Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

কর্পোরেটদের যথেষ্ট সুবিধা দিলেও অর্থনীতির বিপর্যয় রোধে চাহিদাবৃদ্ধির সম্ভাবনা ক্ষীণ
দেবনারায়ণ সরকার

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর ‘ক্ষণিকা’ কাব্যগ্রন্থে ‘বোঝাপড়া’ কবিতায় লিখেছিলেন, ‘ভালো মন্দ যাহাই আসুক সত্যেরে লও সহজে।’ কিন্তু কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রীরা থেকে শুরু করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ভারতীয় অর্থনীতির চরম বেহাল অবস্থার বাস্তবতা সর্বদা চাপা দিতে ব্যস্ত। অথচ চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি ৫ শতাংশে নেমে গত ছ’বছরের তলানিতে ছুঁয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস যথেষ্ট ছেঁটেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আইএমএফ এমনকী স্বনামধন্য মূল্যায়ন সংস্থা মুডিজও। গত অক্টোবরে শেষ রিপোর্টে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছেঁটেছে ৬.৯ শতাংশ থেকে ৬.১ শতাংশে। বিশ্ব ব্যাঙ্ক ৭.৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশে। আইএমএফ ৭ শতাংশ থেকে ৬.১ শতাংশ। মুডিজ ৬.২ শতাংশ থেকে ৫.৮ শতাংশ।
নোটবন্দির ঠিক পরে ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় সরকারেরই জাতীয় নমুনা সমীক্ষা সংস্থার (এনএসএসও) রিপোর্টে স্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়েছিল গত ৪৫ বছরে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ। এই হার ছিল ৬.১ শতাংশ। অতি সম্প্রতি গত ১ নভেম্বর স্বনামধন্য উপদেষ্টা সংস্থা সিএমআইই (সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি)-র রিপোর্ট তুলে ধরল অর্থনীতির চাকা বসে যাওয়ার জেরে দেশে কাজের বাজারের আরও বিবর্ণ ছবি। দেশে বেকারত্বের হার দাঁড়িয়েছে ৮.৫ শতাংশ। এই সংস্থার রিপোর্টে ২০১৬-র পরে সর্বোচ্চ। এমনকী ২০১৭ সালের এনএসএসও-র রিপোর্টের (৬.১ শতাংশ) থেকেও যথেষ্ট বেশি। বেকারত্বের বিবর্ণ ছবি গাড়ি শিল্প থেকে বিস্কুট শিল্প পর্যন্ত বিস্তৃত। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসেই উৎপাদন (ম্যানুফ্যাকচারিং) শিল্প সমৃদ্ধির অর্ধেকের দাবিদার গাড়ি ও যন্ত্রাংশ শিল্পে ছাঁটাই চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসেই তিন লক্ষেরও বেশি। অবস্থা আরও অনেক বেশি সঙ্গিন অসংগঠিত ক্ষেত্রে।
সরকারি পরিসংখ্যান সংস্থা গত ৩০ অক্টোবর সর্বশেষ রিপোর্টে জানাল অক্টোবরে দেশের ৮টি প্রধান পরিকাঠামো ক্ষেত্রে (কয়লা, অশোধিত তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস, শোধনাগারজাত পণ্য, ইস্পাত, সিমেন্ট, বিদ্যুৎ, সার) উৎপাদন সরাসরি কমেছে ৫.২ শতাংশ। গত ১৪ বছরে সব থেকে কম। উল্লেখ্য যে, শিল্পোৎপাদন সূচকে এই ৮টি ক্ষেত্রের অবদান ৪০.২৭ শতাংশ। শিল্পোৎপাদনেরও সর্বশেষ রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে গত আগস্টে শিল্পোৎপাদন কমেছে ১.১ শতাংশ যা গত ৭ বছরে সর্বনিম্ন। গত জুনে সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ গত ১৫ বছরে সর্বনিম্ন।
