ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
মঙ্গলবার ধনতেরস উদযাপনে সকাল থেকেই সোনার দোকানে হাজির ছিলেন ক্রেতারা। গয়নার পাশাপাশি বিক্রি হল সোনার মুদ্রাও। ভালো বিক্রি হল রুপোও। ধনতেরসের আগে থেকেই নানা অফার চালু করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। তাতে প্রাক ধনতেরসে কেনাকাটা ভালো হয়েছে, এমনটাই জানিয়েছিলেন তাঁরা। লোকাল ট্রেন চালু হওয়া এবং রাতের বিধি নিষেধে ছাড় দেওয়ার ফলে এদিন মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে কেনাকাটা করেছেন বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের সিইও শুভঙ্কর সেন বলেন, আমরা যেমন এবার পুরনো ক্রেতাদের ধনতেরসে ফিরে পেয়েছি, তেমনই বেশ কিছু নতুন ক্রেতাও পেয়েছি। গত বছরের তুলনায় ব্যবসা বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ। যদি ২০১৯ সালের সঙ্গে তুলনা করা যায়, তাহলে ধনতেরস উপলক্ষে ব্যবসা বৃদ্ধির হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। ক্রেতারা যে গয়না কিনেছেন, মাথা পিছু তার ওজনও ভালো, জানিয়েছেন শুভঙ্করবাবু। অর্থাৎ এবার ভারী গয়নার দিকে ঝুঁকেছেন ক্রেতারা। অনলাইন কেনাকাটাও যথেষ্ট ভলো হয়েছে। মোট বিক্রির পাঁচ শতাংশ দখল নিয়েছে অনলাইনেরর বিক্রিবাটা।
দেশের খুচরো ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের হিসেব, এবার ধনতেরসে সোনার দোকানগুলি প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার বিক্রিবাটা করতে পেরেছে। সোনা বিক্রির পরিমাণ প্রায় ১৫ টন। বিক্রির নিরিখে এগিয়ে আছে মহারাষ্ট্র। সেখানে বিক্রির অঙ্ক প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। দিল্লিতে সেই অঙ্ক প্রায় এক হাজার কোটি টাকা। অল ইন্ডিয়া জুয়েলার্স অ্যান্ড গোল্ডস্মিথ ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট পঙ্কজ অরোরা বলেন, সোনার চাহিদা এবার ধনতেরসে বাড়বে, সেই আভাস আগেই মিলেছিল। কারণ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশজুড়ে যে পরিমাণ সোনা বিক্রি হয়েছে, তা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৫০ শতাংশ বেশি। আবার চলতি আর্থিক বছরের প্রথম ছ’মাসে ভারতে প্রায় ৭০০ টন সোনা আমদানি করা হয়েছে, যা আগের তুলনায় অনেকটাই বেশি। এর থেকেই বোঝা যায় বাজারে চাহিদা আছে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হওয়ায়, দেশে আর্থিক কর্মকাণ্ড বেড়েছে। তারই ফলশ্রুতি এই ধনতেরসের কেনাকাটা।