর মানুষের চাকরির সুযোগ হয়, আর তাই সব মিলিয়ে এর গুরুত্বও অস্বীকার করা যায় না। আবার একইসঙ্গে লাভ না করলে এই সমস্ত চিকিৎসাকেন্দ্র চলবে না। এখন প্রশ্ন হল লাভ কতটা করা হবে এবং কোন পথে করা হবে। কলকাতার বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের সবকিছুই যে খারাপ এমনটাও নয়। সেখানেও বেশ কয়েকজন অসাধারণ চিকিৎসক আছেন যাঁরা শুধু নিজের নামেই এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানগুলির ঊর্ধ্বে। অত্যন্ত সৎভাবে রোগীর সেবা করেন তাঁরা। অন্যদিকে সব চিকিৎসকই যে মহৎ হবেন, এমন উপপাদ্যও কোথাও লেখা নেই। ফলে সেই জায়গাতে বাঙালি মধ্যবিত্তর হয়রানি যথেষ্ট। অনেকটা বেশি টাকা খরচ হলেও বিভিন্ন ঝকঝকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য পরিষেবার হাল বেশ খারাপ। সেই প্রেক্ষিতে মুনাফাভিত্তিক চিকিৎসাকেন্দ্রের বিষয়ে নেতিবাচক ধারণাও অমূলক নয়।
আজকের দিনে এমনটা বলাও ঠিক না যে রোগীর পরিবারের লোকজন একেবারে ধোয়া তুলসীপাতা। তাঁদের অনেকে চিকিৎসকদের অনেক বেশি উত্যক্ত করেন। এর একটি কারণ গুগুল করলেই চটজলদি আপাতভাবে অনেক কিছু জানা যায়। ফলে অল্প শিখে রোগীর আত্মীয় স্বজন আরও বেশি উদ্বিগ্ন হন, এবং সঙ্গে আসে অসহিষ্ণুতা। তাঁরা বারবার প্রশ্ন করেন রোগীর স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে, অনেক সময় তর্ক চলে অপ্রয়োজনে। এতে চিকিৎসকদের বিরক্তি উৎপাদন হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে চিকিৎসাব্যবস্থারও উপযুক্ত বদল প্রয়োজন। চিকিৎসক এবং রোগীর পরিবারদের মধ্যে বদলা নেওয়ার প্রতিযোগিতায় রোগীর যে আদৌ কোনও লাভ হয় না সে বোধ সকলেরই আছে। তবু সমাধান দূরে থাক, গত একদশকে ডেঙ্গুর প্রাবল্যে বিষয়টি আরও জটিল হয়েছে। কোনও এক অজানা কারণে ডেঙ্গু সংক্রান্ত সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ পাচ্ছে না। তবে গত এক বছরে ডেঙ্গু মোকাবিলায় সরকারের প্রচেষ্টা আগের থেকে কিছুটা বেড়েছে, কমেছে ডেঙ্গু লুকিয়ে রাখার প্রবণতাও। তা সত্ত্বেও একথা বলতেই হয় সরকারের দিক থেকে আরও বেশি সতর্কতা জরুরি। রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ যেরকম সাংঘাতিক, তাতে জনগণকে বাঁচতে গেলে মশারি ঘাড়ে নিয়ে চলাফেরা করা ছাড়া আর বিশেষ কোনও পথ দেখা যাচ্ছে না। আর এ রোগে চিকিৎসার একটা বড় অংশ বাড়িতে সম্ভব, কিন্তু বাড়াবাড়ি হলে হাসপাতালে ভর্তি হতেই হবে। যেকথা আগেই বলছিলাম, অর্থনীতির নিয়মে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নিম্নবিত্তদের যেতে হবে সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আর মধ্যবিত্তদের স্থান হবে বেসরকারি হাসপাতালে।
সরকারি হাসপাতালে পরিষেবার অপ্রতুলতা থাকলেও টাকা পয়সা নিয়ে গোলমাল কম। অন্যদিকে অস্বীকার করার উপায় নেই যে মধ্যবিত্তদের মূল সন্দেহ হল বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল রোগীদের ঠকাচ্ছে কিনা। এই ঘটনা যে কোনও অসুখের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। অর্থাৎ এমনটা হতেই পারে যে অসুখ যেটুকু হয়েছে তার থেকে অনেকটা বেশি রোজগার করছে কিছু বেসরকারি চিকিৎসালয়। সাধারণভাবে এর সত্য মিথ্যা যাচাই করা কঠিন, তবে আমজনতার উপলব্ধি অমূলক নাও হতে পারে। ঠিক এরকমই একটা বিভ্রাট অণুচক্রিকার গণনায়। ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে একটা বড় সমস্যা প্লেটলেট (অণুচক্রিকা) কমে যাওয়া। এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় না গিয়েও যেটা বলা যায় তা হল একক মাইক্রোলিটার পরিমাণ রক্তের মধ্যে এর সংখ্যা থাকা উচিত অন্তত দেড় লক্ষের বেশি। কিন্তু ডেঙ্গুর আক্রমণে যদি এর পরিমাণ কয়েক হাজারে নেমে যায় তখন ভীষণ বিপদ। সেক্ষেত্রে হাসপাতালে বিশেষভাবে পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখতে হয় রোগীকে। অণুচক্রিকার সংখ্যা গোনার দুটি উপায় আছে। এক হল যন্ত্রের মাধ্যমে আর অন্য উপায় হল প্রশিক্ষিত চিকিৎসক যখন নিজের চোখে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে তা দেখেন। যন্ত্রের যে গণনা তা মূলত আনুমানিক। তাই চিকিৎসকের নিজের চোখে বিচার করা সংখ্যাই অনেক বেশি বিশ্বাসযোগ্য। শরীরে অণুচক্রিকার পরিমাণ বেশি থাকলে যন্ত্রই মাপুক, কিংবা চিকিৎসক, খুব কিছু যায় আসে না। কিন্তু সে সংখ্যা যখন কমে আসে মাত্র কয়েক হাজারে, তখন গোলমাল অনেক বেশি। উদাহরণস্বরূপ, যন্ত্রে যে মাপ আট হাজার, তাই হয়তো চোখে দেখলে আঠাশ হাজার। এবার অণুচক্রিকার সংখ্যা কম শুনে রোগীর পরিবারের দুশ্চিন্তা বেড়ে যায় অনেক বেশি, এবং সেই পরিস্থিতিতে বেসরকারি হাসপাতালের পক্ষে মুনাফার পরিমাণ বাড়িয়ে নেওয়াও সহজ। অন্যদিকে যন্ত্র কিছুটা বেশি বলায় হয়তো বাড়ির লোক নিশ্চিন্ত হলেন, এদিকে চোখে দেখে কিছুক্ষণ পরে জানা গেল যে তা অনেকটাই কম। সে আর এক বিপদ।
এর সমাধান কি নেই? একটা পথ হল রোগীর পরিবার চাইলেই রক্তের কিছুটা নমুনা তার পরিবারের সদস্যদের মত অনুযায়ী অন্য কোনও জায়গা থেকে পরীক্ষা করে আনা যেতেই পারে। কিন্তু কিছু ব্যবসায়িক কারণ আর হয়তো বা কোনও চিকিৎসা সংক্রান্ত নিয়মের বাধ্যবাধকতায় বেসরকারি হাসপাতালগুলি এ ব্যাপারে একেবারেই সহযোগিতা করে না। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে সরকার নতুন করে কিছু নিয়মাবলী স্থির করতেই পারে। যার কাছে খরচ করার মত পয়সা আছে, সে যদি নিয়মিত একাধিক জায়গা থেকে অণুচক্রিকা গুনিয়ে আনে, তাতে বেসরকারি হাসপাতালের বাধা দেওয়ার কোন যুক্তিযুক্ত কারণ নেই। অন্যদিকে এই অনুমতি দিলে সেই প্রতিষ্ঠানের উপর মানুষের বিশ্বাস বাড়বে অনেকটা। দুটি ভিন্ন জায়গা থেকে কোনও নমুনা পরীক্ষা করলে যে সঠিক অনুমানের সম্ভাবনা বেশি তা রাশিবিজ্ঞানের গোড়ার পরিচ্ছেদেই লেখা থাকে। দ্বিতীয় কথা হল ডেঙ্গুর প্রকোপ যদি এভাবে বাড়তে থাকে সেক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসার জন্যে যন্ত্রগণকের বদলে বিশেষজ্ঞের চোখে দেখে অণুচক্রিকার সংখ্যা গোনা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু চিকিৎসকের সংখ্যা যদি সীমিত হয় এবং নমুনার সংখ্যা থাকে অনেক বেশি, তাহলে অপেক্ষার সময় অনেকটা বেড়ে যাবে। চিকিৎসায় বিলম্ব হবে সঙ্কটাপন্ন রোগীর। অর্থাৎ বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত কিছু কর্মী যদি চিকিৎসকদের এই চোখে দেখার কাজে সাহায্য করতে পারেন, তাহলে অনেক বেশি অসুস্থ মানুষের শারীরিক অবস্থার সঠিক নির্ণয় দ্রুততর হওয়া সম্ভব। একথা মেনে নিতেই হবে যে ডেঙ্গুর রমরমা বেসরকারি চিকিৎসাব্যবস্থাকে বছরভর অনেক বেশি অক্সিজেন দিচ্ছে। তবুও সামান্য অণুচক্রিকার সংখ্যা গোনা নিয়েই প্রতিদিন রোগীর পরিবার এবং বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের মধ্যে দিনভর দ্বন্দ্ব। এর মধ্যেই বেশিরভাগ রোগী সুস্থ হয়েই ঘরে ফিরছেন, কিন্তু দু-একটি ক্ষেত্রে তা ঘটছে না। সেকথা গত কয়েকদিন ধরে সংবাদমাধ্যমে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার এবং বেসরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রশাসন অণুচক্রিকা বিভ্রাট আর একটু স্বচ্ছভাবে সামলাতে পারলে সব পক্ষেরই মঙ্গল।
 লেখক ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক, মতামত ব্যক্তিগত
 