কৃষির সমৃদ্ধির হারও হ্রাস পেয়ে প্রায় ২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কার্যত প্রায় সর্বক্ষেত্রে চাহিদার অভাবে যেখানে বেসরকারি লগ্নি তলানিতে, অর্থনীতির ঝিমুনি নিয়ে শিল্প থেকে অর্থনীতিবিদ প্রায় সবাই যেখানে চরম উদ্বিগ্ন সেখানে অর্থমন্ত্রী দাবি করে চলেছেন অর্থনীতি ঠিকঠাক চলছে। নগদের অভাব কোথাও নেই। বাজারে কেনাকাটা হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকায় যথেষ্ট চাহিদা। ব্যাঙ্কগুলি দরাজ হাতে ঋণ বিলি করছে। গাড়ি বিক্রি কমার দায় চাপাচ্ছেন নতুন প্রজন্মের পরিবর্তিত পছন্দের উপর। ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের খারাপ অবস্থার দায় দিচ্ছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও প্রাক্তন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নরের উপর। তথাপিও স্বীকার করতে রাজি নন যে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বিবর্ণ। কিন্তু বাস্তবটা উল্টো। সত্যকে স্বীকার করতে ভয় পাচ্ছেন।
তবে পরোক্ষভাবে সত্যটা স্বীকার করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থ দপ্তরের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা কৃষ্ণমূর্তি সুব্রহ্মণ্যম। সম্প্রতি আমেরিকার শিকাগোর একটি অনুষ্ঠানের পরে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তিনি গত এক দশকে ভারতের লগ্নির বিপুল ধাক্কা খাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। প্রকাশিত বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন ভারতে ৫ বছরে ৫ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে লগ্নিই মূল হাতিয়ার। তিনি বলেছেন যে ২০০৮ সালে দেশে লগ্নির হার ছিল জিডিপির ৪০ শতাংশ। সেখানে ২০১৮ সালে তা নেমে দাঁড়িয়েছে জিডিপির ২৯ শতাংশ। কৃষ্ণমূর্তির মতে, ২০২৫ অর্থ বছরে অর্থাৎ আগামী ৫ বছরে ৫ লক্ষ ডলার মোদির প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হলে দেশে লগ্নি বাড়ানো ছাড়া গত্যন্তর নেই। বর্তমান বছরে বাজেট পেশ করার সময়ে এই বছরের আর্থিক সমীক্ষায়ও কৃষ্ণমূর্তি স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, যে দেশে অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে গেলে উচ্চ সমৃদ্ধির হার আবশ্যক। উচ্চ সমৃদ্ধির হার বজায় রাখা তখনই সম্ভব যখন সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও রপ্তানি গুণগত চক্রের স্থায়িত্ব বজায় রাখা যায় (‘‘High Growth Rate Can Only be Sustained by a ‘Virtuous Cycle’ of Saving, Investment and Export’’)।
সরকারি পরিসংখ্যানই বলছে, ২০১১-১২ অর্থবছরে গৃহস্থের সঞ্চয় ছিল জিডিপির ২৩.৬ শতাংশ। ২০১৭-১৮-তে কমে ১৭.২ শতাংশ। মোট স্থির মূলধন গঠনের অনুপাত ২০১১-১২ অর্থবছরে জিডিপির ৩৬.৫ শতাংশ। ২০১৭-১৮-তে কমে প্রায় ৩০ শতাংশ। রপ্তানির অবস্থাও মোদির আমলে খুবই বিবর্ণ। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশের পণ্য রপ্তানি আয় ছিল ৩১৪.৪ আমেরিকান বিলিয়ন ডলার। মোদি সরকার তার প্রথম ৪ বছরে অর্থাৎ ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৭-১৮ পর্যন্ত সময়কালেও ইউপিএ আমলের শেষ বছরের পণ্য রপ্তানি আয়ের সীমা স্পর্শ করতে পারেনি। শুধুমাত্র গত অর্থবর্ষেই (২০১৮-১৯) ২০১৩-১৪ অর্থবছরের রপ্তানি আয়ের সীমা অতিক্রম করতে পেরেছিল। বর্তমান বছরেও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির আশা ক্ষীণ। বিশ্ব শুল্ক যুদ্ধে ভারতের পক্ষে সুবিধা পাওয়াও যথেষ্ট দুষ্কর। অন্যদিকে আমেরিকার চাপে আমদানি বাড়ার সম্ভাবনা বেশি। তাহলে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকছে কোথায়?
