কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় মানসিক অস্থিরতা থাকবে। ... বিশদ
হায়দরাবাদে তরুণী চিকিৎসককে গণধর্ষণ করে খুনের ঘটনার চিতা এখনও ঠান্ডা হয়নি। এরই মধ্যে উন্নাওয়ের এই ঘটনায় উত্তাল হয়েছে রাজ্য এবং জাতীয় রাজনীতি। ঘটনার পরপরই উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন ও পুলিসের শীর্ষকর্তাদের ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করে সত্বর রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এবং যথারীতি এরকম মর্মান্তিক ঘটনার পরও ন্যক্কারজনকভাবে রাজনৈতিক কোনও কোনও দল ফায়দা লোটার জন্য শকুনের মতো ভাগাড়ে নেমে পড়েছে। এদিকে রাজ্যের নারী সুরক্ষার এই বেহাল দশার জন্য যোগী সরকারকেই কাঠগড়ায় তুলে তোপ দেগেছে বিরোধী সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেস। সপা সরাসরি সরকারকে নিশানা করে ডিজির অপসারণ দাবি করেছে। এটাই আমাদের দেশের রীতি। ‘নির্ভয়া’কাণ্ড, কামদুনিকাণ্ডের পর কেটে গিয়েছে কতগুলি বছর। তারপরেও আমাদের হুঁশ ফেরেনি। আইন ও মানবাধিকারের জট পড়ে যাওয়া প্যাঁচে অপরাধের রশির মূল দুটো মাথাকে আলগা করাই কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়। নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ, সেখান থেকে সর্বোচ্চ আদালতের পর রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা পর্যন্ত আইনের বল গড়াতে গড়াতে কলির সন্ধ্যা হয়ে যায়। ফলে, মামলা লড়ার মতো অর্থবান অভিযুক্ত হলে ধর্ষণের অপরাধের শাস্তি পেতে পেতে দিন-মাস-বছর গড়িয়ে যাবে। অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তে হয়তো আবার জামিন পেয়ে বাইরে বেরিয়ে সাক্ষীদের ভয় দেখাবে, টাকা দিয়ে কিনে নেবে অথবা জীবন্ত জ্বালিয়ে দেবে!
ভারতে এটাই কি নারীদের প্রাপ্য সম্মান! চিরকালই কি প্রথম অপরাধের লজ্জা ঢাকা পড়বে দ্বিতীয় অপরাধের চাদরে? জয়া বচ্চন সম্প্রতি বলেছিলেন, এ ধরনের অপরাধীদের পিটিয়ে মেরে ফেলা উচিত। এতো অপরাধীরাই আগুন ধরিয়ে দিল ‘শিকারে’র গায়ে! সে কারণে এখনই আমাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। সমাজের বুক থেকে ধর্ষণের মতো ঘটনা হয়তো চিরতরে মুছে ফেলা সম্ভব হবে না, কিন্তু ধর্ষক বলে দোষী সাব্যস্তদের সমাজ থেকে নিকেশ করতে হবে আইনি পথেই। এবং তা অত্যন্ত দ্রুত। যাতে অপরাধের পর তারা আর প্রাণ ভরে নিশ্চিন্তে শ্বাস নিতে না পারে।