06th  December, 2019
এনকাউন্টার, আইন এবং ন্যায়বিচার
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

জাস্টিস ইজ ডান। নীচে একটা স্মাইলি... প্ল্যাকার্ডে লেখা বলতে শুধু এটাই। কোনও কায়দা নেই। নেই রাজনীতির রং। নেহাতই সাদা কাগজে মোরাদাবাদের স্কুলের ছাত্রীদের হাতে লেখা কাগজগুলো বলছে, এবার হয়তো আমরা নিরাপদ হব।
বিশদ

আর ক’জন ধর্ষিতা হলে রামরাজ্য পাব
সন্দীপন বিশ্বাস 

রাত অনেক হল। মেয়েটি এখনো বাড়ি ফেরেনি। কোথাও আটকে গিয়েছে। অনেক লড়াই করে, পুরুষের সঙ্গে পাশাপাশি ঘাম ঝরিয়ে তাকে বেঁচে থাকতে হয়। বাড়িতে বাবা-মা অস্থির হয়ে ওঠেন।  বিশদ

09th  December, 2019
অর্থনীতিবিদদের ছাড়াই অর্থনীতি
পি চিদম্বরম

প্রত্যেকেই অর্থনীতিবিদ। যে গৃহবধূ পরিবার সামলানোর বাজেট তৈরি করেন, তাঁকে থেকে শুরু করে একজন ডেয়ারি মালিক যিনি দুধ বিক্রির জন্য গোদোহন করেন এবং একজন ছোট উদ্যোগী যিনি বড় নির্মাণ ব্যবসায়ীর জন্য যন্ত্রাংশ তৈরি করেন, সকলেই এই গোত্রে পড়েন।  বিশদ