প্রশ্ন হল, দেশে সঞ্চয়, বিনিয়োগ ও রপ্তানির চাকা ঘুরবে কীভাবে? কীভাবে দেশে লগ্নি বাড়বে? বর্তমান বছরে বাজেটের পরে ৪ দফা দাওয়াই দেওয়ার পরেও অর্থনীতিতে লগ্নির গ্যারান্টি দেবে কে? চতুর্থ দফা দাওয়াইয়ে কর্পোরেট ট্যাক্সে ছাড়ের ফলে বর্তমান বছরেই রাজস্ব আয় প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা কমতে চলেছে। এছাড়াও কমানো হয়েছে বিভিন্ন পণ্য পরিষেবায় জিএসটির হার। এমনকী বর্তমান অর্থবছরেই মাত্র ৮ মাসের মধ্যেই দেশে ঋণের জোগান বাড়াতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপো রেট ১৩৫ বেসিক পয়েন্ট কমিয়েছে— যা একটি রেকর্ড। এর ফলে প্রবীণ নাগরিক সহ দেশের স্থায়ী সুদের আয়ের উপর নির্ভরশীল দেশের অধিকাংশ নাগরিকদের ব্যাঙ্ক ও স্বল্প সঞ্চয়ে আমানতি সুদ যথেষ্ট কমেছে। আমানতি সুদের উপর নির্ভরশীল অধিকাংশ জনগণের যথেষ্ট কষ্ট সত্ত্বেও বিভিন্ন ক্ষেত্রকে চাঙ্গা করতে একের পর এক ছাড় দিয়ে চলেছে দিল্লি। এত সুবিধা দেওয়ার পরেও নতুন লগ্নির কথা কার্যত মুখে আনছেন না লগ্নিকারীরা।
মূল সমস্যা হল অর্থনীতির অধিকাংশ ক্ষেত্রে চাহিদার চরম বিবর্ণ অবস্থা। আধুনিক অর্থবিদ্যার জনক জন মেনার্ড কেইনস-এর ‘‘The General Theory of Employment, Interest and Money (১৯৩৬)’’ গ্রন্থের প্রধান উপপাদ্য বিষয় ছিল ‘‘The Principle of Effective Demand’’ বা কার্যকরী চাহিদার নীতি। এর মূল বিষয় হল সারা বিশ্বে প্রতিটি দেশে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের অন্যতম মৌলিক বিষয় হল জনগণের কার্যকরী চাহিদা। দেশে দ্রব্য ও সেবাকার্যের জন্য জনগণের কার্যকরী চাহিদার প্রসার ঘটলেই উৎপাদন, বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান ইত্যাদি সবকিছুরই প্রসার ঘটবেই। ১৯৩০ সালের বিশ্বমন্দার অন্যতম প্রধান কারণ যে জনগণের কার্যকরী চাহিদার চূড়ান্ত অভাব তা তিনি তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থে তুলে ধরেছিলেন।
এখন প্রশ্ন হল, কীভাবে দেশের চাহিদার এরূপ বিবর্ণ অবস্থা ফেরানো সম্ভব? এ অবস্থা ফেরানোর জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন কর্মসংস্থান ও চাকরির দ্রুত প্রসার ঘটানো এবং বর্তমান ছাঁটাই অনেকাংশে রদ করা। এর জন্য সর্বাগ্রে প্রয়োজন বেসরকারি ও সরকারি বিনিয়োগ দ্রুত বাড়ানো। গত ৫ বছরে বেসরকারি ক্ষেত্রে বেশ কিছু সংস্কার করেও বিনিয়োগ বাড়েনি। বরং বেসরকারি ক্ষেত্রে সরকারি সুবিধার মাত্রা বাড়ালেও তারা সাধারণত বিনিয়োগ করে না। বর্তমান বাজেটেই কর্পোরেটদের প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা রাজস্বের ছাড় দেওয়া হয়েছে। এমনকী রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গত ৮ মাসে ১৩৫ বেসিক পয়েন্ট রেপো রেট কমানোর ফলে দেশের ব্যাঙ্ক ব্যবস্থায় ঋণে সুদের হার যথেষ্ট কমেছে।
কিন্তু বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নূতন বিনিয়োগে কার্যত এগিয়ে আসছে না কেন? কেইনস তাঁর গ্রন্থে স্পষ্টভাবে বলেছেন, বেসরকারি বিনিয়োগের প্রধান চালিকাশক্তিই হল নিজেদের ধ্যান-ধারণা ও প্রত্যাশা যাকে কেইনস Animal Spirit হিসেবে উল্লেখ করেছেন। মোদ্দা কথা বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করে বাজারের চাহিদা দেখে, সরকারি সাহায্য দেখে নয়। তাহলে কীভাবে দেশের বিনিয়োগ বাড়বে? বাকি রইল সরকারি বিনিয়োগ।
গত ৫ বছরে মোদির আমলে সরকারি মূলধনী ব্যয়ের মাত্রা জিডির অনুপাতে ক্রমশ কমছে। এবারের বাজেটে সরকারি মূলধনী ব্যয় ধরা হয়েছে জিডিপির ১.৬ শতাংশ। টাকার অঙ্কে ৩.৩ লক্ষ কোটি টাকা। এই ব্যয় যথেষ্ট কমার সম্ভাবনা। কারণ কর্পোরেট ট্যাক্সে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা ছাড় দেওয়ায় প্রত্যক্ষ কর থেকে আদায় অন্তত প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা কম হতে বাধ্য। জিএসটি থেকে আদায় এবারেও যথেষ্ট কমতে বাধ্য। প্রথম ৬ মাসের হিসেবে দেখা যাচ্ছে, প্রতি মাসে আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা গড়ে ১.১৪ লক্ষ কোটি টাকা। আদায় হয়েছে মাসে গড়ে ১.০১ লক্ষ কোটি টাকা কোনও মাসেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে পারেনি। ৬ মাসে আদায় কমেছে প্রায় ৮১ হাজার কোটি টাকা। ফলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর মিলিয়ে এবারে রাজস্ব আয় অন্তত ৩ লক্ষ কোটি টাকা কম হবে। অন্যদিকে রাজকোষ ঘাটতি জিডিপির ৩.৩ শতাংশে বেঁধে রাখার লক্ষ্যমাত্রা হলেও বছরের প্রথম ৬ মাসে ঘাটতি পৌঁছেছে ৬.৫২ লক্ষ কোটিতে। ৭.৩ লক্ষ কোটির লক্ষ্যমাত্রায় প্রায় ৯৩ শতাংশ ছুঁয়েছে প্রথম ৬ মাসেই। এমতাবস্থায় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক থেকে ১.৭৬ লক্ষ কোটি টাকা কেন্দ্র সরকারি কোষাগারে গেলেও এই অর্থ বর্তমান বছরে বিপুল রাজস্ব ঘাটতি বা রাজকোষ ঘাটতি কোনওটিই পূরণ করা সম্ভব নয়। ফলে এবারেও সরকারি মূলধনী ব্যয় হ্রাস পেতে বাধ্য।
একদিকে কর্পোরেটদের প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা কর্পোরেট কর ছাড় দিয়ে এবং বেশ কিছু ক্ষেত্রে জিএসটির হার কমিয়েও বেসরকারি লগ্নি বৃদ্ধির আশা ক্ষীণ, অন্যদিকে সরকারি মূলধনী ব্যয়ের অনুপাত ক্রমশ কমছে। এর ফলে সরকারি ক্ষেত্রের মাধ্যমেও কর্মসংস্থান ও চাকরি সৃষ্টির আশা যথেষ্ট কম। বরং রেল থেকে শুরু করে সরকার নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে আগামী কয়েকবছরে কয়েক লক্ষ চাকরি ছাঁটাইয়ের সম্ভাবনা। বর্তমান বছরে অর্থনীতির নোবেল লরিয়েট অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ভারতের বর্তমান অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য মুখ্যত দায়ী বিমুদ্রাকরণ। চাহিদার এমন সঙ্কট অতীতে বহু বছর ভারত দেখেনি। ভুল নীতিই এর জন্য দায়ী। গরিবদের চাহিদা বৃদ্ধি ব্যতিরেকে ভারতীয় অর্থনীতির উন্নতি সম্ভব নয়। এ জন্য অর্থনীতিতে ‘জোরে ধাক্কাটা’ প্রথমে দিতে হবে সরকারকেই।
 লেখক প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক  
07th  December, 2019
এনকাউন্টার, আইন এবং ন্যায়বিচার
শান্তনু দত্তগুপ্ত 