09th  December, 2019
বাজার আগুন, বেকারত্ব লাগামছাড়া,
শিল্পে মন্দা, সরকার মেতে হিন্দুরাষ্ট্রে
হিমাংশু সিংহ

 দেশভাগ, শরণার্থীর ঢল, বার বার ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে উদ্বাস্তু হওয়ার তীব্র যন্ত্রণা আর অভিশাপের মাশুল এই বাংলা বড় কম দেয়নি। ইতিহাস সাক্ষী, সাবেক পূর্ববঙ্গের শত শত নিরাশ্রয় মানুষকে নিজের বুকে টেনে নিতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন সঙ্কট। বদলে গিয়েছে গোটা রাজ্যের জনভিত্তি।
বিশদ

08th  December, 2019
বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুর প্রাপ্য অধিকার
জিষ্ণু বসু

 কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা বলেছেন। চলতি অধিবেশনেই হয়তো পাশ হবে ঐতিহাসিক নাগরিকত্ব সংশোধনী। এটি আইনে রূপান্তরিত হলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে আসা হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান ও পারসিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা এদেশের পূর্ণ নাগরিকত্ব পাবেন।
বিশদ

08th  December, 2019
কর্পোরেটদের যথেষ্ট সুবিধা দিলেও অর্থনীতির বিপর্যয় রোধে চাহিদাবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ
দেবনারায়ণ সরকার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থে ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে।’ কিন্তু কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রীরা থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারতীয় অর্থনীতির চরম বেহাল অবস্থার বাস্তবতা সর্বদা চাপা দিতে ব্যস্ত। 
বিশদ

07th  December, 2019
সার্ভিল্যান্স যুগের প্রথম পরীক্ষাগার উইঘুর সমাজ
মৃণালকান্তি দাস

চীনের সংবাদ মানেই তো যেন সাফল্যের খবর। সমুদ্রের উপর ৩৪ মাইল লম্বা ব্রিজ, অতিকায় যাত্রী পরিবহণ বিমান তৈরি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া উদ্ভাবন, চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ...। মিহিরগুল তুরসুনের ‘গল্প’ সেই তালিকায় খুঁজেও পাবেন না। ১৪১ কোটি জনসংখ্যার চীনে মিহিরগুল মাত্র সোয়া কোটি উইঘুরের প্রতিনিধি। 
বিশদ

06th  December, 2019
আর ঘৃণা নিতে পারছে না বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

 এটাই বোধহয় আমার শোনা প্রথম কোনও ছড়া। আজও ভুলতে পারিনি। শ্রবণ। দর্শন। স্পর্শ। প্রথম অনেক জিনিসই ভোলা যায় না। জীবনের উপান্তে পৌঁছেও সেসব অনুভবে জেগে থাকে অনেকের। কোনোটা বয়ে বেড়ায় সুখানুভূতি, কোনোটা বেদনা। এই ছড়াটি আমার জীবনে তেমনই একটি। যখন প্রথম শুনেছি তখন নিতান্তই শিশু। বিশদ

05th  December, 2019
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

03rd  December, 2019
সিঁদুরে মেঘ ঝাড়খণ্ডেও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা কথা বেশ প্রচলিত... এদেশের ভোটাররা সাধারণত পছন্দের প্রার্থীকে নয়, অপছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচনী মুখ করে বিজেপি আসরে নামল, সেটা একটা বড়সড় চমক ছিল। 
বিশদ

03rd  December, 2019
আচ্ছে দিন আনবে তুমি এমন শক্তিমান!
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সঙ্গে কলেজে পড়ত ঘন্টেশ্বর বর্ধন। ওর ঠাকুর্দারা ছিলেন জমিদার। আমরা শুনেছিলাম ওদের মাঠভরা শস্য, প্রচুর জমিজমা, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গোরু, ধানভরা গোলা সবই ছিল। দেউড়িতে ঘণ্টা বাজত। ছিল দ্বাররক্ষী। কিন্তু এখন সে সবের নামগন্ধ নেই। ভাঙাচোরা বাড়ি আর একটা তালপুকুর ওদের জমিদারির সাক্ষ্য বহন করত। 
বিশদ

02nd  December, 2019
বিজেপির অহঙ্কারের পতন
হিমাংশু সিংহ

সবকিছুর একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করলে অহঙ্কার আর দম্ভের পতন অনিবার্য। সভ্যতার ইতিহাস বারবার এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে। আজও দিচ্ছে। তবু ক্ষমতার চূড়ায় বসে অধিকাংশ শাসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গ এই আপ্তবাক্যটা প্রায়শই ভুলে যায়।  বিশদ

01st  December, 2019
একনজরে
ওয়েলিংটন, ৯ ডিসেম্বর (এএফপি): ছবির মতো সুন্দর হোয়াইট আইল্যান্ড। ভ্রমণের আনন্দে মশগুল পর্যটকের দল। ভরদুপুরে হঠাৎ করে জেগে উঠল আগ্নেয়গিরি। সোমবার নিউজিল্যান্ডের এই ঘটনায় মৃত্যু হল অন্তত পাঁচজনের। জখম ১৮ জন। সরকারি সূত্রে খবর, আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। তাঁদের উদ্ধারের ...

সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়েছে চাঁচলে। এই সপ্তাহেই চাঁচলের খরবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। কলকাতার একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর।  ...

অর্পণ সেনগুপ্ত, কলকাতা: স্কুলের কাছে ‘প্রায়র পারমিশন’ (পিপি) এসে পৌঁছনোর আগেই শিক্ষক পদপ্রার্থীদের হাতে তা চলে আসছে। আর তার প্রতিলিপি নিয়েই স্কুলে যোগ দিতে চলে আসছেন শিক্ষকরা। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে এই ঘটনা ঘটছে। বদলির আবেদন করা শিক্ষকদের হাতে এই পিপি ...

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: অজ্ঞাতপরিচয় এক সাধুর মৃত্যু হল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রবিবার রাতে তারাপীঠের শ্মশান থেকে অসুস্থ ওই সাধুকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে তারাপীঠ থানার পুলিস। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।   ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস,
১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,
১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর জন্ম,
২০০১- অভিনেতা অশোককুমারের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৪ টাকা ৭২.১৪ টাকা
পাউন্ড ৯২.০৭ টাকা ৯৫.৩৭ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৪ টাকা ৮০.২৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,২৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৩২৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৮৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১১/২৬ দিবা ১০/৪৪। কৃত্তিকা ৫৯/২৯ শেষ রাত্রি ৫/৫৭। সূ উ ৬/৯/৩১, অ ৪/৪৮/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/২২ মধ্যে পুনঃ ৯/১৬ গতে ১১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৪৩ গতে ৩/৩০ মধ্যে পুনঃ ৫/১৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১০/২/৪৮ দিবা ১০/১২/৫। কৃত্তিকা ৬০/০/০ অহোরাত্র, সূ উ ৬/১০/৫৮, অ ৪/৪৯/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/১২ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৯/৫৩ গতে ২/৯/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৯/২৬ গতে ৮/৯/৩৯ মধ্যে।
 
মোসলেম: ১২ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ১৮৬৮- বিশ্বের প্রথম ট্রাফিক বাতি লন্ডনের প্যালেস অব ...বিশদ

04:28:18 PM

আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। বৃষ: অর্থভাগ্য খুব ভালো না হলেও ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর ...বিশদ

07:03:20 PM

ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে মৃত স্কুলছাত্র 
চিনা মাঞ্জার বলি স্কুলছাত্র। সুতোর ধারে গলা কেটে মৃত্যু হল ...বিশদ

06:20:33 PM

২৪৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:02:02 PM

আইলিগ: ইস্ট বেঙ্গল ৪-১ গোলে হারাল নেরোকাকে 

04:01:36 PM