জাস্টিস ইজ ডান। নীচে একটা স্মাইলি... প্ল্যাকার্ডে লেখা বলতে শুধু এটাই। কোনও কায়দা নেই। নেই রাজনীতির রং। নেহাতই সাদা কাগজে মোরাদাবাদের স্কুলের ছাত্রীদের হাতে লেখা কাগজগুলো বলছে, এবার হয়তো আমরা নিরাপদ হব।
বিশদ

আর ক’জন ধর্ষিতা হলে রামরাজ্য পাব
সন্দীপন বিশ্বাস 

রাত অনেক হল। মেয়েটি এখনো বাড়ি ফেরেনি। কোথাও আটকে গিয়েছে। অনেক লড়াই করে, পুরুষের সঙ্গে পাশাপাশি ঘাম ঝরিয়ে তাকে বেঁচে থাকতে হয়। বাড়িতে বাবা-মা অস্থির হয়ে ওঠেন।  বিশদ

09th  December, 2019
অর্থনীতিবিদদের ছাড়াই অর্থনীতি
পি চিদম্বরম

প্রত্যেকেই অর্থনীতিবিদ। যে গৃহবধূ পরিবার সামলানোর বাজেট তৈরি করেন, তাঁকে থেকে শুরু করে একজন ডেয়ারি মালিক যিনি দুধ বিক্রির জন্য গোদোহন করেন এবং একজন ছোট উদ্যোগী যিনি বড় নির্মাণ ব্যবসায়ীর জন্য যন্ত্রাংশ তৈরি করেন, সকলেই এই গোত্রে পড়েন।  বিশদ

09th  December, 2019
বাজার আগুন, বেকারত্ব লাগামছাড়া,
শিল্পে মন্দা, সরকার মেতে হিন্দুরাষ্ট্রে
হিমাংশু সিংহ

 দেশভাগ, শরণার্থীর ঢল, বার বার ভিটেমাটি ছাড়া হয়ে উদ্বাস্তু হওয়ার তীব্র যন্ত্রণা আর অভিশাপের মাশুল এই বাংলা বড় কম দেয়নি। ইতিহাস সাক্ষী, সাবেক পূর্ববঙ্গের শত শত নিরাশ্রয় মানুষকে নিজের বুকে টেনে নিতে গিয়ে প্রতি মুহূর্তে তৈরি হয়েছে নতুন নতুন সঙ্কট। বদলে গিয়েছে গোটা রাজ্যের জনভিত্তি।
বিশদ

08th  December, 2019
বাঙালি হিন্দু উদ্বাস্তুর প্রাপ্য অধিকার
জিষ্ণু বসু

 কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের কথা বলেছেন। চলতি অধিবেশনেই হয়তো পাশ হবে ঐতিহাসিক নাগরিকত্ব সংশোধনী। এটি আইনে রূপান্তরিত হলে পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে আসা হিন্দু, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, খ্রিস্টান ও পারসিক সম্প্রদায়ের মানুষেরা এদেশের পূর্ণ নাগরিকত্ব পাবেন।
বিশদ

08th  December, 2019
অণুচক্রিকা বিভ্রাট
শুভময় মৈত্র

সরকারি হাসপাতালে ভিড় বেশি, বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় সুবিধে হয়তো কম। তবে নিম্নবিত্ত মানুষের তা ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। অন্যদিকে এটাও মাথায় রাখতে হবে যে রাজ্যে এখনও অত্যন্ত মেধাবী চিকিৎসকেরা সরকারি হাসপাতালে কাজ করেন। 
বিশদ

06th  December, 2019
সার্ভিল্যান্স যুগের প্রথম পরীক্ষাগার উইঘুর সমাজ
মৃণালকান্তি দাস

চীনের সংবাদ মানেই তো যেন সাফল্যের খবর। সমুদ্রের উপর ৩৪ মাইল লম্বা ব্রিজ, অতিকায় যাত্রী পরিবহণ বিমান তৈরি, প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে নয়া উদ্ভাবন, চাঁদের অপর পিঠে অবতরণ...। মিহিরগুল তুরসুনের ‘গল্প’ সেই তালিকায় খুঁজেও পাবেন না। ১৪১ কোটি জনসংখ্যার চীনে মিহিরগুল মাত্র সোয়া কোটি উইঘুরের প্রতিনিধি। 
বিশদ

06th  December, 2019
আর ঘৃণা নিতে পারছে না বাঙালি
হারাধন চৌধুরী

 এটাই বোধহয় আমার শোনা প্রথম কোনও ছড়া। আজও ভুলতে পারিনি। শ্রবণ। দর্শন। স্পর্শ। প্রথম অনেক জিনিসই ভোলা যায় না। জীবনের উপান্তে পৌঁছেও সেসব অনুভবে জেগে থাকে অনেকের। কোনোটা বয়ে বেড়ায় সুখানুভূতি, কোনোটা বেদনা। এই ছড়াটি আমার জীবনে তেমনই একটি। যখন প্রথম শুনেছি তখন নিতান্তই শিশু। বিশদ

05th  December, 2019
আগামী ভোটেও বিজেপির গলার কাঁটা এনআরসি
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

রাজ্যের তিন বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির বিপর্যয় বিশ্লেষণ করতে গিয়ে যখন ওই প্রার্থীদের পরাজয়ের ব্যাপারে সকলেই একবাক্যে এনআরসি ইস্যুকেই মূল কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন, তখনও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এনআরসিতে অটল। তিন বিধানসভা কেন্দ্রের বিপর্যয়ের পর আবারও অমিত শাহ এনআরসি কার্যকর করবার হুংকার ছেড়েছেন।  
বিশদ

03rd  December, 2019
সিঁদুরে মেঘ ঝাড়খণ্ডেও
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ভারতের গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে একটা কথা বেশ প্রচলিত... এদেশের ভোটাররা সাধারণত পছন্দের প্রার্থীকে নয়, অপছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে থাকেন। ২০১৪ সালে যখন নরেন্দ্র মোদিকে নির্বাচনী মুখ করে বিজেপি আসরে নামল, সেটা একটা বড়সড় চমক ছিল। 
বিশদ

03rd  December, 2019
আচ্ছে দিন আনবে তুমি এমন শক্তিমান!
সন্দীপন বিশ্বাস

আমাদের সঙ্গে কলেজে পড়ত ঘন্টেশ্বর বর্ধন। ওর ঠাকুর্দারা ছিলেন জমিদার। আমরা শুনেছিলাম ওদের মাঠভরা শস্য, প্রচুর জমিজমা, পুকুরভরা মাছ, গোয়ালভরা গোরু, ধানভরা গোলা সবই ছিল। দেউড়িতে ঘণ্টা বাজত। ছিল দ্বাররক্ষী। কিন্তু এখন সে সবের নামগন্ধ নেই। ভাঙাচোরা বাড়ি আর একটা তালপুকুর ওদের জমিদারির সাক্ষ্য বহন করত। 
বিশদ

02nd  December, 2019
বিজেপির অহঙ্কারের পতন
হিমাংশু সিংহ

সবকিছুর একটা সীমা আছে। সেই সীমা অতিক্রম করলে অহঙ্কার আর দম্ভের পতন অনিবার্য। সভ্যতার ইতিহাস বারবার এই শিক্ষাই দিয়ে এসেছে। আজও দিচ্ছে। তবু ক্ষমতার চূড়ায় বসে অধিকাংশ শাসক ও তার সাঙ্গপাঙ্গ এই আপ্তবাক্যটা প্রায়শই ভুলে যায়।  বিশদ

01st  December, 2019
একনজরে
অমিত চৌধুরী, হরিপাল: হরিপাল থানার কৈকালা গ্রাম পঞ্চায়েতের বলদবাঁধ গ্রামে প্রতিবছর শীতের সময় ভিড় করে পরিযায়ী পাখি। বিদেশি পাখির আগমনকে ঘিরে একসময় এলাকায় পিকনিকের আসর বসলেও স্থানীয় মানুষ উদ্যোগ নিয়ে পাখিদের নিশ্চিন্তে অস্থায়ী ঠিকানায় বাস করতে বন্ধ করে দিয়েছেন পিকনিক। ...

তিরুবনন্তপুরম, ৯ ডিসেম্বর: ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বিরাট কোহলি নিজের ব্যাটিং পজিশন ছেড়ে দিয়েছিলেন শিবম দুবেকে। তিন নম্বরে ব্যাট করার সুযোগটা দারুণভাবে কাজে ...

সংবাদদাতা, রামপুরহাট: অজ্ঞাতপরিচয় এক সাধুর মৃত্যু হল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রবিবার রাতে তারাপীঠের শ্মশান থেকে অসুস্থ ওই সাধুকে উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে তারাপীঠ থানার পুলিস। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।   ...

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আজ, ১০ ডিসেম্বর থেকে নিজেদের মার্জিনাল কস্ট অব ফান্ডস বেসড লেন্ডিং রেট বা এমসিএলআর কমাল স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (এসবিআই)। এক প্রেস বিবৃতিতে তারা একথা জানিয়ে বলেছে, আগে তাদের বার্ষিক এমসিএলআর ছিল আট শতাংশ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব মানবাধিকার দিবস,
১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,
১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর জন্ম,
২০০১- অভিনেতা অশোককুমারের মৃত্যু  



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.৪৪ টাকা ৭২.১৪ টাকা
পাউন্ড ৯২.০৭ টাকা ৯৫.৩৭ টাকা
ইউরো ৭৭.৩৪ টাকা ৮০.২৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৮,২৮৫ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩৬,৩২৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩৬,৮৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪৩,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪৩,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১১/২৬ দিবা ১০/৪৪। কৃত্তিকা ৫৯/২৯ শেষ রাত্রি ৫/৫৭। সূ উ ৬/৯/৩১, অ ৪/৪৮/৪৩, অমৃতযোগ দিবা ৬/৫২ মধ্যে পুনঃ ৭/৩৫ গতে ১১/৮ মধ্যে। রাত্রি ৭/২৯ গতে ৮/২২ মধ্যে পুনঃ ৯/১৬ গতে ১১/৫৬ মধ্যে পুনঃ ১/৪৩ গতে ৩/৩০ মধ্যে পুনঃ ৫/১৭ গতে উদয়াবধি, বারবেলা ৭/২৮ গতে ৮/৪৮ মধ্যে পুনঃ ১২/৪৮ গতে ২/৮ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৮ গতে ৮/৮ মধ্যে। 
২৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, মঙ্গলবার, ত্রয়োদশী ১০/২/৪৮ দিবা ১০/১২/৫। কৃত্তিকা ৬০/০/০ অহোরাত্র, সূ উ ৬/১০/৫৮, অ ৪/৪৯/১৩, অমৃতযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ৭/৪৫ গতে ১১/৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৩৫ গতে ৮/২৯ মধ্যে ও ৯/২৩ গতে ১২/৪ মধ্যে ও ১/৫২ গতে ৩/৩৯ মধ্যে ও ৫/২৭ গতে ৬/১২ মধ্যে, কালবেলা ১২/৪৯/৫৩ গতে ২/৯/৩৯ মধ্যে, কালরাত্রি ৬/২৯/২৬ গতে ৮/৯/৩৯ মধ্যে।
 
মোসলেম: ১২ রবিয়স সানি 

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইতিহাসে আজকের দিনে
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ১৮৬৮- বিশ্বের প্রথম ট্রাফিক বাতি লন্ডনের প্যালেস অব ...বিশদ

04:28:18 PM

আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। বৃষ: অর্থভাগ্য খুব ভালো না হলেও ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে 
বিশ্ব মানবাধিকার দিবস১৮৭০- ঐতিহাসিক যদুনাথ সরকারের জন্ম,১৮৮৮- শহিদ প্রফুল্ল চাকীর ...বিশদ

07:03:20 PM

ঘুড়ির সুতোয় গলা কেটে মৃত স্কুলছাত্র 
চিনা মাঞ্জার বলি স্কুলছাত্র। সুতোর ধারে গলা কেটে মৃত্যু হল ...বিশদ

06:20:33 PM

২৪৮ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

04:02:02 PM

আইলিগ: ইস্ট বেঙ্গল ৪-১ গোলে হারাল নেরোকাকে 

04:01:36 PM